আজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক গোপন চীনা প্রযুক্তি সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত একটি নেটওয়ার্ক সম্প্রতি ছাঁটাই হওয়া মার্কিন সরকারি কর্মীদের নিয়োগের চেষ্টা করছে। এমনকি তারা চাকরির বিজ্ঞাপনও দিয়েছে। এই প্রচারণা উন্মোচনকারী এক গবেষকের বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংক ট্যাংক ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্স অব ডেমোক্রেসিসের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক ম্যাক্স লেসার বলেছেন, নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেওয়া কিছু কোম্পানি ‘সাবেক (মার্কিন) সরকারি কর্মচারী এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) গবেষকদের লক্ষ্য করে তৈরি হওয়া ভুয়া কনসালটিং ও হেডহান্টিং ফার্মের একটি বৃহত্তর নেটওয়ার্কের অংশ।’
চারটি কনসালটেন্সি এবং নিয়োগকারী সংস্থা, যারা ব্যাপকভাবে এই নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত, তাদের সম্পর্কে খুব কম তথ্যই জনসাধারণের কাছে সহজলভ্য। রয়টার্সের প্রতিবেদন এবং লেসারের গবেষণা অনুসারে, কিছু ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোর ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু একই রকম, একই সার্ভারে হোস্ট করা অথবা অন্যান্য ডিজিটাল সংযোগ রয়েছে।
কোম্পানি চারটির ওয়েবসাইট স্মিয়াও ইন্টেলিজেন্স নামক একটি ইন্টারনেট পরিষেবা কোম্পানির সঙ্গে একই আইপি অ্যাড্রেসে হোস্ট করা হয়েছে। রয়টার্সের অনুসন্ধানের সময় স্মিয়াও ইন্টেলিজেন্সের ওয়েবসাইটটি বন্ধ ছিল। স্মিয়াও ইন্টেলিজেন্স এবং এই চারটি কোম্পানির মধ্যকার সম্পর্ক নির্ণয় করতে পারেনি রয়টার্স।
সংবাদ সংস্থাটির পক্ষ থেকে এই চার কোম্পানি এবং স্মিয়াও ইন্টেলিজেন্সকে খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা বহুবার ব্যর্থ হয়েছে। রয়টার্স এই কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ফোন কল, ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। এমনকি ফোন নম্বর বন্ধ হয়ে গেছে বলেও অনুমান করা হচ্ছে। এসব কোম্পানি যেসব ঠিকানা দিয়েছিল সেগুলোরও কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি এবং পরে নিয়োগ বিজ্ঞাপনগুলো লিংকডিন থেকে মুছে ফেলা হয়েছে।
ম্যাক্স বলেন, এই প্রচারণা চীনা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ‘সুপ্রতিষ্ঠিত’ কৌশল অনুসরণ করেই পরিচালিত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই কার্যকলাপ যে কারণে তাৎপর্যপূর্ণ তা হলো—এই নেটওয়ার্কটি সাম্প্রতিক ব্যাপক ছাঁটাইয়ের শিকার প্রাক্তন ফেডারেল কর্মীদের আর্থিক দুর্বলতাকে কাজে লাগাতে চাইছে।’
কোম্পানিগুলো চীনা সরকারের সঙ্গে যুক্ত কিনা অথবা কোনো প্রাক্তন ফেডারেল কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে কিনা, তা রয়টার্স নিশ্চিত করতে পারেনি। এই বিষয়ে তিন গোয়েন্দা বিশ্লেষক রয়টার্সকে বলেন, এই নেটওয়ার্কটি একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ যে কীভাবে বিদেশি সংস্থাগুলো প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং বিলিয়নিয়ার প্রযুক্তি টাইকুন ইলন মাস্কের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির বরখাস্ত বা অবসর নিতে বাধ্য করা কর্মীদের কাছ থেকে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে।
বিশ্লেষকেরা বলেছেন, একবার নেটওয়ার্কে যুক্ত হলে ফেডারেল কর্মীদের সরকারি কার্যক্রম সম্পর্কে ক্রমশ সংবেদনশীল তথ্য শেয়ার করতে বা অতিরিক্ত ব্যক্তিদের সুপারিশ করতে বলা হতে পারে, যাদের ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত অংশগ্রহণের জন্য লক্ষ্যবস্তু করা হতে পারে।
ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়েছেন, চীন এই প্রচারণায় জড়িত কোনো সংস্থার বিষয়ে অবগত নয় এবং বেইজিং ডেটা গোপনীয়তা ও নিরাপত্তাকে সম্মান করে।
হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র বলেছেন, চীন ক্রমাগত গুপ্তচরবৃত্তি ও জবরদস্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ‘মুক্ত ও উন্মুক্ত ব্যবস্থাকে’ কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। মুখপাত্র বলেন, ‘বর্তমান ও প্রাক্তন সরকারি কর্মচারী উভয়কেই এই সরকারগুলোর সৃষ্ট বিপদ এবং সরকারি তথ্য সুরক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করতে হবে।’
সিএনএন গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জানায় যে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা বিশ্বাস করে—রাশিয়া ও চীন অসন্তুষ্ট মার্কিন সরকারি কর্মচারীদের লক্ষ্যবস্তু করছে এবং তারা বহু বছর ধরেই এই কাজ করে আসছে।
রয়টার্স এ মাসের শুরুতে জানিয়েছিল, শীর্ষ নিরাপত্তা ছাড়পত্র থাকা কিছু মার্কিন সরকারি কর্মীকে স্ট্যান্ডার্ড এক্সিট ব্রিফিং দেওয়া হয়নি। এই ব্রিফিংয়ে বিদেশি শত্রুরা যোগাযোগ করা হলে কী করতে হবে তা অন্তর্ভুক্ত থাকে।
এই নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত একটি কোম্পানি রিভারমার্জ স্ট্র্যাটেজিক। তারা তাদের ওয়েবসাইটে নিজেদের ‘পেশাদার ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি পরামর্শক সংস্থা’ হিসেবে অভিহিত করে এবং ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে তাদের লিংকডিন পেজে দুটি চাকরির তালিকা পোস্ট করেছিল, যা পরে মুছে ফেলা হয়। তাদের লিংকডিন পেজ এখন আর অ্যাকসেস করা যাচ্ছে না।
এক বিজ্ঞাপনে সরকারি সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংস্থা বা বহুজাতিক করপোরেশনে অভিজ্ঞ ‘ভূ-রাজনৈতিক পরামর্শক উপদেষ্টা’ চাওয়া হয়েছিল, সেখানে লিংকডিন পোস্টের একটি স্ক্রিনশট অনুসারে দেখা গেছে যে ২০০ টিরও বেশি আবেদন জমা পড়েছিল।
অন্যটিতে এমন একজন মানবসম্পদ বিশেষজ্ঞ চাওয়া হয়েছিল যিনি ‘ওয়াশিংটনের ট্যালেন্ট পুল সম্পর্কে গভীর ধারণা ব্যবহার করে নীতি বা পরামর্শের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রার্থীদের চিহ্নিত করতে’ এবং ‘স্থানীয় পেশাদার নেটওয়ার্ক, থিংক ট্যাংক এবং একাডেমিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে’ সক্ষম হবেন।
রিভারমার্জ স্ট্র্যাটেজিসের ওয়েবসাইটে তালিকাভুক্ত মার্কিন ফোন নম্বরটি আর চালু নেই। ওয়েবসাইটের কন্টাক্ট পেজে সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত তালিকাভুক্ত একটি আলাদা চীনা ফোন নম্বর হলো শেনজেন সি জুন সফটওয়্যার কোম্পানি লিমিটেডের তালিকাভুক্ত একই নম্বর।
রিভারমার্জ স্ট্র্যাটেজিক সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত তাদের ওয়েবসাইটে দুটি ঠিকানা দিয়েছিল, একটি সিঙ্গাপুরে এবং অন্যটি কলোরাডোতে। সিঙ্গাপুরের ঠিকানাটি ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট অব সিঙ্গাপুরের ক্যাম্পাসের মধ্যে একটি হোস্টেল ভবনের দিকে নির্দেশ করে, কিন্তু রয়টার্সের অনুসন্ধানে সেখানে কোম্পানিটির কোনো কার্যালয় খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাদের অন্য ঠিকানাটি কলোরাডোর বোল্ডারে অবস্থিত নর্থওয়েস্ট রেজিস্টার্ড এজেন্ট নামক একটি ব্যবসায়িক পরিষেবা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত।
লিংকডিনে রিভারমার্জের এক কর্মচারী পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে বলেছেন, চীনে একটি নেটওয়ার্কিং অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে পরিচিত এক ব্যক্তি তার সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং রিভারমার্জ স্ট্র্যাটেজিসের জন্য চাকরির তালিকা প্রচার করতে সাহায্য করতে বলে।
কলোরাডোর সেই ব্যক্তি জানান, ‘এরিক’ নামে পরিচিত সেই ব্যক্তি এবং ‘উইল’ নামে আরেকজন যোগাযোগকারী প্রতি দুই বা তিন মাস পর পর তাঁকে ১-২ হাজার ডলার করে বেতন দেওয়া হবে—এমন চাকরির তালিকা পোস্ট করার জন্য দেন।
রয়টার্সের অনুসন্ধানের প্রতিক্রিয়ায়, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই-এর এক মুখপাত্র সতর্ক করে বলেছেন, চীনা গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ‘বর্তমান, প্রাক্তন এবং সম্ভাব্য’ মার্কিন সরকারি কর্মচারীদের লক্ষ্যবস্তু করার জন্য থিংক ট্যাংক, একাডেমিক প্রতিষ্ঠান এবং নিয়োগকারী সংস্থা হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে পারে। চীনা সরকারের এজেন্টরা অতীতেও একই ধরনের কৌশল ব্যবহার করেছে।
২০২০ সালে জুন ওয়েই ইয়েও নামে সিঙ্গাপুরের এক নাগরিক ২০১৫ সাল থেকে একটি বিদেশি শক্তির এজেন্ট হিসেবে কাজ করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন। কৌঁসুলিরা অভিযোগ করেছিলেন, তিনি রাষ্ট্রীয় সংবেদনশীল তথ্যে অ্যাকসেস থাকা আমেরিকানদের চিহ্নিত ও মূল্যায়ন করার জন্য কাজ করতেন এবং তাদের নামবিহীন এশিয়ান ক্লায়েন্টদের জন্য প্রতিবেদন লেখার জন্য অর্থ দিতেন, যদিও কাজটি আসলে চীনা সরকারের জন্য ছিল তা প্রকাশ করেননি।
আদালতের নথি অনুসারে, চীনা গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ইয়েওকে কীভাবে লক্ষ্যবস্তু নিয়োগ করতে হবে সে সম্পর্কে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। বিশেষ করে, এসব মার্কিন কর্মকর্তারা তাদের জিজ্ঞাসা করা যে, তারা ‘কাজে অসন্তুষ্ট কিনা, আর্থিক সমস্যায় ভুগছেন কিনা বা তাদের সন্তানদের ভরণপোষণের দায়িত্ব আছে কি না।’
মার্কিন বিচার বিভাগের সাবেক কৌঁসুলি ডেভিড অ্যারন রয়টার্সকে বলেছেন, বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো প্রায়ই চাকরির নিয়োগের নামে প্রতারণার আশ্রয় নেয় যাতে তাদের অজান্তেই সূত্র নিয়োগ করা যায়।
অ্যারন বলেন, ‘আমি মনে করি, চীনের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাদের প্রচেষ্টা আরও জোরদার করবে। কারণ, তারা দেখছে যে, সরকারি কর্মচারীদের একটি বড় অংশ হঠাৎ করে নতুন চাকরি খুঁজতে বাধ্য হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, অনেক সাবেক কর্মচারী দেশপ্রেম দ্বারা অনুপ্রাণিত হলেও, অনেকেই প্রতারণামূলক কৌশলের শিকার হতে পারে।

এক গোপন চীনা প্রযুক্তি সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত একটি নেটওয়ার্ক সম্প্রতি ছাঁটাই হওয়া মার্কিন সরকারি কর্মীদের নিয়োগের চেষ্টা করছে। এমনকি তারা চাকরির বিজ্ঞাপনও দিয়েছে। এই প্রচারণা উন্মোচনকারী এক গবেষকের বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংক ট্যাংক ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্স অব ডেমোক্রেসিসের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক ম্যাক্স লেসার বলেছেন, নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেওয়া কিছু কোম্পানি ‘সাবেক (মার্কিন) সরকারি কর্মচারী এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) গবেষকদের লক্ষ্য করে তৈরি হওয়া ভুয়া কনসালটিং ও হেডহান্টিং ফার্মের একটি বৃহত্তর নেটওয়ার্কের অংশ।’
চারটি কনসালটেন্সি এবং নিয়োগকারী সংস্থা, যারা ব্যাপকভাবে এই নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত, তাদের সম্পর্কে খুব কম তথ্যই জনসাধারণের কাছে সহজলভ্য। রয়টার্সের প্রতিবেদন এবং লেসারের গবেষণা অনুসারে, কিছু ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোর ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু একই রকম, একই সার্ভারে হোস্ট করা অথবা অন্যান্য ডিজিটাল সংযোগ রয়েছে।
কোম্পানি চারটির ওয়েবসাইট স্মিয়াও ইন্টেলিজেন্স নামক একটি ইন্টারনেট পরিষেবা কোম্পানির সঙ্গে একই আইপি অ্যাড্রেসে হোস্ট করা হয়েছে। রয়টার্সের অনুসন্ধানের সময় স্মিয়াও ইন্টেলিজেন্সের ওয়েবসাইটটি বন্ধ ছিল। স্মিয়াও ইন্টেলিজেন্স এবং এই চারটি কোম্পানির মধ্যকার সম্পর্ক নির্ণয় করতে পারেনি রয়টার্স।
সংবাদ সংস্থাটির পক্ষ থেকে এই চার কোম্পানি এবং স্মিয়াও ইন্টেলিজেন্সকে খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা বহুবার ব্যর্থ হয়েছে। রয়টার্স এই কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ফোন কল, ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। এমনকি ফোন নম্বর বন্ধ হয়ে গেছে বলেও অনুমান করা হচ্ছে। এসব কোম্পানি যেসব ঠিকানা দিয়েছিল সেগুলোরও কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি এবং পরে নিয়োগ বিজ্ঞাপনগুলো লিংকডিন থেকে মুছে ফেলা হয়েছে।
ম্যাক্স বলেন, এই প্রচারণা চীনা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ‘সুপ্রতিষ্ঠিত’ কৌশল অনুসরণ করেই পরিচালিত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই কার্যকলাপ যে কারণে তাৎপর্যপূর্ণ তা হলো—এই নেটওয়ার্কটি সাম্প্রতিক ব্যাপক ছাঁটাইয়ের শিকার প্রাক্তন ফেডারেল কর্মীদের আর্থিক দুর্বলতাকে কাজে লাগাতে চাইছে।’
কোম্পানিগুলো চীনা সরকারের সঙ্গে যুক্ত কিনা অথবা কোনো প্রাক্তন ফেডারেল কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে কিনা, তা রয়টার্স নিশ্চিত করতে পারেনি। এই বিষয়ে তিন গোয়েন্দা বিশ্লেষক রয়টার্সকে বলেন, এই নেটওয়ার্কটি একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ যে কীভাবে বিদেশি সংস্থাগুলো প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং বিলিয়নিয়ার প্রযুক্তি টাইকুন ইলন মাস্কের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির বরখাস্ত বা অবসর নিতে বাধ্য করা কর্মীদের কাছ থেকে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে।
বিশ্লেষকেরা বলেছেন, একবার নেটওয়ার্কে যুক্ত হলে ফেডারেল কর্মীদের সরকারি কার্যক্রম সম্পর্কে ক্রমশ সংবেদনশীল তথ্য শেয়ার করতে বা অতিরিক্ত ব্যক্তিদের সুপারিশ করতে বলা হতে পারে, যাদের ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত অংশগ্রহণের জন্য লক্ষ্যবস্তু করা হতে পারে।
ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে ইমেইলের মাধ্যমে জানিয়েছেন, চীন এই প্রচারণায় জড়িত কোনো সংস্থার বিষয়ে অবগত নয় এবং বেইজিং ডেটা গোপনীয়তা ও নিরাপত্তাকে সম্মান করে।
হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র বলেছেন, চীন ক্রমাগত গুপ্তচরবৃত্তি ও জবরদস্তির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ‘মুক্ত ও উন্মুক্ত ব্যবস্থাকে’ কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। মুখপাত্র বলেন, ‘বর্তমান ও প্রাক্তন সরকারি কর্মচারী উভয়কেই এই সরকারগুলোর সৃষ্ট বিপদ এবং সরকারি তথ্য সুরক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করতে হবে।’
সিএনএন গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জানায় যে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা বিশ্বাস করে—রাশিয়া ও চীন অসন্তুষ্ট মার্কিন সরকারি কর্মচারীদের লক্ষ্যবস্তু করছে এবং তারা বহু বছর ধরেই এই কাজ করে আসছে।
রয়টার্স এ মাসের শুরুতে জানিয়েছিল, শীর্ষ নিরাপত্তা ছাড়পত্র থাকা কিছু মার্কিন সরকারি কর্মীকে স্ট্যান্ডার্ড এক্সিট ব্রিফিং দেওয়া হয়নি। এই ব্রিফিংয়ে বিদেশি শত্রুরা যোগাযোগ করা হলে কী করতে হবে তা অন্তর্ভুক্ত থাকে।
এই নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত একটি কোম্পানি রিভারমার্জ স্ট্র্যাটেজিক। তারা তাদের ওয়েবসাইটে নিজেদের ‘পেশাদার ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি পরামর্শক সংস্থা’ হিসেবে অভিহিত করে এবং ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে তাদের লিংকডিন পেজে দুটি চাকরির তালিকা পোস্ট করেছিল, যা পরে মুছে ফেলা হয়। তাদের লিংকডিন পেজ এখন আর অ্যাকসেস করা যাচ্ছে না।
এক বিজ্ঞাপনে সরকারি সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংস্থা বা বহুজাতিক করপোরেশনে অভিজ্ঞ ‘ভূ-রাজনৈতিক পরামর্শক উপদেষ্টা’ চাওয়া হয়েছিল, সেখানে লিংকডিন পোস্টের একটি স্ক্রিনশট অনুসারে দেখা গেছে যে ২০০ টিরও বেশি আবেদন জমা পড়েছিল।
অন্যটিতে এমন একজন মানবসম্পদ বিশেষজ্ঞ চাওয়া হয়েছিল যিনি ‘ওয়াশিংটনের ট্যালেন্ট পুল সম্পর্কে গভীর ধারণা ব্যবহার করে নীতি বা পরামর্শের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রার্থীদের চিহ্নিত করতে’ এবং ‘স্থানীয় পেশাদার নেটওয়ার্ক, থিংক ট্যাংক এবং একাডেমিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে’ সক্ষম হবেন।
রিভারমার্জ স্ট্র্যাটেজিসের ওয়েবসাইটে তালিকাভুক্ত মার্কিন ফোন নম্বরটি আর চালু নেই। ওয়েবসাইটের কন্টাক্ট পেজে সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত তালিকাভুক্ত একটি আলাদা চীনা ফোন নম্বর হলো শেনজেন সি জুন সফটওয়্যার কোম্পানি লিমিটেডের তালিকাভুক্ত একই নম্বর।
রিভারমার্জ স্ট্র্যাটেজিক সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত তাদের ওয়েবসাইটে দুটি ঠিকানা দিয়েছিল, একটি সিঙ্গাপুরে এবং অন্যটি কলোরাডোতে। সিঙ্গাপুরের ঠিকানাটি ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট অব সিঙ্গাপুরের ক্যাম্পাসের মধ্যে একটি হোস্টেল ভবনের দিকে নির্দেশ করে, কিন্তু রয়টার্সের অনুসন্ধানে সেখানে কোম্পানিটির কোনো কার্যালয় খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাদের অন্য ঠিকানাটি কলোরাডোর বোল্ডারে অবস্থিত নর্থওয়েস্ট রেজিস্টার্ড এজেন্ট নামক একটি ব্যবসায়িক পরিষেবা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত।
লিংকডিনে রিভারমার্জের এক কর্মচারী পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে বলেছেন, চীনে একটি নেটওয়ার্কিং অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে পরিচিত এক ব্যক্তি তার সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং রিভারমার্জ স্ট্র্যাটেজিসের জন্য চাকরির তালিকা প্রচার করতে সাহায্য করতে বলে।
কলোরাডোর সেই ব্যক্তি জানান, ‘এরিক’ নামে পরিচিত সেই ব্যক্তি এবং ‘উইল’ নামে আরেকজন যোগাযোগকারী প্রতি দুই বা তিন মাস পর পর তাঁকে ১-২ হাজার ডলার করে বেতন দেওয়া হবে—এমন চাকরির তালিকা পোস্ট করার জন্য দেন।
রয়টার্সের অনুসন্ধানের প্রতিক্রিয়ায়, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই-এর এক মুখপাত্র সতর্ক করে বলেছেন, চীনা গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ‘বর্তমান, প্রাক্তন এবং সম্ভাব্য’ মার্কিন সরকারি কর্মচারীদের লক্ষ্যবস্তু করার জন্য থিংক ট্যাংক, একাডেমিক প্রতিষ্ঠান এবং নিয়োগকারী সংস্থা হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে পারে। চীনা সরকারের এজেন্টরা অতীতেও একই ধরনের কৌশল ব্যবহার করেছে।
২০২০ সালে জুন ওয়েই ইয়েও নামে সিঙ্গাপুরের এক নাগরিক ২০১৫ সাল থেকে একটি বিদেশি শক্তির এজেন্ট হিসেবে কাজ করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন। কৌঁসুলিরা অভিযোগ করেছিলেন, তিনি রাষ্ট্রীয় সংবেদনশীল তথ্যে অ্যাকসেস থাকা আমেরিকানদের চিহ্নিত ও মূল্যায়ন করার জন্য কাজ করতেন এবং তাদের নামবিহীন এশিয়ান ক্লায়েন্টদের জন্য প্রতিবেদন লেখার জন্য অর্থ দিতেন, যদিও কাজটি আসলে চীনা সরকারের জন্য ছিল তা প্রকাশ করেননি।
আদালতের নথি অনুসারে, চীনা গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ইয়েওকে কীভাবে লক্ষ্যবস্তু নিয়োগ করতে হবে সে সম্পর্কে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। বিশেষ করে, এসব মার্কিন কর্মকর্তারা তাদের জিজ্ঞাসা করা যে, তারা ‘কাজে অসন্তুষ্ট কিনা, আর্থিক সমস্যায় ভুগছেন কিনা বা তাদের সন্তানদের ভরণপোষণের দায়িত্ব আছে কি না।’
মার্কিন বিচার বিভাগের সাবেক কৌঁসুলি ডেভিড অ্যারন রয়টার্সকে বলেছেন, বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো প্রায়ই চাকরির নিয়োগের নামে প্রতারণার আশ্রয় নেয় যাতে তাদের অজান্তেই সূত্র নিয়োগ করা যায়।
অ্যারন বলেন, ‘আমি মনে করি, চীনের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাদের প্রচেষ্টা আরও জোরদার করবে। কারণ, তারা দেখছে যে, সরকারি কর্মচারীদের একটি বড় অংশ হঠাৎ করে নতুন চাকরি খুঁজতে বাধ্য হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, অনেক সাবেক কর্মচারী দেশপ্রেম দ্বারা অনুপ্রাণিত হলেও, অনেকেই প্রতারণামূলক কৌশলের শিকার হতে পারে।

পাকিস্তান নৌবাহিনী আশা করছে, চীনের নকশায় তৈরি করা সাবমেরিন আগামী বছরে সক্রিয় কার্যক্রমে যুক্ত হবে। দেশটির শীর্ষ অ্যাডমিরাল চীনা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এই পদক্ষেপের ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রভাব মোকাবিলায় এবং মধ্যপ্রাচ্যের দিকে নিজেদের সামরিক উপস্থিতি জোরদারে বেইজিং আরও এগিয়ে যাবে।
১ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। আগাম ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) প্রায় ৫০ লাখ নিবন্ধিত ভোটার শহরের পরবর্তী মেয়র নির্বাচনে ভোট দেবেন। তবে চূড়ান্ত ভোট গ্রহণের আগে বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জোহরান মামদানি এগিয়ে আছেন।
১ ঘণ্টা আগে
হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ইসরায়েল পাঁচ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। এতে গাজায় পরিবারগুলোর মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। এ ছাড়া দখলদার দেশটি ৪৫ ফিলিস্তিনি বন্দীর মরদেহও ফেরত দিয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ট্রাম্প নিজে নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় বেড়ে উঠেছেন। যদিও তিনি একজন রিপাবলিকান, সাক্ষাৎকারে কার্যত তিনি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোকেই সমর্থন দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কুমোর ভক্ত নই, তবে যদি খারাপ এক ডেমোক্র্যাট আর এক কমিউনিস্টের মধ্যে বেছে নিতে হয়, তাহলে আমি সব সময় খারাপ ডেমোক্র্যাটকেই বেছে ন
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তান নৌবাহিনী আশা করছে, চীনের নকশায় তৈরি করা সাবমেরিন আগামী বছরে সক্রিয় কার্যক্রমে যুক্ত হবে। দেশটির শীর্ষ অ্যাডমিরাল চীনা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এই পদক্ষেপের ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রভাব মোকাবিলায় এবং মধ্যপ্রাচ্যের দিকে নিজেদের সামরিক উপস্থিতি জোরদারে বেইজিং আরও এগিয়ে যাবে।
গত রোববার চীনের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের নৌ–প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফ বলেন, ২০২৮ সালের মধ্যে পাকিস্তান আটটি হাঙর ক্লাস সাবমেরিন পাবে চীনের কাছ থেকে। এ সময় তিনি জানান, এই বিষয়ে দেশটির সঙ্গে পাকিস্তানের চুক্তি ‘সফলভাবে এগোচ্ছে।’ তিনি বলেন, এসব সাবমেরিন পাকিস্তানের উত্তর আরব সাগর ও ভারত মহাসাগরে টহল সক্ষমতা বাড়াবে।
চীনা সাবমেরিন নিয়ে এই অগ্রগতির খবর এমন এক সময়ে এল, যার কয়েক আগেই পাকিস্তান বিমানবাহিনী মে মাসে চীনা তৈরি জে-১০ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ভারতের ফরাসি তৈরি রাফাল বিমান ভূপাতিত করে। পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশীর এই আকাশযুদ্ধ সামরিক বিশ্লেষকদের বিস্মিত করেছে। এতে চীনা প্রযুক্তির বিপরীতে পশ্চিমা অস্ত্র প্রযুক্তির শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের সাবমেরিন চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম চারটি ডিজেলচালিত অ্যাটাক সাবমেরিন তৈরি হবে চীনে। বাকি চারটি তৈরি হবে পাকিস্তানে, যাতে দেশটির প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। পাকিস্তান এরই মধ্যে চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশের একটি জাহাজঘাঁটি থেকে ইয়াংসি নদীতে তিনটি সাবমেরিন নামিয়েছে।
অ্যাডমিরাল আশরাফ গ্লোবাল টাইমসকে বলেন, ‘চীনা উৎপাদিত প্ল্যাটফর্ম ও সরঞ্জাম নির্ভরযোগ্য, প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত এবং পাকিস্তান নৌবাহিনীর অপারেশনাল প্রয়োজনের সঙ্গে মানানসই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আধুনিক যুদ্ধের ধারা বদলাচ্ছে। এখন মানববিহীন ব্যবস্থা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও উন্নত ইলেকট্রনিক যুদ্ধ প্রযুক্তি ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। পাকিস্তান নৌবাহিনী এসব প্রযুক্তির দিকে মনোযোগ দিচ্ছে এবং চীনের সঙ্গে এ বিষয়ে সহযোগিতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে।’
চীনের অস্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ইসলামাবাদ। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্যমতে, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে চীনের মোট অস্ত্র রপ্তানির ৬০ শতাংশের বেশি গেছে পাকিস্তানে। অস্ত্র বিক্রির পাশাপাশি চীন পাকিস্তানে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে আরব সাগরে প্রবেশের নিজস্ব পথ গড়ে তুলতে। প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ অর্থনৈতিক করিডর তৈরি করা হয়েছে, যা চীনের শিনজিয়াং অঞ্চল থেকে শুরু হয়ে পাকিস্তানের গভীর সমুদ্রবন্দর গোয়াদর পর্যন্ত বিস্তৃত।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের নেতৃত্বে বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের অংশ এই চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর। এর লক্ষ্য হলো মধ্যপ্রাচ্য থেকে জ্বালানি আমদানির জন্য বিকল্প পথ নিশ্চিত করা, যাতে মালাক্কা প্রণালি—যা মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার মাঝখানে অবস্থিত এবং যুদ্ধে সহজেই অবরুদ্ধ হতে পারে—এড়িয়ে চলা যায়।
এই উদ্যোগ চীনের প্রভাব বিস্তার করেছে আফগানিস্তান, ইরান এবং মধ্য এশিয়ার দিকে। একই সঙ্গে এটি কার্যত ভারতকে ঘিরে ফেলেছে—কারণ চীনের মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের সঙ্গেও বন্ধুত্বপূর্ণ যোগাযোগ রয়েছে। বর্তমানে ভারত দেশীয়ভাবে তৈরি পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিন পরিচালনা করছে। এ ছাড়া ফ্রান্স, জার্মানি ও রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি তিন শ্রেণির ডিজেলচালিত আক্রমণ সাবমেরিনও ভারতের হাতে রয়েছে।
অ্যাডমিরাল আশরাফ বলেন, ‘চীনের সঙ্গে এই সহযোগিতা কেবল সামরিক হার্ডওয়্যারের বিষয় নয়; এটি একটি অভিন্ন কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি, পারস্পরিক আস্থা এবং দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারত্বের প্রতিফলন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগামী দশকে এই সম্পর্ক আরও গভীর হবে। শুধু জাহাজ নির্মাণ ও প্রশিক্ষণ নয়, বরং যৌথ কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি, গবেষণা, প্রযুক্তি ভাগাভাগি এবং শিল্প সহযোগিতাও এতে যুক্ত হবে।’

পাকিস্তান নৌবাহিনী আশা করছে, চীনের নকশায় তৈরি করা সাবমেরিন আগামী বছরে সক্রিয় কার্যক্রমে যুক্ত হবে। দেশটির শীর্ষ অ্যাডমিরাল চীনা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এই পদক্ষেপের ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রভাব মোকাবিলায় এবং মধ্যপ্রাচ্যের দিকে নিজেদের সামরিক উপস্থিতি জোরদারে বেইজিং আরও এগিয়ে যাবে।
গত রোববার চীনের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের নৌ–প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফ বলেন, ২০২৮ সালের মধ্যে পাকিস্তান আটটি হাঙর ক্লাস সাবমেরিন পাবে চীনের কাছ থেকে। এ সময় তিনি জানান, এই বিষয়ে দেশটির সঙ্গে পাকিস্তানের চুক্তি ‘সফলভাবে এগোচ্ছে।’ তিনি বলেন, এসব সাবমেরিন পাকিস্তানের উত্তর আরব সাগর ও ভারত মহাসাগরে টহল সক্ষমতা বাড়াবে।
চীনা সাবমেরিন নিয়ে এই অগ্রগতির খবর এমন এক সময়ে এল, যার কয়েক আগেই পাকিস্তান বিমানবাহিনী মে মাসে চীনা তৈরি জে-১০ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ভারতের ফরাসি তৈরি রাফাল বিমান ভূপাতিত করে। পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশীর এই আকাশযুদ্ধ সামরিক বিশ্লেষকদের বিস্মিত করেছে। এতে চীনা প্রযুক্তির বিপরীতে পশ্চিমা অস্ত্র প্রযুক্তির শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের সাবমেরিন চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম চারটি ডিজেলচালিত অ্যাটাক সাবমেরিন তৈরি হবে চীনে। বাকি চারটি তৈরি হবে পাকিস্তানে, যাতে দেশটির প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। পাকিস্তান এরই মধ্যে চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশের একটি জাহাজঘাঁটি থেকে ইয়াংসি নদীতে তিনটি সাবমেরিন নামিয়েছে।
অ্যাডমিরাল আশরাফ গ্লোবাল টাইমসকে বলেন, ‘চীনা উৎপাদিত প্ল্যাটফর্ম ও সরঞ্জাম নির্ভরযোগ্য, প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত এবং পাকিস্তান নৌবাহিনীর অপারেশনাল প্রয়োজনের সঙ্গে মানানসই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আধুনিক যুদ্ধের ধারা বদলাচ্ছে। এখন মানববিহীন ব্যবস্থা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও উন্নত ইলেকট্রনিক যুদ্ধ প্রযুক্তি ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। পাকিস্তান নৌবাহিনী এসব প্রযুক্তির দিকে মনোযোগ দিচ্ছে এবং চীনের সঙ্গে এ বিষয়ে সহযোগিতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে।’
চীনের অস্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ইসলামাবাদ। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্যমতে, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে চীনের মোট অস্ত্র রপ্তানির ৬০ শতাংশের বেশি গেছে পাকিস্তানে। অস্ত্র বিক্রির পাশাপাশি চীন পাকিস্তানে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে আরব সাগরে প্রবেশের নিজস্ব পথ গড়ে তুলতে। প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ অর্থনৈতিক করিডর তৈরি করা হয়েছে, যা চীনের শিনজিয়াং অঞ্চল থেকে শুরু হয়ে পাকিস্তানের গভীর সমুদ্রবন্দর গোয়াদর পর্যন্ত বিস্তৃত।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের নেতৃত্বে বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের অংশ এই চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর। এর লক্ষ্য হলো মধ্যপ্রাচ্য থেকে জ্বালানি আমদানির জন্য বিকল্প পথ নিশ্চিত করা, যাতে মালাক্কা প্রণালি—যা মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার মাঝখানে অবস্থিত এবং যুদ্ধে সহজেই অবরুদ্ধ হতে পারে—এড়িয়ে চলা যায়।
এই উদ্যোগ চীনের প্রভাব বিস্তার করেছে আফগানিস্তান, ইরান এবং মধ্য এশিয়ার দিকে। একই সঙ্গে এটি কার্যত ভারতকে ঘিরে ফেলেছে—কারণ চীনের মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের সঙ্গেও বন্ধুত্বপূর্ণ যোগাযোগ রয়েছে। বর্তমানে ভারত দেশীয়ভাবে তৈরি পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিন পরিচালনা করছে। এ ছাড়া ফ্রান্স, জার্মানি ও রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি তিন শ্রেণির ডিজেলচালিত আক্রমণ সাবমেরিনও ভারতের হাতে রয়েছে।
অ্যাডমিরাল আশরাফ বলেন, ‘চীনের সঙ্গে এই সহযোগিতা কেবল সামরিক হার্ডওয়্যারের বিষয় নয়; এটি একটি অভিন্ন কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি, পারস্পরিক আস্থা এবং দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারত্বের প্রতিফলন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগামী দশকে এই সম্পর্ক আরও গভীর হবে। শুধু জাহাজ নির্মাণ ও প্রশিক্ষণ নয়, বরং যৌথ কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি, গবেষণা, প্রযুক্তি ভাগাভাগি এবং শিল্প সহযোগিতাও এতে যুক্ত হবে।’

এক গোপন চীনা প্রযুক্তি সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত একটি নেটওয়ার্ক সম্প্রতি ছাঁটাই হওয়া মার্কিন সরকারি কর্মীদের নিয়োগের চেষ্টা করছে। এমনকি তারা চাকরির বিজ্ঞাপনও দিয়েছে। এই প্রচারণা উন্মোচনকারী এক গবেষকের বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্সে।
২৬ মার্চ ২০২৫
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। আগাম ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) প্রায় ৫০ লাখ নিবন্ধিত ভোটার শহরের পরবর্তী মেয়র নির্বাচনে ভোট দেবেন। তবে চূড়ান্ত ভোট গ্রহণের আগে বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জোহরান মামদানি এগিয়ে আছেন।
১ ঘণ্টা আগে
হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ইসরায়েল পাঁচ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। এতে গাজায় পরিবারগুলোর মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। এ ছাড়া দখলদার দেশটি ৪৫ ফিলিস্তিনি বন্দীর মরদেহও ফেরত দিয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ট্রাম্প নিজে নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় বেড়ে উঠেছেন। যদিও তিনি একজন রিপাবলিকান, সাক্ষাৎকারে কার্যত তিনি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোকেই সমর্থন দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কুমোর ভক্ত নই, তবে যদি খারাপ এক ডেমোক্র্যাট আর এক কমিউনিস্টের মধ্যে বেছে নিতে হয়, তাহলে আমি সব সময় খারাপ ডেমোক্র্যাটকেই বেছে ন
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। আগাম ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) প্রায় ৫০ লাখ নিবন্ধিত ভোটার শহরের পরবর্তী মেয়র নির্বাচনে ভোট দেবেন। তবে চূড়ান্ত ভোট গ্রহণের আগে বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জোহরান মামদানি এগিয়ে আছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, নিউইয়র্ক সিটি বোর্ড অব ইলেকশনের তথ্য অনুযায়ী, গত ৯ দিনে ৭ লাখ ৩৪ হাজার ৩১৭টি আগাম ভোট পড়েছে, যা ২০২১ সালের মেয়র নির্বাচনের তুলনায় চার গুণের বেশি।
রিয়েলক্লিয়ারপলিটিকসের সর্বশেষ গড় জরিপে দেখা যাচ্ছে, ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জোহরান মামদানি ৪৫ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়েছেন। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোর চেয়ে ১৪ দশমিক ৭ পয়েন্ট এবং রিপাবলিকান কার্টিস স্লিওয়ার চেয়ে ২৮ দশমিক ৫ পয়েন্টে এগিয়ে। তবে গত সোমবার রাতে কুমোকে সমর্থন দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। এই সমর্থন ভোটারদের মন বদলাতে পারবে কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
মামদানি ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট অব আমেরিকার সদস্য। তাঁর নীতিমালা উদারপন্থী ভোটারদের মধ্যে উচ্ছ্বাস জাগিয়েছে। তিনি সর্বজনীন বিনা মূল্যের শিশু যত্ন, বাসে বিনা মূল্যে যাতায়াত এবং ভাড়া নিয়ন্ত্রিত প্রায় ১০ লাখ অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়াটিয়াদের জন্য ভাড়া স্থগিত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
নিউইয়র্ক সিটিতে প্রতি চার বছর অন্তর মেয়র নির্বাচন হয়। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে মেয়র হতে পারেন। বর্তমান মেয়র এরিক অ্যাডামস। তিনি ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে দায়িত্বে আছেন, এ বছর শুরুর দিকে প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ান। তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ফেডারেল অপরাধের মামলা হয়েছিল। তবে বিচারক এপ্রিল মাসে মামলা খারিজ করে দেন।
চলতি বছরের নির্বাচনটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে প্রগতিশীল, মূলধারার ও রক্ষণশীল তিন শক্তি মুখোমুখি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহরটির নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায়। রিয়েলক্লিয়ারপলিটিকসের বিভিন্ন জরিপে মামদানিকে কুমোর চেয়ে ৩ থেকে ২৫ পয়েন্ট পর্যন্ত এগিয়ে দেখানো হয়েছে।
তবে প্রতিটি জরিপে কিছুটা অনিশ্চয়তা থাকে। জরিপকারীরা সাধারণত ভোটারদের প্রতিনিধিত্বমূলক নমুনা নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সব জরিপেই ত্রুটির সীমা থাকে। ফলে প্রকৃত সমর্থন জরিপে প্রকাশিত সংখ্যার কয়েক পয়েন্ট ওপরে বা নিচে থাকতে পারে। কেউ কেউ অনির্ধারিত ভোটারদের ভিন্নভাবে ধরেন। তাই বিভিন্ন জরিপের ফল একত্র করলে পক্ষপাত কমে।
তবে এ বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত ডেমোক্রেটিক পার্টির মেয়রাল প্রাইমারিতে বেশির ভাগ জরিপ ভয়ানকভাবে ভুল প্রমাণিত হয়। প্রায় সব জরিপেই কুমোর সহজ জয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মামদানি বিশাল ব্যবধানে জয় পান।

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। আগাম ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) প্রায় ৫০ লাখ নিবন্ধিত ভোটার শহরের পরবর্তী মেয়র নির্বাচনে ভোট দেবেন। তবে চূড়ান্ত ভোট গ্রহণের আগে বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জোহরান মামদানি এগিয়ে আছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, নিউইয়র্ক সিটি বোর্ড অব ইলেকশনের তথ্য অনুযায়ী, গত ৯ দিনে ৭ লাখ ৩৪ হাজার ৩১৭টি আগাম ভোট পড়েছে, যা ২০২১ সালের মেয়র নির্বাচনের তুলনায় চার গুণের বেশি।
রিয়েলক্লিয়ারপলিটিকসের সর্বশেষ গড় জরিপে দেখা যাচ্ছে, ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জোহরান মামদানি ৪৫ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়েছেন। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোর চেয়ে ১৪ দশমিক ৭ পয়েন্ট এবং রিপাবলিকান কার্টিস স্লিওয়ার চেয়ে ২৮ দশমিক ৫ পয়েন্টে এগিয়ে। তবে গত সোমবার রাতে কুমোকে সমর্থন দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। এই সমর্থন ভোটারদের মন বদলাতে পারবে কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
মামদানি ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট অব আমেরিকার সদস্য। তাঁর নীতিমালা উদারপন্থী ভোটারদের মধ্যে উচ্ছ্বাস জাগিয়েছে। তিনি সর্বজনীন বিনা মূল্যের শিশু যত্ন, বাসে বিনা মূল্যে যাতায়াত এবং ভাড়া নিয়ন্ত্রিত প্রায় ১০ লাখ অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়াটিয়াদের জন্য ভাড়া স্থগিত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
নিউইয়র্ক সিটিতে প্রতি চার বছর অন্তর মেয়র নির্বাচন হয়। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে মেয়র হতে পারেন। বর্তমান মেয়র এরিক অ্যাডামস। তিনি ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে দায়িত্বে আছেন, এ বছর শুরুর দিকে প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ান। তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ফেডারেল অপরাধের মামলা হয়েছিল। তবে বিচারক এপ্রিল মাসে মামলা খারিজ করে দেন।
চলতি বছরের নির্বাচনটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে প্রগতিশীল, মূলধারার ও রক্ষণশীল তিন শক্তি মুখোমুখি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহরটির নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায়। রিয়েলক্লিয়ারপলিটিকসের বিভিন্ন জরিপে মামদানিকে কুমোর চেয়ে ৩ থেকে ২৫ পয়েন্ট পর্যন্ত এগিয়ে দেখানো হয়েছে।
তবে প্রতিটি জরিপে কিছুটা অনিশ্চয়তা থাকে। জরিপকারীরা সাধারণত ভোটারদের প্রতিনিধিত্বমূলক নমুনা নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সব জরিপেই ত্রুটির সীমা থাকে। ফলে প্রকৃত সমর্থন জরিপে প্রকাশিত সংখ্যার কয়েক পয়েন্ট ওপরে বা নিচে থাকতে পারে। কেউ কেউ অনির্ধারিত ভোটারদের ভিন্নভাবে ধরেন। তাই বিভিন্ন জরিপের ফল একত্র করলে পক্ষপাত কমে।
তবে এ বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত ডেমোক্রেটিক পার্টির মেয়রাল প্রাইমারিতে বেশির ভাগ জরিপ ভয়ানকভাবে ভুল প্রমাণিত হয়। প্রায় সব জরিপেই কুমোর সহজ জয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মামদানি বিশাল ব্যবধানে জয় পান।

এক গোপন চীনা প্রযুক্তি সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত একটি নেটওয়ার্ক সম্প্রতি ছাঁটাই হওয়া মার্কিন সরকারি কর্মীদের নিয়োগের চেষ্টা করছে। এমনকি তারা চাকরির বিজ্ঞাপনও দিয়েছে। এই প্রচারণা উন্মোচনকারী এক গবেষকের বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্সে।
২৬ মার্চ ২০২৫
পাকিস্তান নৌবাহিনী আশা করছে, চীনের নকশায় তৈরি করা সাবমেরিন আগামী বছরে সক্রিয় কার্যক্রমে যুক্ত হবে। দেশটির শীর্ষ অ্যাডমিরাল চীনা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এই পদক্ষেপের ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রভাব মোকাবিলায় এবং মধ্যপ্রাচ্যের দিকে নিজেদের সামরিক উপস্থিতি জোরদারে বেইজিং আরও এগিয়ে যাবে।
১ ঘণ্টা আগে
হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ইসরায়েল পাঁচ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। এতে গাজায় পরিবারগুলোর মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। এ ছাড়া দখলদার দেশটি ৪৫ ফিলিস্তিনি বন্দীর মরদেহও ফেরত দিয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ট্রাম্প নিজে নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় বেড়ে উঠেছেন। যদিও তিনি একজন রিপাবলিকান, সাক্ষাৎকারে কার্যত তিনি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোকেই সমর্থন দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কুমোর ভক্ত নই, তবে যদি খারাপ এক ডেমোক্র্যাট আর এক কমিউনিস্টের মধ্যে বেছে নিতে হয়, তাহলে আমি সব সময় খারাপ ডেমোক্র্যাটকেই বেছে ন
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ইসরায়েল পাঁচ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। এতে গাজায় পরিবারগুলোর মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। এ ছাড়া দখলদার দেশটি ৪৫ ফিলিস্তিনি বন্দীর মরদেহও ফেরত দিয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মুক্তি পান ওই পাঁচ ফিলিস্তিনি। পরে তাদের শারীরিক পরীক্ষার জন্য দেইর আল-বালাহর আল-আকসা হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে স্বজনেরা জড়ো হন। কেউ কেউ মুক্ত হওয়া বন্দীদের জড়িয়ে ধরেন, কেউ আবার নিখোঁজ পরিবারের সদস্যদের খোঁজে উদ্বিগ্নভাবে ঘুরে বেড়ান।
গাজায় আল জাজিরার সাংবাদিক হিন্দ খুদারি বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েলি বাহিনী এই প্রথমবার অজানা ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দিল।’ ইসরায়েলে এখনো হাজারো ফিলিস্তিনি বন্দী আছেন। তাঁদের অনেকে অভিযোগ ছাড়াই আটক, যাকে মানবাধিকার সংস্থাগুলো স্বেচ্ছাচারী আটক বলে মনে করে।
এর আগে সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির (আইসিআরসি) মাধ্যমে ইসরায়েল তাদের কাছে আরও ৪৫ ফিলিস্তিনির মরদেহ হস্তান্তর করেছে। এ নিয়ে যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে এখন পর্যন্ত ২৭০টি মরদেহ গাজায় ফেরত এসেছে। মন্ত্রণালয় বলেছে, ফরেনসিক টিম এখন পর্যন্ত ৭৮টি মরদেহ শনাক্ত করেছে। চিকিৎসা নীতিমালা ও প্রটোকল মেনে পরীক্ষার পর মরদেহগুলো পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া হবে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফেরত পাওয়া অনেক মরদেহে নির্যাতনের চিহ্ন ছিল। কারও হাত বাঁধা, চোখ বেঁধে রাখা, মুখ বিকৃত—এমন অবস্থায় মরদেহগুলো পাঠানো হয়েছে। তা ছাড়া মরদেহগুলোর সঙ্গে কোনো শনাক্তকরণ ট্যাগও ছিল না। এই মরদেহ ও বন্দিবিনিময় যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের অংশ। ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর এই যুদ্ধবিরতি তুরস্ক, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় হয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রও ভূমিকা রেখেছে।
দেইর আল-বালাহ থেকে প্রতিবেদনে খুদারি বলেন, ‘অনেক মরদেহে নির্যাতনের স্পষ্ট চিহ্ন দেখা গেছে।’ তিনি আরও জানান, নিখোঁজ ফিলিস্তিনিদের পরিবারগুলো এখনো মরদেহের ভেতর স্বজনদের খুঁজে বেড়াচ্ছে। তিনি বলেন, ‘যেসব মরদেহ শনাক্ত করা যাবে না, সেগুলো দেইর আল-বালাহতে গণকবরে দাফন করা হবে।’
এদিকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও ইসরায়েল হামলা চালানো অব্যাহত রেখেছে। নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের একটি সূত্র আল জাজিরাকে জানায়, সোমবার রাফাহর উত্তরে ইসরায়েলি গোলাগুলিতে তিনজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজায় তারা বিমান হামলা চালিয়েছে। তাদের দাবি, কিছু ব্যক্তি ‘হলুদ রেখা’ অতিক্রম করেছিল, যা ইসরায়েল নিয়ন্ত্রিত এলাকা। তারা এটিকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন বলে অভিহিত করে।
এই ঘটনা স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি। এ ছাড়া ওই একই ঘটনায় নিহত তিনজন ফিলিস্তিনির কথা ইসরায়েল বলছে কি না, সেটিও পরিষ্কার নয়। কারণ, গাজা শহরের পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে যে তিনজন আহত হয়েছে, তাদের মধ্যে একটি শিশুও আছে বলে আল-আহলি আরব হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে।
গাজা শহর থেকে আল জাজিরার তারেক আবু আজযুম জানিয়েছেন, ইসরায়েল এখনো কোয়াডকপ্টার ড্রোন ব্যবহার করে আংশিক ধসে যাওয়া ভবনের ওপর গ্রেনেড ফেলছে। তিনি বলেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এসব কর্মকাণ্ডকে যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে।
গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় অভিযোগ করেছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল ১২৫ বারের বেশি লঙ্ঘন করেছে। তারা সতর্ক করে বলেছে, এই হামলাগুলো অব্যাহত থাকলে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ আবার শুরু হতে পারে।

হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ইসরায়েল পাঁচ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। এতে গাজায় পরিবারগুলোর মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। এ ছাড়া দখলদার দেশটি ৪৫ ফিলিস্তিনি বন্দীর মরদেহও ফেরত দিয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মুক্তি পান ওই পাঁচ ফিলিস্তিনি। পরে তাদের শারীরিক পরীক্ষার জন্য দেইর আল-বালাহর আল-আকসা হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে স্বজনেরা জড়ো হন। কেউ কেউ মুক্ত হওয়া বন্দীদের জড়িয়ে ধরেন, কেউ আবার নিখোঁজ পরিবারের সদস্যদের খোঁজে উদ্বিগ্নভাবে ঘুরে বেড়ান।
গাজায় আল জাজিরার সাংবাদিক হিন্দ খুদারি বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েলি বাহিনী এই প্রথমবার অজানা ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দিল।’ ইসরায়েলে এখনো হাজারো ফিলিস্তিনি বন্দী আছেন। তাঁদের অনেকে অভিযোগ ছাড়াই আটক, যাকে মানবাধিকার সংস্থাগুলো স্বেচ্ছাচারী আটক বলে মনে করে।
এর আগে সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির (আইসিআরসি) মাধ্যমে ইসরায়েল তাদের কাছে আরও ৪৫ ফিলিস্তিনির মরদেহ হস্তান্তর করেছে। এ নিয়ে যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে এখন পর্যন্ত ২৭০টি মরদেহ গাজায় ফেরত এসেছে। মন্ত্রণালয় বলেছে, ফরেনসিক টিম এখন পর্যন্ত ৭৮টি মরদেহ শনাক্ত করেছে। চিকিৎসা নীতিমালা ও প্রটোকল মেনে পরীক্ষার পর মরদেহগুলো পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া হবে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফেরত পাওয়া অনেক মরদেহে নির্যাতনের চিহ্ন ছিল। কারও হাত বাঁধা, চোখ বেঁধে রাখা, মুখ বিকৃত—এমন অবস্থায় মরদেহগুলো পাঠানো হয়েছে। তা ছাড়া মরদেহগুলোর সঙ্গে কোনো শনাক্তকরণ ট্যাগও ছিল না। এই মরদেহ ও বন্দিবিনিময় যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের অংশ। ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর এই যুদ্ধবিরতি তুরস্ক, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় হয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রও ভূমিকা রেখেছে।
দেইর আল-বালাহ থেকে প্রতিবেদনে খুদারি বলেন, ‘অনেক মরদেহে নির্যাতনের স্পষ্ট চিহ্ন দেখা গেছে।’ তিনি আরও জানান, নিখোঁজ ফিলিস্তিনিদের পরিবারগুলো এখনো মরদেহের ভেতর স্বজনদের খুঁজে বেড়াচ্ছে। তিনি বলেন, ‘যেসব মরদেহ শনাক্ত করা যাবে না, সেগুলো দেইর আল-বালাহতে গণকবরে দাফন করা হবে।’
এদিকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও ইসরায়েল হামলা চালানো অব্যাহত রেখেছে। নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের একটি সূত্র আল জাজিরাকে জানায়, সোমবার রাফাহর উত্তরে ইসরায়েলি গোলাগুলিতে তিনজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজায় তারা বিমান হামলা চালিয়েছে। তাদের দাবি, কিছু ব্যক্তি ‘হলুদ রেখা’ অতিক্রম করেছিল, যা ইসরায়েল নিয়ন্ত্রিত এলাকা। তারা এটিকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন বলে অভিহিত করে।
এই ঘটনা স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি। এ ছাড়া ওই একই ঘটনায় নিহত তিনজন ফিলিস্তিনির কথা ইসরায়েল বলছে কি না, সেটিও পরিষ্কার নয়। কারণ, গাজা শহরের পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে যে তিনজন আহত হয়েছে, তাদের মধ্যে একটি শিশুও আছে বলে আল-আহলি আরব হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে।
গাজা শহর থেকে আল জাজিরার তারেক আবু আজযুম জানিয়েছেন, ইসরায়েল এখনো কোয়াডকপ্টার ড্রোন ব্যবহার করে আংশিক ধসে যাওয়া ভবনের ওপর গ্রেনেড ফেলছে। তিনি বলেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এসব কর্মকাণ্ডকে যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে।
গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় অভিযোগ করেছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল ১২৫ বারের বেশি লঙ্ঘন করেছে। তারা সতর্ক করে বলেছে, এই হামলাগুলো অব্যাহত থাকলে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ আবার শুরু হতে পারে।

এক গোপন চীনা প্রযুক্তি সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত একটি নেটওয়ার্ক সম্প্রতি ছাঁটাই হওয়া মার্কিন সরকারি কর্মীদের নিয়োগের চেষ্টা করছে। এমনকি তারা চাকরির বিজ্ঞাপনও দিয়েছে। এই প্রচারণা উন্মোচনকারী এক গবেষকের বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্সে।
২৬ মার্চ ২০২৫
পাকিস্তান নৌবাহিনী আশা করছে, চীনের নকশায় তৈরি করা সাবমেরিন আগামী বছরে সক্রিয় কার্যক্রমে যুক্ত হবে। দেশটির শীর্ষ অ্যাডমিরাল চীনা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এই পদক্ষেপের ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রভাব মোকাবিলায় এবং মধ্যপ্রাচ্যের দিকে নিজেদের সামরিক উপস্থিতি জোরদারে বেইজিং আরও এগিয়ে যাবে।
১ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। আগাম ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) প্রায় ৫০ লাখ নিবন্ধিত ভোটার শহরের পরবর্তী মেয়র নির্বাচনে ভোট দেবেন। তবে চূড়ান্ত ভোট গ্রহণের আগে বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জোহরান মামদানি এগিয়ে আছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ট্রাম্প নিজে নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় বেড়ে উঠেছেন। যদিও তিনি একজন রিপাবলিকান, সাক্ষাৎকারে কার্যত তিনি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোকেই সমর্থন দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি কুমোর ভক্ত নই, তবে যদি খারাপ এক ডেমোক্র্যাট আর এক কমিউনিস্টের মধ্যে বেছে নিতে হয়, তাহলে আমি সব সময় খারাপ ডেমোক্র্যাটকেই বেছে ন
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যদি বামপন্থী প্রার্থী জোহরান মামদানি নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচিত হন, তাহলে তিনি শহরটিতে ফেডারেল বরাদ্দ দেবেন না।
রোববার মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিবিএসের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘যদি নিউইয়র্কে একজন কমিউনিস্ট মেয়র হয়, তাহলে ওখানে অর্থ পাঠানো মানে সেই অর্থের অপচয় করা। তাই প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিউইয়র্কে অনেক অর্থ দেওয়া আমার জন্য কঠিন হবে।’
ট্রাম্প প্রশাসন এর আগেও ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রিত অঙ্গরাজ্য বা শহরগুলোর উন্নয়ন প্রকল্পে ফেডারেল অনুদান কমানোর উদ্যোগ নিয়েছিল।
আগামীকাল মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর নিউইয়র্কে মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনমত জরিপে দেখা গেছে, জোহরান মামদানি তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোর চেয়ে এগিয়ে আছেন।
নিউইয়র্ক সিটি চলতি অর্থবছরে ৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন পাউন্ড) ফেডারেল সহায়তা পেয়েছে। তবে মামদানি জয়ী হলে এই সহায়তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি বিল দে ব্লাসিওকে দেখেছি—কতটা খারাপ মেয়র ছিলেন তিনি। কিন্তু মামদানি দে ব্লাসিওর চেয়ে খারাপ।’
ট্রাম্প নিজে নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় বেড়ে উঠেছেন। যদিও তিনি একজন রিপাবলিকান, সাক্ষাৎকারে কার্যত তিনি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোকেই সমর্থন দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি কুমোর ভক্ত নই, তবে যদি খারাপ এক ডেমোক্র্যাট আর এক কমিউনিস্টের মধ্যে বেছে নিতে হয়, তাহলে আমি সব সময় খারাপ ডেমোক্র্যাটকেই বেছে নেব।’
৩৪ বছর বয়সী জোহরান মামদানি নিজেকে ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী’ হিসেবে পরিচয় দেন। তবে তিনি কমিউনিস্ট হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে রসিকতা করে তিনি বলেন, ‘আমি মূলত এক স্ক্যান্ডিনেভীয় রাজনীতিকের মতো; শুধু একটু গা-চামড়ায় বাদামি।’
সোমবার এক বক্তব্যে মামদানি বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির প্রতিক্রিয়া হিসেবে নিউইয়র্ক সিটিতে তাঁর প্রতিচ্ছবি তৈরি নয়, বরং বিকল্প তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা এমন এক শহর চাই, যা এখানে বসবাসকারী সবার মর্যাদায় বিশ্বাস করে।’
অ্যান্ড্রু কুমো পাল্টা বক্তব্যে বলেন, তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করা অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একমাত্র প্রার্থী। তিনি বলেন, ‘আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়েছি। নিউইয়র্কের জন্য লড়াই করার সময় আমি থামব না।’
কুমো কোভিড-১৯ মহামারির সময় নিউইয়র্কের গভর্নর ছিলেন। তখন বেশির ভাগ অঙ্গরাজ্য ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ায়। যদিও পরবর্তী সময়ে রাজ্যের কয়েকটি হাসপাতালে মৃত্যুর সংখ্যা গোপন রাখার অভিযোগে কুমোও সমালোচনার মুখে পড়েন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যদি বামপন্থী প্রার্থী জোহরান মামদানি নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচিত হন, তাহলে তিনি শহরটিতে ফেডারেল বরাদ্দ দেবেন না।
রোববার মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিবিএসের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘যদি নিউইয়র্কে একজন কমিউনিস্ট মেয়র হয়, তাহলে ওখানে অর্থ পাঠানো মানে সেই অর্থের অপচয় করা। তাই প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিউইয়র্কে অনেক অর্থ দেওয়া আমার জন্য কঠিন হবে।’
ট্রাম্প প্রশাসন এর আগেও ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রিত অঙ্গরাজ্য বা শহরগুলোর উন্নয়ন প্রকল্পে ফেডারেল অনুদান কমানোর উদ্যোগ নিয়েছিল।
আগামীকাল মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর নিউইয়র্কে মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনমত জরিপে দেখা গেছে, জোহরান মামদানি তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোর চেয়ে এগিয়ে আছেন।
নিউইয়র্ক সিটি চলতি অর্থবছরে ৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন পাউন্ড) ফেডারেল সহায়তা পেয়েছে। তবে মামদানি জয়ী হলে এই সহায়তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি বিল দে ব্লাসিওকে দেখেছি—কতটা খারাপ মেয়র ছিলেন তিনি। কিন্তু মামদানি দে ব্লাসিওর চেয়ে খারাপ।’
ট্রাম্প নিজে নিউইয়র্কের কুইন্স এলাকায় বেড়ে উঠেছেন। যদিও তিনি একজন রিপাবলিকান, সাক্ষাৎকারে কার্যত তিনি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোকেই সমর্থন দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি কুমোর ভক্ত নই, তবে যদি খারাপ এক ডেমোক্র্যাট আর এক কমিউনিস্টের মধ্যে বেছে নিতে হয়, তাহলে আমি সব সময় খারাপ ডেমোক্র্যাটকেই বেছে নেব।’
৩৪ বছর বয়সী জোহরান মামদানি নিজেকে ‘গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী’ হিসেবে পরিচয় দেন। তবে তিনি কমিউনিস্ট হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে রসিকতা করে তিনি বলেন, ‘আমি মূলত এক স্ক্যান্ডিনেভীয় রাজনীতিকের মতো; শুধু একটু গা-চামড়ায় বাদামি।’
সোমবার এক বক্তব্যে মামদানি বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির প্রতিক্রিয়া হিসেবে নিউইয়র্ক সিটিতে তাঁর প্রতিচ্ছবি তৈরি নয়, বরং বিকল্প তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা এমন এক শহর চাই, যা এখানে বসবাসকারী সবার মর্যাদায় বিশ্বাস করে।’
অ্যান্ড্রু কুমো পাল্টা বক্তব্যে বলেন, তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করা অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একমাত্র প্রার্থী। তিনি বলেন, ‘আমি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়েছি। নিউইয়র্কের জন্য লড়াই করার সময় আমি থামব না।’
কুমো কোভিড-১৯ মহামারির সময় নিউইয়র্কের গভর্নর ছিলেন। তখন বেশির ভাগ অঙ্গরাজ্য ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ায়। যদিও পরবর্তী সময়ে রাজ্যের কয়েকটি হাসপাতালে মৃত্যুর সংখ্যা গোপন রাখার অভিযোগে কুমোও সমালোচনার মুখে পড়েন।

এক গোপন চীনা প্রযুক্তি সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত একটি নেটওয়ার্ক সম্প্রতি ছাঁটাই হওয়া মার্কিন সরকারি কর্মীদের নিয়োগের চেষ্টা করছে। এমনকি তারা চাকরির বিজ্ঞাপনও দিয়েছে। এই প্রচারণা উন্মোচনকারী এক গবেষকের বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্সে।
২৬ মার্চ ২০২৫
পাকিস্তান নৌবাহিনী আশা করছে, চীনের নকশায় তৈরি করা সাবমেরিন আগামী বছরে সক্রিয় কার্যক্রমে যুক্ত হবে। দেশটির শীর্ষ অ্যাডমিরাল চীনা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এই পদক্ষেপের ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রভাব মোকাবিলায় এবং মধ্যপ্রাচ্যের দিকে নিজেদের সামরিক উপস্থিতি জোরদারে বেইজিং আরও এগিয়ে যাবে।
১ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। আগাম ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) প্রায় ৫০ লাখ নিবন্ধিত ভোটার শহরের পরবর্তী মেয়র নির্বাচনে ভোট দেবেন। তবে চূড়ান্ত ভোট গ্রহণের আগে বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জোহরান মামদানি এগিয়ে আছেন।
১ ঘণ্টা আগে
হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ইসরায়েল পাঁচ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। এতে গাজায় পরিবারগুলোর মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। এ ছাড়া দখলদার দেশটি ৪৫ ফিলিস্তিনি বন্দীর মরদেহও ফেরত দিয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে