অনলাইন ডেস্ক
তুরস্কে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইউক্রেন-রাশিয়া শান্তি আলোচনায় বেশি আশা দেখছেন না যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক মার্কো রুবিও। তাঁর মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে সরাসরি বৈঠক না হলে অগ্রগতি সম্ভব নয়।
তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে ন্যাটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকের পর রুবিও বলেন, ‘আমার মনে হয় না, এখানে কোনো বড় ধরনের অগ্রগতি হবে যতক্ষণ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রেসিডেন্ট পুতিন এই বিষয়ে সরাসরি কথা না বলেন।’
এর আগে মধ্যপ্রাচ্য সফরে থাকা ট্রাম্পও ইঙ্গিত দেন, তাঁর ও পুতিনের মুখোমুখি বৈঠক না হলে শান্তি আলোচনায় বড় ধরনের অগ্রগতি সম্ভব নয়।
এয়ার ফোর্স ওয়ানে ট্রাম্পকে রুশ প্রতিনিধি দলের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে ট্রাম্প বলেন, ‘শুনুন, পুতিন আর আমি একসঙ্গে না হওয়া পর্যন্ত কিছুই হবে না।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘যদি আমি না যাই, সে (পুতিন) ও যাবে না, এবং পছন্দ হোক বা না হোক, আমরা একসঙ্গে না হওয়া পর্যন্ত কিছুই হবে না। তবে আমাদের এটি সমাধান করতে হবে, কারণ অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে।’
ট্রাম্প বলেন, যদি ‘উপযুক্ত’ মনে হয়, তবে তিনি শুক্রবার তুরস্কে আলোচনায় অংশ নেবেন। অবশ্য পরে ট্রাম্প জানান, তিনি সম্ভবত ওয়াশিংটনে ফিরে যাবেন।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মস্কোর পাঠানো প্রতিনিধি দলকে ‘নিম্ন স্তরের’ বলে সমালোচনা করেছেন। তবে শান্তি আলোচনার জন্য ইস্তাম্বুলে তাদের একটি প্রতিনিধি দল যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জেলেনস্কির এ কথার প্রেক্ষিতে মস্কোর প্রতিনিধি দলের প্রধান প্রেসিডেন্টের সহকারী ভ্লাদিমির মেদিনস্কি দাবি করেন, ক্রেমলিনের দলের কাছে ‘সব ধরনের প্রয়োজনীয় দক্ষতা’ রয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিদের মধ্যে ইস্তাম্বুলে প্রথম মুখোমুখি ইউক্রেন-রাশিয়া শান্তি আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। যা হতো ২০২২ সালের পর প্রথমবারের মতো ইউক্রেন-রাশিয়ার মুখোমুখি হওয়া। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আলোচনা শুরুর নির্দিষ্ট সময় নির্ধারিত হয়নি। কিছু সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, আলোচনা এখন শুক্রবার হতে পারে।
এর আগে পুতিন ইস্তাম্বুলে এই সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দেন। এরপর জেলেনস্কি পুতিনকে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাতের চ্যালেঞ্জ জানান। তবে বৃহস্পতিবার ক্রেমলিন জানায়, রুশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে থাকছেন না প্রেসিডেন্ট।
আঙ্কারায় এরদোয়ানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর জেলেনস্কি মস্কোর বিরুদ্ধে ট্রাম্প ও এরদোয়ানের প্রতি ‘অসম্মান’ দেখানোর অভিযোগ করেন। তাঁর মতে, রুশ প্রতিনিধি দলের নিম্ন পর্যায়ের নেতৃত্ব এই অসম্মানের প্রতিফলন। তিনি রুশ নেতাকে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করার চ্যালেঞ্জও পুনর্ব্যক্ত করেন।
জেলেনস্কি বলেন, ‘বৈঠকের সময় নেই, এজেন্ডা নেই, উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি নেই—এটি এরদোয়ান এবং ট্রাম্পের প্রতি ভীষণ অসম্মানজনক।’
ইস্তাম্বুলের এই আলোচনা ২০২২ সালে ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে প্রথম সরাসরি বৈঠক হিসেবে চিহ্নিত। রাশিয়া জানিয়েছে, তারা আগের আলোচনা যেখানে শেষ হয়েছিল সেখান থেকেই শুরু করতে চায়।
মেদিনস্কি ইস্তাম্বুলে সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়া এই আলোচনাকে ২০২২ সালে ব্যর্থ হওয়া আলোচনার ‘ধারাবাহিকতা’ হিসেবে দেখছে। সেই আলোচনা রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় আক্রমণ শুরুর কিছুদিন পর হয়েছিল।
মেদিনস্কি বলেন, ‘ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার উদ্দেশ্য হলো দ্বন্দ্বের মূল কারণগুলো দূর করে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।’
গতকাল বৃহস্পতিবার জেলেনস্কির জারি করা এক ডিক্রিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ। এতে গোয়েন্দা সংস্থার উপপ্রধান, সামরিক জেনারেল স্টাফ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধানরাও অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।
ক্রেমলিনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে ইউক্রেনের সঙ্গে ব্যর্থ আলোচনার পূর্ববর্তী পর্বগুলোর নেতৃত্ব দেওয়া মেদিনস্কি এবারও রুশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন। রাশিয়ার উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী, উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সামরিক গোয়েন্দা প্রধানও এতে অংশ নেবেন।
আলোচনায় যে শর্তগুলো নিয়ে কথা হবে তার মধ্যে রয়েছে—ইউক্রেনকে নিরপেক্ষ রাষ্ট্রে পরিণত করা, সামরিক বাহিনী হ্রাস করা এবং ন্যাটো সদস্যপদে অন্তর্ভুক্তির আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করা—যা ইউক্রেন বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে, কারণ এসব শর্তকে তারা আত্মসমর্পণের সমতুল্য মনে করে।
তুরস্কে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইউক্রেন-রাশিয়া শান্তি আলোচনায় বেশি আশা দেখছেন না যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক মার্কো রুবিও। তাঁর মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে সরাসরি বৈঠক না হলে অগ্রগতি সম্ভব নয়।
তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে ন্যাটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকের পর রুবিও বলেন, ‘আমার মনে হয় না, এখানে কোনো বড় ধরনের অগ্রগতি হবে যতক্ষণ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রেসিডেন্ট পুতিন এই বিষয়ে সরাসরি কথা না বলেন।’
এর আগে মধ্যপ্রাচ্য সফরে থাকা ট্রাম্পও ইঙ্গিত দেন, তাঁর ও পুতিনের মুখোমুখি বৈঠক না হলে শান্তি আলোচনায় বড় ধরনের অগ্রগতি সম্ভব নয়।
এয়ার ফোর্স ওয়ানে ট্রাম্পকে রুশ প্রতিনিধি দলের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে ট্রাম্প বলেন, ‘শুনুন, পুতিন আর আমি একসঙ্গে না হওয়া পর্যন্ত কিছুই হবে না।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘যদি আমি না যাই, সে (পুতিন) ও যাবে না, এবং পছন্দ হোক বা না হোক, আমরা একসঙ্গে না হওয়া পর্যন্ত কিছুই হবে না। তবে আমাদের এটি সমাধান করতে হবে, কারণ অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে।’
ট্রাম্প বলেন, যদি ‘উপযুক্ত’ মনে হয়, তবে তিনি শুক্রবার তুরস্কে আলোচনায় অংশ নেবেন। অবশ্য পরে ট্রাম্প জানান, তিনি সম্ভবত ওয়াশিংটনে ফিরে যাবেন।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মস্কোর পাঠানো প্রতিনিধি দলকে ‘নিম্ন স্তরের’ বলে সমালোচনা করেছেন। তবে শান্তি আলোচনার জন্য ইস্তাম্বুলে তাদের একটি প্রতিনিধি দল যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জেলেনস্কির এ কথার প্রেক্ষিতে মস্কোর প্রতিনিধি দলের প্রধান প্রেসিডেন্টের সহকারী ভ্লাদিমির মেদিনস্কি দাবি করেন, ক্রেমলিনের দলের কাছে ‘সব ধরনের প্রয়োজনীয় দক্ষতা’ রয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিদের মধ্যে ইস্তাম্বুলে প্রথম মুখোমুখি ইউক্রেন-রাশিয়া শান্তি আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। যা হতো ২০২২ সালের পর প্রথমবারের মতো ইউক্রেন-রাশিয়ার মুখোমুখি হওয়া। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আলোচনা শুরুর নির্দিষ্ট সময় নির্ধারিত হয়নি। কিছু সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, আলোচনা এখন শুক্রবার হতে পারে।
এর আগে পুতিন ইস্তাম্বুলে এই সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দেন। এরপর জেলেনস্কি পুতিনকে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাতের চ্যালেঞ্জ জানান। তবে বৃহস্পতিবার ক্রেমলিন জানায়, রুশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে থাকছেন না প্রেসিডেন্ট।
আঙ্কারায় এরদোয়ানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর জেলেনস্কি মস্কোর বিরুদ্ধে ট্রাম্প ও এরদোয়ানের প্রতি ‘অসম্মান’ দেখানোর অভিযোগ করেন। তাঁর মতে, রুশ প্রতিনিধি দলের নিম্ন পর্যায়ের নেতৃত্ব এই অসম্মানের প্রতিফলন। তিনি রুশ নেতাকে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করার চ্যালেঞ্জও পুনর্ব্যক্ত করেন।
জেলেনস্কি বলেন, ‘বৈঠকের সময় নেই, এজেন্ডা নেই, উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি নেই—এটি এরদোয়ান এবং ট্রাম্পের প্রতি ভীষণ অসম্মানজনক।’
ইস্তাম্বুলের এই আলোচনা ২০২২ সালে ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে প্রথম সরাসরি বৈঠক হিসেবে চিহ্নিত। রাশিয়া জানিয়েছে, তারা আগের আলোচনা যেখানে শেষ হয়েছিল সেখান থেকেই শুরু করতে চায়।
মেদিনস্কি ইস্তাম্বুলে সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়া এই আলোচনাকে ২০২২ সালে ব্যর্থ হওয়া আলোচনার ‘ধারাবাহিকতা’ হিসেবে দেখছে। সেই আলোচনা রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় আক্রমণ শুরুর কিছুদিন পর হয়েছিল।
মেদিনস্কি বলেন, ‘ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার উদ্দেশ্য হলো দ্বন্দ্বের মূল কারণগুলো দূর করে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।’
গতকাল বৃহস্পতিবার জেলেনস্কির জারি করা এক ডিক্রিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ। এতে গোয়েন্দা সংস্থার উপপ্রধান, সামরিক জেনারেল স্টাফ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধানরাও অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।
ক্রেমলিনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে ইউক্রেনের সঙ্গে ব্যর্থ আলোচনার পূর্ববর্তী পর্বগুলোর নেতৃত্ব দেওয়া মেদিনস্কি এবারও রুশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন। রাশিয়ার উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী, উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সামরিক গোয়েন্দা প্রধানও এতে অংশ নেবেন।
আলোচনায় যে শর্তগুলো নিয়ে কথা হবে তার মধ্যে রয়েছে—ইউক্রেনকে নিরপেক্ষ রাষ্ট্রে পরিণত করা, সামরিক বাহিনী হ্রাস করা এবং ন্যাটো সদস্যপদে অন্তর্ভুক্তির আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করা—যা ইউক্রেন বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে, কারণ এসব শর্তকে তারা আত্মসমর্পণের সমতুল্য মনে করে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চাইলে তেহরানে বিনিয়োগ করতে পারে। এমনকি ইরানের তেল ও গ্যাস খাতে কাজ করতে চাইলেও তেহরানের কোনো আপত্তি নেই। তবে বিনিয়োগ করার আগে যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে। আরাগচি মনে করেন, ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞার কারণেই..
১ ঘণ্টা আগেতুরস্কের প্রতিষ্ঠান সেলেবিকে দেশের বিমানবন্দরগুলোতে কার্যক্রম চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত। এ ছাড়া জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া, মৌলানা আজাদ ন্যাশনাল উর্দু ইউনিভার্সিটিসহ কয়েকটি ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তুরস্কের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে একাডেমিক সম্পর্ক স্থগিত...
৩ ঘণ্টা আগেস্লোভেনিয়ায় মেলানিয়া ট্রাম্পের প্রথম ভাস্কর্যটি আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর, একই স্থানে ব্রোঞ্জের ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু সেটিও উধাও হয়ে গেছে! এই ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
৫ ঘণ্টা আগেবিগত কয়েক বছরে জাপানে বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে ‘ইঞ্জিনিয়ার, মানবিকতা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ, আন্তর্জাতিক সেবা’—এসব বিষয়ে দক্ষতার ভিত্তিতে ভিসার মাধ্যমে বিদেশি শ্রমিক আসছেন। গত এক দশকে এ ধরনের শ্রমিকের সংখ্যা তিন গুণ বেড়ে ৪ লাখের বেশি হয়েছে। জাপানের সংবাদ মাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড-এর এক
৬ ঘণ্টা আগে