যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও প্রকাশের দায়ে এক প্রেমিককে ১৩ হাজার ১৩৬ কোটি ৪৩ হাজার টাকা (১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার) জরিমানা করেছেন আদালত। জরিমানার এই অর্থ সাবেক প্রেমিকাকে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন আদালত। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আদালতে এ-সম্পর্কিত নথিপত্রে ওই নারীর নাম শুধু ‘ডিএল’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি ২০২২ সালে তাঁর সাবেক প্রেমিকের বিরুদ্ধে ‘রিভেঞ্জ পর্নো’ মামলাটি করেছিলেন। রিভেঞ্জ পর্নো বা প্রতিশোধমূলক পর্নো হচ্ছে যৌন মিলনের ছবি বা ভিডিও অনুমতি ছাড়াই অনলাইনে প্রকাশ করা।
যার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, সঙ্গীকে বেকায়দায় ফেলা। অভিযোগ ছিল, তাঁদের মধ্যকার সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর ওই ব্যক্তি তাঁদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি অনলাইনে প্রকাশ করে তাঁকে সমাজে লজ্জায় ফেলে দেন।
ওই নারীর আইনজীবী বলছেন, ‘ছবিভিত্তিক যৌন হয়রানি’র শিকার ওই নারীর পক্ষে আদালতের রায় নারীদের জন্য এক বড় জয়।
মামলার লিড ট্রায়াল আইনজীবী ব্রাডফোর্ড গিলডে বলেছেন, ‘ওই নারীর যে সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে, এ রায় সেটি ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে।’
আইনজীবীরা শুরুতে ১০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছিলেন। গিলডে বলেন, ‘আমরা আশা করি ক্ষতিপূরণের অঙ্কটি একটি বার্তা দেবে এবং এটি অন্যদের এ ধরনের ঘৃণ্য কাজে জড়িত হওয়া থেকে প্রতিরোধ করবে।’
আদালতের তথ্যপ্রমাণ অনুসারে, ওই নারী ও তাঁর সাবেক প্রেমিকের মধ্যে সম্পর্ক শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালে। তখন ওই নারী তাঁর ব্যক্তিগত কিছু ছবি প্রেমিকের সঙ্গে শেয়ার করেন।
কিন্তু ২০২১ সালে তাঁদের মধ্যকার সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর তিনি এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন। এমনকি ওই নারীর অনুমতি ছাড়া একটি পর্নো ওয়েবসাইটেও তিনি সেগুলো ছাড়েন।
এরপর ওই ব্যক্তি এগুলোর লিংক অজ্ঞাত আইডি থেকে ওই নারীর বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের পাঠিয়ে দেন। এমনকি ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাঁর সাবেক প্রেমিকার ফোন, ই-মেইল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলো, এমনকি ওই নারীর মায়ের বাড়ির ক্যামেরায় প্রবেশাধিকার নেওয়ার অভিযোগও আনা হয়েছে, যা ওই নারীর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তিতে ব্যবহার করার অভিযোগ করা হয়েছে।
এরপর অভিযুক্ত ব্যক্তি ওই নারীকে একটি বার্তা পাঠান, ‘ইন্টারনেট থেকে এসব মুছে ফেলার চেষ্টাতেই তোমার বাকি জীবন চলে যাবে। যতজনের সঙ্গে তোমার পরিচয় হবে, সবাই এই গল্প জানবে। হ্যাপি হান্টিং।’
ভিকটিম নারীর আইনজীবীরা দাবি করেন, সাবেক প্রেমিক ছবিগুলো প্রকাশ করে ওই নারীকে একই সঙ্গে মানসিক হয়রানি, পারিবারিক সহিংসতা ও যৌন হয়রানি করেছেন।
তবে স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, ওই ব্যক্তি নিজে আদালতে যাননি। তবে আদালতে তাঁর আইনজীবী ছিলেন। পরে তাঁকে আদালত ওই নারীকে অতীত ও ভবিষ্যতের মানসিক যন্ত্রণার জন্য ২০০ মিলিয়ন ডলার আর ক্ষতিপূরণ বাবদ ১০০ কোটি ডলার দেওয়ার নির্দেশ দেন।
রিভেঞ্জ পর্নোর ক্ষেত্রে অতীতেও যুক্তরাষ্ট্রে বড় ধরনের জরিমানা করার ইতিহাস আছে। ২০১৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় পর্নো সাইটে ব্যক্তিগত ছবি তুলে দেওয়ার পর এক নারীর সাবেক প্রেমিককে ৬ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার জরিমানার আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।
২০১৬ সালে প্রায় এক কোটি আমেরিকান রিভেঞ্জ পর্নো কিংবা জোরপূর্বক যৌন সম্পর্কের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। ডেটা অ্যান্ড সোসাইটি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সমীক্ষা মতে, এর মধ্যে বেশির ভাগ ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সী নারী। এ মুহূর্তে ম্যাসাচুসেটস ও সাউথ ক্যারোলাইনা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সব রাজ্যেই রিভেঞ্জ পর্নোবিরোধী আইন আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও প্রকাশের দায়ে এক প্রেমিককে ১৩ হাজার ১৩৬ কোটি ৪৩ হাজার টাকা (১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার) জরিমানা করেছেন আদালত। জরিমানার এই অর্থ সাবেক প্রেমিকাকে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন আদালত। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আদালতে এ-সম্পর্কিত নথিপত্রে ওই নারীর নাম শুধু ‘ডিএল’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি ২০২২ সালে তাঁর সাবেক প্রেমিকের বিরুদ্ধে ‘রিভেঞ্জ পর্নো’ মামলাটি করেছিলেন। রিভেঞ্জ পর্নো বা প্রতিশোধমূলক পর্নো হচ্ছে যৌন মিলনের ছবি বা ভিডিও অনুমতি ছাড়াই অনলাইনে প্রকাশ করা।
যার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, সঙ্গীকে বেকায়দায় ফেলা। অভিযোগ ছিল, তাঁদের মধ্যকার সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর ওই ব্যক্তি তাঁদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি অনলাইনে প্রকাশ করে তাঁকে সমাজে লজ্জায় ফেলে দেন।
ওই নারীর আইনজীবী বলছেন, ‘ছবিভিত্তিক যৌন হয়রানি’র শিকার ওই নারীর পক্ষে আদালতের রায় নারীদের জন্য এক বড় জয়।
মামলার লিড ট্রায়াল আইনজীবী ব্রাডফোর্ড গিলডে বলেছেন, ‘ওই নারীর যে সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে, এ রায় সেটি ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে।’
আইনজীবীরা শুরুতে ১০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছিলেন। গিলডে বলেন, ‘আমরা আশা করি ক্ষতিপূরণের অঙ্কটি একটি বার্তা দেবে এবং এটি অন্যদের এ ধরনের ঘৃণ্য কাজে জড়িত হওয়া থেকে প্রতিরোধ করবে।’
আদালতের তথ্যপ্রমাণ অনুসারে, ওই নারী ও তাঁর সাবেক প্রেমিকের মধ্যে সম্পর্ক শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালে। তখন ওই নারী তাঁর ব্যক্তিগত কিছু ছবি প্রেমিকের সঙ্গে শেয়ার করেন।
কিন্তু ২০২১ সালে তাঁদের মধ্যকার সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর তিনি এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন। এমনকি ওই নারীর অনুমতি ছাড়া একটি পর্নো ওয়েবসাইটেও তিনি সেগুলো ছাড়েন।
এরপর ওই ব্যক্তি এগুলোর লিংক অজ্ঞাত আইডি থেকে ওই নারীর বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের পাঠিয়ে দেন। এমনকি ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাঁর সাবেক প্রেমিকার ফোন, ই-মেইল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলো, এমনকি ওই নারীর মায়ের বাড়ির ক্যামেরায় প্রবেশাধিকার নেওয়ার অভিযোগও আনা হয়েছে, যা ওই নারীর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তিতে ব্যবহার করার অভিযোগ করা হয়েছে।
এরপর অভিযুক্ত ব্যক্তি ওই নারীকে একটি বার্তা পাঠান, ‘ইন্টারনেট থেকে এসব মুছে ফেলার চেষ্টাতেই তোমার বাকি জীবন চলে যাবে। যতজনের সঙ্গে তোমার পরিচয় হবে, সবাই এই গল্প জানবে। হ্যাপি হান্টিং।’
ভিকটিম নারীর আইনজীবীরা দাবি করেন, সাবেক প্রেমিক ছবিগুলো প্রকাশ করে ওই নারীকে একই সঙ্গে মানসিক হয়রানি, পারিবারিক সহিংসতা ও যৌন হয়রানি করেছেন।
তবে স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, ওই ব্যক্তি নিজে আদালতে যাননি। তবে আদালতে তাঁর আইনজীবী ছিলেন। পরে তাঁকে আদালত ওই নারীকে অতীত ও ভবিষ্যতের মানসিক যন্ত্রণার জন্য ২০০ মিলিয়ন ডলার আর ক্ষতিপূরণ বাবদ ১০০ কোটি ডলার দেওয়ার নির্দেশ দেন।
রিভেঞ্জ পর্নোর ক্ষেত্রে অতীতেও যুক্তরাষ্ট্রে বড় ধরনের জরিমানা করার ইতিহাস আছে। ২০১৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় পর্নো সাইটে ব্যক্তিগত ছবি তুলে দেওয়ার পর এক নারীর সাবেক প্রেমিককে ৬ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার জরিমানার আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।
২০১৬ সালে প্রায় এক কোটি আমেরিকান রিভেঞ্জ পর্নো কিংবা জোরপূর্বক যৌন সম্পর্কের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। ডেটা অ্যান্ড সোসাইটি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সমীক্ষা মতে, এর মধ্যে বেশির ভাগ ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সী নারী। এ মুহূর্তে ম্যাসাচুসেটস ও সাউথ ক্যারোলাইনা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সব রাজ্যেই রিভেঞ্জ পর্নোবিরোধী আইন আছে।
ইরানের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা ফোরদো, নাতানজ ও ইস্পাহানের শক্তিশালী বোমা নিক্ষেপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বোমার পর তাৎক্ষণিক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেছেন, ‘ফোরদো শেষ!’ বাকি দুটি অবস্থা অবশ্য এখনো জানানো হয়নি।
৪ মিনিট আগেইরানের পারমাণবিক সংস্থা মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়েছে, বলেছে তাদের পরমাণু শিল্প বন্ধ হবে না। সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইরানের পারমাণবিক সংস্থা দেশটির তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়েছে এবং তাদের পরমাণু কর্মসূচি ‘কখনোই’ বন্ধ না করার অঙ্গ
২৬ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা করেছে বলে জানিয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প এই হামলাগুলোকে একটি ‘দর্শনীয় সামরিক সাফল্য’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ‘সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন’ হয়ে গেছে।
৩৭ মিনিট আগেইরানের ৩ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করার সময় বি–২ বোমারু বিমান ও সাবমেরিন ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনটাই দাবি করেছেন মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজের উপস্থাপক শন হ্যানিটি। তাঁর দাবি, ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলোতে বাংকার বাস্টার বোমা ফেলা হয়েছে এবং সাবমেরিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র সহযোগে হামলা করা হয়
১ ঘণ্টা আগে