বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম জলপথ পানামা খালের মালিকানা দেশটির কাছ থেকে কেড়ে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের এ হুমকি উড়িয়ে দিয়েছেন পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
হোসে রাউল মুলিনো বলেন, ‘খাল ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত হার ইচ্ছামতো করা যায় না। এটি বাজারের অবস্থা, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি, পরিচালন ব্যয় এবং খালের রক্ষণাবেক্ষণ ও আধুনিকীকরণের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে জনসমক্ষে এবং উন্মুক্ত শ্রোতাদের সামনে আলোচনা করে নির্ধারিত হয়।’
মুলিনো আরও বলেন, ‘আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, পানামা খাল এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রতিটি বর্গমিটার পানামার এবং এর কোনো পরিবর্তন হবে না। আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতা নিয়ে কোনোভাবেই সমঝোতা চলবে না। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে পানামার প্রতিটি নাগরিক নিজের দেশকে হৃদয়ে ধারণ করে এবং এটি আমাদের সংগ্রামের ইতিহাস এবং অবিচ্ছেদ্য অধিকার। পানামাবাসী অনেক বিষয়ে ভিন্ন মত পোষণ করলেও পানামা খাল এবং সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে আমরা সবাই একটি পতাকার নিচে একত্রিত হই।’
পানামার প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্যের পর তাঁর প্রত্যুত্তর দিতেও দেরি করেননি ট্রাম্প। তাঁর নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘দেখা যাবে!’ ট্রাম্পের অভিযোগ, মার্কিন বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর ওপর অত্যধিক ফি আরোপ করছে পানামা।
এর আগে ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট দিয়ে বলেন, ‘আমাদের নৌবাহিনী এবং বাণিজ্যিক জাহাজ বহরের সঙ্গে অত্যন্ত অন্যায় আচরণ করা হয়েছে। পানামা যা ফি নিচ্ছে তা হাস্যকর। আমাদের দেশের সঙ্গে এই জালিয়াতি অবিলম্বে বন্ধ হয়ে যাবে।’ ট্রাম্প অভিযোগ করেন, ’পানামা খালে আমাদের যেমন ঠকানো হচ্ছে, তেমনই আমাদের অন্যান্য জায়গাতেও ঠকানো হচ্ছে।’
ট্রাম্প তাঁর পোস্টে পানামা খাল এবং এর আশপাশে চীনের প্রভাব বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘এটি (খালটি) কেবল পানামার ব্যবস্থাপনার জন্যই ছিল, চীন বা অন্য কারও জন্য নয়। আমরা এবং আমরা কখনোই এটি ভুল হাতে পড়তে দেব না!’
উল্লেখ্য, ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি অংশগ্রহণে পানামা খাল নির্মিত হয় এবং এর আশপাশের এলাকায় কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের অধীনে ছিল। তবে ১৯৯৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র এবং পানামার মধ্যে একটি যৌথ চুক্তির পর পানামাকে পুরোপুরিভাবেই খালটির নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেওয়া হয়।
ট্রাম্প বলেন, ‘এটি অন্যদের উপকারের জন্য দেওয়া হয়নি, বরং কেবল আমাদের এবং পানামার মধ্যে সহযোগিতার একটি চিহ্ন হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছিল। যদি এই মহানুভব উপহারের ব্যবহারের ক্ষেত্রে নৈতিক ও আইনগত মূলনীতি অনুসরণ না করা হয়, তবে আমরা দাবি করব যে—পানামা খালটি পুরোপুরি এবং প্রশ্নবিহীনভাবে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।’
প্রতিবছর বিশ্ববাণিজ্যের প্রায় ৫ শতাংশের পরিবহন পানামা খাল পথে হয়ে থাকে। এই খালটির কারণে এশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের মধ্যে চলাচলকারী জাহাজগুলোকে দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণ প্রান্তে বিপজ্জনক পথ অতিক্রম করতে হয় না। গত অক্টোবরে, পানামা খাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা গত অর্থবছরে রেকর্ড পাঁচ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে।
বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম জলপথ পানামা খালের মালিকানা দেশটির কাছ থেকে কেড়ে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের এ হুমকি উড়িয়ে দিয়েছেন পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
হোসে রাউল মুলিনো বলেন, ‘খাল ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত হার ইচ্ছামতো করা যায় না। এটি বাজারের অবস্থা, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি, পরিচালন ব্যয় এবং খালের রক্ষণাবেক্ষণ ও আধুনিকীকরণের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে জনসমক্ষে এবং উন্মুক্ত শ্রোতাদের সামনে আলোচনা করে নির্ধারিত হয়।’
মুলিনো আরও বলেন, ‘আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, পানামা খাল এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রতিটি বর্গমিটার পানামার এবং এর কোনো পরিবর্তন হবে না। আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতা নিয়ে কোনোভাবেই সমঝোতা চলবে না। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে পানামার প্রতিটি নাগরিক নিজের দেশকে হৃদয়ে ধারণ করে এবং এটি আমাদের সংগ্রামের ইতিহাস এবং অবিচ্ছেদ্য অধিকার। পানামাবাসী অনেক বিষয়ে ভিন্ন মত পোষণ করলেও পানামা খাল এবং সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে আমরা সবাই একটি পতাকার নিচে একত্রিত হই।’
পানামার প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্যের পর তাঁর প্রত্যুত্তর দিতেও দেরি করেননি ট্রাম্প। তাঁর নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘দেখা যাবে!’ ট্রাম্পের অভিযোগ, মার্কিন বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর ওপর অত্যধিক ফি আরোপ করছে পানামা।
এর আগে ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট দিয়ে বলেন, ‘আমাদের নৌবাহিনী এবং বাণিজ্যিক জাহাজ বহরের সঙ্গে অত্যন্ত অন্যায় আচরণ করা হয়েছে। পানামা যা ফি নিচ্ছে তা হাস্যকর। আমাদের দেশের সঙ্গে এই জালিয়াতি অবিলম্বে বন্ধ হয়ে যাবে।’ ট্রাম্প অভিযোগ করেন, ’পানামা খালে আমাদের যেমন ঠকানো হচ্ছে, তেমনই আমাদের অন্যান্য জায়গাতেও ঠকানো হচ্ছে।’
ট্রাম্প তাঁর পোস্টে পানামা খাল এবং এর আশপাশে চীনের প্রভাব বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘এটি (খালটি) কেবল পানামার ব্যবস্থাপনার জন্যই ছিল, চীন বা অন্য কারও জন্য নয়। আমরা এবং আমরা কখনোই এটি ভুল হাতে পড়তে দেব না!’
উল্লেখ্য, ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি অংশগ্রহণে পানামা খাল নির্মিত হয় এবং এর আশপাশের এলাকায় কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের অধীনে ছিল। তবে ১৯৯৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র এবং পানামার মধ্যে একটি যৌথ চুক্তির পর পানামাকে পুরোপুরিভাবেই খালটির নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেওয়া হয়।
ট্রাম্প বলেন, ‘এটি অন্যদের উপকারের জন্য দেওয়া হয়নি, বরং কেবল আমাদের এবং পানামার মধ্যে সহযোগিতার একটি চিহ্ন হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছিল। যদি এই মহানুভব উপহারের ব্যবহারের ক্ষেত্রে নৈতিক ও আইনগত মূলনীতি অনুসরণ না করা হয়, তবে আমরা দাবি করব যে—পানামা খালটি পুরোপুরি এবং প্রশ্নবিহীনভাবে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।’
প্রতিবছর বিশ্ববাণিজ্যের প্রায় ৫ শতাংশের পরিবহন পানামা খাল পথে হয়ে থাকে। এই খালটির কারণে এশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের মধ্যে চলাচলকারী জাহাজগুলোকে দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণ প্রান্তে বিপজ্জনক পথ অতিক্রম করতে হয় না। গত অক্টোবরে, পানামা খাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা গত অর্থবছরে রেকর্ড পাঁচ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে।
ভিয়েতনামের কৃষক নুয়েন থি হুয়ং। চিন্তায় ঠিকমতো ঘুমোতে পারছেন না। হাতছাড়া হতে যাচ্ছে তাঁর রুজি-রোজগারের একমাত্র উপায়। তাও আবার তাঁর নিজ দেশে ট্রাম্প পরিবারের সমর্থনে নির্মিত হতে যাওয়া একটি গলফ ক্লাবের জন্য। বিনিময়ে মিলবে মাত্র ৩২০০ মার্কিন ডলার এবং কয়েক মাসের জন্য চাল।
২৬ মিনিট আগেপারমাণবিক হামলায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের অনেকে ছিলেন অল্পবয়সী নারী, যাঁরা বোমা হামলার সময় গর্ভবতী বা সন্তান ধারণের উপযুক্ত বয়সে ছিলেন। কিন্তু তাঁদের শরীর থেকে সন্তানের শরীরে তেজস্ক্রিয়তা প্রবেশ করতে পারে, এই ভয়ে একপ্রকার ধ্বংসই হয়ে গেছে তাঁদের জীবন। চিকিৎসক, পরিচিতজন, বন্ধুবান্ধব এমনকি পরিবারের...
১ ঘণ্টা আগেস্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন স্বামী। পথিমধ্যে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান স্ত্রী। দিশেহারা স্বামী আশপাশে মানুষের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন, কিন্তু ভারী বৃষ্টি ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে কেউ এগিয়ে আসেনি।
১ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর জনবল গত ৬ বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। বর্তমানে দেশটির সেনাসদস্য প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার, যা ২০১৮ সালের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ কম। আর এই লোকবল কমার কারণ, দেশটিতে জন্মহার হ্রাস পাওয়ায় জনসংখ্যার হ্রাস। খবর বিবিসির।
১ ঘণ্টা আগে