স্বাধীনতা দিবসের ঠিক আগে আগে যুক্তরাষ্ট্রে আবারও কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আরাকানসাসসহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা কোভিডের তৃতীয় ঢেউ নিয়ে সতর্ক করেছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, আরাকানসাসের মতো অঙ্গরাজ্যগুলোয় করোনা সংক্রমণের হার দ্রুত বাড়ছে। লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টিতে করোনার টিকা কার্যক্রম ধীরগতিতে চলছে। এই কাউন্টিতে জাতীয় গড় হারের চেয়ে টিকা গ্রহণের হার একটু বেশি। কিন্তু এই কাউন্টির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের বিষয়ে সতর্ক করেছেন। বিশেষত ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
ইউনিভার্সিটি অব আরাকানসাস ফর মেডিকেল সায়েন্সেসের উপাচার্য ড. ক্যাম প্যাটারসন গত মঙ্গলবার দেওয়া সাপ্তাহিক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আরাকানসাসে সংক্রমণ বাড়ছে। এই সময়েও আমরা সম্ভবত ভুল পথে হাঁটছি। আগামী ৪ জুলাইয়ের দিকে আমাদের নজর রাখতে হবে। স্কুলগুলোও খোলা। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে আমাদের তৃতীয় আরেকটি ঢেউয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
এ সম্পর্কিত ব্রিফিংয়ে আরাকানসাসের গভর্নর আসা হাচিনসন বলেন, বর্তমানে আক্রান্তদের ৯০ শতাংশই টিকা নেননি। গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত অঙ্গরাজ্যটিতে ৯৮৮ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এঁদের মধ্যে ৯৯ দশমিক ৬ শতাংশই টিকা নেননি। একই সময়ে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ব্যক্তিদের ৯৮ শতাংশই ছিলেন টিকা না নেওয়া।
মার্কিন ফেডারেল সরকারের তথ্য বলছে, আরাকানসাসের মোট জনসংখ্যার মাত্র ৩৪ দশমিক ৩ শতাংশ এখন পর্যন্ত টিকা নিয়েছে।
আরাকানসাসের স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক বারবারা ফেরার বলেন, নতুন করে সংক্রমণ বাড়লে বিপুলসংখ্যক মানুষ ঝুঁকিতে পড়বে। বিশেষত ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে ৪০ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বে। এই পরিস্থিতির জন্য স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা প্রশাসনের গাছাড়া ভাবকে দায়ী করছেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার পর আরাকানসাসেই প্রথম মাস্ক ছাড়া ঘোরাফেরা অনুমোদন করা হয়। করোনার কারণে আরোপিত স্বাস্থ্যবিধিও শিথিল রয়েছে অনেক দিন। আর একেই এই পরিস্থিতি তৈরির জন্য সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
শুধু আরাকানসাস নয়, পুরো যুক্তরাষ্ট্রেই করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের প্রধান ড. রোচেল ওয়ালেনস্কির দেওয়া তথ্যমতে, গত সাত দিনে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করোনা শনাক্ত বেড়েছে ১০ শতাংশ। তিনি বলেন, বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য ও কাউন্টির দিকে তাকালে এটি স্পষ্ট হয়ে যায় যে, যেসব কাউন্টি ও অঙ্গরাজ্যে টিকা কার্যক্রম দুর্বল, সেখানেই সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি। বিশেষত উচ্চ সংক্রমণ ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন ধরন ডেলটার ক্ষেত্রে এই পর্যবেক্ষণ আরও বেশি সত্য।’
অবশ্য ওয়ালেনস্কির মতো এতটা হাল ছাড়েননি যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসি। সিএনএনকে তিনি বলেন, `এতটা শঙ্কার কিছু নেই। সাবধানতা অবলম্বন করে সীমিত পরিসরে স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন করা যেতে পারে।' তিনি বলেন, ‘আপনি যদি টিকা নিয়ে থাকেন, তবে আপনি বেশ ভালো মাত্রায় সুরক্ষিত। আর যদি টিকা না নিয়ে থাকেন, তবে মাস্ক পরুন। এবং এই ক্ষেত্রে অবশ্যই দ্রুত টিকা নেওয়ার কথা চিন্তা করুন।’
স্বাধীনতা দিবসের ঠিক আগে আগে যুক্তরাষ্ট্রে আবারও কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আরাকানসাসসহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা কোভিডের তৃতীয় ঢেউ নিয়ে সতর্ক করেছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, আরাকানসাসের মতো অঙ্গরাজ্যগুলোয় করোনা সংক্রমণের হার দ্রুত বাড়ছে। লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টিতে করোনার টিকা কার্যক্রম ধীরগতিতে চলছে। এই কাউন্টিতে জাতীয় গড় হারের চেয়ে টিকা গ্রহণের হার একটু বেশি। কিন্তু এই কাউন্টির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের বিষয়ে সতর্ক করেছেন। বিশেষত ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
ইউনিভার্সিটি অব আরাকানসাস ফর মেডিকেল সায়েন্সেসের উপাচার্য ড. ক্যাম প্যাটারসন গত মঙ্গলবার দেওয়া সাপ্তাহিক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আরাকানসাসে সংক্রমণ বাড়ছে। এই সময়েও আমরা সম্ভবত ভুল পথে হাঁটছি। আগামী ৪ জুলাইয়ের দিকে আমাদের নজর রাখতে হবে। স্কুলগুলোও খোলা। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে আমাদের তৃতীয় আরেকটি ঢেউয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
এ সম্পর্কিত ব্রিফিংয়ে আরাকানসাসের গভর্নর আসা হাচিনসন বলেন, বর্তমানে আক্রান্তদের ৯০ শতাংশই টিকা নেননি। গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত অঙ্গরাজ্যটিতে ৯৮৮ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এঁদের মধ্যে ৯৯ দশমিক ৬ শতাংশই টিকা নেননি। একই সময়ে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ব্যক্তিদের ৯৮ শতাংশই ছিলেন টিকা না নেওয়া।
মার্কিন ফেডারেল সরকারের তথ্য বলছে, আরাকানসাসের মোট জনসংখ্যার মাত্র ৩৪ দশমিক ৩ শতাংশ এখন পর্যন্ত টিকা নিয়েছে।
আরাকানসাসের স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক বারবারা ফেরার বলেন, নতুন করে সংক্রমণ বাড়লে বিপুলসংখ্যক মানুষ ঝুঁকিতে পড়বে। বিশেষত ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে ৪০ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বে। এই পরিস্থিতির জন্য স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা প্রশাসনের গাছাড়া ভাবকে দায়ী করছেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার পর আরাকানসাসেই প্রথম মাস্ক ছাড়া ঘোরাফেরা অনুমোদন করা হয়। করোনার কারণে আরোপিত স্বাস্থ্যবিধিও শিথিল রয়েছে অনেক দিন। আর একেই এই পরিস্থিতি তৈরির জন্য সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
শুধু আরাকানসাস নয়, পুরো যুক্তরাষ্ট্রেই করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের প্রধান ড. রোচেল ওয়ালেনস্কির দেওয়া তথ্যমতে, গত সাত দিনে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করোনা শনাক্ত বেড়েছে ১০ শতাংশ। তিনি বলেন, বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য ও কাউন্টির দিকে তাকালে এটি স্পষ্ট হয়ে যায় যে, যেসব কাউন্টি ও অঙ্গরাজ্যে টিকা কার্যক্রম দুর্বল, সেখানেই সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি। বিশেষত উচ্চ সংক্রমণ ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন ধরন ডেলটার ক্ষেত্রে এই পর্যবেক্ষণ আরও বেশি সত্য।’
অবশ্য ওয়ালেনস্কির মতো এতটা হাল ছাড়েননি যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসি। সিএনএনকে তিনি বলেন, `এতটা শঙ্কার কিছু নেই। সাবধানতা অবলম্বন করে সীমিত পরিসরে স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন করা যেতে পারে।' তিনি বলেন, ‘আপনি যদি টিকা নিয়ে থাকেন, তবে আপনি বেশ ভালো মাত্রায় সুরক্ষিত। আর যদি টিকা না নিয়ে থাকেন, তবে মাস্ক পরুন। এবং এই ক্ষেত্রে অবশ্যই দ্রুত টিকা নেওয়ার কথা চিন্তা করুন।’
কাতারের আল-উদেইদ মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ডব্লিউএএম এক বিবৃতিতে জানায়, আমিরাত কাতারের সার্বভৌমত্ব ও আকাশসীমায় ইরানি বিপ্লবী গার্ডের এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের সরাসরি...
১৫ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলার জবাবে ইরান তার পাল্টা প্রতিক্রিয়া অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন এক শীর্ষস্থানীয় ইরানি কর্মকর্তা। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, আক্রমণকারীকে শাস্তি দেওয়ার পর আমাদের কূটনৈতিক প্রজ্ঞা রয়েছে।
২৬ মিনিট আগেকাতারে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আল-উদেইদে ইরানের পাল্টা হামলার ঘটনায় সৌদি আরব তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। একে ‘আন্তর্জাতিক আইন ও সুসম্পর্কের নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে দেশটি। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আমরা এই হামলাকে সবচেয়ে কঠোর ভাষায় নিন্দা জানাই।’
১ ঘণ্টা আগেদোহা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মুহান্নাদ সেলুম মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাতারভিত্তিক ঘাঁটি আল-উদেইদে ইরানের সর্বশেষ হামলাটি মূলত প্রতীকী এবং এটি ইরান-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনার একটি নতুন স্তর। তিনি বলেন, ইরান অতীতে যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্য করে ইরাকের ভেতরে হামলা চালিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে