অনলাইন ডেস্ক
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে চলমান আলোচনার অংশ হিসেবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফোনালাপের আগে ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেনের ‘রক্তপাত’ থামানোই এই আলোচনার মূল উদ্দেশ্য। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স নিশ্চিত করেছে, সোমবার রাতে ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে ফোনালাপ শুরু হয়। এ সময় পুতিন ছিলেন রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় উপকূলবর্তী সোচি শহরে, আর ট্রাম্প ছিলেন ওয়াশিংটনে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফোনালাপের বিষয়ে দুই দেশের কেউই এখনো কোনো বিবৃতি দেননি।
এর আগে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স জানান, ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে একধরনের অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে এবং রাশিয়া আলোচনায় রাজি না হলে, যুক্তরাষ্ট্র হয়তো একপর্যায়ে সরে আসবে।
ইতালি সফরে যাওয়ার পথে ভ্যান্স সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি, একটা অচলাবস্থা চলছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পুতিনকে জিজ্ঞেস করবেন, তিনি সত্যিই শান্তি চান কি না?’
জেডি ভ্যান্স আরও বলেন, ‘তিনি জানেন না কীভাবে এ যুদ্ধ থেকে বেরিয়ে আসবেন। ট্রাম্প প্রস্তুত, কিন্তু যদি রাশিয়া না চায়, তাহলে আমাদের বলতে হবে—এটা আমাদের যুদ্ধ নয়। আমরা চেষ্টা করব, কিন্তু যদি সফল না হই, তাহলে থেমে যাব।’
এদিকে, সম্প্রতি ট্রাম্পের চাপের মুখে ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরা ২০২২ সালের পর প্রথমবারের মতো ইস্তাম্বুলে মুখোমুখি বৈঠকে বসেছেন। এই বৈঠকে পুতিন সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দিলে ইউরোপীয় দেশগুলো ও ইউক্রেন কোনো ধরনের শর্ত ছাড়াই তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির দাবি জানায়।
তবে পুতিন এখনো যুদ্ধ বন্ধের শর্ত হিসেবে ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি করেছেন। রাশিয়া বর্তমানে ইউক্রেনের এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু এলাকায় আরও অগ্রসর হয়েছে।
গতকাল রোববার রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর সর্ববৃহৎ ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনীয় গোয়েন্দারা দাবি করেন, রাশিয়া একটি আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও নিক্ষেপ করতে চেয়েছিল, যদিও তা নিশ্চিত করেনি মস্কো।
ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে রোববার একটি পোস্ট দেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। তিনি ওই পোস্টে লিখেছেন, ‘আগামীকাল (আজ সোমবার) ট্রাম্প প্রস্তাবিত ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেই বোঝা যাবে, পুতিন শান্তি চান।’
ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছে, যদি রাশিয়া শান্তি আলোচনায় গুরুত্ব না দেয়, তাহলে আরও নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে মস্কো। ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ন্যাটোর বিভিন্ন সদস্য দেশের সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানানো হয়েছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে এটি ইউরোপের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘর্ষে পরিণত হয়েছে। এবার ট্রাম্প সরাসরি হস্তক্ষেপ করে যুদ্ধ বন্ধে কূটনৈতিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে রাশিয়া ও ইউক্রেন—দুই পক্ষের অবস্থান এখনো অনেক দূরে। শান্তি নাকি আরও যুদ্ধ—তা নির্ভর করছে আগামী কয়েক সপ্তাহের কূটনৈতিক অগ্রগতির ওপর।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে চলমান আলোচনার অংশ হিসেবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফোনালাপের আগে ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেনের ‘রক্তপাত’ থামানোই এই আলোচনার মূল উদ্দেশ্য। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স নিশ্চিত করেছে, সোমবার রাতে ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে ফোনালাপ শুরু হয়। এ সময় পুতিন ছিলেন রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় উপকূলবর্তী সোচি শহরে, আর ট্রাম্প ছিলেন ওয়াশিংটনে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফোনালাপের বিষয়ে দুই দেশের কেউই এখনো কোনো বিবৃতি দেননি।
এর আগে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স জানান, ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে একধরনের অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে এবং রাশিয়া আলোচনায় রাজি না হলে, যুক্তরাষ্ট্র হয়তো একপর্যায়ে সরে আসবে।
ইতালি সফরে যাওয়ার পথে ভ্যান্স সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি, একটা অচলাবস্থা চলছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পুতিনকে জিজ্ঞেস করবেন, তিনি সত্যিই শান্তি চান কি না?’
জেডি ভ্যান্স আরও বলেন, ‘তিনি জানেন না কীভাবে এ যুদ্ধ থেকে বেরিয়ে আসবেন। ট্রাম্প প্রস্তুত, কিন্তু যদি রাশিয়া না চায়, তাহলে আমাদের বলতে হবে—এটা আমাদের যুদ্ধ নয়। আমরা চেষ্টা করব, কিন্তু যদি সফল না হই, তাহলে থেমে যাব।’
এদিকে, সম্প্রতি ট্রাম্পের চাপের মুখে ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরা ২০২২ সালের পর প্রথমবারের মতো ইস্তাম্বুলে মুখোমুখি বৈঠকে বসেছেন। এই বৈঠকে পুতিন সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দিলে ইউরোপীয় দেশগুলো ও ইউক্রেন কোনো ধরনের শর্ত ছাড়াই তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির দাবি জানায়।
তবে পুতিন এখনো যুদ্ধ বন্ধের শর্ত হিসেবে ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ এবং রাশিয়ার দখল করা চারটি অঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবি করেছেন। রাশিয়া বর্তমানে ইউক্রেনের এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু এলাকায় আরও অগ্রসর হয়েছে।
গতকাল রোববার রাশিয়া ইউক্রেনের ওপর সর্ববৃহৎ ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনীয় গোয়েন্দারা দাবি করেন, রাশিয়া একটি আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও নিক্ষেপ করতে চেয়েছিল, যদিও তা নিশ্চিত করেনি মস্কো।
ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে রোববার একটি পোস্ট দেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। তিনি ওই পোস্টে লিখেছেন, ‘আগামীকাল (আজ সোমবার) ট্রাম্প প্রস্তাবিত ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেই বোঝা যাবে, পুতিন শান্তি চান।’
ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছে, যদি রাশিয়া শান্তি আলোচনায় গুরুত্ব না দেয়, তাহলে আরও নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে মস্কো। ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ন্যাটোর বিভিন্ন সদস্য দেশের সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানানো হয়েছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে এটি ইউরোপের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘর্ষে পরিণত হয়েছে। এবার ট্রাম্প সরাসরি হস্তক্ষেপ করে যুদ্ধ বন্ধে কূটনৈতিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে রাশিয়া ও ইউক্রেন—দুই পক্ষের অবস্থান এখনো অনেক দূরে। শান্তি নাকি আরও যুদ্ধ—তা নির্ভর করছে আগামী কয়েক সপ্তাহের কূটনৈতিক অগ্রগতির ওপর।
পারস্য উপসাগরের উপকূলে ইরানের বুশেহর শহরে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি কোনো হামলার শিকার হয়, তবে তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। শুধু ইরান নয়, পুরো উপসাগরীয় অঞ্চল পড়বে বিপদের মুখে।
৪ ঘণ্টা আগেবি-২ বিমানের সঙ্গে ছিল চারটি বোয়িং কেসি-৪৬ পেগাসাস ফুয়েল ট্যাংকার। এর মধ্যে দুটি ইতিমধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরের আকাশে বি-২ বোমারুতে জ্বালানি সরবরাহ করেছে। বাকি দুটি প্রায় ৭৫ কিলোমিটার পেছনে অবস্থান করছে।
৪ ঘণ্টা আগেসামরিক শক্তিতে বরাবরই নিজেকে অপরাজেয় হিসেবে জাহির করা ইসরায়েলকে সত্যিই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে ইরান। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলকে ইতিমধ্যেই ব্যতিব্যস্ত করার পর গতকাল শনিবার দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে সফল ড্রোন হামলা চালায় ইরান। ইরানের দুটি ড্রোন ইসরায়েলের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে...
৪ ঘণ্টা আগেইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাত নবম দিনে গড়িয়েছে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের পক্ষে সরাসরি ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে লোহিতসাগরে মার্কিন জাহাজগুলোতে হামলা চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। হুতি বিদ্রোহীদের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে
৪ ঘণ্টা আগে