যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ভারত এত ‘বিশাল পরিমাণ শুল্ক’ আরোপ করে যে, দেশটিতে কিছু বিক্রি তথা রপ্তানি করা কার্যত অসম্ভব। ৭৮ বছর বয়সী এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার আরও বলেছেন, ভারত শুল্ক হার কমাতে রাজি হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ সংক্রান্ত তোড়জোড়ের কারণে বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। ভারতেও এই প্রভাব পড়েছে। ভারতীয় শেয়ারবাজারের বিভিন্ন সূচক তাঁর শুল্ক আরোপ বাণিজ্য সংক্রান্ত অন্যান্য ঘোষণার পর অনেকটাই নেমে গেছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও ভারতীয় শেয়ারবাজার থেকে পুঁজি তুলে নিচ্ছেন।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘ভারত আমাদের ওপর বিশাল শুল্ক আরোপ করে। বিশাল। ভারতে কিছুই বিক্রি করা যায় না...তবে তারা এখন শুল্ক কমাতে চায়। কারণ, অবশেষে কেউ তাদের কার্যক্রম প্রকাশ করে দিয়েছে।’ ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ট্রাম্প ধারাবাহিকভাবে ভারতসহ অন্যান্য দেশের উচ্চ শুল্ক আরোপের সমালোচনা করে আসছেন।
এর আগে, গত মঙ্গলবার কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় ট্রাম্প এসব শুল্ককে ‘খুবই অন্যায্য’ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘বহু দশক ধরে অন্যান্য দেশ আমাদের বিরুদ্ধে শুল্ক ব্যবহার করেছে, এখন আমাদের পালা এটি ব্যবহার করার।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন, ব্রাজিল, ভারত, মেক্সিকো ও কানাডা—এগুলোর নাম শুনেছেন? গড় হিসেবে এগুলো এবং আরও অনেক দেশ আমাদের চেয়ে অনেক বেশি শুল্ক আরোপ করে। এটি খুবই অন্যায্য। ভারত আমাদের গাড়ির ওপর ১০০ শতাংশের বেশি শুল্ক আরোপ করে।’
ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের বিরুদ্ধে একের পর এক শুল্ক আরোপ করছেন এবং আরোপের হুমকি দিয়ে আসছেন। তিনি আগামী ২ এপ্রিল থেকে ‘রিসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ’ বা ‘পারস্পরিক শুল্ক’ আরোপেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অর্থাৎ, অন্য একটি দেশ মার্কিন পণ্যের ওপর যে পরিমাণে শুল্ক আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্রও ঠিক একই পরিমাণ শুল্ক আরোপ করবে।
রিসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ আরোপের প্রসঙ্গে ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার সময় বলেছিলেন, ‘চোখের বদলে চোখ, শুল্কের বদলে শুল্ক, একদম সমান পরিমাণ।’ পরে গত মাসে হোয়াইট হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘ভারত শুল্কের বিষয়ে খুব কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি তাদের দোষ দিচ্ছি না, কিন্তু এটি ব্যবসার একটি ভিন্ন ধরন। ভারতে কিছু বিক্রি করা খুবই কঠিন কারণ তাদের বাণিজ্যিক বাধা ও কঠোর শুল্ক রয়েছে।’
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মোট পণ্য বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল আনুমানিক ১২৯ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ভারতমুখী পণ্য রপ্তানি ছিল ৪১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। একই বছরে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৪৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৫ দশমিক ৪ শতাংশ (২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার) বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ভারত এত ‘বিশাল পরিমাণ শুল্ক’ আরোপ করে যে, দেশটিতে কিছু বিক্রি তথা রপ্তানি করা কার্যত অসম্ভব। ৭৮ বছর বয়সী এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার আরও বলেছেন, ভারত শুল্ক হার কমাতে রাজি হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ সংক্রান্ত তোড়জোড়ের কারণে বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। ভারতেও এই প্রভাব পড়েছে। ভারতীয় শেয়ারবাজারের বিভিন্ন সূচক তাঁর শুল্ক আরোপ বাণিজ্য সংক্রান্ত অন্যান্য ঘোষণার পর অনেকটাই নেমে গেছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও ভারতীয় শেয়ারবাজার থেকে পুঁজি তুলে নিচ্ছেন।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘ভারত আমাদের ওপর বিশাল শুল্ক আরোপ করে। বিশাল। ভারতে কিছুই বিক্রি করা যায় না...তবে তারা এখন শুল্ক কমাতে চায়। কারণ, অবশেষে কেউ তাদের কার্যক্রম প্রকাশ করে দিয়েছে।’ ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ট্রাম্প ধারাবাহিকভাবে ভারতসহ অন্যান্য দেশের উচ্চ শুল্ক আরোপের সমালোচনা করে আসছেন।
এর আগে, গত মঙ্গলবার কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় ট্রাম্প এসব শুল্ককে ‘খুবই অন্যায্য’ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘বহু দশক ধরে অন্যান্য দেশ আমাদের বিরুদ্ধে শুল্ক ব্যবহার করেছে, এখন আমাদের পালা এটি ব্যবহার করার।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন, ব্রাজিল, ভারত, মেক্সিকো ও কানাডা—এগুলোর নাম শুনেছেন? গড় হিসেবে এগুলো এবং আরও অনেক দেশ আমাদের চেয়ে অনেক বেশি শুল্ক আরোপ করে। এটি খুবই অন্যায্য। ভারত আমাদের গাড়ির ওপর ১০০ শতাংশের বেশি শুল্ক আরোপ করে।’
ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের বিরুদ্ধে একের পর এক শুল্ক আরোপ করছেন এবং আরোপের হুমকি দিয়ে আসছেন। তিনি আগামী ২ এপ্রিল থেকে ‘রিসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ’ বা ‘পারস্পরিক শুল্ক’ আরোপেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অর্থাৎ, অন্য একটি দেশ মার্কিন পণ্যের ওপর যে পরিমাণে শুল্ক আরোপ করবে যুক্তরাষ্ট্রও ঠিক একই পরিমাণ শুল্ক আরোপ করবে।
রিসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ আরোপের প্রসঙ্গে ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার সময় বলেছিলেন, ‘চোখের বদলে চোখ, শুল্কের বদলে শুল্ক, একদম সমান পরিমাণ।’ পরে গত মাসে হোয়াইট হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘ভারত শুল্কের বিষয়ে খুব কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি তাদের দোষ দিচ্ছি না, কিন্তু এটি ব্যবসার একটি ভিন্ন ধরন। ভারতে কিছু বিক্রি করা খুবই কঠিন কারণ তাদের বাণিজ্যিক বাধা ও কঠোর শুল্ক রয়েছে।’
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মোট পণ্য বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল আনুমানিক ১২৯ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ভারতমুখী পণ্য রপ্তানি ছিল ৪১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। একই বছরে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৪৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৫ দশমিক ৪ শতাংশ (২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার) বেশি।
সব জল্পনা-কল্পনা উড়িয়ে দিয়ে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে জড়ালই যুক্তরাষ্ট্র। আজ রোববার, মধ্যপ্রাচ্যের স্থানীয় সময় ভোরে ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্র— ফোরদো, নাতানজ ও ইস্পাহানে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই স্থাপনাগুলোতে গত শুক্রবার ইসরায়েলও হামলা চালিয়েছিল।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রকে কেন ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়ানো হলো, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে তার কৈফিয়ত চেয়েছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটর চাক শুমার। কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া তিনি কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার স্পষ্ট জবাব জানতে চেয়েছেন ওই ডেমোক্র্যাট নেতা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়েছে ইরান। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা। পাহাড়ের ভেতরে গড়ে ওঠা এই গোপন ও কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত পরমাণু জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের একাধিক প্রবেশপথে মাটি জমে থাকতে দেখা
৪ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে ইরানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার ঘোষণা দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি বিশ্বজুড়ে অচল হয়ে পড়ে। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টার দিকে এই বিভ্রাট শুরু হয়, যা চলে অনেকক্ষণ। তবে এখন আবার স্বাভাবিকভাবে চলছে প্ল্যাটফর্মটি।
৪ ঘণ্টা আগে