Ajker Patrika

সম্পদ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকের ওপর খেপলেন ট্রাম্প, বললেন—‘চুপ’

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫: ১৫
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অস্ট্রেলিয়ার সাংবাদিক সমাজকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছেন, সাংবাদিকেরাই ‘অস্ট্রেলিয়ার ক্ষতি করছে।’ সম্প্রতি এক অস্ট্রেলীয় সাংবাদিক ট্রাম্পের কাছে জানতে চান, গত জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তিনি নিজের ব্যবসায় প্রেসিডেন্সি ক্ষমতার কতটা ফায়দা নিয়েছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকে ট্রাম্পের সম্পদ কতটা বেড়েছে, সে বিষয়ে জানতে চান অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের (এবিসি) জন লায়নস। জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি জানি না।’ এ সময় তিনি বলেন, তাঁর সন্তানেরা পারিবারিক ব্যবসা দেখভাল করছেন।

এ সময় ট্রাম্প জন লায়নসকে আক্রমণ করে বলেন, ‘আমার মতে, আপনি এখনই অস্ট্রেলিয়ার অনেক ক্ষতি করছেন এবং তারা (অস্ট্রেলিয়া সরকার) আমার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চায়।’ ট্রাম্প আরও জানান, তিনি খুব ‘শিগগির’ অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তিনি বলেন, ‘আমি তাঁকে আপনার কথা বলব। আপনি খুব খারাপ ভাবমূর্তি তৈরি করেছেন।’

লায়নস আরেকটি প্রশ্ন করতে চাইলে ট্রাম্প আঙুল ঠোঁটের সামনে তুলে ধরে এবং তাঁকে ‘চুপ’ করতে বলে অন্য সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে যান। অ্যান্থনি আলবানিজ দীর্ঘ কয়েক মাস ধরেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করতে চাইছেন। নানা কারণে গত জুনে তাদের একটি বৈঠক ভেস্তে যায়।

তবে আগামী সপ্তাহে আলবানিজ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন। সে সময় ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হবে বলে গত সোমবার জানান আলবানিজ। তিনি জানান, তিনি এবং ট্রাম্প ‘নিউইয়র্কে দেখা করবেন।’ তিনি বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) আগামী সপ্তাহের মঙ্গলবার রাতে একটি রিসেপশন আয়োজন করছেন। এ ছাড়া, বছরের শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন ফোরামে আমরা একে অপরকে দেখতে পাব বলে আশা রাখি।’

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। কারণ, ট্রাম্প প্রশাসন ২০২১ সালে স্বাক্ষরিত ইউএস, ইউকে এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে ২৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের একটি বড় সাবমেরিন চুক্তি ‘অকাস’ পুনর্বিবেচনার ঘোষণা দেয়। এরপর, চলতি বছরের এপ্রিলে অস্ট্রেলিয়ার সব রপ্তানি পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়। আলবানিজ সে সময় ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে ‘বন্ধুর কাজ নয়’ বলে মন্তব্য করেছিলেন।

লায়নস ট্রাম্পের কড়া প্রতিক্রিয়ার পর বলেন, ‘ভদ্রভাবে যৌক্তিক প্রশ্ন করা সম্পর্কের ক্ষতি করতে পারে এমন ধারণা উদ্ভট।’ তিনি বলেন, ‘আমার কাছে এটি একেবারেই স্বাভাবিক—যথাযথ গবেষণার ভিত্তিতে প্রশ্ন করা। এটি কোনো প্ররোচনামূলক প্রশ্ন ছিল না এবং আক্রমণাত্মকভাবেও করা হয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টিভির ব্রেকিং নিউজে এনসিপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে যা বললেন তাজনুভা জাবীন

জন্মস্থানে প্রথমবার ভোটের লড়াইয়ে নামছেন খালেদা জিয়া

দলে দলে নিউজিল্যান্ড ছাড়ছে মানুষ, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় কেন যাচ্ছে

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

৭-৮ নভেম্বর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারে এনসিপি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ট্রাম্পের পর এবার সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে জার্মানি সফরের আমন্ত্রণ চ্যান্সেলরের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল–শারাকে জার্মানি সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যার্ৎজ। ছবি: সংগৃহীত
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল–শারাকে জার্মানি সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যার্ৎজ। ছবি: সংগৃহীত

জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যার্ৎজ আনুষ্ঠানিকভাবে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারাকে জার্মানি সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আলোচনার বিষয় হবে—দেশটিতে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত সিরিয়ার নাগরিকদের দেশে ফেরত পাঠানো। বার্লিন এখন সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও অভিবাসন নীতিতে কঠোর অবস্থান নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর আগে, আহমদ আল–শারাকে যুক্তরাষ্ট্র সফরের আমন্ত্রণ জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

লেবাননের সম্প্রচারমাধ্যম আল–মায়েদিনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ম্যার্ৎজ গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা অবশ্যই অপরাধীদের সিরিয়ায় ফেরত পাঠাব। এটাই পরিকল্পনা। এখন আমরা সেটি খুব নির্দিষ্টভাবে বাস্তবায়ন করব।’

এই আমন্ত্রণ জার্মানির সিরিয়া সংক্রান্ত নীতির পরিবর্তনের বড় ইঙ্গিত। ম্যার্ৎজ বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে স্থিতিশীল করতে আল-শারার সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে চান তিনি। তিনি বলেন, ‘এটা আমরা একসঙ্গে সমাধান করতে চাই।’

ম্যার্ৎজের এই কঠোর অবস্থান একেবারেই ভিন্ন সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেলের নীতি থেকে। ২০১৫ সালে মেরকেল ‘ওপেন-ডোর’ শরণার্থী নীতি চালু করেন, যাতে ১০ লাখেরও বেশি অভিবাসী—যাদের বেশির ভাগই সিরিয়ার—জার্মানিতে আশ্রয় পান। এরপর থেকে দেশটিতে ডানপন্থী দলগুলোর জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। সেই চাপের মুখে ম্যার্ৎজের নেতৃত্বে ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন দল দ্রুত প্রত্যাবাসন ও কড়াকড়ি সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের পক্ষে অবস্থান নেয়। ম্যার্ৎজ বলেন, ‘আমি আবারও বলছি—সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শেষ। এখন জার্মানিতে আশ্রয়ের কোনো যৌক্তিকতা নেই।’

এদিকে, সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শায়বানি রোববার নিশ্চিত করেছেন, প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারা নভেম্বরের শুরুর দিকে হোয়াইট হাউস সফর করবেন। আলোচনার মূল বিষয় হবে সিরিয়া পুনর্গঠন। মার্কিন বিশেষ দূত টম বারাক শনিবার প্রথম এ সফরের ঘোষণা দেন। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানান, সফরটি নভেম্বরের ১০ তারিখের কাছাকাছি সময় অনুষ্ঠিত হবে।

আল-শায়বানি বলেন, ‘অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনায় থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন অধ্যায় শুরু করা। আমরা দুই দেশের মধ্যে একটি শক্তিশালী অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে চাই।’

সিরিয়ার কোনো প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্র সফর এই প্রথম। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, এর আগে কোনো সিরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়াশিংটন সফর করেননি। এ সফরটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ কারণ, গত সেপ্টেম্বরেই জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে নিউইয়র্কে ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট আল-শারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টিভির ব্রেকিং নিউজে এনসিপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে যা বললেন তাজনুভা জাবীন

জন্মস্থানে প্রথমবার ভোটের লড়াইয়ে নামছেন খালেদা জিয়া

দলে দলে নিউজিল্যান্ড ছাড়ছে মানুষ, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় কেন যাচ্ছে

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

৭-৮ নভেম্বর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারে এনসিপি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আগামী বছরেই পানিতে নামবে চীনের তৈরি পাকিস্তানের ‘হাঙর’ সাবমেরিন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
পাকিস্তান আশা করছে, আগামী বছরেই পানিতে নামবে তাদের হাঙর ক্লাস সাবমেরিন। ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তান আশা করছে, আগামী বছরেই পানিতে নামবে তাদের হাঙর ক্লাস সাবমেরিন। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তান নৌবাহিনী আশা করছে, চীনের নকশায় তৈরি করা সাবমেরিন আগামী বছরে সক্রিয় কার্যক্রমে যুক্ত হবে। দেশটির শীর্ষ অ্যাডমিরাল চীনা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এই পদক্ষেপের ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রভাব মোকাবিলায় এবং মধ্যপ্রাচ্যের দিকে নিজেদের সামরিক উপস্থিতি জোরদারে বেইজিং আরও এগিয়ে যাবে।

গত রোববার চীনের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের নৌ–প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফ বলেন, ২০২৮ সালের মধ্যে পাকিস্তান আটটি হাঙর ক্লাস সাবমেরিন পাবে চীনের কাছ থেকে। এ সময় তিনি জানান, এই বিষয়ে দেশটির সঙ্গে পাকিস্তানের চুক্তি ‘সফলভাবে এগোচ্ছে।’ তিনি বলেন, এসব সাবমেরিন পাকিস্তানের উত্তর আরব সাগর ও ভারত মহাসাগরে টহল সক্ষমতা বাড়াবে।

চীনা সাবমেরিন নিয়ে এই অগ্রগতির খবর এমন এক সময়ে এল, যার কয়েক আগেই পাকিস্তান বিমানবাহিনী মে মাসে চীনা তৈরি জে-১০ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ভারতের ফরাসি তৈরি রাফাল বিমান ভূপাতিত করে। পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশীর এই আকাশযুদ্ধ সামরিক বিশ্লেষকদের বিস্মিত করেছে। এতে চীনা প্রযুক্তির বিপরীতে পশ্চিমা অস্ত্র প্রযুক্তির শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের সাবমেরিন চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম চারটি ডিজেলচালিত অ্যাটাক সাবমেরিন তৈরি হবে চীনে। বাকি চারটি তৈরি হবে পাকিস্তানে, যাতে দেশটির প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। পাকিস্তান এরই মধ্যে চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশের একটি জাহাজঘাঁটি থেকে ইয়াংসি নদীতে তিনটি সাবমেরিন নামিয়েছে।

অ্যাডমিরাল আশরাফ গ্লোবাল টাইমসকে বলেন, ‘চীনা উৎপাদিত প্ল্যাটফর্ম ও সরঞ্জাম নির্ভরযোগ্য, প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত এবং পাকিস্তান নৌবাহিনীর অপারেশনাল প্রয়োজনের সঙ্গে মানানসই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আধুনিক যুদ্ধের ধারা বদলাচ্ছে। এখন মানববিহীন ব্যবস্থা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও উন্নত ইলেকট্রনিক যুদ্ধ প্রযুক্তি ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। পাকিস্তান নৌবাহিনী এসব প্রযুক্তির দিকে মনোযোগ দিচ্ছে এবং চীনের সঙ্গে এ বিষয়ে সহযোগিতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে।’

চীনের অস্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ইসলামাবাদ। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্যমতে, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে চীনের মোট অস্ত্র রপ্তানির ৬০ শতাংশের বেশি গেছে পাকিস্তানে। অস্ত্র বিক্রির পাশাপাশি চীন পাকিস্তানে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে আরব সাগরে প্রবেশের নিজস্ব পথ গড়ে তুলতে। প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ অর্থনৈতিক করিডর তৈরি করা হয়েছে, যা চীনের শিনজিয়াং অঞ্চল থেকে শুরু হয়ে পাকিস্তানের গভীর সমুদ্রবন্দর গোয়াদর পর্যন্ত বিস্তৃত।

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের নেতৃত্বে বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের অংশ এই চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর। এর লক্ষ্য হলো মধ্যপ্রাচ্য থেকে জ্বালানি আমদানির জন্য বিকল্প পথ নিশ্চিত করা, যাতে মালাক্কা প্রণালি—যা মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার মাঝখানে অবস্থিত এবং যুদ্ধে সহজেই অবরুদ্ধ হতে পারে—এড়িয়ে চলা যায়।

এই উদ্যোগ চীনের প্রভাব বিস্তার করেছে আফগানিস্তান, ইরান এবং মধ্য এশিয়ার দিকে। একই সঙ্গে এটি কার্যত ভারতকে ঘিরে ফেলেছে—কারণ চীনের মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের সঙ্গেও বন্ধুত্বপূর্ণ যোগাযোগ রয়েছে। বর্তমানে ভারত দেশীয়ভাবে তৈরি পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিন পরিচালনা করছে। এ ছাড়া ফ্রান্স, জার্মানি ও রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি তিন শ্রেণির ডিজেলচালিত আক্রমণ সাবমেরিনও ভারতের হাতে রয়েছে।

অ্যাডমিরাল আশরাফ বলেন, ‘চীনের সঙ্গে এই সহযোগিতা কেবল সামরিক হার্ডওয়্যারের বিষয় নয়; এটি একটি অভিন্ন কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি, পারস্পরিক আস্থা এবং দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারত্বের প্রতিফলন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগামী দশকে এই সম্পর্ক আরও গভীর হবে। শুধু জাহাজ নির্মাণ ও প্রশিক্ষণ নয়, বরং যৌথ কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি, গবেষণা, প্রযুক্তি ভাগাভাগি এবং শিল্প সহযোগিতাও এতে যুক্ত হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টিভির ব্রেকিং নিউজে এনসিপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে যা বললেন তাজনুভা জাবীন

জন্মস্থানে প্রথমবার ভোটের লড়াইয়ে নামছেন খালেদা জিয়া

দলে দলে নিউজিল্যান্ড ছাড়ছে মানুষ, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় কেন যাচ্ছে

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

৭-৮ নভেম্বর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারে এনসিপি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচন: মামদানি কি ইতিহাস গড়বেন, জরিপ কী বলছে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৯: ৩৮
জরিপ বলছে, নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির জয়ের সম্ভাবনাই বেশি। ছবি: সংগৃহীত
জরিপ বলছে, নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির জয়ের সম্ভাবনাই বেশি। ছবি: সংগৃহীত

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। আগাম ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) প্রায় ৫০ লাখ নিবন্ধিত ভোটার শহরের পরবর্তী মেয়র নির্বাচনে ভোট দেবেন। তবে চূড়ান্ত ভোট গ্রহণের আগে বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জোহরান মামদানি এগিয়ে আছেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, নিউইয়র্ক সিটি বোর্ড অব ইলেকশনের তথ্য অনুযায়ী, গত ৯ দিনে ৭ লাখ ৩৪ হাজার ৩১৭টি আগাম ভোট পড়েছে, যা ২০২১ সালের মেয়র নির্বাচনের তুলনায় চার গুণের বেশি।

রিয়েলক্লিয়ারপলিটিকসের সর্বশেষ গড় জরিপে দেখা যাচ্ছে, ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জোহরান মামদানি ৪৫ দশমিক ৮ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়েছেন। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমোর চেয়ে ১৪ দশমিক ৭ পয়েন্ট এবং রিপাবলিকান কার্টিস স্লিওয়ার চেয়ে ২৮ দশমিক ৫ পয়েন্টে এগিয়ে। তবে গত সোমবার রাতে কুমোকে সমর্থন দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। এই সমর্থন ভোটারদের মন বদলাতে পারবে কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়।

মামদানি ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট অব আমেরিকার সদস্য। তাঁর নীতিমালা উদারপন্থী ভোটারদের মধ্যে উচ্ছ্বাস জাগিয়েছে। তিনি সর্বজনীন বিনা মূল্যের শিশু যত্ন, বাসে বিনা মূল্যে যাতায়াত এবং ভাড়া নিয়ন্ত্রিত প্রায় ১০ লাখ অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়াটিয়াদের জন্য ভাড়া স্থগিত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

নিউইয়র্ক সিটিতে প্রতি চার বছর অন্তর মেয়র নির্বাচন হয়। একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে মেয়র হতে পারেন। বর্তমান মেয়র এরিক অ্যাডামস। তিনি ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে দায়িত্বে আছেন, এ বছর শুরুর দিকে প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ান। তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ফেডারেল অপরাধের মামলা হয়েছিল। তবে বিচারক এপ্রিল মাসে মামলা খারিজ করে দেন।

চলতি বছরের নির্বাচনটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে প্রগতিশীল, মূলধারার ও রক্ষণশীল তিন শক্তি মুখোমুখি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহরটির নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায়। রিয়েলক্লিয়ারপলিটিকসের বিভিন্ন জরিপে মামদানিকে কুমোর চেয়ে ৩ থেকে ২৫ পয়েন্ট পর্যন্ত এগিয়ে দেখানো হয়েছে।

তবে প্রতিটি জরিপে কিছুটা অনিশ্চয়তা থাকে। জরিপকারীরা সাধারণত ভোটারদের প্রতিনিধিত্বমূলক নমুনা নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সব জরিপেই ত্রুটির সীমা থাকে। ফলে প্রকৃত সমর্থন জরিপে প্রকাশিত সংখ্যার কয়েক পয়েন্ট ওপরে বা নিচে থাকতে পারে। কেউ কেউ অনির্ধারিত ভোটারদের ভিন্নভাবে ধরেন। তাই বিভিন্ন জরিপের ফল একত্র করলে পক্ষপাত কমে।

তবে এ বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত ডেমোক্রেটিক পার্টির মেয়রাল প্রাইমারিতে বেশির ভাগ জরিপ ভয়ানকভাবে ভুল প্রমাণিত হয়। প্রায় সব জরিপেই কুমোর সহজ জয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মামদানি বিশাল ব্যবধানে জয় পান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টিভির ব্রেকিং নিউজে এনসিপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে যা বললেন তাজনুভা জাবীন

জন্মস্থানে প্রথমবার ভোটের লড়াইয়ে নামছেন খালেদা জিয়া

দলে দলে নিউজিল্যান্ড ছাড়ছে মানুষ, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় কেন যাচ্ছে

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

৭-৮ নভেম্বর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারে এনসিপি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুদ্ধবিরতি ভেঙেই চলেছে ইসরায়েল, ৫ ফিলিস্তিনি বন্দী ও ৪৫ মরদেহ ফেরত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৯: ২০
যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও ইসরায়েল এখনো তা লঙ্ঘন করেই যাচ্ছে। ছবি: আনাদোলু
যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও ইসরায়েল এখনো তা লঙ্ঘন করেই যাচ্ছে। ছবি: আনাদোলু

হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ইসরায়েল পাঁচ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। এতে গাজায় পরিবারগুলোর মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। এ ছাড়া দখলদার দেশটি ৪৫ ফিলিস্তিনি বন্দীর মরদেহও ফেরত দিয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মুক্তি পান ওই পাঁচ ফিলিস্তিনি। পরে তাদের শারীরিক পরীক্ষার জন্য দেইর আল-বালাহর আল-আকসা হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে স্বজনেরা জড়ো হন। কেউ কেউ মুক্ত হওয়া বন্দীদের জড়িয়ে ধরেন, কেউ আবার নিখোঁজ পরিবারের সদস্যদের খোঁজে উদ্বিগ্নভাবে ঘুরে বেড়ান।

গাজায় আল জাজিরার সাংবাদিক হিন্দ খুদারি বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েলি বাহিনী এই প্রথমবার অজানা ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দিল।’ ইসরায়েলে এখনো হাজারো ফিলিস্তিনি বন্দী আছেন। তাঁদের অনেকে অভিযোগ ছাড়াই আটক, যাকে মানবাধিকার সংস্থাগুলো স্বেচ্ছাচারী আটক বলে মনে করে।

এর আগে সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির (আইসিআরসি) মাধ্যমে ইসরায়েল তাদের কাছে আরও ৪৫ ফিলিস্তিনির মরদেহ হস্তান্তর করেছে। এ নিয়ে যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে এখন পর্যন্ত ২৭০টি মরদেহ গাজায় ফেরত এসেছে। মন্ত্রণালয় বলেছে, ফরেনসিক টিম এখন পর্যন্ত ৭৮টি মরদেহ শনাক্ত করেছে। চিকিৎসা নীতিমালা ও প্রটোকল মেনে পরীক্ষার পর মরদেহগুলো পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া হবে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফেরত পাওয়া অনেক মরদেহে নির্যাতনের চিহ্ন ছিল। কারও হাত বাঁধা, চোখ বেঁধে রাখা, মুখ বিকৃত—এমন অবস্থায় মরদেহগুলো পাঠানো হয়েছে। তা ছাড়া মরদেহগুলোর সঙ্গে কোনো শনাক্তকরণ ট্যাগও ছিল না। এই মরদেহ ও বন্দিবিনিময় যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের অংশ। ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর এই যুদ্ধবিরতি তুরস্ক, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় হয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রও ভূমিকা রেখেছে।

দেইর আল-বালাহ থেকে প্রতিবেদনে খুদারি বলেন, ‘অনেক মরদেহে নির্যাতনের স্পষ্ট চিহ্ন দেখা গেছে।’ তিনি আরও জানান, নিখোঁজ ফিলিস্তিনিদের পরিবারগুলো এখনো মরদেহের ভেতর স্বজনদের খুঁজে বেড়াচ্ছে। তিনি বলেন, ‘যেসব মরদেহ শনাক্ত করা যাবে না, সেগুলো দেইর আল-বালাহতে গণকবরে দাফন করা হবে।’

এদিকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও ইসরায়েল হামলা চালানো অব্যাহত রেখেছে। নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের একটি সূত্র আল জাজিরাকে জানায়, সোমবার রাফাহর উত্তরে ইসরায়েলি গোলাগুলিতে তিনজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজায় তারা বিমান হামলা চালিয়েছে। তাদের দাবি, কিছু ব্যক্তি ‘হলুদ রেখা’ অতিক্রম করেছিল, যা ইসরায়েল নিয়ন্ত্রিত এলাকা। তারা এটিকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন বলে অভিহিত করে।

এই ঘটনা স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি। এ ছাড়া ওই একই ঘটনায় নিহত তিনজন ফিলিস্তিনির কথা ইসরায়েল বলছে কি না, সেটিও পরিষ্কার নয়। কারণ, গাজা শহরের পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে যে তিনজন আহত হয়েছে, তাদের মধ্যে একটি শিশুও আছে বলে আল-আহলি আরব হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে।

গাজা শহর থেকে আল জাজিরার তারেক আবু আজযুম জানিয়েছেন, ইসরায়েল এখনো কোয়াডকপ্টার ড্রোন ব্যবহার করে আংশিক ধসে যাওয়া ভবনের ওপর গ্রেনেড ফেলছে। তিনি বলেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এসব কর্মকাণ্ডকে যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে।

গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় অভিযোগ করেছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল ১২৫ বারের বেশি লঙ্ঘন করেছে। তারা সতর্ক করে বলেছে, এই হামলাগুলো অব্যাহত থাকলে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ আবার শুরু হতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টিভির ব্রেকিং নিউজে এনসিপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে যা বললেন তাজনুভা জাবীন

জন্মস্থানে প্রথমবার ভোটের লড়াইয়ে নামছেন খালেদা জিয়া

দলে দলে নিউজিল্যান্ড ছাড়ছে মানুষ, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় কেন যাচ্ছে

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

৭-৮ নভেম্বর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে পারে এনসিপি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত