অনলাইন ডেস্ক
ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতিদের ওপর গত মার্চে চালানো মার্কিন সামরিক হামলার তথ্য একটি সিগন্যাল চ্যাট গ্রুপে শেয়ার করে নতুন বিতর্কের মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। বার্তা সংস্থা রয়টার্স একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। যে চ্যাট গ্রুপে তিনি এই গোপনীয় তথ্য শেয়ার করেছেন, সেখানে তাঁর স্ত্রী, ভাই, ব্যক্তিগত আইনজীবীসহ অন্য ব্যক্তিরা ছিলেন। বলা চলে, এটি তাঁদের একটি পারিবারিক সিগন্যাল গ্রুপ ছিল। যেটি তিনি নিজের মনোনয়ন প্রক্রিয়ার সময় প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য তৈরি করেছিলেন।
এই দ্বিতীয় সিগন্যাল চ্যাটের তথ্য ফাঁস গোপনীয় নিরাপত্তা তথ্য আদান-প্রদানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথের অশ্রেণিবদ্ধ বা আনক্লাসিফাইড মেসেজিং সিস্টেম ব্যবহারের বিষয়টি নিয়ে আবারও গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। সম্প্রতি পেন্টাগনের অভ্যন্তরীণ তথ্য ফাঁস তদন্তের অংশ হিসেবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করার সময়ে হেগসেথের বিষয়ে এই নতুন তথ্য সামনে এল।
এর আগে গত মাসে দ্য আটলান্টিক ম্যাগাজিন প্রথম একটি সিগন্যাল চ্যাটের তথ্য প্রকাশ করে, যেখানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সব জ্যেষ্ঠ জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ছিলেন। সেই ঘটনার সূত্র ধরে এবার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দ্বিতীয় চ্যাটের বিষয়টি সামনে এসেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, দ্বিতীয় চ্যাট গ্রুপটিতে ডজনখানেক মানুষ ছিলেন। এটি সামরিক পরিকল্পনার বিস্তারিত আলোচনার জন্য তৈরি করা হয়নি, বরং হেগসেথের মনোনয়ন প্রক্রিয়ার সময় প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য তৈরি হয়েছিল। তবে ওই ব্যক্তি জানান, চ্যাটে বিমান হামলার সময়সূচির মতো সংবেদনশীল সামরিক তথ্যও ছিল।
এদিকে পেন্টাগনের প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা গেছে হেগসেথের স্ত্রী ও সাবেক ফক্স নিউজের প্রযোজক জেনিফার সামরিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংবেদনশীল বৈঠকগুলোতে উপস্থিত ছিলেন। গত মার্চ মাসে পেন্টাগনে ব্রিটিশ প্রতিপক্ষের সঙ্গে এক বৈঠকে তাঁর স্ত্রীকে হেগসেথের পেছনে বসে থাকতে দেখা যায়। হেগসেথের ভাই হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের পেন্টাগনের একজন যোগাযোগকারী হিসেবে কাজ করেন, তিনিও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
ট্রাম্প প্রশাসন এই তথ্য ফাঁসের বিরুদ্ধে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে। এমন সময়ে আবারও বিতর্কিত এই সিগন্যাল চ্যাটের তথ্য ফাঁস ও ট্রাম্প প্রশাসনের মন্ত্রীর জড়িত থাকার বিষটি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে।
তবে পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পার্নেল এক বিবৃতিতে (এক্সে পোস্ট) এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ‘ট্রাম্পবিরোধী মিডিয়া প্রেসিডেন্টের এজেন্ডা ধ্বংস করতে মরিয়া। আমরা আমেরিকান সৈন্যদের জন্য অনেক কিছু অর্জন করেছি এবং পিছপা হব না।’
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র অ্যানা কেলি বলেছেন, ইতিমধ্যে বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তিরা তাঁদের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছেন।
নতুন এই তথ্যের পর ডেমোক্রেটিক আইনপ্রণেতারা বলছেন, হেগসেথ আর তাঁর পদে থাকতে পারেন না। সিনেটের নেতা চাক শুমার এক্সে এক পোস্টে বলেন, পিট হেগসেথ বারবার জীবনহানির ঝুঁকি তৈরি করছেন। ট্রাম্প তাঁকে সরাতে ভয় পাচ্ছেন। তাঁকে অবশ্যই বরখাস্ত করতে হবে।
২০০৪ সালে ইরাক যুদ্ধে গুরুতর আহত প্রবীণ সৈনিক সিনেটর ট্যামি ডাকওয়ার্থ বলেছেন, হেগসেথকে ‘অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে।’ পেন্টাগনের একজন মার্কিন কর্মকর্তাও সর্বশেষ খবরের পর হেগসেথ কীভাবে তাঁর পদ ধরে রাখতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
এই নতুন তথ্য ফাঁস হয়েছে হেগসেথের প্রধান উপদেষ্টা ড্যান কাল্ডওয়েলকে পেন্টাগন থেকে বহিষ্কারের কয়েক দিন পরই। প্রতিরক্ষা বিভাগে তথ্য ফাঁসের তদন্তে তাঁকে দায়ী করা হয়েছিল। কাল্ডওয়েল পেন্টাগনের অন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের মতো পরিচিত না হলেও তিনি হেগসেথের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এবং প্রথম সিগন্যাল চ্যাটে একজন মন্ত্রী কর্তৃক পেন্টাগনের যোগাযোগ ব্যক্তি হিসেবে তাঁর নাম এসেছিল।
কাল্ডওয়েল গত শনিবার এক্সে পোস্ট করেন, ‘পেন্টাগনে আমাদের সেবা এভাবে শেষ হতে দেখে হতাশ। নামবিহীন কর্মকর্তারা আমাদের চরিত্র হননের চেষ্টা করছে।’
কাল্ডওয়েলকে বহিষ্কারের পর আরেক কর্মকর্তা ড্যারিন সেলনিক, যিনি সম্প্রতি হেগসেথের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হয়েছিলেন এবং কলিন ক্যারল, যিনি উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী স্টিভ ফেইনবার্গের চিফ অব স্টাফ ছিলেন, তাঁদেরও প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হয়। পরে গত শুক্রবার বরখাস্ত করা হয়।
ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতিদের ওপর গত মার্চে চালানো মার্কিন সামরিক হামলার তথ্য একটি সিগন্যাল চ্যাট গ্রুপে শেয়ার করে নতুন বিতর্কের মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। বার্তা সংস্থা রয়টার্স একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। যে চ্যাট গ্রুপে তিনি এই গোপনীয় তথ্য শেয়ার করেছেন, সেখানে তাঁর স্ত্রী, ভাই, ব্যক্তিগত আইনজীবীসহ অন্য ব্যক্তিরা ছিলেন। বলা চলে, এটি তাঁদের একটি পারিবারিক সিগন্যাল গ্রুপ ছিল। যেটি তিনি নিজের মনোনয়ন প্রক্রিয়ার সময় প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য তৈরি করেছিলেন।
এই দ্বিতীয় সিগন্যাল চ্যাটের তথ্য ফাঁস গোপনীয় নিরাপত্তা তথ্য আদান-প্রদানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথের অশ্রেণিবদ্ধ বা আনক্লাসিফাইড মেসেজিং সিস্টেম ব্যবহারের বিষয়টি নিয়ে আবারও গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। সম্প্রতি পেন্টাগনের অভ্যন্তরীণ তথ্য ফাঁস তদন্তের অংশ হিসেবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করার সময়ে হেগসেথের বিষয়ে এই নতুন তথ্য সামনে এল।
এর আগে গত মাসে দ্য আটলান্টিক ম্যাগাজিন প্রথম একটি সিগন্যাল চ্যাটের তথ্য প্রকাশ করে, যেখানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সব জ্যেষ্ঠ জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ছিলেন। সেই ঘটনার সূত্র ধরে এবার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দ্বিতীয় চ্যাটের বিষয়টি সামনে এসেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, দ্বিতীয় চ্যাট গ্রুপটিতে ডজনখানেক মানুষ ছিলেন। এটি সামরিক পরিকল্পনার বিস্তারিত আলোচনার জন্য তৈরি করা হয়নি, বরং হেগসেথের মনোনয়ন প্রক্রিয়ার সময় প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য তৈরি হয়েছিল। তবে ওই ব্যক্তি জানান, চ্যাটে বিমান হামলার সময়সূচির মতো সংবেদনশীল সামরিক তথ্যও ছিল।
এদিকে পেন্টাগনের প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা গেছে হেগসেথের স্ত্রী ও সাবেক ফক্স নিউজের প্রযোজক জেনিফার সামরিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংবেদনশীল বৈঠকগুলোতে উপস্থিত ছিলেন। গত মার্চ মাসে পেন্টাগনে ব্রিটিশ প্রতিপক্ষের সঙ্গে এক বৈঠকে তাঁর স্ত্রীকে হেগসেথের পেছনে বসে থাকতে দেখা যায়। হেগসেথের ভাই হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের পেন্টাগনের একজন যোগাযোগকারী হিসেবে কাজ করেন, তিনিও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
ট্রাম্প প্রশাসন এই তথ্য ফাঁসের বিরুদ্ধে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে। এমন সময়ে আবারও বিতর্কিত এই সিগন্যাল চ্যাটের তথ্য ফাঁস ও ট্রাম্প প্রশাসনের মন্ত্রীর জড়িত থাকার বিষটি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে।
তবে পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পার্নেল এক বিবৃতিতে (এক্সে পোস্ট) এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ‘ট্রাম্পবিরোধী মিডিয়া প্রেসিডেন্টের এজেন্ডা ধ্বংস করতে মরিয়া। আমরা আমেরিকান সৈন্যদের জন্য অনেক কিছু অর্জন করেছি এবং পিছপা হব না।’
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র অ্যানা কেলি বলেছেন, ইতিমধ্যে বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তিরা তাঁদের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছেন।
নতুন এই তথ্যের পর ডেমোক্রেটিক আইনপ্রণেতারা বলছেন, হেগসেথ আর তাঁর পদে থাকতে পারেন না। সিনেটের নেতা চাক শুমার এক্সে এক পোস্টে বলেন, পিট হেগসেথ বারবার জীবনহানির ঝুঁকি তৈরি করছেন। ট্রাম্প তাঁকে সরাতে ভয় পাচ্ছেন। তাঁকে অবশ্যই বরখাস্ত করতে হবে।
২০০৪ সালে ইরাক যুদ্ধে গুরুতর আহত প্রবীণ সৈনিক সিনেটর ট্যামি ডাকওয়ার্থ বলেছেন, হেগসেথকে ‘অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে।’ পেন্টাগনের একজন মার্কিন কর্মকর্তাও সর্বশেষ খবরের পর হেগসেথ কীভাবে তাঁর পদ ধরে রাখতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
এই নতুন তথ্য ফাঁস হয়েছে হেগসেথের প্রধান উপদেষ্টা ড্যান কাল্ডওয়েলকে পেন্টাগন থেকে বহিষ্কারের কয়েক দিন পরই। প্রতিরক্ষা বিভাগে তথ্য ফাঁসের তদন্তে তাঁকে দায়ী করা হয়েছিল। কাল্ডওয়েল পেন্টাগনের অন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের মতো পরিচিত না হলেও তিনি হেগসেথের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এবং প্রথম সিগন্যাল চ্যাটে একজন মন্ত্রী কর্তৃক পেন্টাগনের যোগাযোগ ব্যক্তি হিসেবে তাঁর নাম এসেছিল।
কাল্ডওয়েল গত শনিবার এক্সে পোস্ট করেন, ‘পেন্টাগনে আমাদের সেবা এভাবে শেষ হতে দেখে হতাশ। নামবিহীন কর্মকর্তারা আমাদের চরিত্র হননের চেষ্টা করছে।’
কাল্ডওয়েলকে বহিষ্কারের পর আরেক কর্মকর্তা ড্যারিন সেলনিক, যিনি সম্প্রতি হেগসেথের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হয়েছিলেন এবং কলিন ক্যারল, যিনি উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী স্টিভ ফেইনবার্গের চিফ অব স্টাফ ছিলেন, তাঁদেরও প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হয়। পরে গত শুক্রবার বরখাস্ত করা হয়।
গত ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে খেমকাকে মূলত ‘লো–প্রোফাইল’ বা কম গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত দপ্তরগুলোতেই পদায়ন করা হয়েছে। কর্মজীবনে তিনি চারবার শুধু রাজ্য সরকারের আর্কাইভস দপ্তরেই কাজ করেছে। চারবারের তিনবারই বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে।
১৮ মিনিট আগেজম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত এবং পাকিস্তান পাল্টাপাল্টি কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। দুই দেশের বাণিজ্য বন্ধ। কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। সিন্দু পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত, অপর দিকে সিমলা চুক্তি স্থগিত করেছে পাকিস্তান।
২ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্যাথলিক ধর্মের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি পোপ হতে চাই।’ এই পর্যন্ত ঠিক আছে। বক্তব্য দেখে ঘাবড়ে যাবেন না। ট্রাম্প আন্তরিকভাবে এই আকাঙ্ক্ষা পোষণ করেননি, রসিকতার ছলেই তিনি এই আকাঙ্ক্ষা পোষণ করেন।
২ ঘণ্টা আগেগতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৮টায় কলকাতার বড়বাজারের মেছুয়া ফলপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ১০টি ইউনিটের ৮ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আনন্দবাজারের সকাল ৭টার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তখনো আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগে