
গত বছর যখন রিচার্ড ম্যাককিনির বিয়ের অনুষ্ঠানের সব আয়োজন করেন বিবি বাহরানি। তাঁকে সাহায্য করেন তাঁর বন্ধুরা। অতিথিদের জন্য আফগান খাবার রান্না করেন বাহরামি। কারণ তিনিও যুদ্ধের ক্ষত বয়ে বেড়ানো একজন আফগান অভিবাসী। গাজর ও কিশমিশ দিয়ে ভাত, মুরগির মাংস, গরুর মাংসসহ নানা মজাদার পদ প্রস্তুত করেন। আর ইসলামি রীতিতে ম্যাককিনির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা পরিচালনা করেন বাহরামির স্বামী ডা. মোহাম্মদ সাবের বাহরামি।
খুবই অনাড়ম্বর কিন্তু অতিথিদের উপস্থিতিতে আনন্দমুখর এই বিবাহের দৃশ্যকে অস্বাভাবিক ভাবার কোনো কারণ নেই। কিন্তু ম্যাককিনি এবং বাহরামিদের বন্ধুত্বের শুরুটা কেমন ছিল সেই গল্পটি ক্যামেরায় ধারণের আগে খুব কম মানুষেরই জানা ছিল। সিনেমার মতো সেই গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে তথ্যচিত্র ‘স্ট্রেঞ্জার অ্যাট দ্য গেট’। এটি গত বছর নির্মিত হলেও এবারের অস্কার মনোনয়নে নাম আসায় নতুন করে আলোচনায় এসেছে।
সংক্ষেপে গল্পটি এমন: ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধের অভিজ্ঞতা থেকে ক্ষুব্ধ এবং মুসলমানদের প্রতি তীব্র ঘৃণা বয়ে বেড়ানো চওড়া কাঁধের, বাহুতে মার্কিন নেভির ট্যাটু আঁকা এক প্রবীণ ব্যক্তি; তিনি একবার যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যে ইসলামিক সেন্টার অব মানসিতে গিয়েছিলেন শক্তিশালী বোমা পেতে রাখতে। তিনি চেয়েছিলেন এই মসজিদে আসা সব ব্যক্তিকে একসঙ্গে প্রাণে মেরে ফেলতে।
এই ব্যক্তিই হলেন রিচার্ড ম্যাককিনি। বোমা মেরে হত্যা করতে গিয়েই আশ্চর্যজনকভাবে বদলে যাওয়া ম্যাককিনিকে নিয়েই নির্মিত হয়েছে ৩০ মিনিটের ডকুমেন্টারি শর্ট ফিল্ম। ‘স্ট্রেঞ্জার অ্যাট দ্য গেট’ স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাতে দেখানো হয়েছে, কীভাবে ইসলামিক সেন্টারের লোকদের সঙ্গে ম্যাককিনির সখ্য গড়ে ওঠে। তাঁদের সাদর অভ্যর্থনায় ব্যর্থ হয়ে যায় তাঁর হত্যা পরিকল্পনা। শুধু তা–ই দ্রুতই বদলে যায় তাঁর জীবনের গতিপথ।
রোববার (১২ মার্চ) অনুষ্ঠেয় ৯৫ তম অস্কার পুরস্কারের জন্য সেরা ডকুমেন্টারি শর্ট ফিল্ম ক্যাটাগরিতে মনোনীত হয়েছে ‘স্ট্রেঞ্জার অ্যাট দ্য গেট’।
ম্যাককিনি সম্পর্কে বিবি বাহরামি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা অনেক বছর ধরে বন্ধু ছিলাম। আর এখন পরিবারের মতো।’ ১৯৭৯ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালালে গৃহহারা হয়ে পড়েন বিবি বাহরামি। পরিবারের সঙ্গে পাকিস্তানে শরণার্থী হয়ে যান। সেখানে বেশ কয়েক বছর ছিলেন। সেখানে ডা. সাবেরের সঙ্গে পরিচয়। এরপর পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। তাঁদের বিয়ে হয়। এখন তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
ম্যাককিনি বলেন, বাহরামি পরিবারের সঙ্গে এই ‘অসম্ভব আত্মীয়তা’ অনেকের কাছে ‘বিভ্রান্তিকর’ মনে হতে পারে। এই পুরো যাত্রাটি ছিল অত্যন্ত পরাবাস্তব একটা ব্যাপার!
‘স্ট্রেঞ্জার অ্যাট দ্য গেট’ সিনেমার নির্মাতা জোশুয়া সেফটেল বলেন, এটি হলো ম্যাককিনির দ্বিতীয় সুযোগ এবং রূপান্তরের গল্প। ঘৃণাকে জয় করা একটি প্রেমের গল্প।
সেফটেল বলেন, ‘আজকাল নিরাশায় ডুবে যাওয়াটা সহজ; যখন আমি এই গল্পটি জেনেছিলাম, তখন ভেবেছিলাম, বাহ, মানবতায় বিশ্বাস করার কারণ এখনো রয়ে গেছে। যদি এই দুই ব্যক্তি বন্ধু হতে পারেন, তবে আমাদের কেউ কেন পারে না!’
‘সিক্রেট লাইফ অব মুসলিমস’ শীর্ষক একটি তথ্যচিত্র সিরিজে কাজ করতে গিয়ে এই অসাধারণ গল্পের সন্ধান পান সেফটেল। এই সিরিজের মাধ্যমে সেফটেল বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে আমেরিকান মুসলমানদের সম্পর্কে নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যযুক্ত এবং নেতিবাচক গৎবাঁধা ধারণাগুলো ভেঙে দিতে চাইছিলেন।
এই সিরিজের অনুপ্রেরণা নিজের বিভীষিকাময় শৈশব থেকেই পেয়েছিলেন সেফটেল। নিজের মধ্যে এখনো ছোটবেলার ইহুদি বিদ্বেষের শিকার হওয়ার স্মৃতি দগদগে। তাঁকে একটি ইহুদি শিশু হিসেবে নানাভাবে হয়রানি শিকার হতে হয়েছিল। সেই ঘৃণার শিকল ছিঁড়তে চেয়েছেন তিনি।
সেফটেল বলেন, নাইল ইলেভেনের পর আমি মুসলমানদের প্রতি এই ধরনের ঘৃণা দেখেছিলাম। আমি শুধু ভেবেছিলাম, হয়তো আমি আমার চলচ্চিত্রের কাজ দিয়ে এই জায়গাটাতে কিছু করার চেষ্টা করতে পারি।
২০২১ সালে নাইন ইলেভেন ২০ তম বার্ষিকীর আগে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) এবং এনওআরসি সেন্টার ফর পাবলিক অ্যাফেয়ার্স রিসার্চ যৌথভাবে একটি জরিপ করেছিল। সেই জরিপে দেখা যায়, ৫৩ শতাংশ আমেরিকান ইসলামের প্রতি বিরূপ দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন। ম্যাককিনিও এই দলেই ছিলেন। বলতে গেলে, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে উৎসাহী ও সহিংস মনোভাবেরই ছিলেন তিনি।
দীর্ঘ সামরিক কর্মজীবন রিচার্ড ম্যাককিনিকে অনেকগুলো তিক্ত অভিজ্ঞতা দিয়েছে। তিনি দেখেছেন ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধ। যুদ্ধের ময়দানে জীবনবাজি রেখেছেন। কর্মজীবনের সমাপ্তির পর ক্ষুব্ধ, তিক্ত এবং জীবন সম্পর্কে হতাশার বোধ তীব্র হয় তাঁর। এসব ভুলে থাকতে প্রচুর মদ্যপান করতেন। জীবনের একটা দীর্ঘ সময় তাঁর নিয়তি ছিল যুদ্ধে গিয়ে নির্বিচারে মানুষ হত্যা এবং একটি পতাকা-ঢাকা কফিনে করে বাড়ি ফেরা। বড়জোর বীর হিসেবে একটা সম্মাননা।
যুদ্ধের অভিজ্ঞতা ম্যাককিনির মনে মুসলমানদের প্রতি চরম বিদ্বেষের জন্ম দেয়। সেনাবাহিনীতে থাকা অবস্থায় বিদেশে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এই মুসলমানরাই ছিল যুদ্ধক্ষেত্রের শত্রু।
তথ্যচিত্রটিতে ম্যাককিনিকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার পরিকল্পনা ছিল একটি আইইডি (দূর নিয়ন্ত্রিত বোমা) বিস্ফোরণ ঘটানো। শুক্রবারে ইসলামিক সেন্টারের বাইরে যখন লোকজন নামাজের জন্য জড়ো হবে তখনই ঘটবে বিস্ফোরণ। আমি কমপক্ষে ২০০ বা তার বেশি মানুষকে হত্যা অথবা জখম করতে চেয়েছিলাম।’
যুদ্ধ থেকে ২০০৬ সালে মানসিতে ফেরেন ম্যাককিনি। এসে দেখেন পুরো এলাকায় মুসলিমদের বাস। স্কুলে মুসলিম শিশুদের সঙ্গে পড়তে হচ্ছে তাঁর সন্তানকেও। এটি সহ্য করতে পারেননি ম্যাককিনি। ২০০৯ সালে ইসলামিক সেন্টারের ওই মসজিদে যাতায়াত শুরু করেন তিনি। সেখানে গিয়ে লোকজনকে বলেন, তিনি ইসলাম সম্পর্কে জানতে চান।
সিনেমায় ম্যাককিনি বলেন, ‘আমি তাঁদের বিশ্বাস করিনি।...আমি ভেবেছিলাম তারা আমাকে বেসমেন্টে আমার গলায় তলোয়ার ধরে রাখবে।’ কিন্তু বাস্তবে, মুসল্লিরা তাঁকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। তাঁরা তাঁকে আলিঙ্গন করেছিলেন।
সিনেমাতে দেখা যায়, বিবি বাহরামি লোকসংগীতের একজন অনুরাগী শ্রোতা। তাঁর স্বামী ড. মোহাম্মদ সাবের বাহরামি তাঁকে ‘মুসলিম সম্প্রদায়ের মাদার তেরেসা’ বলে অভিহিত করেন। বাহরামি ম্যাককিনিকে সান্ত্বনা দিয়েছেন। বাড়িতে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গেছেন, পছন্দের খাবার খাইয়েছেন। বাহরামির সংস্পর্শে শেষ পর্যন্ত নিজের সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেছেন ম্যাককিনির। অন্তরের কথা শুনেছেন কান পেতে। একদিন ম্যাককিনি বাহরামি বলেন, ‘আমার মুসলিম হওয়া উচিত।’
সিনেমাটির নির্মাতা সেফটেল বলেন, বাহরামি দর্শকদের দেখিয়েছেন, মানুষ তাঁকে আলিঙ্গন করেছেন। কেউ কেউ অশ্রুসজল চোখে তাঁর কাছে এসেছেন, তাঁকে বলেছে যে, তিনি তাঁদের আশা এবং সাহস দিয়েছেন। তাঁদের কমিউনিটির জন্য কাজ করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
কেউ কেউ এমন কঠিন প্রশ্নেরও মুখোমুখি করেছেন বাহরামিকে যে, ম্যাককিনিকে তিনি কীভাবে ক্ষমা করেছিলেন?
জবাবে বাহরামি বলেন, যখন তিনি ম্যাককিনির কথা শুনেছিলেন, তাঁর বিশ্বাস হয়নি। ম্যাককিনি পরিকল্পনার কথা জেনে তিনি তাঁকে রাতের খাবারের জন্য আমন্ত্রণ জানান। ম্যাককিনি যা ভেবেছিলেন সেটি তাঁর কাছ থেকে জানতে চান। বাহরামি বলেন, আমার এক দৃঢ় বিশ্বাসী (ইমানদার), আমি মনে করি, আমার ইমানের একটি বড় অংশ হলো ক্ষমা।
আরেকটি দিক তুলে ধরেন বাহরামি, তিনি ম্যাককিনির মধ্যে একটা দুর্বলতা টের পেয়েছিলেন। ম্যাককিনি আকুলভাবে ক্ষমাপ্রার্থী ছিলেন।
সেফটেল যখন সিনেমাটির জন্য তাঁর কাছে গিয়েছিলে সেই সময়কার কথা স্মরণ করে বাহরামি বলেন, তিনি তখন অত্যন্ত অসুস্থ। কোমায় ছিলেন। সুস্থ হয়ে সেফটেলের অনুরোধটি বিবেচনা করেছিলেন। বাহরামির ভাষায়, ‘খোদা আমাকে দ্বিতীয় জীবন দিয়েছেন। যদি আমি মারা যাই, গল্পটি তো বেঁচে থাকবে!’
‘স্ট্রেঞ্জার অ্যাট দ্য গেট’ সিনেমাটি ২০২২ সালে ট্রিবেকা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বিশেষ জুরি পুরস্কার জেতে। এর প্রযোজকদের একজন পাকিস্তানের নোবেলজয়ী অধিকারকর্মী মালালা ইউসুফজাই। প্রচারিত হচ্ছে দ্য নিউ ইয়র্কার পত্রিকার ওয়েবসাইট ও ইউটিউব চ্যানেলে।
এ বছর অস্কারের মনোনয়ন পাওয়া ধর্মীয় থিমের সিনেমার মধ্যে ‘স্ট্রেঞ্জার অ্যাট দ্য গেট’ একমাত্র নয়। ‘উইমেন টকিং’ নামে একটি সিনেমাও সেরা ছবির জন্য মনোনীত হয়েছে। মিরিয়াম টোউসের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত সিনেমাটি বলিভিয়ার একটি মেনোনাইট সম্প্রদায়ের (খ্রিষ্টানদের বিশেষ গোত্র) একটি ভয়ংকর সত্য গল্প নিয়ে। ওই সম্প্রদায়ের পুরুষেরা বহু নারী ও শিশু–কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। সিনেমায় দেখানো হয়েছে, সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে বেঁচে থাকা ব্যক্তিরা ধর্ম ত্যাগ করবেন কি না সেই সিদ্ধান্তহীনতায় লড়ছেন। কারণ দাগি অপরাধীদের ক্ষমা করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।
সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা, দ্য নিউ ইয়র্কার

গত বছর যখন রিচার্ড ম্যাককিনির বিয়ের অনুষ্ঠানের সব আয়োজন করেন বিবি বাহরানি। তাঁকে সাহায্য করেন তাঁর বন্ধুরা। অতিথিদের জন্য আফগান খাবার রান্না করেন বাহরামি। কারণ তিনিও যুদ্ধের ক্ষত বয়ে বেড়ানো একজন আফগান অভিবাসী। গাজর ও কিশমিশ দিয়ে ভাত, মুরগির মাংস, গরুর মাংসসহ নানা মজাদার পদ প্রস্তুত করেন। আর ইসলামি রীতিতে ম্যাককিনির বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা পরিচালনা করেন বাহরামির স্বামী ডা. মোহাম্মদ সাবের বাহরামি।
খুবই অনাড়ম্বর কিন্তু অতিথিদের উপস্থিতিতে আনন্দমুখর এই বিবাহের দৃশ্যকে অস্বাভাবিক ভাবার কোনো কারণ নেই। কিন্তু ম্যাককিনি এবং বাহরামিদের বন্ধুত্বের শুরুটা কেমন ছিল সেই গল্পটি ক্যামেরায় ধারণের আগে খুব কম মানুষেরই জানা ছিল। সিনেমার মতো সেই গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে তথ্যচিত্র ‘স্ট্রেঞ্জার অ্যাট দ্য গেট’। এটি গত বছর নির্মিত হলেও এবারের অস্কার মনোনয়নে নাম আসায় নতুন করে আলোচনায় এসেছে।
সংক্ষেপে গল্পটি এমন: ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধের অভিজ্ঞতা থেকে ক্ষুব্ধ এবং মুসলমানদের প্রতি তীব্র ঘৃণা বয়ে বেড়ানো চওড়া কাঁধের, বাহুতে মার্কিন নেভির ট্যাটু আঁকা এক প্রবীণ ব্যক্তি; তিনি একবার যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যে ইসলামিক সেন্টার অব মানসিতে গিয়েছিলেন শক্তিশালী বোমা পেতে রাখতে। তিনি চেয়েছিলেন এই মসজিদে আসা সব ব্যক্তিকে একসঙ্গে প্রাণে মেরে ফেলতে।
এই ব্যক্তিই হলেন রিচার্ড ম্যাককিনি। বোমা মেরে হত্যা করতে গিয়েই আশ্চর্যজনকভাবে বদলে যাওয়া ম্যাককিনিকে নিয়েই নির্মিত হয়েছে ৩০ মিনিটের ডকুমেন্টারি শর্ট ফিল্ম। ‘স্ট্রেঞ্জার অ্যাট দ্য গেট’ স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাতে দেখানো হয়েছে, কীভাবে ইসলামিক সেন্টারের লোকদের সঙ্গে ম্যাককিনির সখ্য গড়ে ওঠে। তাঁদের সাদর অভ্যর্থনায় ব্যর্থ হয়ে যায় তাঁর হত্যা পরিকল্পনা। শুধু তা–ই দ্রুতই বদলে যায় তাঁর জীবনের গতিপথ।
রোববার (১২ মার্চ) অনুষ্ঠেয় ৯৫ তম অস্কার পুরস্কারের জন্য সেরা ডকুমেন্টারি শর্ট ফিল্ম ক্যাটাগরিতে মনোনীত হয়েছে ‘স্ট্রেঞ্জার অ্যাট দ্য গেট’।
ম্যাককিনি সম্পর্কে বিবি বাহরামি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা অনেক বছর ধরে বন্ধু ছিলাম। আর এখন পরিবারের মতো।’ ১৯৭৯ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালালে গৃহহারা হয়ে পড়েন বিবি বাহরামি। পরিবারের সঙ্গে পাকিস্তানে শরণার্থী হয়ে যান। সেখানে বেশ কয়েক বছর ছিলেন। সেখানে ডা. সাবেরের সঙ্গে পরিচয়। এরপর পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। তাঁদের বিয়ে হয়। এখন তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
ম্যাককিনি বলেন, বাহরামি পরিবারের সঙ্গে এই ‘অসম্ভব আত্মীয়তা’ অনেকের কাছে ‘বিভ্রান্তিকর’ মনে হতে পারে। এই পুরো যাত্রাটি ছিল অত্যন্ত পরাবাস্তব একটা ব্যাপার!
‘স্ট্রেঞ্জার অ্যাট দ্য গেট’ সিনেমার নির্মাতা জোশুয়া সেফটেল বলেন, এটি হলো ম্যাককিনির দ্বিতীয় সুযোগ এবং রূপান্তরের গল্প। ঘৃণাকে জয় করা একটি প্রেমের গল্প।
সেফটেল বলেন, ‘আজকাল নিরাশায় ডুবে যাওয়াটা সহজ; যখন আমি এই গল্পটি জেনেছিলাম, তখন ভেবেছিলাম, বাহ, মানবতায় বিশ্বাস করার কারণ এখনো রয়ে গেছে। যদি এই দুই ব্যক্তি বন্ধু হতে পারেন, তবে আমাদের কেউ কেন পারে না!’
‘সিক্রেট লাইফ অব মুসলিমস’ শীর্ষক একটি তথ্যচিত্র সিরিজে কাজ করতে গিয়ে এই অসাধারণ গল্পের সন্ধান পান সেফটেল। এই সিরিজের মাধ্যমে সেফটেল বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে আমেরিকান মুসলমানদের সম্পর্কে নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যযুক্ত এবং নেতিবাচক গৎবাঁধা ধারণাগুলো ভেঙে দিতে চাইছিলেন।
এই সিরিজের অনুপ্রেরণা নিজের বিভীষিকাময় শৈশব থেকেই পেয়েছিলেন সেফটেল। নিজের মধ্যে এখনো ছোটবেলার ইহুদি বিদ্বেষের শিকার হওয়ার স্মৃতি দগদগে। তাঁকে একটি ইহুদি শিশু হিসেবে নানাভাবে হয়রানি শিকার হতে হয়েছিল। সেই ঘৃণার শিকল ছিঁড়তে চেয়েছেন তিনি।
সেফটেল বলেন, নাইল ইলেভেনের পর আমি মুসলমানদের প্রতি এই ধরনের ঘৃণা দেখেছিলাম। আমি শুধু ভেবেছিলাম, হয়তো আমি আমার চলচ্চিত্রের কাজ দিয়ে এই জায়গাটাতে কিছু করার চেষ্টা করতে পারি।
২০২১ সালে নাইন ইলেভেন ২০ তম বার্ষিকীর আগে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) এবং এনওআরসি সেন্টার ফর পাবলিক অ্যাফেয়ার্স রিসার্চ যৌথভাবে একটি জরিপ করেছিল। সেই জরিপে দেখা যায়, ৫৩ শতাংশ আমেরিকান ইসলামের প্রতি বিরূপ দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন। ম্যাককিনিও এই দলেই ছিলেন। বলতে গেলে, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে উৎসাহী ও সহিংস মনোভাবেরই ছিলেন তিনি।
দীর্ঘ সামরিক কর্মজীবন রিচার্ড ম্যাককিনিকে অনেকগুলো তিক্ত অভিজ্ঞতা দিয়েছে। তিনি দেখেছেন ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধ। যুদ্ধের ময়দানে জীবনবাজি রেখেছেন। কর্মজীবনের সমাপ্তির পর ক্ষুব্ধ, তিক্ত এবং জীবন সম্পর্কে হতাশার বোধ তীব্র হয় তাঁর। এসব ভুলে থাকতে প্রচুর মদ্যপান করতেন। জীবনের একটা দীর্ঘ সময় তাঁর নিয়তি ছিল যুদ্ধে গিয়ে নির্বিচারে মানুষ হত্যা এবং একটি পতাকা-ঢাকা কফিনে করে বাড়ি ফেরা। বড়জোর বীর হিসেবে একটা সম্মাননা।
যুদ্ধের অভিজ্ঞতা ম্যাককিনির মনে মুসলমানদের প্রতি চরম বিদ্বেষের জন্ম দেয়। সেনাবাহিনীতে থাকা অবস্থায় বিদেশে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এই মুসলমানরাই ছিল যুদ্ধক্ষেত্রের শত্রু।
তথ্যচিত্রটিতে ম্যাককিনিকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার পরিকল্পনা ছিল একটি আইইডি (দূর নিয়ন্ত্রিত বোমা) বিস্ফোরণ ঘটানো। শুক্রবারে ইসলামিক সেন্টারের বাইরে যখন লোকজন নামাজের জন্য জড়ো হবে তখনই ঘটবে বিস্ফোরণ। আমি কমপক্ষে ২০০ বা তার বেশি মানুষকে হত্যা অথবা জখম করতে চেয়েছিলাম।’
যুদ্ধ থেকে ২০০৬ সালে মানসিতে ফেরেন ম্যাককিনি। এসে দেখেন পুরো এলাকায় মুসলিমদের বাস। স্কুলে মুসলিম শিশুদের সঙ্গে পড়তে হচ্ছে তাঁর সন্তানকেও। এটি সহ্য করতে পারেননি ম্যাককিনি। ২০০৯ সালে ইসলামিক সেন্টারের ওই মসজিদে যাতায়াত শুরু করেন তিনি। সেখানে গিয়ে লোকজনকে বলেন, তিনি ইসলাম সম্পর্কে জানতে চান।
সিনেমায় ম্যাককিনি বলেন, ‘আমি তাঁদের বিশ্বাস করিনি।...আমি ভেবেছিলাম তারা আমাকে বেসমেন্টে আমার গলায় তলোয়ার ধরে রাখবে।’ কিন্তু বাস্তবে, মুসল্লিরা তাঁকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। তাঁরা তাঁকে আলিঙ্গন করেছিলেন।
সিনেমাতে দেখা যায়, বিবি বাহরামি লোকসংগীতের একজন অনুরাগী শ্রোতা। তাঁর স্বামী ড. মোহাম্মদ সাবের বাহরামি তাঁকে ‘মুসলিম সম্প্রদায়ের মাদার তেরেসা’ বলে অভিহিত করেন। বাহরামি ম্যাককিনিকে সান্ত্বনা দিয়েছেন। বাড়িতে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গেছেন, পছন্দের খাবার খাইয়েছেন। বাহরামির সংস্পর্শে শেষ পর্যন্ত নিজের সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেছেন ম্যাককিনির। অন্তরের কথা শুনেছেন কান পেতে। একদিন ম্যাককিনি বাহরামি বলেন, ‘আমার মুসলিম হওয়া উচিত।’
সিনেমাটির নির্মাতা সেফটেল বলেন, বাহরামি দর্শকদের দেখিয়েছেন, মানুষ তাঁকে আলিঙ্গন করেছেন। কেউ কেউ অশ্রুসজল চোখে তাঁর কাছে এসেছেন, তাঁকে বলেছে যে, তিনি তাঁদের আশা এবং সাহস দিয়েছেন। তাঁদের কমিউনিটির জন্য কাজ করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
কেউ কেউ এমন কঠিন প্রশ্নেরও মুখোমুখি করেছেন বাহরামিকে যে, ম্যাককিনিকে তিনি কীভাবে ক্ষমা করেছিলেন?
জবাবে বাহরামি বলেন, যখন তিনি ম্যাককিনির কথা শুনেছিলেন, তাঁর বিশ্বাস হয়নি। ম্যাককিনি পরিকল্পনার কথা জেনে তিনি তাঁকে রাতের খাবারের জন্য আমন্ত্রণ জানান। ম্যাককিনি যা ভেবেছিলেন সেটি তাঁর কাছ থেকে জানতে চান। বাহরামি বলেন, আমার এক দৃঢ় বিশ্বাসী (ইমানদার), আমি মনে করি, আমার ইমানের একটি বড় অংশ হলো ক্ষমা।
আরেকটি দিক তুলে ধরেন বাহরামি, তিনি ম্যাককিনির মধ্যে একটা দুর্বলতা টের পেয়েছিলেন। ম্যাককিনি আকুলভাবে ক্ষমাপ্রার্থী ছিলেন।
সেফটেল যখন সিনেমাটির জন্য তাঁর কাছে গিয়েছিলে সেই সময়কার কথা স্মরণ করে বাহরামি বলেন, তিনি তখন অত্যন্ত অসুস্থ। কোমায় ছিলেন। সুস্থ হয়ে সেফটেলের অনুরোধটি বিবেচনা করেছিলেন। বাহরামির ভাষায়, ‘খোদা আমাকে দ্বিতীয় জীবন দিয়েছেন। যদি আমি মারা যাই, গল্পটি তো বেঁচে থাকবে!’
‘স্ট্রেঞ্জার অ্যাট দ্য গেট’ সিনেমাটি ২০২২ সালে ট্রিবেকা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বিশেষ জুরি পুরস্কার জেতে। এর প্রযোজকদের একজন পাকিস্তানের নোবেলজয়ী অধিকারকর্মী মালালা ইউসুফজাই। প্রচারিত হচ্ছে দ্য নিউ ইয়র্কার পত্রিকার ওয়েবসাইট ও ইউটিউব চ্যানেলে।
এ বছর অস্কারের মনোনয়ন পাওয়া ধর্মীয় থিমের সিনেমার মধ্যে ‘স্ট্রেঞ্জার অ্যাট দ্য গেট’ একমাত্র নয়। ‘উইমেন টকিং’ নামে একটি সিনেমাও সেরা ছবির জন্য মনোনীত হয়েছে। মিরিয়াম টোউসের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত সিনেমাটি বলিভিয়ার একটি মেনোনাইট সম্প্রদায়ের (খ্রিষ্টানদের বিশেষ গোত্র) একটি ভয়ংকর সত্য গল্প নিয়ে। ওই সম্প্রদায়ের পুরুষেরা বহু নারী ও শিশু–কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। সিনেমায় দেখানো হয়েছে, সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে বেঁচে থাকা ব্যক্তিরা ধর্ম ত্যাগ করবেন কি না সেই সিদ্ধান্তহীনতায় লড়ছেন। কারণ দাগি অপরাধীদের ক্ষমা করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।
সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা, দ্য নিউ ইয়র্কার

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে—ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের সেনাদের ওপর আইএসআইএসের হামলার জবাব আমরা দেব। যদি মার্কিন বাহিনীর ওপর আবারও হামলা হয় সেটার জবাও আমরা দেব।’
এর আগে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলকেন্দ্রিক কমান্ড ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, আইসিসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং তাদের এক দোভাষী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছে। সেন্টকম আরও বলেছে, ‘বন্দুকধারীকে শনাক্ত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল। সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়। সানা আরও জানায়, আহত ব্যক্তিদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন। আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে—ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের সেনাদের ওপর আইএসআইএসের হামলার জবাব আমরা দেব। যদি মার্কিন বাহিনীর ওপর আবারও হামলা হয় সেটার জবাও আমরা দেব।’
এর আগে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলকেন্দ্রিক কমান্ড ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, আইসিসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং তাদের এক দোভাষী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছে। সেন্টকম আরও বলেছে, ‘বন্দুকধারীকে শনাক্ত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল। সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়। সানা আরও জানায়, আহত ব্যক্তিদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন। আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

গত বছর যখন রিচার্ড ম্যাককিনির বিয়ের অনুষ্ঠানের সব আয়োজন করেন বিবি বাহরানি। তাঁকে সাহায্য করেন তাঁর বন্ধুরা। অতিথিদের জন্য আফগান খাবার রান্না করেন বাহরামি। কারণ তিনিও যুদ্ধের ক্ষত বয়ে বেড়ানো একজন আফগান অভিবাসী। গাজর ও কিশমিশ দিয়ে ভাত, মুরগির মাংস, গরুর মাংসসহ নানা মজাদার পদ প্রস্তুত করেন। আর ইসলামি র
১২ মার্চ ২০২৩
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য রোড আইল্যান্ডের রাজধানী প্রভিডেন্সের মেয়র ব্রেট স্মাইলি নিশ্চিত করেছেন, ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে সক্রিয় বন্দুকধারীর হামলায় দুজন নিহত এবং আরও আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই আইভি লীগ ক্যাম্পাসে শনিবার যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তখন সেখানে পরীক্ষা চলছিল।
রোড আইল্যান্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি এখনও পলাতক। তারা হামলাকারীকে কালো পোশাক পরিহিত পুরুষ হিসেবে শনাক্ত করেছেন, যিনি পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। তারা আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি।
এক সংবাদ সম্মেলনে স্মাইলি বলেন, স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টা ৫ মিনিটের দিকে জরুরি সেবা প্রতিক্রিয়াকারীদের কাছে ৯১১ কল আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোলাগুলির বিষয়টি জানতে পারে। স্মাইলি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, আজ বিকেলে দুইজন ব্যক্তি মারা গেছেন এবং আরও আটজন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন, যদিও তারা রোড আইল্যান্ড হাসপাতালে স্থিতিশীল আছেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধুমাত্র এই আঘাত বা হতাহতের খবর জানি। তবে যেমনটি আমি উল্লেখ করেছি—এবং জনসাধারণকে মনে করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ—এই সংখ্যাগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। আমরা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’
চলমান তদন্তের ওপর জোর দিয়ে স্মাইলি নিহতদের পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা প্যাক্সটন এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি এমন একটি দিন যা আমরা আশা করেছিলাম যেন আমাদের সম্প্রদায়ে কখনও না আসে। এটি আমাদের সকলের জন্য গভীরভাবে হৃদয়বিদারক।’ তিনি ক্যাম্পাসের সবাইকে সতর্ক থাকার এবং লকডাউন প্রোটোকল মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো সমস্ত দরজা তালাবদ্ধ রাখা এবং ক্যাম্পাস জুড়ে কোনো চলাচল না করা নিশ্চিত করা।’
শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকেল ৪ টা ২২ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথম জরুরি সতর্কতা জারি করে জানায়, বারাস অ্যান্ড হলি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফিজিক্স ভবনের কাছে একজন বন্দুকধারী রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সতর্কবার্তায় বলে, ‘দরজা লক করুন, ফোন নীরব করুন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লুকিয়ে থাকুন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘মনে রাখবেন—দৌড়ান, যদি আপনি আক্রান্ত স্থানে থাকেন তবে নিরাপদে সরে যান; লুকান, যদি সরে যাওয়া সম্ভব না হয় তবে আড়াল নিন; প্রতিরোধ করুন, শেষ অবলম্বন হিসেবে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নিন।’
প্রভিডেন্সের পুলিশ প্রধান টিমোথি ও’হারা জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভবনটিতে তল্লাশি চালায়। ও’হারা বলেন, ‘তারা ভবনটিতে পদ্ধতিগতভাবে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে সে সময় কোনো সন্দেহভাজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা সেই ভবনটি খালি করতে সক্ষম হন এবং সেই ভবনের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করে দেন।’ তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন কীভাবে ভবনে প্রবেশ করেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে সে হোপ স্ট্রিট দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।
স্থানীয় সময় ৫ টা ২৭ মিনিটে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি জানায়, গভর্নর স্ট্রিটের কাছে, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফিজিক্স ল্যাব থেকে প্রায় দুটি ব্লক দূরে, গুলি চালানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোনো সন্দেহভাজনকে আটক করেছে কিনা তা স্পষ্ট ছিল না, কারণ অনলাইনে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন প্রচারিত হচ্ছিল।
উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রাথমিক ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হয়েছিল যে, একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা লিখেছিল, ’পুলিশের হেফাজতে কোনো সন্দেহভাজন নেই এবং তারা সন্দেহভাজনদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।’
স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এবং তাদের সাথে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং ব্যুরো অব অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস (এটিএফ) এর ফেডারেল এজেন্টরাও যোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য রোড আইল্যান্ডের রাজধানী প্রভিডেন্সের মেয়র ব্রেট স্মাইলি নিশ্চিত করেছেন, ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে সক্রিয় বন্দুকধারীর হামলায় দুজন নিহত এবং আরও আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই আইভি লীগ ক্যাম্পাসে শনিবার যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তখন সেখানে পরীক্ষা চলছিল।
রোড আইল্যান্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি এখনও পলাতক। তারা হামলাকারীকে কালো পোশাক পরিহিত পুরুষ হিসেবে শনাক্ত করেছেন, যিনি পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। তারা আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি।
এক সংবাদ সম্মেলনে স্মাইলি বলেন, স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টা ৫ মিনিটের দিকে জরুরি সেবা প্রতিক্রিয়াকারীদের কাছে ৯১১ কল আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোলাগুলির বিষয়টি জানতে পারে। স্মাইলি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, আজ বিকেলে দুইজন ব্যক্তি মারা গেছেন এবং আরও আটজন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন, যদিও তারা রোড আইল্যান্ড হাসপাতালে স্থিতিশীল আছেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধুমাত্র এই আঘাত বা হতাহতের খবর জানি। তবে যেমনটি আমি উল্লেখ করেছি—এবং জনসাধারণকে মনে করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ—এই সংখ্যাগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। আমরা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’
চলমান তদন্তের ওপর জোর দিয়ে স্মাইলি নিহতদের পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা প্যাক্সটন এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি এমন একটি দিন যা আমরা আশা করেছিলাম যেন আমাদের সম্প্রদায়ে কখনও না আসে। এটি আমাদের সকলের জন্য গভীরভাবে হৃদয়বিদারক।’ তিনি ক্যাম্পাসের সবাইকে সতর্ক থাকার এবং লকডাউন প্রোটোকল মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো সমস্ত দরজা তালাবদ্ধ রাখা এবং ক্যাম্পাস জুড়ে কোনো চলাচল না করা নিশ্চিত করা।’
শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকেল ৪ টা ২২ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথম জরুরি সতর্কতা জারি করে জানায়, বারাস অ্যান্ড হলি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফিজিক্স ভবনের কাছে একজন বন্দুকধারী রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সতর্কবার্তায় বলে, ‘দরজা লক করুন, ফোন নীরব করুন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লুকিয়ে থাকুন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘মনে রাখবেন—দৌড়ান, যদি আপনি আক্রান্ত স্থানে থাকেন তবে নিরাপদে সরে যান; লুকান, যদি সরে যাওয়া সম্ভব না হয় তবে আড়াল নিন; প্রতিরোধ করুন, শেষ অবলম্বন হিসেবে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নিন।’
প্রভিডেন্সের পুলিশ প্রধান টিমোথি ও’হারা জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভবনটিতে তল্লাশি চালায়। ও’হারা বলেন, ‘তারা ভবনটিতে পদ্ধতিগতভাবে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে সে সময় কোনো সন্দেহভাজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা সেই ভবনটি খালি করতে সক্ষম হন এবং সেই ভবনের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করে দেন।’ তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন কীভাবে ভবনে প্রবেশ করেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে সে হোপ স্ট্রিট দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।
স্থানীয় সময় ৫ টা ২৭ মিনিটে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি জানায়, গভর্নর স্ট্রিটের কাছে, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফিজিক্স ল্যাব থেকে প্রায় দুটি ব্লক দূরে, গুলি চালানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোনো সন্দেহভাজনকে আটক করেছে কিনা তা স্পষ্ট ছিল না, কারণ অনলাইনে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন প্রচারিত হচ্ছিল।
উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রাথমিক ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হয়েছিল যে, একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা লিখেছিল, ’পুলিশের হেফাজতে কোনো সন্দেহভাজন নেই এবং তারা সন্দেহভাজনদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।’
স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এবং তাদের সাথে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং ব্যুরো অব অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস (এটিএফ) এর ফেডারেল এজেন্টরাও যোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

গত বছর যখন রিচার্ড ম্যাককিনির বিয়ের অনুষ্ঠানের সব আয়োজন করেন বিবি বাহরানি। তাঁকে সাহায্য করেন তাঁর বন্ধুরা। অতিথিদের জন্য আফগান খাবার রান্না করেন বাহরামি। কারণ তিনিও যুদ্ধের ক্ষত বয়ে বেড়ানো একজন আফগান অভিবাসী। গাজর ও কিশমিশ দিয়ে ভাত, মুরগির মাংস, গরুর মাংসসহ নানা মজাদার পদ প্রস্তুত করেন। আর ইসলামি র
১২ মার্চ ২০২৩
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গতকাল শনিবারের এই হামলায় ৫ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে।
হামাস কোনো বিবৃতিতে রায়েদ সাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তারা জানিয়েছে, গাজা সিটির বাইরে একটি বেসামরিক গাড়িতে আঘাত হানা হয়েছে এবং এটিকে অক্টোবরে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করেছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, এই কমান্ডার হামাসের সক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন, যা দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের গাজায় চালানো গণহত্যার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাঁকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলে হামলার অন্যতম স্থপতি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
যদি সাদ নিহত হন, তবে চলতি বছরের অক্টোবরে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এটি হবে হামাসের একজন সিনিয়র নেতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ-পর্যায়ের হত্যাকাণ্ড। এক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সাদকে এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং তাকে হামাসের অস্ত্র উৎপাদনকারী বাহিনীর প্রধান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
হামাসের সূত্রগুলো তাকে ইজ আল-দিন আল-হাদ্দাদের পরে এই গোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখার দ্বিতীয়-কমান্ডার হিসেবেও বর্ণনা করেছে। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, সাদ হামাসের গাজা সিটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ছিলেন, যা গোষ্ঠীটির সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সুসজ্জিত ব্যাটালিয়নগুলোর মধ্যে একটি।
ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, একটি ইসরায়েলি ড্রোন গাজা শহরের পশ্চিমে নাবুলসি মোড়ে একটি গাড়িতে আঘাত হানে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংস্থাটি নির্দিষ্ট সংখ্যার কথা জানায়নি এবং স্পষ্ট নয় যে এই হামলাটিই সেই হামলা কি না, যেখানে কথিত হামাসের সদস্য নিহত হয়েছিলেন।
গাজার কর্তৃপক্ষের মতে, অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল প্রতিদিন গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, যা প্রায় ৮০০ বার পৌঁছেছে এবং কমপক্ষে ৩৮৬ জনকে হত্যা করেছে, যা চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরায়েল এখনো ছিটমহলটিতে বেশির ভাগ সাহায্যবাহী ট্রাকের প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে। শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় একটি প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের প্রতি গাজা উপত্যকায় অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করা, জাতিসংঘের স্থাপনাগুলোতে হামলা বন্ধ করা এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা, অর্থাৎ দখলদার শক্তি হিসেবে এর বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলার দাবি জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গতকাল শনিবারের এই হামলায় ৫ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে।
হামাস কোনো বিবৃতিতে রায়েদ সাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তারা জানিয়েছে, গাজা সিটির বাইরে একটি বেসামরিক গাড়িতে আঘাত হানা হয়েছে এবং এটিকে অক্টোবরে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করেছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, এই কমান্ডার হামাসের সক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন, যা দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের গাজায় চালানো গণহত্যার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাঁকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলে হামলার অন্যতম স্থপতি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
যদি সাদ নিহত হন, তবে চলতি বছরের অক্টোবরে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এটি হবে হামাসের একজন সিনিয়র নেতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ-পর্যায়ের হত্যাকাণ্ড। এক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সাদকে এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং তাকে হামাসের অস্ত্র উৎপাদনকারী বাহিনীর প্রধান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
হামাসের সূত্রগুলো তাকে ইজ আল-দিন আল-হাদ্দাদের পরে এই গোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখার দ্বিতীয়-কমান্ডার হিসেবেও বর্ণনা করেছে। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, সাদ হামাসের গাজা সিটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ছিলেন, যা গোষ্ঠীটির সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সুসজ্জিত ব্যাটালিয়নগুলোর মধ্যে একটি।
ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, একটি ইসরায়েলি ড্রোন গাজা শহরের পশ্চিমে নাবুলসি মোড়ে একটি গাড়িতে আঘাত হানে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংস্থাটি নির্দিষ্ট সংখ্যার কথা জানায়নি এবং স্পষ্ট নয় যে এই হামলাটিই সেই হামলা কি না, যেখানে কথিত হামাসের সদস্য নিহত হয়েছিলেন।
গাজার কর্তৃপক্ষের মতে, অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল প্রতিদিন গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, যা প্রায় ৮০০ বার পৌঁছেছে এবং কমপক্ষে ৩৮৬ জনকে হত্যা করেছে, যা চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরায়েল এখনো ছিটমহলটিতে বেশির ভাগ সাহায্যবাহী ট্রাকের প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে। শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় একটি প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের প্রতি গাজা উপত্যকায় অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করা, জাতিসংঘের স্থাপনাগুলোতে হামলা বন্ধ করা এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা, অর্থাৎ দখলদার শক্তি হিসেবে এর বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলার দাবি জানানো হয়েছে।

গত বছর যখন রিচার্ড ম্যাককিনির বিয়ের অনুষ্ঠানের সব আয়োজন করেন বিবি বাহরানি। তাঁকে সাহায্য করেন তাঁর বন্ধুরা। অতিথিদের জন্য আফগান খাবার রান্না করেন বাহরামি। কারণ তিনিও যুদ্ধের ক্ষত বয়ে বেড়ানো একজন আফগান অভিবাসী। গাজর ও কিশমিশ দিয়ে ভাত, মুরগির মাংস, গরুর মাংসসহ নানা মজাদার পদ প্রস্তুত করেন। আর ইসলামি র
১২ মার্চ ২০২৩
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল।
সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়।
সানা আরও জানায়, আহতদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শীও জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন।
আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল।
সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়।
সানা আরও জানায়, আহতদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শীও জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন।
আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

গত বছর যখন রিচার্ড ম্যাককিনির বিয়ের অনুষ্ঠানের সব আয়োজন করেন বিবি বাহরানি। তাঁকে সাহায্য করেন তাঁর বন্ধুরা। অতিথিদের জন্য আফগান খাবার রান্না করেন বাহরামি। কারণ তিনিও যুদ্ধের ক্ষত বয়ে বেড়ানো একজন আফগান অভিবাসী। গাজর ও কিশমিশ দিয়ে ভাত, মুরগির মাংস, গরুর মাংসসহ নানা মজাদার পদ প্রস্তুত করেন। আর ইসলামি র
১২ মার্চ ২০২৩
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে