ফকির লালন সাঁইয়ের ১৩২ তম তিরোধান দিবস পালন করা হয়েছে নিউইয়র্কে। দ্বিতীয়বারের মতো এ আয়োজন করেছে কুষ্টিয়া ফ্রেন্ড সোসাইটি ইউএসএ।
জামাইকার একটি রেস্টুরেন্টে ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় মেলাল শাহ ও কানিজ দীপ্তি লালন সংগীত পরিবেশন করেন। সাকি তরফদারের সঞ্চালনায় বক্তারা অসাম্প্রদায়িক, মানবতাবাদী লালন চর্চা সহিংস এ পৃথিবীর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বক্তব্য রাখেন।
আয়োজনের অন্যতম উদ্যোক্তা গবেষক ও কণ্ঠশিল্পী মেলাল শাহ বলেন, ‘পৃথিবীব্যাপী ধর্ম, জাতি, বর্ণে যে বিভেদ তা লালন সাঁইজীর বাণীর মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। সাঁইজি সবার ঊর্ধ্বে মানুষকে স্থান দিয়েছেন। আমরা চেষ্টা করছি সবার মাধ্যে লালনের গান ও দর্শন প্রচার করতে।’
কুষ্টিয়া ফ্রেন্ড সোসাইটির সভাপতি শামীম হাসান বলেন, ‘দ্বিতীয়বারের মতো আমাদের এই আয়োজনে পুরো নিউইয়র্কের ব্যাপক উপস্থিতি আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। আগামীতে আমরা আরও বড় আয়োজন করব সবার সহযোগিতা নিয়ে।’
অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিক ও নাট্যকার তোফাজ্জল লিটন বলেন, ‘সহিংস এ পৃথিবীতে লালনের বাণী খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্যই বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে লালন সাঁইয়ের জীবন দর্শন ও গান নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। নিজেদের পরিবার পরিজনের মধ্যে লালনের বাণী প্রচার করতে হবে প্রথম। লালন শাহ বলে বা লিখে লালনকে কোনো ধর্মীয় গণ্ডিতে রাখা উচিত নয়। লালন সাঁই বলে প্রচার করলে তাঁর যথার্থ সম্মান হয়।’
অনুষ্ঠানের প্রধান শিল্পী ও সংগীত আয়োজক মেলাল শাহর গানে দর্শকেরা মধ্যরাত পর্যন্ত নিমগ্ন ছিলেন।
ফকির লালন সাঁইয়ের ১৩২ তম তিরোধান দিবস পালন করা হয়েছে নিউইয়র্কে। দ্বিতীয়বারের মতো এ আয়োজন করেছে কুষ্টিয়া ফ্রেন্ড সোসাইটি ইউএসএ।
জামাইকার একটি রেস্টুরেন্টে ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় মেলাল শাহ ও কানিজ দীপ্তি লালন সংগীত পরিবেশন করেন। সাকি তরফদারের সঞ্চালনায় বক্তারা অসাম্প্রদায়িক, মানবতাবাদী লালন চর্চা সহিংস এ পৃথিবীর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বক্তব্য রাখেন।
আয়োজনের অন্যতম উদ্যোক্তা গবেষক ও কণ্ঠশিল্পী মেলাল শাহ বলেন, ‘পৃথিবীব্যাপী ধর্ম, জাতি, বর্ণে যে বিভেদ তা লালন সাঁইজীর বাণীর মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। সাঁইজি সবার ঊর্ধ্বে মানুষকে স্থান দিয়েছেন। আমরা চেষ্টা করছি সবার মাধ্যে লালনের গান ও দর্শন প্রচার করতে।’
কুষ্টিয়া ফ্রেন্ড সোসাইটির সভাপতি শামীম হাসান বলেন, ‘দ্বিতীয়বারের মতো আমাদের এই আয়োজনে পুরো নিউইয়র্কের ব্যাপক উপস্থিতি আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। আগামীতে আমরা আরও বড় আয়োজন করব সবার সহযোগিতা নিয়ে।’
অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিক ও নাট্যকার তোফাজ্জল লিটন বলেন, ‘সহিংস এ পৃথিবীতে লালনের বাণী খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্যই বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে লালন সাঁইয়ের জীবন দর্শন ও গান নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। নিজেদের পরিবার পরিজনের মধ্যে লালনের বাণী প্রচার করতে হবে প্রথম। লালন শাহ বলে বা লিখে লালনকে কোনো ধর্মীয় গণ্ডিতে রাখা উচিত নয়। লালন সাঁই বলে প্রচার করলে তাঁর যথার্থ সম্মান হয়।’
অনুষ্ঠানের প্রধান শিল্পী ও সংগীত আয়োজক মেলাল শাহর গানে দর্শকেরা মধ্যরাত পর্যন্ত নিমগ্ন ছিলেন।
ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে চলমান আলোচনার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বুধবার দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন যে, নয়াদিল্লি রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করবে। প্রায় দুই মাস আগে রুশ তেল আমদানির কারণে ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ...
৩ ঘণ্টা আগেসিরিয়ার সাবেক স্বৈরশাসক বাশার আল–আসাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল রাশিয়া। তাঁর পতনের পর তাঁকে আশ্রয়ও দেয় রাশিয়া। তবে তারপরও দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ‘পুনরুদ্ধার ও নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত’ করতে চায় আহমেদ আল–শারার নেতৃত্বাধীন সিরিয়া। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বুধবার বলেছেন, তাঁর মধ্যস্থতায় গাজায় যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে, সেটির শর্ত বাস্তবায়নে হামাস ব্যর্থ হলে তিনি ইসরায়েলকে আবারও সামরিক অভিযান চালানোর অনুমতি দিতে পারেন। তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন থেকে...
৫ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় গোপন অভিযান চালানোর জন্য তিনি তাঁর দেশের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-কে অনুমোদন দিয়েছেন। নিকোলাস মাদুরোর সরকারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের চাপের অভিযানকে এটি নতুন মাত্রায় নিয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে চলমান আলোচনার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বুধবার দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে ‘আশ্বস্ত করেছেন’ যে, নয়াদিল্লি ‘রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করবে।’ প্রায় দুই মাস আগে রুশ তেল আমদানির কারণে ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প আরও বলেছেন, এবার তিনি চীনকেও একই কাজ করতে বাধ্য করার চেষ্টা করবেন, কারণ ওয়াশিংটন মস্কোর জ্বালানি আয়ের উৎস বন্ধ করতে কাজ করছে। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘এটা এমন একটা যুদ্ধ, যা শুরুই হওয়া উচিত ছিল না। কিন্তু রাশিয়ার এই যুদ্ধ প্রথম সপ্তাহেই শেষ করে ফেলার কথা ছিল। অথচ এখন তারা চতুর্থ বছরে ঢুকছে। আমি চাই এই যুদ্ধ থেমে যাক।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি খুশি ছিলাম না যে, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনছিল। আজ মোদি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, তাঁরা আর রাশিয়া থেকে তেল কিনবে না। অবশ্য এটা হুট করে করা যায় না, কিছুটা সময় লাগবে। তবে এই প্রক্রিয়া শিগগিরই শেষ হবে।’ ট্রাম্প বলেন, ‘এটা একটা বড় পদক্ষেপ। এখন আমরা চীনকেও একই কাজ করাব। এটা তুলনামূলকভাবে সহজ হবে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে গত সপ্তাহে আমরা যা করেছি তার তুলনায়।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এখানে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং বন্দিমুক্তি সংক্রান্ত তার মধ্যস্থতায় হওয়া শান্তি চুক্তির কথা উল্লেখ করছিলেন। ট্রাম্প আরও বলেন, ‘ভারত যদি রাশিয়া থেকে তেল না কেনে, তাহলে এই যুদ্ধ শেষ করা সহজ হবে। তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছে, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তারা রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করবে। যুদ্ধ শেষ হলে তারা আবার রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা করবে।’
মোদি ও ট্রাম্প ১৬ সেপ্টেম্বর এবং ৯ অক্টোবর কথা বলেছেন। তবে ভারতের পক্ষ থেকে এমন কোনো মন্তব্য করা হয়নি যে মোদি রুশ তেল আমদানি বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে মোদি সম্পর্কে প্রশংসাসূচক মন্তব্যও করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘মোদি একজন অসাধারণ মানুষ। তিনি ট্রাম্পকে ভালোবাসেন। আমি বহু বছর ধরে ভারতকে পর্যবেক্ষণ করছি। এটা এক অবিশ্বাস্য দেশ। আগে প্রায়ই নেতৃত্ব বদল হতো, এখন আমার বন্ধু অনেক দিন ধরে দায়িত্বে আছেন।’
ট্রাম্প যদিও দাবি করেছেন, ভারত যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত রুশ তেল কেনা স্থগিত রাখবে, কিন্তু ভারতের সরকারি কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন—নয়াদিল্লি যুক্তরাষ্ট্র থেকে জ্বালানি আমদানি বাড়াতে প্রস্তুত। সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত বাণিজ্য তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বেড়েছে ১১ শতাংশ, আর যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি কমেছে ১২ শতাংশ।
বাণিজ্যসচিব রাজেশ আগরওয়াল বুধবার বলেন, গত সাত–আট বছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে জ্বালানি আমদানি—মূলত অপরিশোধিত তেল—২৫ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে প্রায় ১২–১৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। তিনি বলেন, ‘তাই এখানে প্রায় ১২–১৫ বিলিয়ন ডলারের সুযোগ আছে, যা আমরা কিনতে পারি রিফাইনারির কনফিগারেশন নিয়ে চিন্তা না করেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা দ্বিপক্ষীয় অঙ্গীকারের অংশ। আলোচনায় আমরা ইতিবাচকভাবে জানিয়েছি যে ভারত তার জ্বালানি আমদানির উৎস বৈচিত্র্য আনতে চায়। বড় ক্রেতা হিসেবে এটা ভারতের জন্য সবচেয়ে ভালো কৌশল।’ যুক্তরাষ্ট্র গত ২৭ আগস্ট ভারতে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, ফলে মোট শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে। এর ফলে সেপ্টেম্বরে ভারতের রপ্তানি ১২ শতাংশ কমে গেছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলও গত মাসে বলেছিলেন, ভারত একটি বড় জ্বালানি আমদানিকারক দেশ এবং তাদের জ্বালানি নিরাপত্তা লক্ষ্য অর্জনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা আগামী বছরগুলোতে ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ’ হবে। তবে ভারত বারবার বলেছে, তারা রাশিয়া থেকে তেল কেনা চালিয়ে যাবে। বর্তমানে রাশিয়া ভারতের সবচেয়ে বড় তেল সরবরাহকারী। তেল রপ্তানি রাশিয়ার প্রধান আয়ের উৎস, আর চীনের পর ভারতই রুশ তেলের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রেতা।
যুক্তরাষ্ট্রের কড়া অবস্থান ও ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের পরও ভারত রুশ তেল কেনা বন্ধের কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। জুলাই ও আগস্টে ভারতের বন্দরে রুশ তেল আসা কিছুটা কমলেও, বিশেষজ্ঞরা বলছেন—এর কারণ ছিল রুশ তেলের ছাড় কমে যাওয়া, যুক্তরাষ্ট্রের চাপ নয়।
সেপ্টেম্বরের শেষ দিক থেকে রুশ তেল সরবরাহের পরিসংখ্যানই দেখাবে, ট্রাম্পের কঠোর বক্তব্য ও শুল্কনীতি ভারতের রুশ তেল আমদানিতে কোনো প্রভাব ফেলেছে কি না। এদিকে ভারতের রাষ্ট্রীয় তেল সংস্থাগুলো জানিয়েছে, সরকার থেকে তেল কেনা বন্ধের কোনো নির্দেশ তারা পায়নি। দাম ও ব্যবসায়িক সুবিধা অনুকূল থাকলে তারা রুশ তেল কেনা অব্যাহত রাখবে।
ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে চলমান আলোচনার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বুধবার দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে ‘আশ্বস্ত করেছেন’ যে, নয়াদিল্লি ‘রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করবে।’ প্রায় দুই মাস আগে রুশ তেল আমদানির কারণে ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প আরও বলেছেন, এবার তিনি চীনকেও একই কাজ করতে বাধ্য করার চেষ্টা করবেন, কারণ ওয়াশিংটন মস্কোর জ্বালানি আয়ের উৎস বন্ধ করতে কাজ করছে। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘এটা এমন একটা যুদ্ধ, যা শুরুই হওয়া উচিত ছিল না। কিন্তু রাশিয়ার এই যুদ্ধ প্রথম সপ্তাহেই শেষ করে ফেলার কথা ছিল। অথচ এখন তারা চতুর্থ বছরে ঢুকছে। আমি চাই এই যুদ্ধ থেমে যাক।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি খুশি ছিলাম না যে, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনছিল। আজ মোদি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, তাঁরা আর রাশিয়া থেকে তেল কিনবে না। অবশ্য এটা হুট করে করা যায় না, কিছুটা সময় লাগবে। তবে এই প্রক্রিয়া শিগগিরই শেষ হবে।’ ট্রাম্প বলেন, ‘এটা একটা বড় পদক্ষেপ। এখন আমরা চীনকেও একই কাজ করাব। এটা তুলনামূলকভাবে সহজ হবে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে গত সপ্তাহে আমরা যা করেছি তার তুলনায়।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এখানে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং বন্দিমুক্তি সংক্রান্ত তার মধ্যস্থতায় হওয়া শান্তি চুক্তির কথা উল্লেখ করছিলেন। ট্রাম্প আরও বলেন, ‘ভারত যদি রাশিয়া থেকে তেল না কেনে, তাহলে এই যুদ্ধ শেষ করা সহজ হবে। তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছে, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তারা রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করবে। যুদ্ধ শেষ হলে তারা আবার রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা করবে।’
মোদি ও ট্রাম্প ১৬ সেপ্টেম্বর এবং ৯ অক্টোবর কথা বলেছেন। তবে ভারতের পক্ষ থেকে এমন কোনো মন্তব্য করা হয়নি যে মোদি রুশ তেল আমদানি বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে মোদি সম্পর্কে প্রশংসাসূচক মন্তব্যও করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘মোদি একজন অসাধারণ মানুষ। তিনি ট্রাম্পকে ভালোবাসেন। আমি বহু বছর ধরে ভারতকে পর্যবেক্ষণ করছি। এটা এক অবিশ্বাস্য দেশ। আগে প্রায়ই নেতৃত্ব বদল হতো, এখন আমার বন্ধু অনেক দিন ধরে দায়িত্বে আছেন।’
ট্রাম্প যদিও দাবি করেছেন, ভারত যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত রুশ তেল কেনা স্থগিত রাখবে, কিন্তু ভারতের সরকারি কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন—নয়াদিল্লি যুক্তরাষ্ট্র থেকে জ্বালানি আমদানি বাড়াতে প্রস্তুত। সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত বাণিজ্য তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বেড়েছে ১১ শতাংশ, আর যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি কমেছে ১২ শতাংশ।
বাণিজ্যসচিব রাজেশ আগরওয়াল বুধবার বলেন, গত সাত–আট বছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে জ্বালানি আমদানি—মূলত অপরিশোধিত তেল—২৫ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে প্রায় ১২–১৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। তিনি বলেন, ‘তাই এখানে প্রায় ১২–১৫ বিলিয়ন ডলারের সুযোগ আছে, যা আমরা কিনতে পারি রিফাইনারির কনফিগারেশন নিয়ে চিন্তা না করেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা দ্বিপক্ষীয় অঙ্গীকারের অংশ। আলোচনায় আমরা ইতিবাচকভাবে জানিয়েছি যে ভারত তার জ্বালানি আমদানির উৎস বৈচিত্র্য আনতে চায়। বড় ক্রেতা হিসেবে এটা ভারতের জন্য সবচেয়ে ভালো কৌশল।’ যুক্তরাষ্ট্র গত ২৭ আগস্ট ভারতে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, ফলে মোট শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে। এর ফলে সেপ্টেম্বরে ভারতের রপ্তানি ১২ শতাংশ কমে গেছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলও গত মাসে বলেছিলেন, ভারত একটি বড় জ্বালানি আমদানিকারক দেশ এবং তাদের জ্বালানি নিরাপত্তা লক্ষ্য অর্জনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা আগামী বছরগুলোতে ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ’ হবে। তবে ভারত বারবার বলেছে, তারা রাশিয়া থেকে তেল কেনা চালিয়ে যাবে। বর্তমানে রাশিয়া ভারতের সবচেয়ে বড় তেল সরবরাহকারী। তেল রপ্তানি রাশিয়ার প্রধান আয়ের উৎস, আর চীনের পর ভারতই রুশ তেলের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রেতা।
যুক্তরাষ্ট্রের কড়া অবস্থান ও ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের পরও ভারত রুশ তেল কেনা বন্ধের কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। জুলাই ও আগস্টে ভারতের বন্দরে রুশ তেল আসা কিছুটা কমলেও, বিশেষজ্ঞরা বলছেন—এর কারণ ছিল রুশ তেলের ছাড় কমে যাওয়া, যুক্তরাষ্ট্রের চাপ নয়।
সেপ্টেম্বরের শেষ দিক থেকে রুশ তেল সরবরাহের পরিসংখ্যানই দেখাবে, ট্রাম্পের কঠোর বক্তব্য ও শুল্কনীতি ভারতের রুশ তেল আমদানিতে কোনো প্রভাব ফেলেছে কি না। এদিকে ভারতের রাষ্ট্রীয় তেল সংস্থাগুলো জানিয়েছে, সরকার থেকে তেল কেনা বন্ধের কোনো নির্দেশ তারা পায়নি। দাম ও ব্যবসায়িক সুবিধা অনুকূল থাকলে তারা রুশ তেল কেনা অব্যাহত রাখবে।
ফকির লালন সাঁইয়ের ১৩২ তম তিরোধান দিবস পালন করা হয়েছে নিউইয়র্কে। দ্বিতীয়বারের মতো এ আয়োজন করেছে কুষ্টিয়া ফ্রেন্ড সোসাইটি ইউএসএ।
১৬ অক্টোবর ২০২২সিরিয়ার সাবেক স্বৈরশাসক বাশার আল–আসাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল রাশিয়া। তাঁর পতনের পর তাঁকে আশ্রয়ও দেয় রাশিয়া। তবে তারপরও দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ‘পুনরুদ্ধার ও নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত’ করতে চায় আহমেদ আল–শারার নেতৃত্বাধীন সিরিয়া। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বুধবার বলেছেন, তাঁর মধ্যস্থতায় গাজায় যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে, সেটির শর্ত বাস্তবায়নে হামাস ব্যর্থ হলে তিনি ইসরায়েলকে আবারও সামরিক অভিযান চালানোর অনুমতি দিতে পারেন। তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন থেকে...
৫ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় গোপন অভিযান চালানোর জন্য তিনি তাঁর দেশের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-কে অনুমোদন দিয়েছেন। নিকোলাস মাদুরোর সরকারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের চাপের অভিযানকে এটি নতুন মাত্রায় নিয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
সিরিয়ার সাবেক স্বৈরশাসক বাশার আল–আসাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল রাশিয়া। তাঁর পতনের পর তাঁকে আশ্রয়ও দেয় রাশিয়া। তবে তারপরও দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ‘পুনরুদ্ধার ও নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত’ করতে চায় আহমেদ আল–শারার নেতৃত্বাধীন সিরিয়া। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আহমেদ আল-শারা জানিয়েছেন, তিনি মস্কোর সঙ্গে দামেস্কের সম্পর্ক ‘পুনরুদ্ধার ও নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত’ করতে চান। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার মস্কোতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন। রাশিয়া উৎখাত হওয়া সাবেক সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল।
বুধবার প্রথম সরকারি সফরে মস্কোয় গিয়ে ক্রেমলিনে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের সময় আল-শারা এ মন্তব্য করেন। পুতিনের সঙ্গে বৈঠকটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হলো, যার আগে প্রায় ১০ মাস ধরে আসাদকে রাশিয়াই আশ্রয় দিচ্ছে।
আল-শারা বলেন, ‘আমরা এই সম্পর্কগুলো পুনর্গঠন করতে চাই এবং নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করতে চাই—যাতে সিরিয়া স্বাধীন ও সার্বভৌম থাকে, তার ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও নিরাপত্তা স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।’ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আশ্বস্ত করেন যে, দামেস্ক মস্কোর সঙ্গে আগের সব চুক্তি মেনে চলবে। তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে করা সব চুক্তির প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপি সিরিয়ার কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, আল-শারা এই সফরে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বাশার আল-আসাদকে রাশিয়ার কাছ থেকে হস্তান্তরের অনুরোধ জানাবেন। যদিও সিরিয়ার ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধে রাশিয়া ও আল-শারার গোষ্ঠী বিপরীত পক্ষে ছিল, নতুন সরকার এখন বাস্তববাদী কূটনৈতিক নীতি নিয়েছে। তারা শুধু রাশিয়ার সঙ্গেই নয়, অন্যান্য বিদেশি শক্তির সঙ্গেও সম্পর্ক পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে।
দামেস্কের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি পুনর্গঠনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতেও রাশিয়ার সহায়তা চায়। এর আগে, মার্কিন টেলিভিশন সিবিএস–কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আল-শারা বলেছিলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে সিরিয়ার দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তা রাষ্ট্রের মৌলিক কাঠামোর সঙ্গে জড়িত, বিশেষ করে জ্বালানি ও খাদ্য খাতে, যেগুলোর জন্য সিরিয়া আংশিকভাবে রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। এর সঙ্গে কিছু পুরোনো কৌশলগত স্বার্থও আছে।’
অন্যদিকে রাশিয়া এখনো সিরিয়া উপকূলে তাদের বিমান ও নৌঘাঁটিতে অবস্থান ধরে রেখেছে। ক্রেমলিন জানিয়েছে, এই ঘাঁটিগুলো রাখার বিষয়ে তারা একটি চুক্তি করার আশায় আছে। এ ছাড়া রাশিয়া সিরিয়ায় তেল পাঠানো অব্যাহত রেখেছে বলেও জানা গেছে। তবে আল-শারার সংক্ষিপ্ত টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে আসাদ ইস্যু নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
আল-শারাকে স্বাগত জানিয়ে পুতিন বলেন, দুই দেশের মধ্যে ‘বিশেষ সম্পর্কের’ দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, যা সব সময় সিরিয়ার জনগণের স্বার্থে পরিচালিত হয়েছে। তিনি জানান, রাশিয়া এই সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণে আগ্রহী। পুতিন সিরিয়ার সাম্প্রতিক পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রশংসা করেন, যা আসাদের পতনের পর প্রথম নির্বাচন। তিনি বলেন, ‘এটি আপনার জন্য একটি বড় অর্জন, কারণ এটি সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করবে। সিরিয়া বর্তমানে কঠিন সময় পার করলেও এই নির্বাচন দেশটির সব রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে সম্পর্ক ও সহযোগিতা আরও দৃঢ় করবে।’
সিরিয়ার সাবেক স্বৈরশাসক বাশার আল–আসাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল রাশিয়া। তাঁর পতনের পর তাঁকে আশ্রয়ও দেয় রাশিয়া। তবে তারপরও দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ‘পুনরুদ্ধার ও নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত’ করতে চায় আহমেদ আল–শারার নেতৃত্বাধীন সিরিয়া। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আহমেদ আল-শারা জানিয়েছেন, তিনি মস্কোর সঙ্গে দামেস্কের সম্পর্ক ‘পুনরুদ্ধার ও নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত’ করতে চান। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার মস্কোতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন। রাশিয়া উৎখাত হওয়া সাবেক সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল।
বুধবার প্রথম সরকারি সফরে মস্কোয় গিয়ে ক্রেমলিনে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের সময় আল-শারা এ মন্তব্য করেন। পুতিনের সঙ্গে বৈঠকটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হলো, যার আগে প্রায় ১০ মাস ধরে আসাদকে রাশিয়াই আশ্রয় দিচ্ছে।
আল-শারা বলেন, ‘আমরা এই সম্পর্কগুলো পুনর্গঠন করতে চাই এবং নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করতে চাই—যাতে সিরিয়া স্বাধীন ও সার্বভৌম থাকে, তার ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও নিরাপত্তা স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।’ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আশ্বস্ত করেন যে, দামেস্ক মস্কোর সঙ্গে আগের সব চুক্তি মেনে চলবে। তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে করা সব চুক্তির প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপি সিরিয়ার কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, আল-শারা এই সফরে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বাশার আল-আসাদকে রাশিয়ার কাছ থেকে হস্তান্তরের অনুরোধ জানাবেন। যদিও সিরিয়ার ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধে রাশিয়া ও আল-শারার গোষ্ঠী বিপরীত পক্ষে ছিল, নতুন সরকার এখন বাস্তববাদী কূটনৈতিক নীতি নিয়েছে। তারা শুধু রাশিয়ার সঙ্গেই নয়, অন্যান্য বিদেশি শক্তির সঙ্গেও সম্পর্ক পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে।
দামেস্কের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি পুনর্গঠনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেতেও রাশিয়ার সহায়তা চায়। এর আগে, মার্কিন টেলিভিশন সিবিএস–কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আল-শারা বলেছিলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে সিরিয়ার দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তা রাষ্ট্রের মৌলিক কাঠামোর সঙ্গে জড়িত, বিশেষ করে জ্বালানি ও খাদ্য খাতে, যেগুলোর জন্য সিরিয়া আংশিকভাবে রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। এর সঙ্গে কিছু পুরোনো কৌশলগত স্বার্থও আছে।’
অন্যদিকে রাশিয়া এখনো সিরিয়া উপকূলে তাদের বিমান ও নৌঘাঁটিতে অবস্থান ধরে রেখেছে। ক্রেমলিন জানিয়েছে, এই ঘাঁটিগুলো রাখার বিষয়ে তারা একটি চুক্তি করার আশায় আছে। এ ছাড়া রাশিয়া সিরিয়ায় তেল পাঠানো অব্যাহত রেখেছে বলেও জানা গেছে। তবে আল-শারার সংক্ষিপ্ত টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে আসাদ ইস্যু নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
আল-শারাকে স্বাগত জানিয়ে পুতিন বলেন, দুই দেশের মধ্যে ‘বিশেষ সম্পর্কের’ দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে, যা সব সময় সিরিয়ার জনগণের স্বার্থে পরিচালিত হয়েছে। তিনি জানান, রাশিয়া এই সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণে আগ্রহী। পুতিন সিরিয়ার সাম্প্রতিক পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রশংসা করেন, যা আসাদের পতনের পর প্রথম নির্বাচন। তিনি বলেন, ‘এটি আপনার জন্য একটি বড় অর্জন, কারণ এটি সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করবে। সিরিয়া বর্তমানে কঠিন সময় পার করলেও এই নির্বাচন দেশটির সব রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে সম্পর্ক ও সহযোগিতা আরও দৃঢ় করবে।’
ফকির লালন সাঁইয়ের ১৩২ তম তিরোধান দিবস পালন করা হয়েছে নিউইয়র্কে। দ্বিতীয়বারের মতো এ আয়োজন করেছে কুষ্টিয়া ফ্রেন্ড সোসাইটি ইউএসএ।
১৬ অক্টোবর ২০২২ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে চলমান আলোচনার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বুধবার দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন যে, নয়াদিল্লি রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করবে। প্রায় দুই মাস আগে রুশ তেল আমদানির কারণে ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ...
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বুধবার বলেছেন, তাঁর মধ্যস্থতায় গাজায় যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে, সেটির শর্ত বাস্তবায়নে হামাস ব্যর্থ হলে তিনি ইসরায়েলকে আবারও সামরিক অভিযান চালানোর অনুমতি দিতে পারেন। তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন থেকে...
৫ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় গোপন অভিযান চালানোর জন্য তিনি তাঁর দেশের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-কে অনুমোদন দিয়েছেন। নিকোলাস মাদুরোর সরকারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের চাপের অভিযানকে এটি নতুন মাত্রায় নিয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বুধবার বলেছেন, তাঁর মধ্যস্থতায় গাজায় যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে, সেটির শর্ত বাস্তবায়নে হামাস ব্যর্থ হলে তিনি ইসরায়েলকে আবারও সামরিক অভিযান চালানোর অনুমতি দিতে পারেন। তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ট্রাম্প মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘হামাস নিয়ে যা চলছে—ওটা খুব তাড়াতাড়িই ঠিক হয়ে যাবে।’
সাংবাদিক যখন জানতে চান যে, হামাস যদি নিরস্ত্রীকরণে অস্বীকৃতি জানায়, তখন কী হবে—জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি শুধু বললেই ইসরায়েল আবার সেই রাস্তায় ফিরবে। যদি ইসরায়েল যেতে পারে আর ওদের একদম ধ্বংস করে দিতে পারে, ওরা সেটা করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাকেই ওদের (ইসরায়েলকে) আটকাতে হয়েছে।’
ট্রাম্প বলেন, জীবিত ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে ফেরত পাওয়া ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’, তবে এখন হামাসকে মৃত ইসরায়েলিদের দেহাবশেষ ফিরিয়ে দিতে হবে এবং অস্ত্র নামাতে হবে।
অন্যদিকে, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস বুধবার জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে তারা গাজায় নিহত আরও দুই ইসরায়েলি বন্দির মরদেহ হস্তান্তর করবে।
হামাসের সশস্ত্র শাখা ক্বাসাম ব্রিগেড এক বিবৃতিতে জানায়, স্থানীয় সময় রাত ১০টায় মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হবে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা চুক্তির সব শর্ত মেনে চলেছি। আমাদের হাতে থাকা সব জীবিত বন্দিকে মুক্তি দিয়েছি এবং যেসব দেহাবশেষ উদ্ধার সম্ভব হয়েছে, সেগুলোও হস্তান্তর করেছি।’
হামাস আরও জানায়, অবশিষ্ট দেহাবশেষ উদ্ধার করতে ‘বিশেষ সরঞ্জাম ও বিপুল পরিশ্রম’ প্রয়োজন, এবং তারা ‘এই অধ্যায়টি শেষ করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে।’
গত সপ্তাহে ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ইসরায়েল ও হামাস তাঁর প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার প্রথম ধাপে সম্মত হয়েছে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা, সব ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তির বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি এবং ধীরে ধীরে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হবে। পরিকল্পনার প্রথম ধাপ কার্যকর হয় গত শুক্রবার।
চুক্তির অধীনে, হামাস ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে এবং ৮ জনের দেহাবশেষ হস্তান্তর করেছে। এর বিনিময়ে প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল।
পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপে গাজায় নতুন প্রশাসনিক কাঠামো গঠন করা হবে, যেখানে হামাস থাকবে না। পাশাপাশি একটি বহুজাতিক শান্তিরক্ষা বাহিনী গঠন এবং হামাসের পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ নিশ্চিত করা হবে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ৬৭ হাজার ৯০০-রও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। লাগাতার বোমাবর্ষণে উপত্যকাটি এখন প্রায় বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বুধবার বলেছেন, তাঁর মধ্যস্থতায় গাজায় যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে, সেটির শর্ত বাস্তবায়নে হামাস ব্যর্থ হলে তিনি ইসরায়েলকে আবারও সামরিক অভিযান চালানোর অনুমতি দিতে পারেন। তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ট্রাম্প মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘হামাস নিয়ে যা চলছে—ওটা খুব তাড়াতাড়িই ঠিক হয়ে যাবে।’
সাংবাদিক যখন জানতে চান যে, হামাস যদি নিরস্ত্রীকরণে অস্বীকৃতি জানায়, তখন কী হবে—জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি শুধু বললেই ইসরায়েল আবার সেই রাস্তায় ফিরবে। যদি ইসরায়েল যেতে পারে আর ওদের একদম ধ্বংস করে দিতে পারে, ওরা সেটা করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাকেই ওদের (ইসরায়েলকে) আটকাতে হয়েছে।’
ট্রাম্প বলেন, জীবিত ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে ফেরত পাওয়া ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’, তবে এখন হামাসকে মৃত ইসরায়েলিদের দেহাবশেষ ফিরিয়ে দিতে হবে এবং অস্ত্র নামাতে হবে।
অন্যদিকে, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস বুধবার জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে তারা গাজায় নিহত আরও দুই ইসরায়েলি বন্দির মরদেহ হস্তান্তর করবে।
হামাসের সশস্ত্র শাখা ক্বাসাম ব্রিগেড এক বিবৃতিতে জানায়, স্থানীয় সময় রাত ১০টায় মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হবে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা চুক্তির সব শর্ত মেনে চলেছি। আমাদের হাতে থাকা সব জীবিত বন্দিকে মুক্তি দিয়েছি এবং যেসব দেহাবশেষ উদ্ধার সম্ভব হয়েছে, সেগুলোও হস্তান্তর করেছি।’
হামাস আরও জানায়, অবশিষ্ট দেহাবশেষ উদ্ধার করতে ‘বিশেষ সরঞ্জাম ও বিপুল পরিশ্রম’ প্রয়োজন, এবং তারা ‘এই অধ্যায়টি শেষ করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে।’
গত সপ্তাহে ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ইসরায়েল ও হামাস তাঁর প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার প্রথম ধাপে সম্মত হয়েছে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা, সব ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তির বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি এবং ধীরে ধীরে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হবে। পরিকল্পনার প্রথম ধাপ কার্যকর হয় গত শুক্রবার।
চুক্তির অধীনে, হামাস ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে এবং ৮ জনের দেহাবশেষ হস্তান্তর করেছে। এর বিনিময়ে প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল।
পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপে গাজায় নতুন প্রশাসনিক কাঠামো গঠন করা হবে, যেখানে হামাস থাকবে না। পাশাপাশি একটি বহুজাতিক শান্তিরক্ষা বাহিনী গঠন এবং হামাসের পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ নিশ্চিত করা হবে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ৬৭ হাজার ৯০০-রও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। লাগাতার বোমাবর্ষণে উপত্যকাটি এখন প্রায় বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
ফকির লালন সাঁইয়ের ১৩২ তম তিরোধান দিবস পালন করা হয়েছে নিউইয়র্কে। দ্বিতীয়বারের মতো এ আয়োজন করেছে কুষ্টিয়া ফ্রেন্ড সোসাইটি ইউএসএ।
১৬ অক্টোবর ২০২২ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে চলমান আলোচনার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বুধবার দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন যে, নয়াদিল্লি রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করবে। প্রায় দুই মাস আগে রুশ তেল আমদানির কারণে ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ...
৩ ঘণ্টা আগেসিরিয়ার সাবেক স্বৈরশাসক বাশার আল–আসাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল রাশিয়া। তাঁর পতনের পর তাঁকে আশ্রয়ও দেয় রাশিয়া। তবে তারপরও দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ‘পুনরুদ্ধার ও নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত’ করতে চায় আহমেদ আল–শারার নেতৃত্বাধীন সিরিয়া। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় গোপন অভিযান চালানোর জন্য তিনি তাঁর দেশের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-কে অনুমোদন দিয়েছেন। নিকোলাস মাদুরোর সরকারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের চাপের অভিযানকে এটি নতুন মাত্রায় নিয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় গোপন অভিযান চালানোর জন্য তিনি তাঁর দেশের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-কে অনুমোদন দিয়েছেন। নিকোলাস মাদুরোর সরকারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের চাপের অভিযানকে এটি নতুন মাত্রায় নিয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প আরও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তিনি ভেনেজুয়েলার ভেতরেই সামরিক হামলার কথা বিবেচনা করছেন—যা হবে এক চরম পদক্ষেপ। এর আগে ক্যারিবীয় সাগরে নৌকায় প্রাণঘাতী হামলার একাধিক ঘটনায় জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ ও মার্কিন বিরোধীদল ডেমোক্র্যাটরা তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এসব হামলা অবৈধ।
ট্রাম্পের মন্তব্যের পর ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘সিআইএ-এর নেতৃত্বে অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র চলছে।’
তিনি এক ভাষণে বলেন, ‘ক্যারিবীয় সাগরে যুদ্ধ নয়… সরকার পরিবর্তনের ষড়যন্ত্র নয়… সিআইএ-এর নেতৃত্বে অভ্যুত্থান নয়।’ ওই ভাষণটি তিনি দেন এমন এক কমিটির বৈঠকে, যা যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের পর গঠিত হয়েছিল। ওয়াশিংটন দাবি করেছে, ওই অভিযান ছিল ‘মাদকবিরোধী।’
ট্রাম্পের সিআইএ-কে নিয়ে মন্তব্য নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনের সত্যতা নিশ্চিত করে। আগেই পত্রিকাটি ভেনেজুয়েলায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোপন অভিযানের বিষয়ে শ্রেণিবদ্ধ এক ক্লাসিফাইড নথির ভিত্তিতে খবর প্রকাশ করেছিল।
ট্রাম্প বলেন, তাঁর প্রশাসন ভেনেজুয়েলার ‘ভূখণ্ডেও হামলা চালানোর বিষয়টিও ভাবছে।’ তবে সাংবাদিকরা যখন জিজ্ঞাসা করেন সিআইএ কি মাদুরোকে হত্যার অনুমোদন পেয়েছে, তখন তিনি কোনো উত্তর দেননি। তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় ভেনেজুয়েলা এখন চাপে আছে।’
ট্রাম্প দাবি করেন, ভেনেজুয়েলা যুক্তরাষ্ট্রে বন্দিদের ছেড়ে দিচ্ছে, এমনকি মানসিক হাসপাতালের রোগীদেরও পাঠাচ্ছে। এছাড়া, তিনি অভিযোগ করেন, ভেনেজুয়েলা সমুদ্রপথে বিপুল পরিমাণ মাদক যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করছে। তবে এই দাবিগুলোর পক্ষে কোনো প্রমাণ দেননি তিনি।
বিশেষজ্ঞরা বারবার বলেছেন, ভেনেজুয়েলা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এমন হুমকি আসছে—ট্রাম্পের এই দাবি ভিত্তিহীন।
এ মাসের শুরুতে ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা দেয়, তারা এখন মাদকচক্রের সঙ্গে ‘সশস্ত্র সংঘাতে’ রয়েছে। মাদক প্রবাহ ঠেকানোর অজুহাতে এই সামরিক পদক্ষেপকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
এ নিয়ে কংগ্রেসে দুই দল থেকেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। তাঁদের অভিযোগ, কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই ট্রাম্প কার্যত যুদ্ধ শুরু করেছেন।
বুধবার সিনেটের পররাষ্ট্র কমিটির ডেমোক্র্যাট সিনেটর জিন শাহিন বলেন, তিনি মাদক পাচার দমনের পক্ষে হলেও প্রশাসনের এই পদক্ষেপ সীমা ছাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সিআইএ-কে গোপন অভিযান চালানোর অনুমোদন দেওয়া, নৌযানে প্রাণঘাতী হামলা চালানো এবং ভূমিতে অভিযানের ইঙ্গিত দেওয়া—এসবের মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রকে ধীরে ধীরে এক সরাসরি সংঘাতে টেনে নিচ্ছে, যেখানে কোনো স্বচ্ছতা, নজরদারি বা নিয়ন্ত্রণ নেই। আমেরিকান জনগণের জানার অধিকার আছে—প্রশাসন কি আরেকটি যুদ্ধে দেশকে জড়িয়ে ফেলছে, সেনাদের ঝুঁকিতে ফেলছে, নাকি শাসন পরিবর্তনের অপারেশন চালাচ্ছে।’
এ পর্যন্ত ক্যারিবীয় অঞ্চলে অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন এই হামলাগুলোতে।
বুধবার আরও একটি নৌকা লক্ষ্য করে হামলার পর মাদুরো রাজধানী ও বড় শহরগুলোতে সামরিক মহড়ার নির্দেশ দেন। তিনি জানান, দেশের পাহাড়, উপকূল, স্কুল, হাসপাতাল, কারখানা ও বাজার রক্ষায় সেনা, পুলিশ ও বেসামরিক মিলিশিয়াদের মোতায়েন করা হবে।
ট্রাম্প দাবি করেছেন, এরা ‘নার্কোটেররিস্ট’—যদিও কোনো প্রমাণ দেননি। তিনি আরও বলেন, এসব হামলার লক্ষ্য ছিল ‘ত্রেন দে আরাগুয়া’ নামের এক গ্যাং সদস্যদের নির্মূল করা। কিন্তু হোয়াইট হাউস এই দাবির পক্ষে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।
গত সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নৌযানে এই হামলাগুলো আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। এক ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যানও মন্তব্য করেন, ‘এসব অবৈধ হত্যাকাণ্ড—যা কোনো আদালতেই টিকবে না।’
এ বছর শুরুর দিকে ট্রাম্প প্রশাসন ‘ত্রেন দে আরাগুয়া’ গ্যাংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে অভিযোগ তুলে অনেক ভেনেজুয়েলানকে দ্রুত নির্বাসিত করে মধ্য আমেরিকার কুখ্যাত এক জেলে পাঠায়। এছাড়া ট্রাম্প শত শত হাজার ভেনেজুয়েলান অভিবাসীর অস্থায়ী বৈধ মর্যাদা বাতিলেরও চেষ্টা করছেন।
ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, মাদুরো নিজেই মাদকচক্রের প্রধান। মাদুরো অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র তাঁর ধরিয়ে দেওয়ার তথ্যের জন্য পুরস্কার বাড়িয়ে ৫ কোটি ডলার করেছে।
মাদুরোকে নিয়ে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি গত বছরের নির্বাচনে কারচুপি করে ক্ষমতা ধরে রেখেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় গোপন অভিযান চালানোর জন্য তিনি তাঁর দেশের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-কে অনুমোদন দিয়েছেন। নিকোলাস মাদুরোর সরকারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের চাপের অভিযানকে এটি নতুন মাত্রায় নিয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প আরও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তিনি ভেনেজুয়েলার ভেতরেই সামরিক হামলার কথা বিবেচনা করছেন—যা হবে এক চরম পদক্ষেপ। এর আগে ক্যারিবীয় সাগরে নৌকায় প্রাণঘাতী হামলার একাধিক ঘটনায় জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ ও মার্কিন বিরোধীদল ডেমোক্র্যাটরা তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এসব হামলা অবৈধ।
ট্রাম্পের মন্তব্যের পর ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘সিআইএ-এর নেতৃত্বে অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র চলছে।’
তিনি এক ভাষণে বলেন, ‘ক্যারিবীয় সাগরে যুদ্ধ নয়… সরকার পরিবর্তনের ষড়যন্ত্র নয়… সিআইএ-এর নেতৃত্বে অভ্যুত্থান নয়।’ ওই ভাষণটি তিনি দেন এমন এক কমিটির বৈঠকে, যা যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের পর গঠিত হয়েছিল। ওয়াশিংটন দাবি করেছে, ওই অভিযান ছিল ‘মাদকবিরোধী।’
ট্রাম্পের সিআইএ-কে নিয়ে মন্তব্য নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনের সত্যতা নিশ্চিত করে। আগেই পত্রিকাটি ভেনেজুয়েলায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোপন অভিযানের বিষয়ে শ্রেণিবদ্ধ এক ক্লাসিফাইড নথির ভিত্তিতে খবর প্রকাশ করেছিল।
ট্রাম্প বলেন, তাঁর প্রশাসন ভেনেজুয়েলার ‘ভূখণ্ডেও হামলা চালানোর বিষয়টিও ভাবছে।’ তবে সাংবাদিকরা যখন জিজ্ঞাসা করেন সিআইএ কি মাদুরোকে হত্যার অনুমোদন পেয়েছে, তখন তিনি কোনো উত্তর দেননি। তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় ভেনেজুয়েলা এখন চাপে আছে।’
ট্রাম্প দাবি করেন, ভেনেজুয়েলা যুক্তরাষ্ট্রে বন্দিদের ছেড়ে দিচ্ছে, এমনকি মানসিক হাসপাতালের রোগীদেরও পাঠাচ্ছে। এছাড়া, তিনি অভিযোগ করেন, ভেনেজুয়েলা সমুদ্রপথে বিপুল পরিমাণ মাদক যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করছে। তবে এই দাবিগুলোর পক্ষে কোনো প্রমাণ দেননি তিনি।
বিশেষজ্ঞরা বারবার বলেছেন, ভেনেজুয়েলা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এমন হুমকি আসছে—ট্রাম্পের এই দাবি ভিত্তিহীন।
এ মাসের শুরুতে ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা দেয়, তারা এখন মাদকচক্রের সঙ্গে ‘সশস্ত্র সংঘাতে’ রয়েছে। মাদক প্রবাহ ঠেকানোর অজুহাতে এই সামরিক পদক্ষেপকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
এ নিয়ে কংগ্রেসে দুই দল থেকেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। তাঁদের অভিযোগ, কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই ট্রাম্প কার্যত যুদ্ধ শুরু করেছেন।
বুধবার সিনেটের পররাষ্ট্র কমিটির ডেমোক্র্যাট সিনেটর জিন শাহিন বলেন, তিনি মাদক পাচার দমনের পক্ষে হলেও প্রশাসনের এই পদক্ষেপ সীমা ছাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সিআইএ-কে গোপন অভিযান চালানোর অনুমোদন দেওয়া, নৌযানে প্রাণঘাতী হামলা চালানো এবং ভূমিতে অভিযানের ইঙ্গিত দেওয়া—এসবের মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রকে ধীরে ধীরে এক সরাসরি সংঘাতে টেনে নিচ্ছে, যেখানে কোনো স্বচ্ছতা, নজরদারি বা নিয়ন্ত্রণ নেই। আমেরিকান জনগণের জানার অধিকার আছে—প্রশাসন কি আরেকটি যুদ্ধে দেশকে জড়িয়ে ফেলছে, সেনাদের ঝুঁকিতে ফেলছে, নাকি শাসন পরিবর্তনের অপারেশন চালাচ্ছে।’
এ পর্যন্ত ক্যারিবীয় অঞ্চলে অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন এই হামলাগুলোতে।
বুধবার আরও একটি নৌকা লক্ষ্য করে হামলার পর মাদুরো রাজধানী ও বড় শহরগুলোতে সামরিক মহড়ার নির্দেশ দেন। তিনি জানান, দেশের পাহাড়, উপকূল, স্কুল, হাসপাতাল, কারখানা ও বাজার রক্ষায় সেনা, পুলিশ ও বেসামরিক মিলিশিয়াদের মোতায়েন করা হবে।
ট্রাম্প দাবি করেছেন, এরা ‘নার্কোটেররিস্ট’—যদিও কোনো প্রমাণ দেননি। তিনি আরও বলেন, এসব হামলার লক্ষ্য ছিল ‘ত্রেন দে আরাগুয়া’ নামের এক গ্যাং সদস্যদের নির্মূল করা। কিন্তু হোয়াইট হাউস এই দাবির পক্ষে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।
গত সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নৌযানে এই হামলাগুলো আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। এক ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যানও মন্তব্য করেন, ‘এসব অবৈধ হত্যাকাণ্ড—যা কোনো আদালতেই টিকবে না।’
এ বছর শুরুর দিকে ট্রাম্প প্রশাসন ‘ত্রেন দে আরাগুয়া’ গ্যাংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে অভিযোগ তুলে অনেক ভেনেজুয়েলানকে দ্রুত নির্বাসিত করে মধ্য আমেরিকার কুখ্যাত এক জেলে পাঠায়। এছাড়া ট্রাম্প শত শত হাজার ভেনেজুয়েলান অভিবাসীর অস্থায়ী বৈধ মর্যাদা বাতিলেরও চেষ্টা করছেন।
ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, মাদুরো নিজেই মাদকচক্রের প্রধান। মাদুরো অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র তাঁর ধরিয়ে দেওয়ার তথ্যের জন্য পুরস্কার বাড়িয়ে ৫ কোটি ডলার করেছে।
মাদুরোকে নিয়ে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি গত বছরের নির্বাচনে কারচুপি করে ক্ষমতা ধরে রেখেছেন।
ফকির লালন সাঁইয়ের ১৩২ তম তিরোধান দিবস পালন করা হয়েছে নিউইয়র্কে। দ্বিতীয়বারের মতো এ আয়োজন করেছে কুষ্টিয়া ফ্রেন্ড সোসাইটি ইউএসএ।
১৬ অক্টোবর ২০২২ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে চলমান আলোচনার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বুধবার দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন যে, নয়াদিল্লি রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করবে। প্রায় দুই মাস আগে রুশ তেল আমদানির কারণে ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ...
৩ ঘণ্টা আগেসিরিয়ার সাবেক স্বৈরশাসক বাশার আল–আসাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল রাশিয়া। তাঁর পতনের পর তাঁকে আশ্রয়ও দেয় রাশিয়া। তবে তারপরও দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ‘পুনরুদ্ধার ও নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত’ করতে চায় আহমেদ আল–শারার নেতৃত্বাধীন সিরিয়া। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বুধবার বলেছেন, তাঁর মধ্যস্থতায় গাজায় যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে, সেটির শর্ত বাস্তবায়নে হামাস ব্যর্থ হলে তিনি ইসরায়েলকে আবারও সামরিক অভিযান চালানোর অনুমতি দিতে পারেন। তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন থেকে...
৫ ঘণ্টা আগে