অনলাইন ডেস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি বিলাসবহুল জাম্বো জেট উপহার দিচ্ছে কাতারের রাজপরিবার। আনুমানিক ৪০০ মিলিয়ন বা ৪০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের এই উড়োজাহাজটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্যই বরাদ্দ থাকবে। ২০২৯ সালে এটি ট্রাম্প প্রেসিডেনশিয়াল লাইব্রেরি ফাউন্ডেশনের অধীনে চলে যাবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একাধিক মার্কিন সংবাদমাধ্যম এ তথ্য নিশ্চিত করেছে, এয়ার ফোর্স ওয়ান (মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী উড়োজাহাজ) হিসেবে ব্যবহৃত হবে এই জেট। ২০২৯ সালে ট্রাম্প প্রেসিডেনশিয়াল লাইব্রেরি ফাউন্ডেশনে চলে যাওয়ায় ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়ার পরও বেসামরিক নাগরিক হিসেবে এই জেট ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।
এমন দামি উপহার নেওয়ার সঙ্গে স্বার্থের সংঘাত থাকতে পারে বিবেচনায় ট্রাম্পের সাংবিধানিক ও নৈতিক এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে হোয়াইট হাউস এবং বিচার বিভাগের যুক্তি—যেহেতু এই উপহার কোনো ব্যক্তি নয়, বরং রাষ্ট্রকে দেওয়া হচ্ছে, তাই এটি সংবিধানের লঙ্ঘন নয়।
বোয়িং-৭৪৭-৮ মডেলের এই উড়োজাহাজটিকে বলা হয় ‘প্যালেস ইন দ্য স্কাই’ বা উড়ন্ত রাজপ্রাসাদ। এটিকে মার্কিন ইতিহাসের অন্যতম ব্যয়বহুল উপহার হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে।
চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে ওয়েস্ট পাম বিচ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাতারের এই উড়োজাহাজটি রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছে বেশ কয়েকটি মার্কিন গণমাধ্যম। সেসময় প্রায় এক ঘণ্টা ধরে উড়োজাহাজটির খুঁটিয়ে দেখেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, উড়োজাহাজটির বয়স ১৩ বছর। অন্দরসজ্জা বেশ বিলাসবহুল। চলতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে এটিকে নতুন করে সাজানো হবে। সেই দায়িত্ব পেয়েছে প্রতিরক্ষা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এল৩ হ্যারিস। তবে, এত দ্রুত সম্পূর্ণ কাজ শেষ করা সম্ভব কিনা তা নিয়ে সন্দিহান অনেকে।
এই উপহারটি এমন সময় আসছে যখন দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম বড় আন্তর্জাতিক সফরে ট্রাম্প সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কাতার সফর শুরু করছেন। এই সফরে উপসাগরীয় অঞ্চলের কয়েকটি দেশের সঙ্গে নিরাপত্তা ও মার্কিন বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন চুক্তি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে তাঁর পরিবারও অঞ্চলটিতে নিজের ব্যবসা সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে। গত মাসে ট্রাম্প অর্গানাইজেশন কাতারে প্রথম বড় রিয়েল এস্টেট চুক্তি করেছে। এই চুক্তির আওতায় দুবাইয়ে বিলিয়ন ডলারের একটি সুউচ্চ ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের, যেখানে ক্রিপ্টোকারেন্সি দিয়ে ফ্ল্যাট কেনা যাবে। ট্রাম্পের ছেলে এরিক ট্রাম্প এরই মধ্যে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা পরিচালনা করতে দুবাইয়ে থাকছেন। আরেক ছেলে ডন জুনিয়রও মাগা (মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন) স্লোগান নিয়ে দোহায় বাণিজ্য বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্প পরিবারের ব্যবসায়িক সম্প্রসারণ ব্যাপক আকার নিচ্ছে। দুবাইয়ে রয়েছে ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল গলফ কোর্স, সৌদি আরবের জেদ্দায় তাঁদের মালিকানাধীন সুউচ্চ আবাসিক ভবন, ওমানেও সরকারি জমিতে চলছে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলারের গলফ ও রিয়েল এস্টেট প্রকল্প।
ওয়াশিংটনভিত্তিক আরব গালফ স্টেটস ইনস্টিটিউটের বিশ্লেষক রবার্ট মগিলনিস্কি মনে করেন, ট্রাম্প ব্র্যান্ডকে স্বাগত জানিয়ে উপসাগরীয় দেশগুলো নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে চাচ্ছে।
বাণিজ্য সম্প্রসারণের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্পের সফর নিয়ে তাই তৈরি হচ্ছে নানা সমালোচনা। অনেকেই বলছেন, রাষ্ট্রীয় খরচে সফর করে ট্রাম্প মূলত ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট অবশ্য এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প নিজের লাভের জন্য কিছু করছেন—এমন ধারণা হাস্যকর। প্রেসিডেন্ট হয়ে বরং তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি বিলাসবহুল জাম্বো জেট উপহার দিচ্ছে কাতারের রাজপরিবার। আনুমানিক ৪০০ মিলিয়ন বা ৪০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের এই উড়োজাহাজটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্যই বরাদ্দ থাকবে। ২০২৯ সালে এটি ট্রাম্প প্রেসিডেনশিয়াল লাইব্রেরি ফাউন্ডেশনের অধীনে চলে যাবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একাধিক মার্কিন সংবাদমাধ্যম এ তথ্য নিশ্চিত করেছে, এয়ার ফোর্স ওয়ান (মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী উড়োজাহাজ) হিসেবে ব্যবহৃত হবে এই জেট। ২০২৯ সালে ট্রাম্প প্রেসিডেনশিয়াল লাইব্রেরি ফাউন্ডেশনে চলে যাওয়ায় ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়ার পরও বেসামরিক নাগরিক হিসেবে এই জেট ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।
এমন দামি উপহার নেওয়ার সঙ্গে স্বার্থের সংঘাত থাকতে পারে বিবেচনায় ট্রাম্পের সাংবিধানিক ও নৈতিক এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে হোয়াইট হাউস এবং বিচার বিভাগের যুক্তি—যেহেতু এই উপহার কোনো ব্যক্তি নয়, বরং রাষ্ট্রকে দেওয়া হচ্ছে, তাই এটি সংবিধানের লঙ্ঘন নয়।
বোয়িং-৭৪৭-৮ মডেলের এই উড়োজাহাজটিকে বলা হয় ‘প্যালেস ইন দ্য স্কাই’ বা উড়ন্ত রাজপ্রাসাদ। এটিকে মার্কিন ইতিহাসের অন্যতম ব্যয়বহুল উপহার হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে।
চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে ওয়েস্ট পাম বিচ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাতারের এই উড়োজাহাজটি রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছে বেশ কয়েকটি মার্কিন গণমাধ্যম। সেসময় প্রায় এক ঘণ্টা ধরে উড়োজাহাজটির খুঁটিয়ে দেখেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, উড়োজাহাজটির বয়স ১৩ বছর। অন্দরসজ্জা বেশ বিলাসবহুল। চলতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে এটিকে নতুন করে সাজানো হবে। সেই দায়িত্ব পেয়েছে প্রতিরক্ষা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এল৩ হ্যারিস। তবে, এত দ্রুত সম্পূর্ণ কাজ শেষ করা সম্ভব কিনা তা নিয়ে সন্দিহান অনেকে।
এই উপহারটি এমন সময় আসছে যখন দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম বড় আন্তর্জাতিক সফরে ট্রাম্প সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কাতার সফর শুরু করছেন। এই সফরে উপসাগরীয় অঞ্চলের কয়েকটি দেশের সঙ্গে নিরাপত্তা ও মার্কিন বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন চুক্তি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে তাঁর পরিবারও অঞ্চলটিতে নিজের ব্যবসা সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে। গত মাসে ট্রাম্প অর্গানাইজেশন কাতারে প্রথম বড় রিয়েল এস্টেট চুক্তি করেছে। এই চুক্তির আওতায় দুবাইয়ে বিলিয়ন ডলারের একটি সুউচ্চ ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের, যেখানে ক্রিপ্টোকারেন্সি দিয়ে ফ্ল্যাট কেনা যাবে। ট্রাম্পের ছেলে এরিক ট্রাম্প এরই মধ্যে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা পরিচালনা করতে দুবাইয়ে থাকছেন। আরেক ছেলে ডন জুনিয়রও মাগা (মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন) স্লোগান নিয়ে দোহায় বাণিজ্য বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্প পরিবারের ব্যবসায়িক সম্প্রসারণ ব্যাপক আকার নিচ্ছে। দুবাইয়ে রয়েছে ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল গলফ কোর্স, সৌদি আরবের জেদ্দায় তাঁদের মালিকানাধীন সুউচ্চ আবাসিক ভবন, ওমানেও সরকারি জমিতে চলছে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলারের গলফ ও রিয়েল এস্টেট প্রকল্প।
ওয়াশিংটনভিত্তিক আরব গালফ স্টেটস ইনস্টিটিউটের বিশ্লেষক রবার্ট মগিলনিস্কি মনে করেন, ট্রাম্প ব্র্যান্ডকে স্বাগত জানিয়ে উপসাগরীয় দেশগুলো নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে চাচ্ছে।
বাণিজ্য সম্প্রসারণের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্পের সফর নিয়ে তাই তৈরি হচ্ছে নানা সমালোচনা। অনেকেই বলছেন, রাষ্ট্রীয় খরচে সফর করে ট্রাম্প মূলত ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট অবশ্য এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প নিজের লাভের জন্য কিছু করছেন—এমন ধারণা হাস্যকর। প্রেসিডেন্ট হয়ে বরং তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের কিছু এলাকা ফেরত আনার চেষ্টা করবেন তিনি। আগামী শুক্রবার আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা। এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেছেন, ‘রাশিয়া ইউক্রেনের মূল ভূমির বড় অংশ দখল করেছে।
৭ ঘণ্টা আগেনিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত মনটক এলাকাটি একসময় ছিল শান্তশিষ্ট ছেলেদের একটি গ্রাম। এখন অবশ্য তা রূপ নিয়েছে বিলাসবহুল ছুটি কাটানোর কেন্দ্রস্থলে। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের ভিড় এবং জমজমাট রাতের জীবন এলাকাটির পুরোনো চেহারা দ্রুত বদলে দিচ্ছে।
৮ ঘণ্টা আগেএভারেস্টের ভিড় কমাতে নেপাল সরকার দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের দুর্গম ও অনাবিষ্কৃত আরও ৯৭টি শৃঙ্গ পর্বতারোহীদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, নতুন উদ্যোগের ফলে এভারেস্টের ওপর চাপ কমবে এবং পর্যটন থেকে আয় দূরবর্তী দরিদ্র অঞ্চলেও পৌঁছাবে।
৯ ঘণ্টা আগেরাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি থেকে গৃহহীন মানুষদের উচ্ছেদ করতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিরক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তার বরাতে জানা গেছে, আজ সোমবার (১১ আগস্ট) রাজধানীতে কয়েক শ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েনের প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী।
১১ ঘণ্টা আগে