অনলাইন ডেস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কোনো বিলাসবহুল উড়োজাহাজ উপহার দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল না কাতারের, বরং ট্রাম্প প্রশাসনই প্রেসিডেন্টকে বহনের জন্য একটি উড়োজাহাজ কিনতে কাতারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল।
খবর বেরিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্য সফরের আগে কাতারের কাছ থেকে বিলাসবহুল উড়োজাহাজ পেয়েছেন ট্রাম্প। উড়োজাহাজটি ‘উপহার’ বলে প্রচার করা হয়। কিন্তু কাতার এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে সিএনএনকে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট অন্তত চারটি সূত্র।
সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে উড়োজাহাজটি ইজারা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। পরে, কোনো চার্জ ছাড়াই উড়োজাহাজটি ব্যবহার করতে দিতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল কাতার সরকার। বিষয়টি এখনো আলোচনার পর্যায়ে, কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। কিন্তু তার আগেই এটি ‘কাতারের পক্ষ থেকে উপহার’ বলে প্রচার করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই এয়ার ফোর্স ওয়ান পরিবর্তন করতে তোড়জোড় শুরু করেন ট্রাম্প। কারণ, প্রেসিডেন্টকে বহনকারী রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজটি ৩৫ বছরের পুরোনো। প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশও (সিনিয়র বুশ) এটি ব্যবহার করতেন।
নতুন উড়োজাহাজের জন্য গত জানুয়ারিতেই বোয়িংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কিন্তু আগামী দুই বছরের মধ্যে নতুন কোনো প্রেসিডেনশিয়াল উড়োজাহাজ সরবরাহ করতে পারবে না বলে জানায় বোয়িং। এয়ার ফোর্স ওয়ান পরিবর্তনের প্রক্রিয়াটি দ্রুত সম্পন্ন করতে চাচ্ছিলেন ট্রাম্প। তাই শুরু হয় বিকল্প খোঁজা।
ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফকে এয়ার ফোর্স ওয়ানের বহরের জন্য সম্ভাব্য উড়োজাহাজের তালিকা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ সময় বোয়িং জানায়, বিশ্বজুড়ে তাদের যেসব ক্লায়েন্টের কাছে এয়ার ফোর্স ওয়ান হওয়ার মতো উড়োজাহাজ আছে তার একটি তালিকা তারা পেন্টাগনকে দিতে পারে। বিশ্বজুড়ে মাত্র আটটি উড়োজাহাজ খুঁজে পাওয়া যায়, যেগুলো মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনের যোগ্য হতে পারে। ওই তালিকায় ছিল কাতারের ওই আলোচিত জাম্বো জেট। দেশটির রাজপরিবার একসময় এই উড়োজাহাজটি ব্যবহার করত। পরে, উইটকফ কাতারিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জেটটি কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
আলোচনার সঙ্গে অবহিত চারটি সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে, উড়োজাহাজটি কেনার বিষয়টি নিয়ে এখনো দুই দেশের আইনজীবীদের মধ্যে আলোচনা চলছে। আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র সিএনএনকে বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে যখন উড়োজাহাজটি কেনার আগ্রহ দেখায়, সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত বিষয়টি আইনজীবীদের হাতেই আছে। এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
গত সোমবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিটও উড়োজাহাজ হস্তান্তরকে ‘দেশের জন্য অনুদান’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘কাতারের রাজপরিবার এই উড়োজাহাজটি মার্কিন বিমানবাহিনীর কাছে অনুদান হিসেবে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে, আইনি ও নীতিগত প্রক্রিয়া অনুযায়ীই সেটি গ্রহণ করা হবে।’
এ বিষয়ে কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল-থানির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে সিএনএন। থানি বলেন, ‘এটি কোনো ব্যক্তির বিষয় নয়, হোক তা মার্কিন কিংবা কাতারি পক্ষ থেকে। এটি দুই সরকারের আলোচনার বিষয়। সরকারি প্রক্রিয়ায়ই কাতারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের মধ্যে ৭৪৭-৮ মডেলের জাম্বো জেটটি হস্তান্তরের সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ নিয়ে এখনো আইনি পর্যালোচনা চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দিন শেষে, যদি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রয়োজন থাকে এবং আমরা যদি তা মেটাতে সাহায্য করতে পারি, তাহলে সহযোগিতায় পিছপা হব না। আর যদি এই প্রক্রিয়া অবৈধ বিবেচিত হয়, তবে অবশ্যই প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।’
ওয়াশিংটন ও দোহা উভয়েই বলেছে, যদি উড়োজাহাজটি হস্তান্তর করা হয়, তা কাতারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের মধ্যে আইনি চুক্তির মাধ্যমে হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কোনো বিলাসবহুল উড়োজাহাজ উপহার দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল না কাতারের, বরং ট্রাম্প প্রশাসনই প্রেসিডেন্টকে বহনের জন্য একটি উড়োজাহাজ কিনতে কাতারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল।
খবর বেরিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্য সফরের আগে কাতারের কাছ থেকে বিলাসবহুল উড়োজাহাজ পেয়েছেন ট্রাম্প। উড়োজাহাজটি ‘উপহার’ বলে প্রচার করা হয়। কিন্তু কাতার এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে সিএনএনকে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট অন্তত চারটি সূত্র।
সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে উড়োজাহাজটি ইজারা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। পরে, কোনো চার্জ ছাড়াই উড়োজাহাজটি ব্যবহার করতে দিতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল কাতার সরকার। বিষয়টি এখনো আলোচনার পর্যায়ে, কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। কিন্তু তার আগেই এটি ‘কাতারের পক্ষ থেকে উপহার’ বলে প্রচার করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই এয়ার ফোর্স ওয়ান পরিবর্তন করতে তোড়জোড় শুরু করেন ট্রাম্প। কারণ, প্রেসিডেন্টকে বহনকারী রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজটি ৩৫ বছরের পুরোনো। প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশও (সিনিয়র বুশ) এটি ব্যবহার করতেন।
নতুন উড়োজাহাজের জন্য গত জানুয়ারিতেই বোয়িংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কিন্তু আগামী দুই বছরের মধ্যে নতুন কোনো প্রেসিডেনশিয়াল উড়োজাহাজ সরবরাহ করতে পারবে না বলে জানায় বোয়িং। এয়ার ফোর্স ওয়ান পরিবর্তনের প্রক্রিয়াটি দ্রুত সম্পন্ন করতে চাচ্ছিলেন ট্রাম্প। তাই শুরু হয় বিকল্প খোঁজা।
ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফকে এয়ার ফোর্স ওয়ানের বহরের জন্য সম্ভাব্য উড়োজাহাজের তালিকা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ সময় বোয়িং জানায়, বিশ্বজুড়ে তাদের যেসব ক্লায়েন্টের কাছে এয়ার ফোর্স ওয়ান হওয়ার মতো উড়োজাহাজ আছে তার একটি তালিকা তারা পেন্টাগনকে দিতে পারে। বিশ্বজুড়ে মাত্র আটটি উড়োজাহাজ খুঁজে পাওয়া যায়, যেগুলো মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনের যোগ্য হতে পারে। ওই তালিকায় ছিল কাতারের ওই আলোচিত জাম্বো জেট। দেশটির রাজপরিবার একসময় এই উড়োজাহাজটি ব্যবহার করত। পরে, উইটকফ কাতারিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জেটটি কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
আলোচনার সঙ্গে অবহিত চারটি সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে, উড়োজাহাজটি কেনার বিষয়টি নিয়ে এখনো দুই দেশের আইনজীবীদের মধ্যে আলোচনা চলছে। আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র সিএনএনকে বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে যখন উড়োজাহাজটি কেনার আগ্রহ দেখায়, সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত বিষয়টি আইনজীবীদের হাতেই আছে। এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
গত সোমবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিটও উড়োজাহাজ হস্তান্তরকে ‘দেশের জন্য অনুদান’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘কাতারের রাজপরিবার এই উড়োজাহাজটি মার্কিন বিমানবাহিনীর কাছে অনুদান হিসেবে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে, আইনি ও নীতিগত প্রক্রিয়া অনুযায়ীই সেটি গ্রহণ করা হবে।’
এ বিষয়ে কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল-থানির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে সিএনএন। থানি বলেন, ‘এটি কোনো ব্যক্তির বিষয় নয়, হোক তা মার্কিন কিংবা কাতারি পক্ষ থেকে। এটি দুই সরকারের আলোচনার বিষয়। সরকারি প্রক্রিয়ায়ই কাতারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের মধ্যে ৭৪৭-৮ মডেলের জাম্বো জেটটি হস্তান্তরের সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ নিয়ে এখনো আইনি পর্যালোচনা চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দিন শেষে, যদি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রয়োজন থাকে এবং আমরা যদি তা মেটাতে সাহায্য করতে পারি, তাহলে সহযোগিতায় পিছপা হব না। আর যদি এই প্রক্রিয়া অবৈধ বিবেচিত হয়, তবে অবশ্যই প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।’
ওয়াশিংটন ও দোহা উভয়েই বলেছে, যদি উড়োজাহাজটি হস্তান্তর করা হয়, তা কাতারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের মধ্যে আইনি চুক্তির মাধ্যমে হবে।
রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি থেকে গৃহহীন মানুষদের উচ্ছেদ করতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিরক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তার বরাতে জানা গেছে, আজ সোমবার (১১ আগস্ট) রাজধানীতে কয়েক শ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েনের প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী।
২ ঘণ্টা আগেগত ছয় বছরে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী প্রায় ২০ শতাংশ কমে সদস্য সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৫০ হাজারে। গতকাল রোববার দেশটির ক্ষমতাসীন দলের এক এমপির প্রকাশিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর এই ঘোষণার পরপরই ভারতে মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর পণ্য বর্জনের ডাক উঠেছে। ম্যাকডোনাল্ডস, কোকা-কোলা, আমাজন ও অ্যাপলের মতো ব্র্যান্ডগুলো এখন অনলাইন-অফলাইনে (সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম) তীব্র...
২ ঘণ্টা আগেফিলিপিনো কোস্ট গার্ডের মুখপাত্র কমোডর জে তারিয়েলা জানিয়েছেন, তাঁরা বিতর্কিত স্কারবরো শোল এলাকায় জেলেদের সহায়তা দিচ্ছিলেন। এ সময় চীনা কোস্ট গার্ড ঝুঁকিপূর্ণ কৌশল অবলম্বন করে। এর ফলে নিজেদের নৌযানের আঘাতে চীনা যুদ্ধজাহাজটির সামনের ডেকে বড়ধরনের ক্ষতি হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে