যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ভারতের স্বাধীন খালিস্তান আন্দোলনের এক নেতাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। মার্কিন কর্তৃপক্ষ সেই হত্যারচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে। তবে ওয়াশিংটনের সন্দেহ, নয়াদিল্লি এই হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত ছিল। বিষয়টি নিয়ে হোয়াইট হাউস নয়াদিল্লিকে সতর্ক করেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাইডেন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গতকাল বুধবার জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই হত্যাচেষ্টাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে এবং বিষয়টি ভারত সরকারের উচ্চপর্যায়ে জানানো হয়েছে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন বলেছেন, ভারতীয় কর্মকর্তারা যখন এ ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হন, তখন তাঁরা ‘আশ্চর্য’ হন এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা এই সমস্যাটিকে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছি এবং মার্কিন সরকার বিষয়টি ভারত সরকারের সর্বোচ্চ স্তরের কর্মকর্তা পর্যায়ে জানিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তাঁরা (ভারতীয় কর্মকর্তারা) বলেছেন, এ ধরনের কার্যকলাপ তাঁদের নীতি নয়...আমরা বুঝি যে, ভারত সরকার এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করছে এবং আগামী দিনগুলোতে এ বিষয়ে আরও কথা বলতে হবে।’
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, হোয়াইট হাউসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যে শিখ নেতাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল তাঁর নাম গুরুপতবন্ত সিং পান্নুন। তিনি কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ নাগরিক। বিষয়টি এমন এক সময়ে সামনে এলো, যখন খালিস্তান আন্দোলনের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ভারত-কানাডার মধ্যে স্থগিত থাকা ই-ভিসা ফের চালুর ঘোষণা দিয়েছে দিল্লি।
গুরুপতবন্ত সিং পান্নুন কানাডায় আইন পেশার সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করা হয়। ২০২০ সালে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যা দেয় এবং সন্ত্রাসবাদ ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে তাঁকে ইন্টারপোলের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় রাখা হয়েছে। পান্নুন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক শিখস ফর জাস্টিসেরও (এসএফজে) প্রতিষ্ঠাতা, যার কানাডা চ্যাপ্টারের নেতৃত্বে ছিলেন নিজ্জার।
উল্লেখ্য, কানাডার অভিযোগ, খালিস্তান আন্দোলনের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকারের হাত রয়েছে এবং ভারতের গোয়েন্দা এজেন্টরাই হরদীপকে হত্যা করেছে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে নেমে আসে। একপর্যায়ে গত ২১ সেপ্টেম্বর ভারত সরকার কানাডীয়দের জন্য ই-ভিসা সেবা বাতিল করে। অবশেষে এই সেবা চালুর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যকার জমাট সম্পর্কের বরফ আবারও গলতে শুরু করল।
এর আগে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি কানাডা সরকার জানায়, গত জুনে কানাডার একটি শিখ মন্দিরের সামনে খালিস্তান আন্দোলনের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার (৪৫) হত্যার পেছনে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন জড়িত এবং এ বিষয়ে তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে। ভারত এই দাবি অস্বীকার করেছে।
তবে এই অভিযোগের সূত্র ধরে দুই দেশের সম্পর্ক এতটাই তলানিতে নামে যে, ভারত থেকে কানাডার বিপুল পরিমাণ দূতাবাসকর্মীকে ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়। অক্টোবরের শুরুর দিকে কানাডার ৪১ জন কূটনীতিককে ফিরিয়ে নিতে বলে ভারত। দেশটি সে সময় জানিয়েছিল, আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে কূটনীতিকদের অবশ্যই ফিরিয়ে নিতে হবে। ফিরিয়ে না নিলে তাঁদের কূটনৈতিক অনাক্রম্যতা (ডিপ্লোম্যাটিক ইমিউনিটি) বাতিল করা হবে বলেও হুমকি দেয় দিল্লি।
কানাডার মোট জনসংখ্যার ৫ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় ২০ লাখ কানাডীয় নানাভাবে ভারতের সঙ্গে যুক্ত। পাশাপাশি কানাডায় অধ্যয়নরত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় উৎসই হলো ভারত। এই শিক্ষার্থীদের প্রায় ৪০ শতাংশই ভারতীয়। ট্রুডো বলেছিলেন যে ভারত থেকে কয়েকজন কূটনীতিক প্রত্যাহার কানাডায় অধ্যয়নরত ভারতীয়দের জন্য অসুবিধার সৃষ্টি করবে। এ ছাড়া ভ্রমণ ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও তারা জটিলতার সম্মুখীন হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ভারতের স্বাধীন খালিস্তান আন্দোলনের এক নেতাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। মার্কিন কর্তৃপক্ষ সেই হত্যারচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে। তবে ওয়াশিংটনের সন্দেহ, নয়াদিল্লি এই হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত ছিল। বিষয়টি নিয়ে হোয়াইট হাউস নয়াদিল্লিকে সতর্ক করেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাইডেন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গতকাল বুধবার জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই হত্যাচেষ্টাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে এবং বিষয়টি ভারত সরকারের উচ্চপর্যায়ে জানানো হয়েছে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন বলেছেন, ভারতীয় কর্মকর্তারা যখন এ ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হন, তখন তাঁরা ‘আশ্চর্য’ হন এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা এই সমস্যাটিকে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছি এবং মার্কিন সরকার বিষয়টি ভারত সরকারের সর্বোচ্চ স্তরের কর্মকর্তা পর্যায়ে জানিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তাঁরা (ভারতীয় কর্মকর্তারা) বলেছেন, এ ধরনের কার্যকলাপ তাঁদের নীতি নয়...আমরা বুঝি যে, ভারত সরকার এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করছে এবং আগামী দিনগুলোতে এ বিষয়ে আরও কথা বলতে হবে।’
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, হোয়াইট হাউসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যে শিখ নেতাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল তাঁর নাম গুরুপতবন্ত সিং পান্নুন। তিনি কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ নাগরিক। বিষয়টি এমন এক সময়ে সামনে এলো, যখন খালিস্তান আন্দোলনের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ভারত-কানাডার মধ্যে স্থগিত থাকা ই-ভিসা ফের চালুর ঘোষণা দিয়েছে দিল্লি।
গুরুপতবন্ত সিং পান্নুন কানাডায় আইন পেশার সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করা হয়। ২০২০ সালে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যা দেয় এবং সন্ত্রাসবাদ ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে তাঁকে ইন্টারপোলের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় রাখা হয়েছে। পান্নুন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক শিখস ফর জাস্টিসেরও (এসএফজে) প্রতিষ্ঠাতা, যার কানাডা চ্যাপ্টারের নেতৃত্বে ছিলেন নিজ্জার।
উল্লেখ্য, কানাডার অভিযোগ, খালিস্তান আন্দোলনের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকারের হাত রয়েছে এবং ভারতের গোয়েন্দা এজেন্টরাই হরদীপকে হত্যা করেছে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে নেমে আসে। একপর্যায়ে গত ২১ সেপ্টেম্বর ভারত সরকার কানাডীয়দের জন্য ই-ভিসা সেবা বাতিল করে। অবশেষে এই সেবা চালুর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যকার জমাট সম্পর্কের বরফ আবারও গলতে শুরু করল।
এর আগে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি কানাডা সরকার জানায়, গত জুনে কানাডার একটি শিখ মন্দিরের সামনে খালিস্তান আন্দোলনের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার (৪৫) হত্যার পেছনে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন জড়িত এবং এ বিষয়ে তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে। ভারত এই দাবি অস্বীকার করেছে।
তবে এই অভিযোগের সূত্র ধরে দুই দেশের সম্পর্ক এতটাই তলানিতে নামে যে, ভারত থেকে কানাডার বিপুল পরিমাণ দূতাবাসকর্মীকে ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়। অক্টোবরের শুরুর দিকে কানাডার ৪১ জন কূটনীতিককে ফিরিয়ে নিতে বলে ভারত। দেশটি সে সময় জানিয়েছিল, আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে কূটনীতিকদের অবশ্যই ফিরিয়ে নিতে হবে। ফিরিয়ে না নিলে তাঁদের কূটনৈতিক অনাক্রম্যতা (ডিপ্লোম্যাটিক ইমিউনিটি) বাতিল করা হবে বলেও হুমকি দেয় দিল্লি।
কানাডার মোট জনসংখ্যার ৫ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় ২০ লাখ কানাডীয় নানাভাবে ভারতের সঙ্গে যুক্ত। পাশাপাশি কানাডায় অধ্যয়নরত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় উৎসই হলো ভারত। এই শিক্ষার্থীদের প্রায় ৪০ শতাংশই ভারতীয়। ট্রুডো বলেছিলেন যে ভারত থেকে কয়েকজন কূটনীতিক প্রত্যাহার কানাডায় অধ্যয়নরত ভারতীয়দের জন্য অসুবিধার সৃষ্টি করবে। এ ছাড়া ভ্রমণ ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও তারা জটিলতার সম্মুখীন হতে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের কিছু এলাকা ফেরত আনার চেষ্টা করবেন তিনি। আগামী শুক্রবার আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা। এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেছেন, ‘রাশিয়া ইউক্রেনের মূল ভূমির বড় অংশ দখল করেছে।
৭ ঘণ্টা আগেনিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত মনটক এলাকাটি একসময় ছিল শান্তশিষ্ট ছেলেদের একটি গ্রাম। এখন অবশ্য তা রূপ নিয়েছে বিলাসবহুল ছুটি কাটানোর কেন্দ্রস্থলে। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের ভিড় এবং জমজমাট রাতের জীবন এলাকাটির পুরোনো চেহারা দ্রুত বদলে দিচ্ছে।
৭ ঘণ্টা আগেএভারেস্টের ভিড় কমাতে নেপাল সরকার দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের দুর্গম ও অনাবিষ্কৃত আরও ৯৭টি শৃঙ্গ পর্বতারোহীদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, নতুন উদ্যোগের ফলে এভারেস্টের ওপর চাপ কমবে এবং পর্যটন থেকে আয় দূরবর্তী দরিদ্র অঞ্চলেও পৌঁছাবে।
৮ ঘণ্টা আগেরাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি থেকে গৃহহীন মানুষদের উচ্ছেদ করতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিরক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তার বরাতে জানা গেছে, আজ সোমবার (১১ আগস্ট) রাজধানীতে কয়েক শ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েনের প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী।
১০ ঘণ্টা আগে