Ajker Patrika

মার্কিন শুল্ক নীতি নিয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার অশনিসংকেত

অনলাইন ডেস্ক
ছবি: বিবিসি
ছবি: বিবিসি

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক নীতির কারণে চলতি বছরই বিশ্বজুড়ে পণ্যবাণিজ্য হ্রাস পাবে। এ ছাড়াও পারস্পরিক শুল্ক আরোপ ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাসহ বিভিন্ন গভীর নেতিবাচক ঝুঁকি রয়েছে, যা বিশ্ব বাণিজ্যে আরও বড় ধরনের পতন ডেকে আনতে পারে।

বিশেষ করে, খোদ উত্তর আমেরিকায় এই পতন উল্লেখযোগ্য হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। এই অঞ্চলটিতে বাণিজ্য এক-দশমাংশেরও বেশি কমে যেতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা প্রসঙ্গে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক এনগোজি অকনজো ইওয়ালা বলেছেন, ‘এটি আমার কাছে সত্যিই উদ্বেগজনক একটি বিষয়।’

ইতিপূর্বে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা পূর্বাভাস দিয়েছিল, ২০২৫ সালে বিশ্ব পণ্যবাণিজ্য ২.৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু এখন তারা বলছে, এই হার কমে ০.২ শতাংশ পর্যন্ত নেতিবাচকে রূপ নিতে পারে।

সংস্থাটির প্রধান অর্থনীতিবিদ রালফ ওসা বলেন, ‘শুল্ক হলো এমন এক নীতিগত হাতিয়ার, যার প্রভাব অনেক বিস্তৃত এবং অনেক সময় অপ্রত্যাশিত হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের গবেষণা বলছে, বাণিজ্য নীতিগত অনিশ্চয়তা বাণিজ্য প্রবাহে স্পষ্টভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, রপ্তানি কমিয়ে দেয় এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দুর্বল করে।’

চলতি বছরের ৫ এপ্রিল থেকে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় সব আমদানি করা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। তবে কিছু দেশ ও পণ্য এই শুল্কের আওতার বাইরে। অপরদিকে, চীন বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর মোট ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছে।

এই অনিশ্চয়তার মধ্যে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারও খোলার সঙ্গে সঙ্গে পড়ে গেছে এবং বড় বড় সূচকগুলো নিম্নমুখী হয়েছে।

তবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা জানিয়েছে, এশিয়া ও ইউরোপের মতো কিছু অঞ্চল এখনো রপ্তানি ও আমদানির ক্ষেত্রে কিছুটা ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখাতে পারে। সংস্থাটি বলেছে—বিশ্ব বাণিজ্য প্রবৃদ্ধিতে অন্যান্য অঞ্চলগুলোর সম্মিলিত অবদান ইতিবাচক থাকবে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বারবার শুল্ক আরোপ এবং আবার সেখান থেকে পিছু হটার ঘটনা ঘটেছে। শুল্ক আরোপের পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে তিনি বলেছেন, এটি দেশীয় পণ্যের চাহিদা বাড়াবে, রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করবে এবং যুক্তরাষ্ট্রে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ আসবে।

তবে সমালোচকদের মতে, উৎপাদন খাতকে আমেরিকায় ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত জটিল এবং এতে কয়েক দশক লেগে যেতে পারে। তত দিনে দেশটির অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সম্প্রতি ট্রাম্প ৬০টি বাণিজ্য অংশীদার দেশের বিরুদ্ধে শুল্ক কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি তা কমিয়ে ১০ করার অনুমোদন দেন, যতক্ষণ না আলোচনায় অগ্রগতি হয়। শুধু তাই নয়, তীব্র রাজনৈতিক ও বাজারের চাপের মুখে পরে ট্রাম্প সব দেশের জন্য ৯০ দিনের শুল্ক বিরতি ঘোষণা করেন—শুধুমাত্র চীনকে বাদ দিয়ে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত