অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার জটিল কাঠামো ভেঙে ফেলার এক নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। এতে দেশটিতে বিনিয়োগের পথ উন্মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হলো। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ছয় মাস পর এই পদক্ষেপ এল।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার ট্রাম্পের জারি করা আদেশে বলা হয়েছে, সিরিয়ার উন্নয়ন, সরকার পরিচালনা এবং সামাজিক কাঠামো পুনর্গঠনের জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগ।
এর আগে, ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই দেশটির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা ছিল। সাবেক সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এসব দীর্ঘমেয়াদি নিষেধাজ্ঞা সিরিয়ার পুনর্গঠনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। একই সঙ্গে এসব নিষেধাজ্ঞা আল-আসাদের শাসনামলে সিরিয়ার অর্থনীতিকে প্রায় ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়।
মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় গত মে মাসে ট্রাম্প সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সোমবার এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ‘সিরিয়াকে স্থিতিশীল, ঐক্যবদ্ধ এবং নিজ দেশের ভেতরে ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে দেখতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সিরিয়ার মাটি যেন সন্ত্রাসীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় না হয় এবং দেশটির ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এটাই আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য সহায়ক হবে।’
তবে বাশার আল-আসাদ ও তাঁর সহযোগী আইএসআইএল (আইএসআইএস) এবং ইরান ও তাদের মিত্রদের ওপর থাকা সিরিয়া-সংশ্লিষ্ট নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা ইতিমধ্যে সিরিয়ার ৫১৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। তবে সব নিষেধাজ্ঞা তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার হচ্ছে না।
উদাহরণস্বরূপ, ট্রাম্প মার্কিন বিভিন্ন সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন, তারা যেন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে সিদ্ধান্ত নেয় যে, সিরিয়ার বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে কথিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জারি করা ‘সিজার আইন’-এর অধীনে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের উপযুক্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কি না।
এ ছাড়া, গত সপ্তাহে ডেমোক্র্যাট দলীয় মার্কিন কংগ্রেস সদস্য ইলহান ওমর এবং রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা আনা পলিনা লুনা একটি যৌথ বিল উত্থাপন করেছেন, যাতে সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আইনিভাবে তুলে নেওয়ার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি স্বস্তি দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে আরও বলা হয়েছে, তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন তিনি সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারাকে ‘বৈশ্বিক বিশেষ সন্ত্রাসী’ তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করেন। এ ছাড়া আল-শারার নেতৃত্বাধীন আল-নুসরা ফ্রন্টের (বর্তমানে হায়াত তাহরির আল-শাম) নাম ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনের’ তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়টিও পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। উল্লেখ্য, আল-নুসরা ছিল আল-কায়েদার সিরিয়া শাখা। তবে ২০১৬ সালে আল-শারা ওই সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন।
পরে আল-নুসরা নাম পরিবর্তন করে জাবহাত ফাতেহ আল-শাম রাখে। এরপর আরও কয়েকটি বিদ্রোহী সংগঠনের সঙ্গে মিলে তারা হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) গঠন করে। উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার ইদলিবে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে আল-শারা ছিলেন দখলদার নেতা। পরে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরানোর অভিযানে নেতৃত্ব দেন তিনি।
গত মে মাসে সৌদি আরবে আল-শারার সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি সিরিয়ার এই অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টকে ‘আকর্ষণীয়’ ও ‘দৃঢ়চেতা’ বলে প্রশংসা করেন। আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি নামেও পরিচিত আল-শারা সিরিয়ায় সব ধর্ম ও জাতিগত সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে সম্প্রতি আল-আসাদের আলাওয়ি সম্প্রদায়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের সহিংসতা ও অপহরণের ঘটনা উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার জটিল কাঠামো ভেঙে ফেলার এক নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। এতে দেশটিতে বিনিয়োগের পথ উন্মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হলো। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ছয় মাস পর এই পদক্ষেপ এল।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার ট্রাম্পের জারি করা আদেশে বলা হয়েছে, সিরিয়ার উন্নয়ন, সরকার পরিচালনা এবং সামাজিক কাঠামো পুনর্গঠনের জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগ।
এর আগে, ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই দেশটির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা ছিল। সাবেক সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এসব দীর্ঘমেয়াদি নিষেধাজ্ঞা সিরিয়ার পুনর্গঠনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। একই সঙ্গে এসব নিষেধাজ্ঞা আল-আসাদের শাসনামলে সিরিয়ার অর্থনীতিকে প্রায় ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়।
মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় গত মে মাসে ট্রাম্প সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সোমবার এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ‘সিরিয়াকে স্থিতিশীল, ঐক্যবদ্ধ এবং নিজ দেশের ভেতরে ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে দেখতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সিরিয়ার মাটি যেন সন্ত্রাসীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয় না হয় এবং দেশটির ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এটাই আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য সহায়ক হবে।’
তবে বাশার আল-আসাদ ও তাঁর সহযোগী আইএসআইএল (আইএসআইএস) এবং ইরান ও তাদের মিত্রদের ওপর থাকা সিরিয়া-সংশ্লিষ্ট নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা ইতিমধ্যে সিরিয়ার ৫১৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। তবে সব নিষেধাজ্ঞা তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার হচ্ছে না।
উদাহরণস্বরূপ, ট্রাম্প মার্কিন বিভিন্ন সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন, তারা যেন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে সিদ্ধান্ত নেয় যে, সিরিয়ার বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে কথিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জারি করা ‘সিজার আইন’-এর অধীনে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের উপযুক্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কি না।
এ ছাড়া, গত সপ্তাহে ডেমোক্র্যাট দলীয় মার্কিন কংগ্রেস সদস্য ইলহান ওমর এবং রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা আনা পলিনা লুনা একটি যৌথ বিল উত্থাপন করেছেন, যাতে সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আইনিভাবে তুলে নেওয়ার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি স্বস্তি দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে আরও বলা হয়েছে, তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন তিনি সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারাকে ‘বৈশ্বিক বিশেষ সন্ত্রাসী’ তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করেন। এ ছাড়া আল-শারার নেতৃত্বাধীন আল-নুসরা ফ্রন্টের (বর্তমানে হায়াত তাহরির আল-শাম) নাম ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনের’ তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়টিও পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। উল্লেখ্য, আল-নুসরা ছিল আল-কায়েদার সিরিয়া শাখা। তবে ২০১৬ সালে আল-শারা ওই সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন।
পরে আল-নুসরা নাম পরিবর্তন করে জাবহাত ফাতেহ আল-শাম রাখে। এরপর আরও কয়েকটি বিদ্রোহী সংগঠনের সঙ্গে মিলে তারা হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) গঠন করে। উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার ইদলিবে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে আল-শারা ছিলেন দখলদার নেতা। পরে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরানোর অভিযানে নেতৃত্ব দেন তিনি।
গত মে মাসে সৌদি আরবে আল-শারার সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি সিরিয়ার এই অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টকে ‘আকর্ষণীয়’ ও ‘দৃঢ়চেতা’ বলে প্রশংসা করেন। আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি নামেও পরিচিত আল-শারা সিরিয়ায় সব ধর্ম ও জাতিগত সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে সম্প্রতি আল-আসাদের আলাওয়ি সম্প্রদায়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের সহিংসতা ও অপহরণের ঘটনা উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
ভিয়েতনামের কৃষক নুয়েন থি হুয়ং। চিন্তায় ঠিকমতো ঘুমোতে পারছেন না। হাতছাড়া হতে যাচ্ছে তাঁর রুজি-রোজগারের একমাত্র উপায়। তাও আবার তাঁর নিজ দেশে ট্রাম্প পরিবারের সমর্থনে নির্মিত হতে যাওয়া একটি গলফ ক্লাবের জন্য। বিনিময়ে মিলবে মাত্র ৩২০০ মার্কিন ডলার এবং কয়েক মাসের জন্য চাল।
১৭ মিনিট আগেপারমাণবিক হামলায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের অনেকে ছিলেন অল্পবয়সী নারী, যাঁরা বোমা হামলার সময় গর্ভবতী বা সন্তান ধারণের উপযুক্ত বয়সে ছিলেন। কিন্তু তাঁদের শরীর থেকে সন্তানের শরীরে তেজস্ক্রিয়তা প্রবেশ করতে পারে, এই ভয়ে একপ্রকার ধ্বংসই হয়ে গেছে তাঁদের জীবন। চিকিৎসক, পরিচিতজন, বন্ধুবান্ধব এমনকি পরিবারের...
১ ঘণ্টা আগেস্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন স্বামী। পথিমধ্যে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান স্ত্রী। দিশেহারা স্বামী আশপাশে মানুষের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন, কিন্তু ভারী বৃষ্টি ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে কেউ এগিয়ে আসেনি।
১ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর জনবল গত ৬ বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। বর্তমানে দেশটির সেনাসদস্য প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার, যা ২০১৮ সালের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ কম। আর এই লোকবল কমার কারণ, দেশটিতে জন্মহার হ্রাস পাওয়ায় জনসংখ্যার হ্রাস। খবর বিবিসির।
১ ঘণ্টা আগে