পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শিয়া-সুন্নি সাম্প্রদায়িক সংঘাতের জেরে গত দুই দিনে আরও ১৩ জন নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (৩০ নভেম্বর) স্থানীয় খুররাম জেলার এক সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
পাকিস্তান একটি সুন্নি-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ, তবে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের খুররাম জেলায় শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা বেশি। এই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে কয়েক দশক ধরে সংঘাত চলছে। সাম্প্রতিক সংঘর্ষে এই অঞ্চলে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১২৪-এ পৌঁছেছে।
গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) পুলিশের পাহারায় চলা শিয়া মুসলমানদের দুটি আলাদা কাফেলায় হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত ৪০ জনের বেশি নিহত হন। এরপর থেকে আবারও পুরো সংঘর্ষ জেলায় ছড়িয়ে পড়ে।
এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খুররাম জেলার একজন সরকারি কর্মকর্তা জানান, নিহতের মধ্যে দুইজন সুন্নি ও ১১ জন শিয়া। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক সংঘর্ষে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। শনিবার সকাল পর্যন্ত সংঘর্ষ অব্যাহত ছিল।’
তিনি বলেন, ‘শিয়া-সুন্নি দুই পক্ষের মধ্যে প্রচণ্ড অবিশ্বাস। কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না। এদের কোনো পক্ষই শত্রুতা বন্ধ করতে সরকার নির্দেশিত আদেশ মানতে প্রস্তুত নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ জানিয়েছে, অনেক মানুষ সহিংসতার কারণে এলাকা ছেড়ে পালাতে চায়। কিন্তু ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা সংকটের কারণে তাও সম্ভব হচ্ছে না।’
পেশোয়ারের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাম্প্রতিক সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা ১২৪ বলে নিশ্চিত করেছেন। তিনি এএফপিকে জানান, আরও প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রাদেশিক সরকার শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তার কোনোটিই পুরোপুরি কার্যকর হয়নি।’
গত সপ্তাহের শেষের দিকে প্রাদেশিক সরকার সাত দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল, তবে তা কার্যকর হয়নি। বুধবার (২৭ নভেম্বর) আবারও দশ দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি করা হয়েছিল, কিন্তু সেটিও সংঘাত থামাতে ব্যর্থ হয়েছে।
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শিয়া-সুন্নি সাম্প্রদায়িক সংঘাতের জেরে গত দুই দিনে আরও ১৩ জন নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার (৩০ নভেম্বর) স্থানীয় খুররাম জেলার এক সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
পাকিস্তান একটি সুন্নি-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ, তবে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের খুররাম জেলায় শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা বেশি। এই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে কয়েক দশক ধরে সংঘাত চলছে। সাম্প্রতিক সংঘর্ষে এই অঞ্চলে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১২৪-এ পৌঁছেছে।
গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) পুলিশের পাহারায় চলা শিয়া মুসলমানদের দুটি আলাদা কাফেলায় হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত ৪০ জনের বেশি নিহত হন। এরপর থেকে আবারও পুরো সংঘর্ষ জেলায় ছড়িয়ে পড়ে।
এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খুররাম জেলার একজন সরকারি কর্মকর্তা জানান, নিহতের মধ্যে দুইজন সুন্নি ও ১১ জন শিয়া। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক সংঘর্ষে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। শনিবার সকাল পর্যন্ত সংঘর্ষ অব্যাহত ছিল।’
তিনি বলেন, ‘শিয়া-সুন্নি দুই পক্ষের মধ্যে প্রচণ্ড অবিশ্বাস। কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না। এদের কোনো পক্ষই শত্রুতা বন্ধ করতে সরকার নির্দেশিত আদেশ মানতে প্রস্তুত নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ জানিয়েছে, অনেক মানুষ সহিংসতার কারণে এলাকা ছেড়ে পালাতে চায়। কিন্তু ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা সংকটের কারণে তাও সম্ভব হচ্ছে না।’
পেশোয়ারের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাম্প্রতিক সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা ১২৪ বলে নিশ্চিত করেছেন। তিনি এএফপিকে জানান, আরও প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রাদেশিক সরকার শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তার কোনোটিই পুরোপুরি কার্যকর হয়নি।’
গত সপ্তাহের শেষের দিকে প্রাদেশিক সরকার সাত দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল, তবে তা কার্যকর হয়নি। বুধবার (২৭ নভেম্বর) আবারও দশ দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি করা হয়েছিল, কিন্তু সেটিও সংঘাত থামাতে ব্যর্থ হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়েছে ইরান। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা। পাহাড়ের ভেতরে গড়ে ওঠা এই গোপন ও কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত পরমাণু জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের একাধিক প্রবেশপথে মাটি জমে থাকতে দেখা
২০ মিনিট আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে ইরানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার ঘোষণা দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি বিশ্বজুড়ে অচল হয়ে পড়ে। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টার দিকে এই বিভ্রাট শুরু হয়, যা চলে অনেকক্ষণ। তবে এখন আবার স্বাভাবিকভাবে চলছে প্ল্যাটফর্মটি।
৩৩ মিনিট আগেইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর প্রথম প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। তিনি এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) গুরুতর লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—এই
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন হামলার পর এবার সবার চোখ ইরানের দিকে। এই হামলার পাল্টা আঘাত হিসেবে কী করতে যাচ্ছে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের এই দেশটি। ইসরায়েলি হামলায় শীর্ষ নেতাদের হারানো এবং নতুন করে দায়িত্ব সমর্পণ করে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া খামেনি এবার মার্কিন আঘাতের পাল্টা জবাব কীভাবে দেবেন, সেটা দেখার অপেক্ষায় সবাই।
১ ঘণ্টা আগে