ভারত-পাকিস্তান

কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জবাব দিতে ভারত পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালনা করেছিল। তাৎক্ষণিক সে হামলা প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। পাশাপাশি হুংকার দিয়েছিল, ‘যথোপযুক্ত’ জবাব দেবে তারা। সেই জবাব ইসলামাবাদ গত শুক্রবার দিবাগত রাতে দিয়েছে ‘অপারেশন বুনিয়ান আল-মারসুস’। এই নাম আরবি ভাষা থেকে নেওয়া। এর অর্থ ‘দুর্ভেদ্য প্রাচীর’।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল শনিবার দাবি করেছেন, ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। এমন সিদ্ধান্তের জন্য তিনি উভয় পক্ষকে অভিনন্দন জানান। ভারত ও পাকিস্তানের তরফ থেকেও যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
কাশ্মীরের পেহেলগামে ২২ এপ্রিল সন্ত্রাসী হামলা হয়। এর পর থেকেই উপমহাদেশের পারমাণবিক শক্তিধর দুই বৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে গেছে। সন্ত্রাসী হামলার দুই দিন পর দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখার (এলওসি) এপার-ওপার থেকে গুলিবিনিময় শুরু হয়। টানা প্রায় দুই সপ্তাহ এই অবস্থা চলার পর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভারতীয় বাহিনী ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালনা করে। ভারত সে সময় দাবি করেছিল, তারা ‘সন্ত্রাসী আস্তানা’ লক্ষ্য করে অভিযান পরিচালনা করেছে। তবে পাকিস্তান দাবি করেছে, ভারতীয় বাহিনী বেসামরিক বাড়িঘর ও মসজিদ লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
পাকিস্তান বাহিনী ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবিও করে সে সময়। তবে ভারত গতকাল শনিবার পর্যন্ত এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য দেয়নি। ভারতের ওই অভিযানের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। রাত নামলেই দুই পক্ষের মধ্যে গোলা বিনিময় চলতে থাকে। একপর্যায়ে এই উত্তেজনা ‘ড্রোন যুদ্ধে’ পরিণত হয়। পাকিস্তানের দাবি, তারা দুই দিনে ভারতের ৭৭টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। আর ভারত দাবি করেছে, তারা লাহোরে পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। এই ড্রোন যুদ্ধের মধ্যেও দুই বাহিনীর গোলা বিনিময় অব্যাহত থাকে। কাশ্মীরে ভারতের সামরিক স্থাপনায় পাকিস্তানের গোলা আঘাতও হেনেছে। এ ছাড়া কাশ্মীরের জম্মু ও পাঞ্জাবের পাঠানকোট রাত নামলেই হয়ে উঠছে ভুতুড়ে নগরী। হামলার আশঙ্কায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বিদ্যুৎ, স্থানীয়দের বাড়িঘরের আলো নিভিয়ে রাখতে পরামর্শ দিচ্ছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এই অবস্থার মধ্যেই গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জবাবে পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনিয়ান আল-মারসুস’ পরিচালনার দাবি করল।
বার্তা সংস্থা এএফপি সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছে, এবার ভারত ও পাকিস্তান যে সংঘাতে জড়িয়েছে, তা গত কয়েক দশকের মধ্যে ভয়াবহ। এরই মধ্যে উভয় পক্ষ মিলিয়ে মোটের ওপর ৬০ জনের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অনেকে। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত ৩২টি বিমানবন্দর বন্ধ রেখেছে, সীমান্তবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষও আজ রোববার স্থানীয় সময় দুপুর (গ্রিনিচ সময় সকাল ৭টা) পর্যন্ত আকাশসীমা বন্ধ রেখেছে।
পাকিস্তানের পাল্টা জবাব
পাকিস্তান গতকাল শনিবার দাবি করেছে, তাদের তিনটি বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ভারত শুক্রবার দিবাগত রাতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দিয়েছে। ভারতীয় বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার ভৌমিকা সিং গতকাল এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, পাকিস্তানের উচ্চগতির কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের কয়েকটি বিমানঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। তবে খুব সামান্যই ক্ষতি হয়েছে।
এর আগে পাকিস্তান অভিযোগ করেছে, ভারত তাদের তিনটি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এসব ঘাঁটির একটি রাওয়ালপিন্ডিতে, যা রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভারতীয় গোলার আঘাতে শুক্রবার দিবাগত রাতে আজাদ কাশ্মীরে ১১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
মধ্যরাতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এক বক্তব্যে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র আহমেদ শরিফ ভারতকে সতর্ক করে বলেন, ‘এবার আপনারা আমাদের জবাবের অপেক্ষায় থাকুন।’
পরে গতকাল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বলেছেন, ‘আমরা ভারতকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছি এবং নিরপরাধ নাগরিকদের রক্তের প্রতিশোধ নিয়েছি।’
এএফপি জানায়, গত রাতে গোলাগুলির সময় বার্তা সংস্থাটির প্রতিনিধিরা ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগরে বিকট বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, শ্রীনগরের পাশেই অবস্থিত ভারতীয় বাহিনীর অবন্তীপোরা সামরিক ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) ভারতীয় সেনাবাহিনী এক পোস্টে বলেছে, ‘পাকিস্তানের ড্রোন ও অন্যান্য গোলা হামলা আমাদের পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্তে অব্যাহত রয়েছে।’ সেনাবাহিনী দাবি করেছে, পাঞ্জাবের অমৃতসরে সামরিক ঘাঁটির ওপর দিয়ে শত্রুবাহিনীর বেশ কয়েকটি ড্রোন উড়তে দেখা গেছে। সেগুলো ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে।

জম্মু ছাড়ার হিড়িক
এএফপি জানায়, ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর জম্মুতে পাকিস্তানের হামলায় আতঙ্কিত হয়ে গতকাল শহর ত্যাগের হিড়িক পড়ে। জম্মু থেকে ছাড়া বিশেষ ট্রেনে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না এ দিন। ৪১ বছর বয়সী করণ ভার্মা বলেন, রাতজুড়ে বিকট বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গেছে। জম্মু ত্যাগ করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
ট্রেনে চেপে বসা যাত্রীদের বেশির ভাগই ছিলেন দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষ। তাঁদের অনেকেই ভারতের অন্যান্য অংশ থেকে এসে কাশ্মীরে কাজ করছিলেন। পাকিস্তানের হামলায় আতঙ্কিত হয়ে তাঁরা ঘরে ফেরার চেষ্টা করছিলেন।
যুদ্ধবিরতিতে রাজি উভয় পক্ষ
বিবিসি জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ভারত ও পাকিস্তান পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে। নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ রাতজুড়ে আলোচনার পর আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে ভারত ও পাকিস্তান পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি অবিলম্বে কার্যকরে সম্মত হয়েছে। সাধারণ বোধবুদ্ধি ও অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগানোর জন্য আমি উভয় দেশকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
সিএনএন জানায়, ট্রাম্পের পোস্টের পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেন, পাকিস্তান ও ভারত তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সম্মত হয়েছে। তিনি লিখেছেন, ‘পাকিস্তান সব সময়ই নিজের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রশ্নে ছাড় না দিয়ে এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছে।
বিবিসি জানায়, ভারতও যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রী বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তান পরস্পরের বিরুদ্ধে স্থল, আকাশ ও সমুদ্রে সব ধরনের গোলাগুলি ও সামরিক পদক্ষেপ বন্ধের বিষয়ে একমত হয়েছে। ভারতীয় সময় বিকেল ৫টা থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
এএফপি জানায়, ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্পের পোস্টের আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ভারত ও পাকিস্তানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বেশ কয়েকবার ফোন করে উভয় পক্ষকে পরস্পরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে আহ্বান জানান। মার্কো রুবিওর ফোনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমুখপাত্র ট্যামি ব্রুস। তিনি জানান, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবার প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের সঙ্গেও টেলিফোনে কথা বলেন।
পরে এক্সে এক পোস্টে মার্কো রুবিও লেখেন, ‘প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা ও রাষ্ট্রনায়কোচিত গুণাবলি ব্যবহার করে শান্তির পথ বেছে নেওয়ার জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও শেহবাজ শরিফের প্রশংসা করছি।’ তিনি জানান, তিনি এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বিগত ৪৮ ঘণ্টা ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, শেহবাজ শরিফসহ ভারতীয় ও পাকিস্তানি জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, কথা বলেছেন।
এদিকে চীন এবং শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি৭ও উত্তেজনা কমাতে উভয় পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জবাব দিতে ভারত পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালনা করেছিল। তাৎক্ষণিক সে হামলা প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। পাশাপাশি হুংকার দিয়েছিল, ‘যথোপযুক্ত’ জবাব দেবে তারা। সেই জবাব ইসলামাবাদ গত শুক্রবার দিবাগত রাতে দিয়েছে ‘অপারেশন বুনিয়ান আল-মারসুস’। এই নাম আরবি ভাষা থেকে নেওয়া। এর অর্থ ‘দুর্ভেদ্য প্রাচীর’।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল শনিবার দাবি করেছেন, ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। এমন সিদ্ধান্তের জন্য তিনি উভয় পক্ষকে অভিনন্দন জানান। ভারত ও পাকিস্তানের তরফ থেকেও যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
কাশ্মীরের পেহেলগামে ২২ এপ্রিল সন্ত্রাসী হামলা হয়। এর পর থেকেই উপমহাদেশের পারমাণবিক শক্তিধর দুই বৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে গেছে। সন্ত্রাসী হামলার দুই দিন পর দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখার (এলওসি) এপার-ওপার থেকে গুলিবিনিময় শুরু হয়। টানা প্রায় দুই সপ্তাহ এই অবস্থা চলার পর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভারতীয় বাহিনী ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালনা করে। ভারত সে সময় দাবি করেছিল, তারা ‘সন্ত্রাসী আস্তানা’ লক্ষ্য করে অভিযান পরিচালনা করেছে। তবে পাকিস্তান দাবি করেছে, ভারতীয় বাহিনী বেসামরিক বাড়িঘর ও মসজিদ লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
পাকিস্তান বাহিনী ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবিও করে সে সময়। তবে ভারত গতকাল শনিবার পর্যন্ত এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য দেয়নি। ভারতের ওই অভিযানের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। রাত নামলেই দুই পক্ষের মধ্যে গোলা বিনিময় চলতে থাকে। একপর্যায়ে এই উত্তেজনা ‘ড্রোন যুদ্ধে’ পরিণত হয়। পাকিস্তানের দাবি, তারা দুই দিনে ভারতের ৭৭টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। আর ভারত দাবি করেছে, তারা লাহোরে পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। এই ড্রোন যুদ্ধের মধ্যেও দুই বাহিনীর গোলা বিনিময় অব্যাহত থাকে। কাশ্মীরে ভারতের সামরিক স্থাপনায় পাকিস্তানের গোলা আঘাতও হেনেছে। এ ছাড়া কাশ্মীরের জম্মু ও পাঞ্জাবের পাঠানকোট রাত নামলেই হয়ে উঠছে ভুতুড়ে নগরী। হামলার আশঙ্কায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বিদ্যুৎ, স্থানীয়দের বাড়িঘরের আলো নিভিয়ে রাখতে পরামর্শ দিচ্ছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এই অবস্থার মধ্যেই গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জবাবে পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনিয়ান আল-মারসুস’ পরিচালনার দাবি করল।
বার্তা সংস্থা এএফপি সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছে, এবার ভারত ও পাকিস্তান যে সংঘাতে জড়িয়েছে, তা গত কয়েক দশকের মধ্যে ভয়াবহ। এরই মধ্যে উভয় পক্ষ মিলিয়ে মোটের ওপর ৬০ জনের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অনেকে। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত ৩২টি বিমানবন্দর বন্ধ রেখেছে, সীমান্তবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষও আজ রোববার স্থানীয় সময় দুপুর (গ্রিনিচ সময় সকাল ৭টা) পর্যন্ত আকাশসীমা বন্ধ রেখেছে।
পাকিস্তানের পাল্টা জবাব
পাকিস্তান গতকাল শনিবার দাবি করেছে, তাদের তিনটি বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ভারত শুক্রবার দিবাগত রাতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দিয়েছে। ভারতীয় বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার ভৌমিকা সিং গতকাল এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, পাকিস্তানের উচ্চগতির কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের কয়েকটি বিমানঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। তবে খুব সামান্যই ক্ষতি হয়েছে।
এর আগে পাকিস্তান অভিযোগ করেছে, ভারত তাদের তিনটি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এসব ঘাঁটির একটি রাওয়ালপিন্ডিতে, যা রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভারতীয় গোলার আঘাতে শুক্রবার দিবাগত রাতে আজাদ কাশ্মীরে ১১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
মধ্যরাতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এক বক্তব্যে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র আহমেদ শরিফ ভারতকে সতর্ক করে বলেন, ‘এবার আপনারা আমাদের জবাবের অপেক্ষায় থাকুন।’
পরে গতকাল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বলেছেন, ‘আমরা ভারতকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছি এবং নিরপরাধ নাগরিকদের রক্তের প্রতিশোধ নিয়েছি।’
এএফপি জানায়, গত রাতে গোলাগুলির সময় বার্তা সংস্থাটির প্রতিনিধিরা ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগরে বিকট বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, শ্রীনগরের পাশেই অবস্থিত ভারতীয় বাহিনীর অবন্তীপোরা সামরিক ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) ভারতীয় সেনাবাহিনী এক পোস্টে বলেছে, ‘পাকিস্তানের ড্রোন ও অন্যান্য গোলা হামলা আমাদের পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্তে অব্যাহত রয়েছে।’ সেনাবাহিনী দাবি করেছে, পাঞ্জাবের অমৃতসরে সামরিক ঘাঁটির ওপর দিয়ে শত্রুবাহিনীর বেশ কয়েকটি ড্রোন উড়তে দেখা গেছে। সেগুলো ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে।

জম্মু ছাড়ার হিড়িক
এএফপি জানায়, ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর জম্মুতে পাকিস্তানের হামলায় আতঙ্কিত হয়ে গতকাল শহর ত্যাগের হিড়িক পড়ে। জম্মু থেকে ছাড়া বিশেষ ট্রেনে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না এ দিন। ৪১ বছর বয়সী করণ ভার্মা বলেন, রাতজুড়ে বিকট বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গেছে। জম্মু ত্যাগ করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
ট্রেনে চেপে বসা যাত্রীদের বেশির ভাগই ছিলেন দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষ। তাঁদের অনেকেই ভারতের অন্যান্য অংশ থেকে এসে কাশ্মীরে কাজ করছিলেন। পাকিস্তানের হামলায় আতঙ্কিত হয়ে তাঁরা ঘরে ফেরার চেষ্টা করছিলেন।
যুদ্ধবিরতিতে রাজি উভয় পক্ষ
বিবিসি জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ভারত ও পাকিস্তান পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে। নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ রাতজুড়ে আলোচনার পর আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে ভারত ও পাকিস্তান পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি অবিলম্বে কার্যকরে সম্মত হয়েছে। সাধারণ বোধবুদ্ধি ও অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগানোর জন্য আমি উভয় দেশকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
সিএনএন জানায়, ট্রাম্পের পোস্টের পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেন, পাকিস্তান ও ভারত তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সম্মত হয়েছে। তিনি লিখেছেন, ‘পাকিস্তান সব সময়ই নিজের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রশ্নে ছাড় না দিয়ে এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছে।
বিবিসি জানায়, ভারতও যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রী বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তান পরস্পরের বিরুদ্ধে স্থল, আকাশ ও সমুদ্রে সব ধরনের গোলাগুলি ও সামরিক পদক্ষেপ বন্ধের বিষয়ে একমত হয়েছে। ভারতীয় সময় বিকেল ৫টা থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
এএফপি জানায়, ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্পের পোস্টের আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ভারত ও পাকিস্তানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বেশ কয়েকবার ফোন করে উভয় পক্ষকে পরস্পরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে আহ্বান জানান। মার্কো রুবিওর ফোনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমুখপাত্র ট্যামি ব্রুস। তিনি জানান, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবার প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের সঙ্গেও টেলিফোনে কথা বলেন।
পরে এক্সে এক পোস্টে মার্কো রুবিও লেখেন, ‘প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা ও রাষ্ট্রনায়কোচিত গুণাবলি ব্যবহার করে শান্তির পথ বেছে নেওয়ার জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও শেহবাজ শরিফের প্রশংসা করছি।’ তিনি জানান, তিনি এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বিগত ৪৮ ঘণ্টা ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, শেহবাজ শরিফসহ ভারতীয় ও পাকিস্তানি জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, কথা বলেছেন।
এদিকে চীন এবং শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি৭ও উত্তেজনা কমাতে উভয় পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
ভারত-পাকিস্তান

কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জবাব দিতে ভারত পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালনা করেছিল। তাৎক্ষণিক সে হামলা প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। পাশাপাশি হুংকার দিয়েছিল, ‘যথোপযুক্ত’ জবাব দেবে তারা। সেই জবাব ইসলামাবাদ গত শুক্রবার দিবাগত রাতে দিয়েছে ‘অপারেশন বুনিয়ান আল-মারসুস’। এই নাম আরবি ভাষা থেকে নেওয়া। এর অর্থ ‘দুর্ভেদ্য প্রাচীর’।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল শনিবার দাবি করেছেন, ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। এমন সিদ্ধান্তের জন্য তিনি উভয় পক্ষকে অভিনন্দন জানান। ভারত ও পাকিস্তানের তরফ থেকেও যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
কাশ্মীরের পেহেলগামে ২২ এপ্রিল সন্ত্রাসী হামলা হয়। এর পর থেকেই উপমহাদেশের পারমাণবিক শক্তিধর দুই বৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে গেছে। সন্ত্রাসী হামলার দুই দিন পর দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখার (এলওসি) এপার-ওপার থেকে গুলিবিনিময় শুরু হয়। টানা প্রায় দুই সপ্তাহ এই অবস্থা চলার পর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভারতীয় বাহিনী ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালনা করে। ভারত সে সময় দাবি করেছিল, তারা ‘সন্ত্রাসী আস্তানা’ লক্ষ্য করে অভিযান পরিচালনা করেছে। তবে পাকিস্তান দাবি করেছে, ভারতীয় বাহিনী বেসামরিক বাড়িঘর ও মসজিদ লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
পাকিস্তান বাহিনী ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবিও করে সে সময়। তবে ভারত গতকাল শনিবার পর্যন্ত এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য দেয়নি। ভারতের ওই অভিযানের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। রাত নামলেই দুই পক্ষের মধ্যে গোলা বিনিময় চলতে থাকে। একপর্যায়ে এই উত্তেজনা ‘ড্রোন যুদ্ধে’ পরিণত হয়। পাকিস্তানের দাবি, তারা দুই দিনে ভারতের ৭৭টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। আর ভারত দাবি করেছে, তারা লাহোরে পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। এই ড্রোন যুদ্ধের মধ্যেও দুই বাহিনীর গোলা বিনিময় অব্যাহত থাকে। কাশ্মীরে ভারতের সামরিক স্থাপনায় পাকিস্তানের গোলা আঘাতও হেনেছে। এ ছাড়া কাশ্মীরের জম্মু ও পাঞ্জাবের পাঠানকোট রাত নামলেই হয়ে উঠছে ভুতুড়ে নগরী। হামলার আশঙ্কায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বিদ্যুৎ, স্থানীয়দের বাড়িঘরের আলো নিভিয়ে রাখতে পরামর্শ দিচ্ছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এই অবস্থার মধ্যেই গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জবাবে পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনিয়ান আল-মারসুস’ পরিচালনার দাবি করল।
বার্তা সংস্থা এএফপি সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছে, এবার ভারত ও পাকিস্তান যে সংঘাতে জড়িয়েছে, তা গত কয়েক দশকের মধ্যে ভয়াবহ। এরই মধ্যে উভয় পক্ষ মিলিয়ে মোটের ওপর ৬০ জনের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অনেকে। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত ৩২টি বিমানবন্দর বন্ধ রেখেছে, সীমান্তবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষও আজ রোববার স্থানীয় সময় দুপুর (গ্রিনিচ সময় সকাল ৭টা) পর্যন্ত আকাশসীমা বন্ধ রেখেছে।
পাকিস্তানের পাল্টা জবাব
পাকিস্তান গতকাল শনিবার দাবি করেছে, তাদের তিনটি বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ভারত শুক্রবার দিবাগত রাতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দিয়েছে। ভারতীয় বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার ভৌমিকা সিং গতকাল এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, পাকিস্তানের উচ্চগতির কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের কয়েকটি বিমানঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। তবে খুব সামান্যই ক্ষতি হয়েছে।
এর আগে পাকিস্তান অভিযোগ করেছে, ভারত তাদের তিনটি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এসব ঘাঁটির একটি রাওয়ালপিন্ডিতে, যা রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভারতীয় গোলার আঘাতে শুক্রবার দিবাগত রাতে আজাদ কাশ্মীরে ১১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
মধ্যরাতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এক বক্তব্যে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র আহমেদ শরিফ ভারতকে সতর্ক করে বলেন, ‘এবার আপনারা আমাদের জবাবের অপেক্ষায় থাকুন।’
পরে গতকাল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বলেছেন, ‘আমরা ভারতকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছি এবং নিরপরাধ নাগরিকদের রক্তের প্রতিশোধ নিয়েছি।’
এএফপি জানায়, গত রাতে গোলাগুলির সময় বার্তা সংস্থাটির প্রতিনিধিরা ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগরে বিকট বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, শ্রীনগরের পাশেই অবস্থিত ভারতীয় বাহিনীর অবন্তীপোরা সামরিক ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) ভারতীয় সেনাবাহিনী এক পোস্টে বলেছে, ‘পাকিস্তানের ড্রোন ও অন্যান্য গোলা হামলা আমাদের পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্তে অব্যাহত রয়েছে।’ সেনাবাহিনী দাবি করেছে, পাঞ্জাবের অমৃতসরে সামরিক ঘাঁটির ওপর দিয়ে শত্রুবাহিনীর বেশ কয়েকটি ড্রোন উড়তে দেখা গেছে। সেগুলো ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে।

জম্মু ছাড়ার হিড়িক
এএফপি জানায়, ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর জম্মুতে পাকিস্তানের হামলায় আতঙ্কিত হয়ে গতকাল শহর ত্যাগের হিড়িক পড়ে। জম্মু থেকে ছাড়া বিশেষ ট্রেনে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না এ দিন। ৪১ বছর বয়সী করণ ভার্মা বলেন, রাতজুড়ে বিকট বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গেছে। জম্মু ত্যাগ করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
ট্রেনে চেপে বসা যাত্রীদের বেশির ভাগই ছিলেন দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষ। তাঁদের অনেকেই ভারতের অন্যান্য অংশ থেকে এসে কাশ্মীরে কাজ করছিলেন। পাকিস্তানের হামলায় আতঙ্কিত হয়ে তাঁরা ঘরে ফেরার চেষ্টা করছিলেন।
যুদ্ধবিরতিতে রাজি উভয় পক্ষ
বিবিসি জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ভারত ও পাকিস্তান পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে। নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ রাতজুড়ে আলোচনার পর আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে ভারত ও পাকিস্তান পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি অবিলম্বে কার্যকরে সম্মত হয়েছে। সাধারণ বোধবুদ্ধি ও অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগানোর জন্য আমি উভয় দেশকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
সিএনএন জানায়, ট্রাম্পের পোস্টের পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেন, পাকিস্তান ও ভারত তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সম্মত হয়েছে। তিনি লিখেছেন, ‘পাকিস্তান সব সময়ই নিজের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রশ্নে ছাড় না দিয়ে এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছে।
বিবিসি জানায়, ভারতও যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রী বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তান পরস্পরের বিরুদ্ধে স্থল, আকাশ ও সমুদ্রে সব ধরনের গোলাগুলি ও সামরিক পদক্ষেপ বন্ধের বিষয়ে একমত হয়েছে। ভারতীয় সময় বিকেল ৫টা থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
এএফপি জানায়, ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্পের পোস্টের আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ভারত ও পাকিস্তানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বেশ কয়েকবার ফোন করে উভয় পক্ষকে পরস্পরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে আহ্বান জানান। মার্কো রুবিওর ফোনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমুখপাত্র ট্যামি ব্রুস। তিনি জানান, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবার প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের সঙ্গেও টেলিফোনে কথা বলেন।
পরে এক্সে এক পোস্টে মার্কো রুবিও লেখেন, ‘প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা ও রাষ্ট্রনায়কোচিত গুণাবলি ব্যবহার করে শান্তির পথ বেছে নেওয়ার জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও শেহবাজ শরিফের প্রশংসা করছি।’ তিনি জানান, তিনি এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বিগত ৪৮ ঘণ্টা ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, শেহবাজ শরিফসহ ভারতীয় ও পাকিস্তানি জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, কথা বলেছেন।
এদিকে চীন এবং শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি৭ও উত্তেজনা কমাতে উভয় পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জবাব দিতে ভারত পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালনা করেছিল। তাৎক্ষণিক সে হামলা প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। পাশাপাশি হুংকার দিয়েছিল, ‘যথোপযুক্ত’ জবাব দেবে তারা। সেই জবাব ইসলামাবাদ গত শুক্রবার দিবাগত রাতে দিয়েছে ‘অপারেশন বুনিয়ান আল-মারসুস’। এই নাম আরবি ভাষা থেকে নেওয়া। এর অর্থ ‘দুর্ভেদ্য প্রাচীর’।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল শনিবার দাবি করেছেন, ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। এমন সিদ্ধান্তের জন্য তিনি উভয় পক্ষকে অভিনন্দন জানান। ভারত ও পাকিস্তানের তরফ থেকেও যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
কাশ্মীরের পেহেলগামে ২২ এপ্রিল সন্ত্রাসী হামলা হয়। এর পর থেকেই উপমহাদেশের পারমাণবিক শক্তিধর দুই বৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে গেছে। সন্ত্রাসী হামলার দুই দিন পর দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখার (এলওসি) এপার-ওপার থেকে গুলিবিনিময় শুরু হয়। টানা প্রায় দুই সপ্তাহ এই অবস্থা চলার পর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভারতীয় বাহিনী ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালনা করে। ভারত সে সময় দাবি করেছিল, তারা ‘সন্ত্রাসী আস্তানা’ লক্ষ্য করে অভিযান পরিচালনা করেছে। তবে পাকিস্তান দাবি করেছে, ভারতীয় বাহিনী বেসামরিক বাড়িঘর ও মসজিদ লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
পাকিস্তান বাহিনী ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবিও করে সে সময়। তবে ভারত গতকাল শনিবার পর্যন্ত এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য দেয়নি। ভারতের ওই অভিযানের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। রাত নামলেই দুই পক্ষের মধ্যে গোলা বিনিময় চলতে থাকে। একপর্যায়ে এই উত্তেজনা ‘ড্রোন যুদ্ধে’ পরিণত হয়। পাকিস্তানের দাবি, তারা দুই দিনে ভারতের ৭৭টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। আর ভারত দাবি করেছে, তারা লাহোরে পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। এই ড্রোন যুদ্ধের মধ্যেও দুই বাহিনীর গোলা বিনিময় অব্যাহত থাকে। কাশ্মীরে ভারতের সামরিক স্থাপনায় পাকিস্তানের গোলা আঘাতও হেনেছে। এ ছাড়া কাশ্মীরের জম্মু ও পাঞ্জাবের পাঠানকোট রাত নামলেই হয়ে উঠছে ভুতুড়ে নগরী। হামলার আশঙ্কায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বিদ্যুৎ, স্থানীয়দের বাড়িঘরের আলো নিভিয়ে রাখতে পরামর্শ দিচ্ছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এই অবস্থার মধ্যেই গত শুক্রবার দিবাগত রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জবাবে পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনিয়ান আল-মারসুস’ পরিচালনার দাবি করল।
বার্তা সংস্থা এএফপি সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছে, এবার ভারত ও পাকিস্তান যে সংঘাতে জড়িয়েছে, তা গত কয়েক দশকের মধ্যে ভয়াবহ। এরই মধ্যে উভয় পক্ষ মিলিয়ে মোটের ওপর ৬০ জনের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অনেকে। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত ৩২টি বিমানবন্দর বন্ধ রেখেছে, সীমান্তবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষও আজ রোববার স্থানীয় সময় দুপুর (গ্রিনিচ সময় সকাল ৭টা) পর্যন্ত আকাশসীমা বন্ধ রেখেছে।
পাকিস্তানের পাল্টা জবাব
পাকিস্তান গতকাল শনিবার দাবি করেছে, তাদের তিনটি বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ভারত শুক্রবার দিবাগত রাতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দিয়েছে। ভারতীয় বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার ভৌমিকা সিং গতকাল এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, পাকিস্তানের উচ্চগতির কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ভারতের কয়েকটি বিমানঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। তবে খুব সামান্যই ক্ষতি হয়েছে।
এর আগে পাকিস্তান অভিযোগ করেছে, ভারত তাদের তিনটি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এসব ঘাঁটির একটি রাওয়ালপিন্ডিতে, যা রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভারতীয় গোলার আঘাতে শুক্রবার দিবাগত রাতে আজাদ কাশ্মীরে ১১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
মধ্যরাতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এক বক্তব্যে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র আহমেদ শরিফ ভারতকে সতর্ক করে বলেন, ‘এবার আপনারা আমাদের জবাবের অপেক্ষায় থাকুন।’
পরে গতকাল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বলেছেন, ‘আমরা ভারতকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছি এবং নিরপরাধ নাগরিকদের রক্তের প্রতিশোধ নিয়েছি।’
এএফপি জানায়, গত রাতে গোলাগুলির সময় বার্তা সংস্থাটির প্রতিনিধিরা ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগরে বিকট বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, শ্রীনগরের পাশেই অবস্থিত ভারতীয় বাহিনীর অবন্তীপোরা সামরিক ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) ভারতীয় সেনাবাহিনী এক পোস্টে বলেছে, ‘পাকিস্তানের ড্রোন ও অন্যান্য গোলা হামলা আমাদের পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্তে অব্যাহত রয়েছে।’ সেনাবাহিনী দাবি করেছে, পাঞ্জাবের অমৃতসরে সামরিক ঘাঁটির ওপর দিয়ে শত্রুবাহিনীর বেশ কয়েকটি ড্রোন উড়তে দেখা গেছে। সেগুলো ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করেছে।

জম্মু ছাড়ার হিড়িক
এএফপি জানায়, ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর জম্মুতে পাকিস্তানের হামলায় আতঙ্কিত হয়ে গতকাল শহর ত্যাগের হিড়িক পড়ে। জম্মু থেকে ছাড়া বিশেষ ট্রেনে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না এ দিন। ৪১ বছর বয়সী করণ ভার্মা বলেন, রাতজুড়ে বিকট বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গেছে। জম্মু ত্যাগ করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
ট্রেনে চেপে বসা যাত্রীদের বেশির ভাগই ছিলেন দরিদ্র শ্রমজীবী মানুষ। তাঁদের অনেকেই ভারতের অন্যান্য অংশ থেকে এসে কাশ্মীরে কাজ করছিলেন। পাকিস্তানের হামলায় আতঙ্কিত হয়ে তাঁরা ঘরে ফেরার চেষ্টা করছিলেন।
যুদ্ধবিরতিতে রাজি উভয় পক্ষ
বিবিসি জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ভারত ও পাকিস্তান পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে। নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ রাতজুড়ে আলোচনার পর আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে ভারত ও পাকিস্তান পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি অবিলম্বে কার্যকরে সম্মত হয়েছে। সাধারণ বোধবুদ্ধি ও অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগানোর জন্য আমি উভয় দেশকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
সিএনএন জানায়, ট্রাম্পের পোস্টের পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেন, পাকিস্তান ও ভারত তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সম্মত হয়েছে। তিনি লিখেছেন, ‘পাকিস্তান সব সময়ই নিজের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রশ্নে ছাড় না দিয়ে এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছে।
বিবিসি জানায়, ভারতও যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রী বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তান পরস্পরের বিরুদ্ধে স্থল, আকাশ ও সমুদ্রে সব ধরনের গোলাগুলি ও সামরিক পদক্ষেপ বন্ধের বিষয়ে একমত হয়েছে। ভারতীয় সময় বিকেল ৫টা থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
এএফপি জানায়, ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্পের পোস্টের আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ভারত ও পাকিস্তানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বেশ কয়েকবার ফোন করে উভয় পক্ষকে পরস্পরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে আহ্বান জানান। মার্কো রুবিওর ফোনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমুখপাত্র ট্যামি ব্রুস। তিনি জানান, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবার প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের সঙ্গেও টেলিফোনে কথা বলেন।
পরে এক্সে এক পোস্টে মার্কো রুবিও লেখেন, ‘প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা ও রাষ্ট্রনায়কোচিত গুণাবলি ব্যবহার করে শান্তির পথ বেছে নেওয়ার জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও শেহবাজ শরিফের প্রশংসা করছি।’ তিনি জানান, তিনি এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বিগত ৪৮ ঘণ্টা ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, শেহবাজ শরিফসহ ভারতীয় ও পাকিস্তানি জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, কথা বলেছেন।
এদিকে চীন এবং শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি৭ও উত্তেজনা কমাতে উভয় পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি...
৭ ঘণ্টা আগে
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্র
৮ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
৮ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
৬৯ বছর বয়সী এ নেতার ভাষণের ভিডিও ক্লিপটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিজয়বর্গীয় তাঁর বক্তব্যে দাবি করেন, সম্রাট শাহজাহান একটি মন্দিরকে কবরে রূপান্তরিত করে তাজমহল নির্মাণ করেছিলেন।
বিজয়বর্গীয় বলেন, মমতাজকে প্রথমে বুরহানপুরে সমাহিত করা হয়েছিল। পরে তাঁর দেহ এমন একটি স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়, যেখানে একটি মন্দির নির্মাণ করা হচ্ছিল। সেই মন্দিরের ওপরই বর্তমান তাজমহল দাঁড়িয়ে রয়েছে।
একই অনুষ্ঠানে বিজেপির জাতীয় কার্যকরী সভাপতি নীতিন নবীনের উদ্দেশে বিজয়বর্গীয় বলেন, বিহারে জন্ম নিলেই যে একজন মানুষকে নম্র হতে হবে, তার কোনো মানে নেই, তবে নীতিন নবীন অত্যন্ত নম্রতার সঙ্গে এগিয়ে গেছেন। তাঁর এই মন্তব্যকে বিহারিদের প্রতি অবমাননাকর হিসেবে দেখছেন অনেকে।
বিজয়বর্গীয়ের এ বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র ভূপেন্দ্র গুপ্ত বলেন, বিজেপি মন্ত্রীরা সব সীমা লঙ্ঘন করছেন এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। ভূপেন্দ্র গুপ্ত বিদ্রূপ করে বলেন, একজন মন্ত্রী বলছেন ভাস্কো দা গামা ভারত আবিষ্কার করেননি, আরেকজন বলছেন তাজমহল আসলে মন্দির। তাঁদের উচিত বিশ্ববাসীর জন্য ইতিহাসের একটি নতুন বই লেখা। তাহলেই বোঝা যাবে, পৃথিবী তাঁদের সম্পর্কে কী ভাবে।
ভূপেন্দ্র প্রশ্ন তোলেন, যদি বিহারিদের সম্পর্কে বিজেপির এমন নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকে, তবে কেন তারা সেখানে নীতীশ কুমারের সঙ্গে জোট বেঁধে রাজনীতি করছে?
তবে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের জন্য বিতর্ক নতুন কিছু নয়। এর আগেও তিনি একাধিকবার আপত্তিকর মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন।
সম্প্রতি ইন্দোরে দুই অস্ট্রেলীয় নারী ক্রিকেটার হেনস্তার শিকার হলে তিনি দায়ীদের ধরার বদলে খেলোয়াড়দেরই ‘শিক্ষা নেওয়া’র পরামর্শ দিয়েছিলেন। নারীদের পোশাক নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে তিনি এর আগে বলেছিলেন, ‘অল্প পোশাকে’ মেয়েদের দেখলে তাঁর ভালো লাগে না। এ ছাড়া রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর আন্তরিকতাকে ‘বিদেশি মূল্যবোধ’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি।
অনেকে বলছেন, তাজমহল নিয়ে এমন দাবি উগ্র ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে আগে থেকেই ছিল। তবে একজন দায়িত্বশীল কেবিনেট মন্ত্রীর মুখে এমন কথা সামাজিক মেরুকরণকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
ভারত, মধ্যপ্রদেশ, তাজমহল, বিতর্ক, মন্তব্য, মন্ত্রী, মন্দির, ইতিহাস

মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
৬৯ বছর বয়সী এ নেতার ভাষণের ভিডিও ক্লিপটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিজয়বর্গীয় তাঁর বক্তব্যে দাবি করেন, সম্রাট শাহজাহান একটি মন্দিরকে কবরে রূপান্তরিত করে তাজমহল নির্মাণ করেছিলেন।
বিজয়বর্গীয় বলেন, মমতাজকে প্রথমে বুরহানপুরে সমাহিত করা হয়েছিল। পরে তাঁর দেহ এমন একটি স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়, যেখানে একটি মন্দির নির্মাণ করা হচ্ছিল। সেই মন্দিরের ওপরই বর্তমান তাজমহল দাঁড়িয়ে রয়েছে।
একই অনুষ্ঠানে বিজেপির জাতীয় কার্যকরী সভাপতি নীতিন নবীনের উদ্দেশে বিজয়বর্গীয় বলেন, বিহারে জন্ম নিলেই যে একজন মানুষকে নম্র হতে হবে, তার কোনো মানে নেই, তবে নীতিন নবীন অত্যন্ত নম্রতার সঙ্গে এগিয়ে গেছেন। তাঁর এই মন্তব্যকে বিহারিদের প্রতি অবমাননাকর হিসেবে দেখছেন অনেকে।
বিজয়বর্গীয়ের এ বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র ভূপেন্দ্র গুপ্ত বলেন, বিজেপি মন্ত্রীরা সব সীমা লঙ্ঘন করছেন এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। ভূপেন্দ্র গুপ্ত বিদ্রূপ করে বলেন, একজন মন্ত্রী বলছেন ভাস্কো দা গামা ভারত আবিষ্কার করেননি, আরেকজন বলছেন তাজমহল আসলে মন্দির। তাঁদের উচিত বিশ্ববাসীর জন্য ইতিহাসের একটি নতুন বই লেখা। তাহলেই বোঝা যাবে, পৃথিবী তাঁদের সম্পর্কে কী ভাবে।
ভূপেন্দ্র প্রশ্ন তোলেন, যদি বিহারিদের সম্পর্কে বিজেপির এমন নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকে, তবে কেন তারা সেখানে নীতীশ কুমারের সঙ্গে জোট বেঁধে রাজনীতি করছে?
তবে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের জন্য বিতর্ক নতুন কিছু নয়। এর আগেও তিনি একাধিকবার আপত্তিকর মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন।
সম্প্রতি ইন্দোরে দুই অস্ট্রেলীয় নারী ক্রিকেটার হেনস্তার শিকার হলে তিনি দায়ীদের ধরার বদলে খেলোয়াড়দেরই ‘শিক্ষা নেওয়া’র পরামর্শ দিয়েছিলেন। নারীদের পোশাক নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে তিনি এর আগে বলেছিলেন, ‘অল্প পোশাকে’ মেয়েদের দেখলে তাঁর ভালো লাগে না। এ ছাড়া রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর আন্তরিকতাকে ‘বিদেশি মূল্যবোধ’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি।
অনেকে বলছেন, তাজমহল নিয়ে এমন দাবি উগ্র ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে আগে থেকেই ছিল। তবে একজন দায়িত্বশীল কেবিনেট মন্ত্রীর মুখে এমন কথা সামাজিক মেরুকরণকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
ভারত, মধ্যপ্রদেশ, তাজমহল, বিতর্ক, মন্তব্য, মন্ত্রী, মন্দির, ইতিহাস

কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জবাব দিতে ভারত পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালনা করেছিল। তাৎক্ষণিক সে হামলা প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। পাশাপাশি হুংকার দিয়েছিল, ‘যথোপযুক্ত’ জবাব দেবে তারা।
১১ মে ২০২৫
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্র
৮ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
৮ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্রিক নানা বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেছে।
নলবাড়ির সিনিয়র পুলিশ সুপার বিবেকানন্দ দাস ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, পানিগাঁওয়ের সেন্ট মেরিস ইংলিশ স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় অভিযোগ করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা স্কুলের বড়দিনের সাজসজ্জা নষ্ট করার পাশাপাশি শহরের একটি দোকানে বিক্রি হওয়া ক্রিসমাস অর্নামেন্টও ভাঙচুর করেন।
তবে বড়দিন উদ্যাপনের সময় সবচেয়ে বেশি উত্তেজনার খবর পাওয়া গেছে বিজেপিশাসিত রাজ্য ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে। ছত্তিশগড়ে রাজধানী রায়পুরের ম্যাগনেটো মলে লাঠিসোঁটা নিয়ে একদল লোক অতর্কিতে হামলা চালান এবং বড়দিনের সব সাজসজ্জা গুঁড়িয়ে দেন। কথিত ধর্মান্তরের প্রতিবাদে ‘সর্ব হিন্দু সমাজ’-এর ডাকা ধর্মঘট চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এফআইআর করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এদিকে বিজেপিশাসিত আরেক রাজ্য মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলায় একটি গির্জায় প্রার্থনা চলাকালে কট্টরপন্থী বজরং দলের কর্মীরা ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিয়ে ভেতরে ঢুকে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। এ ছাড়া কাটঙ্গা এলাকায় এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিজেপি নেত্রী অঞ্জু ভার্গবের বিরুদ্ধে। ওই নারীর অপরাধ ছিল, তিনি বড়দিন উদ্যাপনে গির্জায় গিয়েছিলেন। যদিও ওই নারী স্পষ্ট করেছেন, বড়দিন পালন করা মানেই ধর্ম পরিবর্তন করা নয়।
রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগর জেলায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এক বিতর্কিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো স্কুল শিশুদের ‘সান্তা ক্লজ’ সাজতে বাধ্য করতে পারবে না। স্থানীয় এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়, যেখানে দাবি করা হয়েছে—সনাতন ধর্মাবলম্বী-অধ্যুষিত এই এলাকায় শিশুদের ওপর খ্রিষ্টীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রাজধানী দিল্লির লাজপতনগর এলাকায় বড়দিনের টুপি পরা একদল নারীকে হেনস্তা করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বজরং দলের সদস্যরা ওই নারীদের ধর্মান্তরচেষ্টার অভিযোগে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেন। তবে দিল্লি পুলিশ বিষয়টিকে ‘তুচ্ছ ব্যক্তিগত বিতর্ক’ হিসেবে অভিহিত করে কোনো মামলা নেয়নি।

ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্রিক নানা বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেছে।
নলবাড়ির সিনিয়র পুলিশ সুপার বিবেকানন্দ দাস ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, পানিগাঁওয়ের সেন্ট মেরিস ইংলিশ স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় অভিযোগ করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা স্কুলের বড়দিনের সাজসজ্জা নষ্ট করার পাশাপাশি শহরের একটি দোকানে বিক্রি হওয়া ক্রিসমাস অর্নামেন্টও ভাঙচুর করেন।
তবে বড়দিন উদ্যাপনের সময় সবচেয়ে বেশি উত্তেজনার খবর পাওয়া গেছে বিজেপিশাসিত রাজ্য ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে। ছত্তিশগড়ে রাজধানী রায়পুরের ম্যাগনেটো মলে লাঠিসোঁটা নিয়ে একদল লোক অতর্কিতে হামলা চালান এবং বড়দিনের সব সাজসজ্জা গুঁড়িয়ে দেন। কথিত ধর্মান্তরের প্রতিবাদে ‘সর্ব হিন্দু সমাজ’-এর ডাকা ধর্মঘট চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এফআইআর করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এদিকে বিজেপিশাসিত আরেক রাজ্য মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলায় একটি গির্জায় প্রার্থনা চলাকালে কট্টরপন্থী বজরং দলের কর্মীরা ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিয়ে ভেতরে ঢুকে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। এ ছাড়া কাটঙ্গা এলাকায় এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিজেপি নেত্রী অঞ্জু ভার্গবের বিরুদ্ধে। ওই নারীর অপরাধ ছিল, তিনি বড়দিন উদ্যাপনে গির্জায় গিয়েছিলেন। যদিও ওই নারী স্পষ্ট করেছেন, বড়দিন পালন করা মানেই ধর্ম পরিবর্তন করা নয়।
রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগর জেলায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এক বিতর্কিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো স্কুল শিশুদের ‘সান্তা ক্লজ’ সাজতে বাধ্য করতে পারবে না। স্থানীয় এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়, যেখানে দাবি করা হয়েছে—সনাতন ধর্মাবলম্বী-অধ্যুষিত এই এলাকায় শিশুদের ওপর খ্রিষ্টীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রাজধানী দিল্লির লাজপতনগর এলাকায় বড়দিনের টুপি পরা একদল নারীকে হেনস্তা করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বজরং দলের সদস্যরা ওই নারীদের ধর্মান্তরচেষ্টার অভিযোগে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেন। তবে দিল্লি পুলিশ বিষয়টিকে ‘তুচ্ছ ব্যক্তিগত বিতর্ক’ হিসেবে অভিহিত করে কোনো মামলা নেয়নি।

কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জবাব দিতে ভারত পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালনা করেছিল। তাৎক্ষণিক সে হামলা প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। পাশাপাশি হুংকার দিয়েছিল, ‘যথোপযুক্ত’ জবাব দেবে তারা।
১১ মে ২০২৫
মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি...
৭ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
৮ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক বিশ্বাস ও ঐক্য দখল করতে পারবে না।
পুতিনের নাম সরাসরি উল্লেখ না করলেও জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ আমরা সবাই একটি স্বপ্ন ভাগ করে নিচ্ছি। আর আমাদের সবার একটিই কামনা—সে ধ্বংস হোক; যেমনটা সবাই মনে মনে বলে।’ এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জেলেনস্কির এই ভাষণ এমন এক সময়ে এল, যখন বড়দিনের আগের দিনই রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ওই হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন এবং বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
জেলেনস্কি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘ক্রিসমাসের প্রাক্কালে রুশরা আবারও দেখিয়েছে তারা আসলে কারা। ব্যাপক গোলাবর্ষণ, শত শত শাহেদ ড্রোন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, কিনঝাল হামলা—সবকিছুই ব্যবহার করা হয়েছে। এটাই ঈশ্বরহীন আঘাত।’
তবে যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যেও শান্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তখন অবশ্যই আরও বড় কিছুর জন্য চাই। আমরা ইউক্রেনের জন্য শান্তি চাই। আমরা এর জন্য লড়ছি, প্রার্থনা করছি এবং আমরা এটি পাওয়ার যোগ্য।’
একই সময়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে একটি ২০ দফা পরিকল্পনার কথাও জানান। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি বলেন—শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইউক্রেন দেশের পূর্বাঞ্চলীয় শিল্পাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে পারে, তবে শর্ত হলো রাশিয়াকেও একইভাবে সেনা সরাতে হবে এবং ওই অঞ্চল আন্তর্জাতিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে নিরস্ত্রীকৃত এলাকায় পরিণত করতে হবে।
দনবাস অঞ্চল নিয়ে এটিই এখন পর্যন্ত জেলেনস্কির সবচেয়ে স্পষ্ট সমঝোতার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। একই ধরনের ব্যবস্থা রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশের এলাকাতেও প্রযোজ্য হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে যে কোনো শান্তি পরিকল্পনাই গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হতে হবে বলে জোর দেন জেলেনস্কি।
এদিকে রাশিয়া এখনো দখলকৃত অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়নি। বর্তমানে লুহানস্কের অধিকাংশ ও দোনেৎস্কের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক বিশ্বাস ও ঐক্য দখল করতে পারবে না।
পুতিনের নাম সরাসরি উল্লেখ না করলেও জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ আমরা সবাই একটি স্বপ্ন ভাগ করে নিচ্ছি। আর আমাদের সবার একটিই কামনা—সে ধ্বংস হোক; যেমনটা সবাই মনে মনে বলে।’ এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জেলেনস্কির এই ভাষণ এমন এক সময়ে এল, যখন বড়দিনের আগের দিনই রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ওই হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন এবং বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
জেলেনস্কি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘ক্রিসমাসের প্রাক্কালে রুশরা আবারও দেখিয়েছে তারা আসলে কারা। ব্যাপক গোলাবর্ষণ, শত শত শাহেদ ড্রোন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, কিনঝাল হামলা—সবকিছুই ব্যবহার করা হয়েছে। এটাই ঈশ্বরহীন আঘাত।’
তবে যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যেও শান্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তখন অবশ্যই আরও বড় কিছুর জন্য চাই। আমরা ইউক্রেনের জন্য শান্তি চাই। আমরা এর জন্য লড়ছি, প্রার্থনা করছি এবং আমরা এটি পাওয়ার যোগ্য।’
একই সময়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে একটি ২০ দফা পরিকল্পনার কথাও জানান। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি বলেন—শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইউক্রেন দেশের পূর্বাঞ্চলীয় শিল্পাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে পারে, তবে শর্ত হলো রাশিয়াকেও একইভাবে সেনা সরাতে হবে এবং ওই অঞ্চল আন্তর্জাতিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে নিরস্ত্রীকৃত এলাকায় পরিণত করতে হবে।
দনবাস অঞ্চল নিয়ে এটিই এখন পর্যন্ত জেলেনস্কির সবচেয়ে স্পষ্ট সমঝোতার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। একই ধরনের ব্যবস্থা রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশের এলাকাতেও প্রযোজ্য হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে যে কোনো শান্তি পরিকল্পনাই গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হতে হবে বলে জোর দেন জেলেনস্কি।
এদিকে রাশিয়া এখনো দখলকৃত অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়নি। বর্তমানে লুহানস্কের অধিকাংশ ও দোনেৎস্কের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জবাব দিতে ভারত পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালনা করেছিল। তাৎক্ষণিক সে হামলা প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। পাশাপাশি হুংকার দিয়েছিল, ‘যথোপযুক্ত’ জবাব দেবে তারা।
১১ মে ২০২৫
মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি...
৭ ঘণ্টা আগে
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্র
৮ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওডিশার কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (৬৯) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই অভিযানে গণেশসহ চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ওডিশা পুলিশ। নিহত গণেশ উইকে মাওবাদীদের ‘সেন্ট্রাল কমিটি’র (সিসি) সদস্য এবং ওডিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ওডিশায় মাওবাদীবিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এএনও) সঞ্জীব পান্ডা জানান, কান্ধামাল জেলার চাকাপাদা থানা এলাকায় রাম্ভা বন রেঞ্জের কাছে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে কান্ধামাল জেলায় মোট ছয়জন মাওবাদী নিহত হলেন।
গণেশ উইকেকে বলা হতো মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’। গণেশ উইকে ‘রূপা’, ‘রাজেশ তিওয়ারি’, ‘পাক্কা হনুমন্তু’সহ একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। গণেশ উইকেকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ রুপি।
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ের কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে বেলঘর থানা এলাকার গুম্মা জঙ্গলে প্রথম সংঘর্ষে দুজন মাওবাদী নিহত হন। এরপর আজ সকালে চাকাপাদা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় ওডিশা পুলিশের এসওজি, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী। আজকের অভিযানে দুই নারী, দুই পুরুষসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল।
এনকাউন্টারস্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল ও একটি পয়েন্ট থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সফলতাকে ‘নকশালমুক্ত ভারত’ গড়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণেশ উইকের নিধন ওডিশাকে মাওবাদীমুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, এই অভিযানের ঠিক দুই দিন আগে মালকানগিরি জেলায় ২২ জন মাওবাদী ওডিশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের এ পতন এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

ওডিশার কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (৬৯) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই অভিযানে গণেশসহ চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ওডিশা পুলিশ। নিহত গণেশ উইকে মাওবাদীদের ‘সেন্ট্রাল কমিটি’র (সিসি) সদস্য এবং ওডিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ওডিশায় মাওবাদীবিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এএনও) সঞ্জীব পান্ডা জানান, কান্ধামাল জেলার চাকাপাদা থানা এলাকায় রাম্ভা বন রেঞ্জের কাছে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে কান্ধামাল জেলায় মোট ছয়জন মাওবাদী নিহত হলেন।
গণেশ উইকেকে বলা হতো মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’। গণেশ উইকে ‘রূপা’, ‘রাজেশ তিওয়ারি’, ‘পাক্কা হনুমন্তু’সহ একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। গণেশ উইকেকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ রুপি।
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ের কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে বেলঘর থানা এলাকার গুম্মা জঙ্গলে প্রথম সংঘর্ষে দুজন মাওবাদী নিহত হন। এরপর আজ সকালে চাকাপাদা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় ওডিশা পুলিশের এসওজি, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী। আজকের অভিযানে দুই নারী, দুই পুরুষসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল।
এনকাউন্টারস্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল ও একটি পয়েন্ট থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সফলতাকে ‘নকশালমুক্ত ভারত’ গড়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণেশ উইকের নিধন ওডিশাকে মাওবাদীমুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, এই অভিযানের ঠিক দুই দিন আগে মালকানগিরি জেলায় ২২ জন মাওবাদী ওডিশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের এ পতন এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জবাব দিতে ভারত পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালনা করেছিল। তাৎক্ষণিক সে হামলা প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। পাশাপাশি হুংকার দিয়েছিল, ‘যথোপযুক্ত’ জবাব দেবে তারা।
১১ মে ২০২৫
মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি...
৭ ঘণ্টা আগে
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্র
৮ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
৮ ঘণ্টা আগে