আরও পাঁচটি স্থানীয় ব্যাংকে মার্কিন ডলার লেনদেন নিষিদ্ধ করছে ইরাক। অর্থপাচার, ডলার চোরাচালান ও অন্যান্য অনিয়ম প্রতিরোধে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মার্কিন ট্রেজারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর গতকাল রোববার এ ঘোষণা দেওয়া হয় বলে দুটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে।
নিষিদ্ধ পাঁচটি ব্যাংক হলো—আল-মাশরেক আল-আরবি ইসলামিক ব্যাংক, ইউনাইটেড ব্যাংক ফর ইনভেস্টমেন্ট, আল সানাম ইসলামিক ব্যাংক, মিসক ইসলামিক ব্যাংক ও আমিন ইরাক ফর ইসলামিক ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ফিন্যান্স।
এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় তিনটি পেমেন্ট পরিষেবা প্রতিষ্ঠানও পড়েছে—আমাওল, আল-সাকি পেমেন্ট ও আকসা পেমেন্ট।
গত সপ্তাহে দুবাইতে মার্কিন ট্রেজারি ও ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তাদের বৈঠক করেন ইরাকের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা। বৈঠকের পর এই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে গত বছর ৮টি ব্যাংকে মার্কিন ডলার লেনদেন নিষিদ্ধ করেছিল ইরাক।
ইরাক একই সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মিত্র। সে হিসেবে ইরাকের ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি রিজার্ভ যুক্তরাষ্ট্রে সংরক্ষিত রয়েছে। তবে দেশটি মূলত ওয়াশিংটনের সদিচ্ছার ওপর নির্ভরশীল, যাতে তার তেল বিক্রির রাজস্ব ও অন্যান্য অর্থনৈতিক লেনদেন বন্ধ হয়ে না যায়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই মাসে ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি ইরানের বিরুদ্ধে তার সর্বোচ্চ চাপ নীতিতে ফিরে যাবেন। এ পরিস্থিতিতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ ইরাক চাপে পড়তে পারে।
ইরানের জন্য প্রতিবেশী ও মিত্র দেশ ইরাক অর্থনৈতিকভাবে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শিয়া সম্প্রদায়ের সামরিক বাহিনী ও রাজনৈতিক দলগুলোর মাধ্যমে ব্যাপক সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব বজায় রেখেছে। এছাড়া, ইরাকের মাধ্যমে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে পণ্য রপ্তানি করে ইরান। পাশাপাশি দেশটির ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে কাগুজে মুদ্রা সংগ্রহ করে।
গত ডিসেম্বরে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান ও তার মিত্র দেশগুলোতে জ্বালানি তেলের একটি চোরাচালান নেটওয়ার্ক বছরে অন্তত ১ বিলিয়ন ডলার আয় করে। ২০২২ সালে মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে এটি ইরাকে আরও প্রসার লাভ করেছে।
ইরাকের কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ডলার লেনদেনে নিষিদ্ধ ব্যাংকগুলো অন্য মুদ্রায় লেনদেন চালিয়ে যেতে পারবে এবং তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারবে।
এই নিষেধাজ্ঞা ব্যাংকগুলোর ডলারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষমতা সীমিত করে দেবে, যা ইরাকের বাইরে পরিচালিত বেশিরভাগ কার্যক্রমকে ব্যাহত করতে পারে।
ইরাকের বর্তমান সরকার ইরান-সমর্থিত শক্তিশালী রাজনৈতিক দল ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সহায়তায় ক্ষমতায় এসেছে। এই দল ও গোষ্ঠীগুলোর স্বার্থ জড়িত ইরাকের অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতিতে, যার মধ্যে রয়েছে আর্থিক খাত, যা দীর্ঘদিন ধরে অর্থপাচারের জন্য পরিচিত।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী সুদানির সঙ্গে অর্থনৈতিক ও আর্থিক সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে কাজ করাকে ইতিবাচকভাবে দেখছিলেন পশ্চিমা কর্মকর্তারা। ইরান ও তার মিত্রদের মার্কিন ডলারের নাগাল কমানোর উদ্দেশ্যে গৃহীত হয়েছিল। তবে, ট্রাম্প প্রশাসনের কারণে এই বিষয়ে নতুন চাপ সৃষ্টি হতে পারে।
ইরাকের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও মার্কিন ট্রেজারি তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
আরও পাঁচটি স্থানীয় ব্যাংকে মার্কিন ডলার লেনদেন নিষিদ্ধ করছে ইরাক। অর্থপাচার, ডলার চোরাচালান ও অন্যান্য অনিয়ম প্রতিরোধে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মার্কিন ট্রেজারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর গতকাল রোববার এ ঘোষণা দেওয়া হয় বলে দুটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে।
নিষিদ্ধ পাঁচটি ব্যাংক হলো—আল-মাশরেক আল-আরবি ইসলামিক ব্যাংক, ইউনাইটেড ব্যাংক ফর ইনভেস্টমেন্ট, আল সানাম ইসলামিক ব্যাংক, মিসক ইসলামিক ব্যাংক ও আমিন ইরাক ফর ইসলামিক ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ফিন্যান্স।
এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় তিনটি পেমেন্ট পরিষেবা প্রতিষ্ঠানও পড়েছে—আমাওল, আল-সাকি পেমেন্ট ও আকসা পেমেন্ট।
গত সপ্তাহে দুবাইতে মার্কিন ট্রেজারি ও ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তাদের বৈঠক করেন ইরাকের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা। বৈঠকের পর এই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে গত বছর ৮টি ব্যাংকে মার্কিন ডলার লেনদেন নিষিদ্ধ করেছিল ইরাক।
ইরাক একই সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মিত্র। সে হিসেবে ইরাকের ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি রিজার্ভ যুক্তরাষ্ট্রে সংরক্ষিত রয়েছে। তবে দেশটি মূলত ওয়াশিংটনের সদিচ্ছার ওপর নির্ভরশীল, যাতে তার তেল বিক্রির রাজস্ব ও অন্যান্য অর্থনৈতিক লেনদেন বন্ধ হয়ে না যায়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই মাসে ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি ইরানের বিরুদ্ধে তার সর্বোচ্চ চাপ নীতিতে ফিরে যাবেন। এ পরিস্থিতিতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ ইরাক চাপে পড়তে পারে।
ইরানের জন্য প্রতিবেশী ও মিত্র দেশ ইরাক অর্থনৈতিকভাবে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শিয়া সম্প্রদায়ের সামরিক বাহিনী ও রাজনৈতিক দলগুলোর মাধ্যমে ব্যাপক সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব বজায় রেখেছে। এছাড়া, ইরাকের মাধ্যমে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে পণ্য রপ্তানি করে ইরান। পাশাপাশি দেশটির ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে কাগুজে মুদ্রা সংগ্রহ করে।
গত ডিসেম্বরে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান ও তার মিত্র দেশগুলোতে জ্বালানি তেলের একটি চোরাচালান নেটওয়ার্ক বছরে অন্তত ১ বিলিয়ন ডলার আয় করে। ২০২২ সালে মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে এটি ইরাকে আরও প্রসার লাভ করেছে।
ইরাকের কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ডলার লেনদেনে নিষিদ্ধ ব্যাংকগুলো অন্য মুদ্রায় লেনদেন চালিয়ে যেতে পারবে এবং তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারবে।
এই নিষেধাজ্ঞা ব্যাংকগুলোর ডলারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষমতা সীমিত করে দেবে, যা ইরাকের বাইরে পরিচালিত বেশিরভাগ কার্যক্রমকে ব্যাহত করতে পারে।
ইরাকের বর্তমান সরকার ইরান-সমর্থিত শক্তিশালী রাজনৈতিক দল ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সহায়তায় ক্ষমতায় এসেছে। এই দল ও গোষ্ঠীগুলোর স্বার্থ জড়িত ইরাকের অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতিতে, যার মধ্যে রয়েছে আর্থিক খাত, যা দীর্ঘদিন ধরে অর্থপাচারের জন্য পরিচিত।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী সুদানির সঙ্গে অর্থনৈতিক ও আর্থিক সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে কাজ করাকে ইতিবাচকভাবে দেখছিলেন পশ্চিমা কর্মকর্তারা। ইরান ও তার মিত্রদের মার্কিন ডলারের নাগাল কমানোর উদ্দেশ্যে গৃহীত হয়েছিল। তবে, ট্রাম্প প্রশাসনের কারণে এই বিষয়ে নতুন চাপ সৃষ্টি হতে পারে।
ইরাকের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও মার্কিন ট্রেজারি তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের কিশতওয়ার জেলার চাশোটি এলাকায় আজ দুপুরে ভয়াবহ ক্লাউডবার্স্টে আকস্মিক বন্যা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে তৎপরতা চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দলগুলো। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)
৩২ মিনিট আগেগাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে ইসরায়েলের নতুন বিধিনিষেধের কারণে জীবন ধারণের অতি প্রয়োজনীয় ত্রাণ সহায়তা গাজায় ঢুকতে পারছে না বলে অভিযোগ তুলেছে শতাধিক আন্তর্জাতিক সংগঠনের। সংস্থাগুলোর দাবি, এসব বিধিনিষেধের ফলে জর্ডান ও মিসরের গুদামঘরে বিপুল পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী আটকে আছে, অন্যদিকে খাবারের অভাবে অপুষ্টিতে
১ ঘণ্টা আগেহৃদ্যন্ত্রের বিরল সংক্রমণে কোমায় চলে গিয়েছিলেন চীনের হেনান প্রদেশের ১৮ বছর বয়সী এক তরুণী। চিকিৎসকেরা আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন। কিন্তু, এমন সময় পরিবারের হাতে এল এক সুখবর। জিয়াং চেননান নামে ওই তরুণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর ভর্তির চিঠিও পাঠিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেইসরায়েল গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের যুদ্ধবিধ্বস্ত পূর্ব আফ্রিকার দেশ দক্ষিণ সুদানে পুনর্বাসনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করছে। হামাসের বিরুদ্ধে টানা ২২ মাসের সামরিক অভিযানে গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়ার পর অঞ্চলটিতে ব্যাপক অভিবাসন ত্বরান্বিত করার ইসরায়েলের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই...
২ ঘণ্টা আগে