গাজায় যুদ্ধরত নয়শোর বেশি ইসরায়েলি সেনার বাবা-মা রাফাহে অভিযান থামানোর অনুরোধ জানিয়ে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাছে লেখা এক চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, রাফাহ তাদের সন্তানদের জন্য একটি ‘মৃত্যুফাঁদ’ এবং সেখানে অভিযান বন্ধ করা হোক। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
গত ২ মে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘সাধারণ বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন যে কারও কাছে এটা স্পষ্ট যে, রাফাহে আগ্রাসনের বিষয়ে কয়েক মাস আগে থেকেই সতর্কতা ও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তাই এখন প্রতিপক্ষ বাহিনী সক্রিয়ভাবে আমাদের সৈন্যদের আক্রমণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভিকে সম্বোধন করে লেখা চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমাদের ছেলেরা শারীরিক এবং মানসিকভাবে ক্লান্ত। আর এখন আপনি তাদের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পাঠাতে চান? এটাকে অদূরদর্শিতা ছাড়া কিছুই মনে হচ্ছে না।’
এই চিঠিতে শুরুর দিকে প্রায় ৬০০ সৈন্যের বাবা-মা স্বাক্ষর করেছিলেন। তবে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে আরও ৩০০ সৈন্যের বাবা-মা এতে স্বাক্ষর করেছেন।
গত সপ্তাহে পূর্ব ও মধ্য রাফাহ খালি করে দেওয়ার সতর্কবার্তা দিয়েছিল ইসরায়েল। এরপর প্রায় ৫ লাখ বাসিন্দা রাফাহ ত্যাগ করেছে। ইসরায়েলি হামলায় গাজার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাফাহে এসে আশ্রয় নিয়েছিল প্রায় ১৩ লাখ ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, রাফাহে পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ বন্ধ করার জন্য মার্কিন চাপকে তিনি প্রত্যাখ্যান করবেন।
রাফাহে যেকোনো লড়াই জটিল ও কঠিন হতে পারে। হামাস সেখানে প্রতিরক্ষা জোরদার করতে কয়েক মাস সময় নিয়েছে এবং শহরের নিচে হামাসের সুড়ঙ্গের নেটওয়ার্কও অনেকটাই অক্ষত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গাজায় ইসরায়েলি বিশেষ বাহিনীর সৈন্যের মা আনাত বলেন, ‘রাফাহ একটি মৃত্যু ফাঁদ। আমাদের সৈন্যদের হত্যার জন্য জায়গা প্রস্তুত করতে হামাস অনেক সময় পেয়েছে। আমরা তাই প্রচণ্ড উদ্বিগ্ন। আমাদের আশঙ্কাকেই এখন সত্যি হতে দেখছি কারণ, একটি এলাকা থেকে সৈন্যদের অবিলম্বে প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে—হামাস যাতে দ্রুত সেই এলাকার নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায়।’
আনাত আরও বলেন, ‘যুদ্ধের প্রথম মাসগুলোতে আমরা পুরো অভিযানকেই সমর্থন দিয়েছি। গাজায় যুদ্ধ করা ছাড়া হামাসের হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার আর কোনো উপায় ছিল না। কিন্তু গত মাসগুলোতে আমরা বুঝতে পারছি যে, তাদের (আইডিএফ) কোনো সুস্পষ্ট পরিকল্পনা নেই।’
ইসরায়েলি এক কমান্ডারের মা ইদিত বলেন, ‘কয়েক মিনিট আগে আমার ছেলে আমাকে মেসেজ দিয়েছে। সে জানিয়েছে, তারা রাফাহে যাচ্ছে। এটা শুনে ভয় পাচ্ছি। আমরা হামাসকে নির্মূলের জন্য অভিযানের বিরুদ্ধে নই। তবে রাফাহে প্রবেশ করা এই মিশনের জন্য যৌক্তিক নয়।’
ইদিত বলেছিলেন যে, তার ছেলে রাফাহে প্রবেশ করতে চায়নি। তবে সে তা করবে কারণ, সে সেনাবাহিনীর প্রতি অনুগত।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ সৈন্যদের বাবা-মার চিঠির জবাব দেয়নি। তবে গতকাল রোববার জেরুজালেমের ওয়েস্টার্ন ওয়ালে স্মৃতি দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে আইডিএফ প্রধান হারজি হালেভি বলেছিলেন যে, তিনি নিহত সেনাদের পরিবারের উত্তর দেওয়ার জন্য দায়বদ্ধ।
হালেভি বলেন, ‘আমি সেই কমান্ডার যে আপনার ছেলে-মেয়েদের সেই যুদ্ধে পাঠিয়েছে যেখান থেকে তারা ফিরে আসেনি। আমি প্রতিদিন নিজের সঙ্গে এই হারিয়ে ফেলা মানুষদের স্মৃতি বয়ে বেড়াই এবং যেসব প্রশ্ন আপনাদের ঘুমোতে দেয় না, সেসব তীক্ষ্ণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আমি দায়বদ্ধ।’
গাজায় যুদ্ধরত নয়শোর বেশি ইসরায়েলি সেনার বাবা-মা রাফাহে অভিযান থামানোর অনুরোধ জানিয়ে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাছে লেখা এক চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, রাফাহ তাদের সন্তানদের জন্য একটি ‘মৃত্যুফাঁদ’ এবং সেখানে অভিযান বন্ধ করা হোক। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
গত ২ মে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘সাধারণ বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন যে কারও কাছে এটা স্পষ্ট যে, রাফাহে আগ্রাসনের বিষয়ে কয়েক মাস আগে থেকেই সতর্কতা ও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তাই এখন প্রতিপক্ষ বাহিনী সক্রিয়ভাবে আমাদের সৈন্যদের আক্রমণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভিকে সম্বোধন করে লেখা চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমাদের ছেলেরা শারীরিক এবং মানসিকভাবে ক্লান্ত। আর এখন আপনি তাদের এই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পাঠাতে চান? এটাকে অদূরদর্শিতা ছাড়া কিছুই মনে হচ্ছে না।’
এই চিঠিতে শুরুর দিকে প্রায় ৬০০ সৈন্যের বাবা-মা স্বাক্ষর করেছিলেন। তবে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে আরও ৩০০ সৈন্যের বাবা-মা এতে স্বাক্ষর করেছেন।
গত সপ্তাহে পূর্ব ও মধ্য রাফাহ খালি করে দেওয়ার সতর্কবার্তা দিয়েছিল ইসরায়েল। এরপর প্রায় ৫ লাখ বাসিন্দা রাফাহ ত্যাগ করেছে। ইসরায়েলি হামলায় গাজার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাফাহে এসে আশ্রয় নিয়েছিল প্রায় ১৩ লাখ ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, রাফাহে পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ বন্ধ করার জন্য মার্কিন চাপকে তিনি প্রত্যাখ্যান করবেন।
রাফাহে যেকোনো লড়াই জটিল ও কঠিন হতে পারে। হামাস সেখানে প্রতিরক্ষা জোরদার করতে কয়েক মাস সময় নিয়েছে এবং শহরের নিচে হামাসের সুড়ঙ্গের নেটওয়ার্কও অনেকটাই অক্ষত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গাজায় ইসরায়েলি বিশেষ বাহিনীর সৈন্যের মা আনাত বলেন, ‘রাফাহ একটি মৃত্যু ফাঁদ। আমাদের সৈন্যদের হত্যার জন্য জায়গা প্রস্তুত করতে হামাস অনেক সময় পেয়েছে। আমরা তাই প্রচণ্ড উদ্বিগ্ন। আমাদের আশঙ্কাকেই এখন সত্যি হতে দেখছি কারণ, একটি এলাকা থেকে সৈন্যদের অবিলম্বে প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে—হামাস যাতে দ্রুত সেই এলাকার নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায়।’
আনাত আরও বলেন, ‘যুদ্ধের প্রথম মাসগুলোতে আমরা পুরো অভিযানকেই সমর্থন দিয়েছি। গাজায় যুদ্ধ করা ছাড়া হামাসের হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার আর কোনো উপায় ছিল না। কিন্তু গত মাসগুলোতে আমরা বুঝতে পারছি যে, তাদের (আইডিএফ) কোনো সুস্পষ্ট পরিকল্পনা নেই।’
ইসরায়েলি এক কমান্ডারের মা ইদিত বলেন, ‘কয়েক মিনিট আগে আমার ছেলে আমাকে মেসেজ দিয়েছে। সে জানিয়েছে, তারা রাফাহে যাচ্ছে। এটা শুনে ভয় পাচ্ছি। আমরা হামাসকে নির্মূলের জন্য অভিযানের বিরুদ্ধে নই। তবে রাফাহে প্রবেশ করা এই মিশনের জন্য যৌক্তিক নয়।’
ইদিত বলেছিলেন যে, তার ছেলে রাফাহে প্রবেশ করতে চায়নি। তবে সে তা করবে কারণ, সে সেনাবাহিনীর প্রতি অনুগত।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ সৈন্যদের বাবা-মার চিঠির জবাব দেয়নি। তবে গতকাল রোববার জেরুজালেমের ওয়েস্টার্ন ওয়ালে স্মৃতি দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে আইডিএফ প্রধান হারজি হালেভি বলেছিলেন যে, তিনি নিহত সেনাদের পরিবারের উত্তর দেওয়ার জন্য দায়বদ্ধ।
হালেভি বলেন, ‘আমি সেই কমান্ডার যে আপনার ছেলে-মেয়েদের সেই যুদ্ধে পাঠিয়েছে যেখান থেকে তারা ফিরে আসেনি। আমি প্রতিদিন নিজের সঙ্গে এই হারিয়ে ফেলা মানুষদের স্মৃতি বয়ে বেড়াই এবং যেসব প্রশ্ন আপনাদের ঘুমোতে দেয় না, সেসব তীক্ষ্ণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আমি দায়বদ্ধ।’
যুক্তরাষ্ট্রকে কেন ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়ানো হলো, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে তার কৈফিয়ত চেয়েছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটর চাক শুমার। কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া তিনি কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার স্পষ্ট জবাব জানতে চেয়েছেন ওই ডেমোক্র্যাট নেতা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়েছে ইরান। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা। পাহাড়ের ভেতরে গড়ে ওঠা এই গোপন ও কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত পরমাণু জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের একাধিক প্রবেশপথে মাটি জমে থাকতে দেখা
২ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে ইরানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার ঘোষণা দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি বিশ্বজুড়ে অচল হয়ে পড়ে। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টার দিকে এই বিভ্রাট শুরু হয়, যা চলে অনেকক্ষণ। তবে এখন আবার স্বাভাবিকভাবে চলছে প্ল্যাটফর্মটি।
২ ঘণ্টা আগেইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর প্রথম প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। তিনি এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) গুরুতর লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—এই
২ ঘণ্টা আগে