আজকের পত্রিকা ডেস্ক
পশ্চিম তীরে অস্কারজয়ী ফিলিস্তিনি চলচ্চিত্র নির্মাতা বাসেল আদ্রার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। গতকাল শনিবার এ অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বাসেল নিজেই। তিনি জানান, সেনারা বাড়িতে ঢুকে তাঁর খোঁজ করছিল। এমনকি তাঁর স্ত্রী মোবাইল ফোনেও সেনারা তল্লাশি চালিয়েছে।
বার্তা সংস্থা এপিকে আদরা জানান, শনিবার রাতে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় তিন ভাই আহত হন। তাদের নিয়ে তিনি হাসপাতালে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে খবর পান ইসরায়েলি বাহিনী তাঁর বাড়িতে ঢুকে তাঁকে খুঁজছে। তিনি কোথায় আছেন এ বিষয়ে তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তারা। এ সময় বাড়িতে তাঁর ৯ মাস বয়সী শিশু কন্যাও ছিল।
বাসেল জানান, ওই অভিযানে তাঁর চাচাকে আটক করে ইসরায়েলি সেনারা। অবশ্য কিছুক্ষণ পর আবার তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বাসেল আরও জানা, গতকাল রাতে পশ্চিম তীরের বিভিন্ন স্থানে পথ অবরোধ করে রেখেছিল ইসরায়েলিরা। এ অবস্থায় বাড়ি ফেরার কোনো উপায়ই ছিল না তাঁর। এ ছাড়া, আটক হওয়ার আতঙ্ক তো ছিলই।
এদিকে, ইসরায়েলের দাবি—অকারণে ফিলিস্তিনিদের হেনস্তা করতে পশ্চিম তীরের ওই গ্রামে অভিযান চালায়নি ইসরায়েলি সেনারা। প্রথমে ফিলিস্তিনিরাই পাথর ছুড়ে ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের আহত করে। এরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। এরপরই সেনারা সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে।
এপির তথ্যমতে, এখনো ওই এলাকায় ইসরায়েলি সেনা মোতায়েন রয়েছে। জঙ্গি নির্মূলের নামে সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে, জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বাসেল আদরা পশ্চিম তীরের দক্ষিণাঞ্চল মাসাফের ইয়াত্তায় বড় হয়েছেন। সাংবাদিক আর চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে তার কাজের মূল বিষয় ছিল সেখানে চলমান সেটলারদের সহিংসতা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা। চলতি বছর এ বিষয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র নো আদার ল্যান্ডের জন্য অস্কার জেতেন বাসেল।
আগে থেকেই সেটলার বিরোধী কার্যক্রমের জন্য ইসরায়েলি রোষানলে পড়তে হয়েছে বাসেলকে। তবে, অস্কার জয়ের পর আরও বেশি করে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের লক্ষ্যবস্তু হতে হচ্ছে বলে এপিকে জানিয়েছেন বাসেল। বিশেষ করে গতকাল শনিবার যে ঘটনা ঘটেছে তাকে তিনি এক কথায় ভয়াবহ বলে অভিহিত করেছেন।
বাসেল আদরা বলেন, ‘শুধু সেটলারদের ভিডিও করার জন্য সেনাদের ধাওয়া খেতে হচ্ছে, বাড়ি এসে তল্লাশি চালাচ্ছে। আমাদের ভয় দেখানো, আতঙ্কিত করাই ওদের মূল লক্ষ্য।’
চলচ্চিত্রের আরেক সহ-পরিচালক ইসরায়েলি নাগরিক ইউভাল আব্রাহাম জানান বাসেলের জন্য খুবই উদ্বিগ্ন তিনি। তিনি বলেন, ‘আজ তার গ্রামে যা ঘটেছে, এই দৃশ্য আমরা বারবারই দেখেছি। ইসরায়েলি সেটলাররা প্রথমে ফিলিস্তিনি গ্রামে নৃশংস হামলা চালায়, আর পরে সেনারা এসে ফিলিস্তিনিদের ওপরই হামলা শুরু করে।’
এ বছরের অস্কারে সেরা প্রামাণ্যচিত্রের পুরস্কার পাওয়া ‘নো আদার ল্যান্ড’ চলচ্চিত্রটিতে পশ্চিম তীরের মাসাফের ইয়াত্তা এলাকার মানুষজন কীভাবে ইসরায়েলি সেনাদের হাতে গ্রাম হারানোর হুমকির মুখে লড়াই চালাচ্ছে, সেটাই তুলে ধরা হয়েছে। ফিলিস্তিনি নির্মাতা আদরা ও হামদান বল্লাল ছবিটি যৌথভাবে তৈরি করেছেন ইসরায়েলি পরিচালক আব্রাহাম ও র্যাচেল সজরের সঙ্গে।
চলচ্চিত্রটি ২০২৪ সালের বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন আসরে একের পর এক পুরস্কার জিতেছে। তবে এ নিয়ে ক্ষোভও দেখা দিয়েছে ইসরায়েল ও তার মিত্র দেশগুলোতে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামি বিচে একটি সিনেমা হল থেকে ছবিটি প্রদর্শনের কারণে লিজ বাতিল করার প্রস্তাবও উঠেছিল।
উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা ও পূর্ব জেরুজালেম দখল করে ইসরায়েল। ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য ফিলিস্তিনিরা তিন অঞ্চলই নিজেদের বলে দাবি করে। এমনকি এই তিন অঞ্চলে ইসরায়েলের যেকোনো ধরনের বসতি বা স্থাপনা তৈরি আন্তর্জাতিক আইনেও অবৈধ। তবুও অঞ্চলগুলোতে দখলদারি বাড়িয়ে চলেছে ইসরায়েল।
পশ্চিম তীরে অস্কারজয়ী ফিলিস্তিনি চলচ্চিত্র নির্মাতা বাসেল আদ্রার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। গতকাল শনিবার এ অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বাসেল নিজেই। তিনি জানান, সেনারা বাড়িতে ঢুকে তাঁর খোঁজ করছিল। এমনকি তাঁর স্ত্রী মোবাইল ফোনেও সেনারা তল্লাশি চালিয়েছে।
বার্তা সংস্থা এপিকে আদরা জানান, শনিবার রাতে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় তিন ভাই আহত হন। তাদের নিয়ে তিনি হাসপাতালে গিয়েছিলেন। এর মধ্যে খবর পান ইসরায়েলি বাহিনী তাঁর বাড়িতে ঢুকে তাঁকে খুঁজছে। তিনি কোথায় আছেন এ বিষয়ে তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তারা। এ সময় বাড়িতে তাঁর ৯ মাস বয়সী শিশু কন্যাও ছিল।
বাসেল জানান, ওই অভিযানে তাঁর চাচাকে আটক করে ইসরায়েলি সেনারা। অবশ্য কিছুক্ষণ পর আবার তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বাসেল আরও জানা, গতকাল রাতে পশ্চিম তীরের বিভিন্ন স্থানে পথ অবরোধ করে রেখেছিল ইসরায়েলিরা। এ অবস্থায় বাড়ি ফেরার কোনো উপায়ই ছিল না তাঁর। এ ছাড়া, আটক হওয়ার আতঙ্ক তো ছিলই।
এদিকে, ইসরায়েলের দাবি—অকারণে ফিলিস্তিনিদের হেনস্তা করতে পশ্চিম তীরের ওই গ্রামে অভিযান চালায়নি ইসরায়েলি সেনারা। প্রথমে ফিলিস্তিনিরাই পাথর ছুড়ে ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের আহত করে। এরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। এরপরই সেনারা সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে।
এপির তথ্যমতে, এখনো ওই এলাকায় ইসরায়েলি সেনা মোতায়েন রয়েছে। জঙ্গি নির্মূলের নামে সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে, জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বাসেল আদরা পশ্চিম তীরের দক্ষিণাঞ্চল মাসাফের ইয়াত্তায় বড় হয়েছেন। সাংবাদিক আর চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে তার কাজের মূল বিষয় ছিল সেখানে চলমান সেটলারদের সহিংসতা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা। চলতি বছর এ বিষয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র নো আদার ল্যান্ডের জন্য অস্কার জেতেন বাসেল।
আগে থেকেই সেটলার বিরোধী কার্যক্রমের জন্য ইসরায়েলি রোষানলে পড়তে হয়েছে বাসেলকে। তবে, অস্কার জয়ের পর আরও বেশি করে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের লক্ষ্যবস্তু হতে হচ্ছে বলে এপিকে জানিয়েছেন বাসেল। বিশেষ করে গতকাল শনিবার যে ঘটনা ঘটেছে তাকে তিনি এক কথায় ভয়াবহ বলে অভিহিত করেছেন।
বাসেল আদরা বলেন, ‘শুধু সেটলারদের ভিডিও করার জন্য সেনাদের ধাওয়া খেতে হচ্ছে, বাড়ি এসে তল্লাশি চালাচ্ছে। আমাদের ভয় দেখানো, আতঙ্কিত করাই ওদের মূল লক্ষ্য।’
চলচ্চিত্রের আরেক সহ-পরিচালক ইসরায়েলি নাগরিক ইউভাল আব্রাহাম জানান বাসেলের জন্য খুবই উদ্বিগ্ন তিনি। তিনি বলেন, ‘আজ তার গ্রামে যা ঘটেছে, এই দৃশ্য আমরা বারবারই দেখেছি। ইসরায়েলি সেটলাররা প্রথমে ফিলিস্তিনি গ্রামে নৃশংস হামলা চালায়, আর পরে সেনারা এসে ফিলিস্তিনিদের ওপরই হামলা শুরু করে।’
এ বছরের অস্কারে সেরা প্রামাণ্যচিত্রের পুরস্কার পাওয়া ‘নো আদার ল্যান্ড’ চলচ্চিত্রটিতে পশ্চিম তীরের মাসাফের ইয়াত্তা এলাকার মানুষজন কীভাবে ইসরায়েলি সেনাদের হাতে গ্রাম হারানোর হুমকির মুখে লড়াই চালাচ্ছে, সেটাই তুলে ধরা হয়েছে। ফিলিস্তিনি নির্মাতা আদরা ও হামদান বল্লাল ছবিটি যৌথভাবে তৈরি করেছেন ইসরায়েলি পরিচালক আব্রাহাম ও র্যাচেল সজরের সঙ্গে।
চলচ্চিত্রটি ২০২৪ সালের বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন আসরে একের পর এক পুরস্কার জিতেছে। তবে এ নিয়ে ক্ষোভও দেখা দিয়েছে ইসরায়েল ও তার মিত্র দেশগুলোতে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামি বিচে একটি সিনেমা হল থেকে ছবিটি প্রদর্শনের কারণে লিজ বাতিল করার প্রস্তাবও উঠেছিল।
উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা ও পূর্ব জেরুজালেম দখল করে ইসরায়েল। ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য ফিলিস্তিনিরা তিন অঞ্চলই নিজেদের বলে দাবি করে। এমনকি এই তিন অঞ্চলে ইসরায়েলের যেকোনো ধরনের বসতি বা স্থাপনা তৈরি আন্তর্জাতিক আইনেও অবৈধ। তবুও অঞ্চলগুলোতে দখলদারি বাড়িয়ে চলেছে ইসরায়েল।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে আজ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিতে পারে ফ্রান্স। তবে এর আগে থেকে ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরের মেয়ররা সরকারের সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে শহরের টাউন হলগুলোতে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেখাইবার পাখতুনখাওয়ায় অতীতেও বহু সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালানো হয়েছে এবং সেখানে বহু বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। চলতি বছরের জুনে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছিল, খাইবার পাখতুনখাওয়ায় বারবার ড্রোন হামলা পাকিস্তানে বেসামরিক জীবনকে ভয়াবহভাবে অবজ্ঞা করার ইঙ্গিত দেয়।
২ ঘণ্টা আগেগাজায় ইসরায়েলি সেনাদের (আইডিএফ) পরিবর্তে একটি আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে ফ্রান্স। যুদ্ধ শেষে এই বাহিনী অঞ্চলটির দায়িত্ব নেবে এবং হামাসকে নিরস্ত্র করার কাজ করবে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল প্রাপ্ত খসড়া প্রস্তাবের বরাত দিয়ে এমন তথ্য জানিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগালের ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের হুঁশিয়ারির জবাবে পাল্টা হুমকি দিল যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভেট কুপার সতর্ক করে বলেন, পশ্চিম তীরের কোনো ভূমি নতুন করে দখল করলে ইসরায়েলের পরিণত হবে ভয়াবহ।
৩ ঘণ্টা আগে