ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে দেশটির তেলশিল্প–সংশ্লিষ্ট অবকাঠামোয় হামলার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল। একই সঙ্গে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি–সংশ্লিষ্ট সামরিক কাঠামোতেও প্রতীকী হামলা চালাতে পারে দেশটি। এমন ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদ বারাক।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, এহুদ বারাক বলেছেন—এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী ইরানের মঙ্গলবারের হামলার জবাব দেবে। সেদিন ইরান ইসরায়েলকে উদ্দেশ্য করে ১৮০টির বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল। ইসরায়েলের দাবি, তারা প্রায় সবগুলোই ইন্টারসেপ্ট করেছে বা আটকে দিয়েছে।
তবে ইরানের দাবি, তাদের ছোড়া ১৮০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্রের প্রায় ৯০ শতাংশই লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। তবে ইসরায়েল বিষয়টি স্বীকার না করলেও জানিয়েছে, ইরানি হামলায় তাদের বেশ কয়েকটি বিমানঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কিছু ক্ষেপণাস্ত্র কতিপয় জনবহুল এলাকায় পড়েছে। তবে এতে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
সাবেক এই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিক্রিয়া জানানোর বিষয়টি ইসরায়েলের জন্য বাধ্যতামূলক প্রয়োজন, এমনকি অপরিহার্য। আমি মনে করি, পৃথিবীর কোনো সার্বভৌম জাতি (এমন হামলার) প্রতিক্রিয়া জানানোর ক্ষেত্রে ব্যর্থ হতে পারে না।’
এহুদ বারাক ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও প্রতিরক্ষামন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বলেছেন, ইসরায়েল গত রোববার ইয়েমেনি বন্দরে হুতি নিয়ন্ত্রিত জ্বালানি অবকাঠামো, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ডকে যে প্রতিশোধমূলক বিমান হামলা চালিয়েছিল, সে রকম মডেল ইরানের ক্ষেত্রেও অনুসরণ করা হতে পারে। তেল আবিবের বিমানবন্দর লক্ষ্য করে হুতিরা রকেট ছুড়লে তার জবাবে ইসরায়েল এই হামলা চালায়।
তিনি গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘আমি মনে করি, আমরা এমন কিছুই দেখতে যাচ্ছি। এটি একটি বিশাল আক্রমণ হতে পারে এবং একাধিকবার এর পুনরাবৃত্তিও হতে পারে।’ এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার বাইডেন জানিয়েছেন, ইরানের জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলার ব্যাপারে ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে তিনি বিষয়টিতে সমর্থন দেবেন কি না, তা জানা যায়নি।
ইসরায়েলের ৮২ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এমনও আলোচনা আছে যে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালানোর যে সুযোগ এসেছে, তা হাতছাড়া করা উচিত নয়। তবে এ ধরনের হামলা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির খুব একটা ক্ষতি করতে পারবে বলে তিনি মনে করেন না।
এহুদ বারাক ২০০৭ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ সময় তাঁর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এহুদ ওলমার্ট ও বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই ইসরায়েলের তরফ থেকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলার পক্ষে কথা বলে আসছেন। এমনকি তিনি এই কাজ করতে সাবেক দুই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ও বারাক ওবামাকে প্ররোচিত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
ইসরায়েলের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন, মঙ্গলবার রাতে ইরানের সামরিক হামলার বিপরীতে একটি উল্লেখযোগ্য ইসরায়েলি সামরিক প্রতিক্রিয়া এখন অনিবার্য ও ন্যায়সংগত। তিনি জানান, একটি আঞ্চলিক যুদ্ধ অনেক আগেই এড়ানো যেত, যদি নেতানিয়াহু আরব দেশগুলোর সমর্থন লাভের জন্য মার্কিন পরিকল্পনায় সায় দিতেন।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, একটি শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া অনিবার্য। এর অর্থ এই নয় যে বিষয়টি এক বছর আগে স্বর্গে লেখা হয়েছিল, আর এখন এটি ঘটতে চলেছে। এই সংঘাত সীমিত করার বেশ কয়েকটি সুযোগ ছিল।’ তিনি বলেন, ‘আমি পুরো ঘটনার জন্য নেতানিয়াহুকে দায়ী করি না। এটি মূলত হামাস ও হিজবুল্লাহ এবং তাদের পেছনে ইরানের দোষ।’
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে দেশটির তেলশিল্প–সংশ্লিষ্ট অবকাঠামোয় হামলার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল। একই সঙ্গে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি–সংশ্লিষ্ট সামরিক কাঠামোতেও প্রতীকী হামলা চালাতে পারে দেশটি। এমন ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদ বারাক।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, এহুদ বারাক বলেছেন—এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী ইরানের মঙ্গলবারের হামলার জবাব দেবে। সেদিন ইরান ইসরায়েলকে উদ্দেশ্য করে ১৮০টির বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল। ইসরায়েলের দাবি, তারা প্রায় সবগুলোই ইন্টারসেপ্ট করেছে বা আটকে দিয়েছে।
তবে ইরানের দাবি, তাদের ছোড়া ১৮০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্রের প্রায় ৯০ শতাংশই লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। তবে ইসরায়েল বিষয়টি স্বীকার না করলেও জানিয়েছে, ইরানি হামলায় তাদের বেশ কয়েকটি বিমানঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কিছু ক্ষেপণাস্ত্র কতিপয় জনবহুল এলাকায় পড়েছে। তবে এতে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
সাবেক এই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিক্রিয়া জানানোর বিষয়টি ইসরায়েলের জন্য বাধ্যতামূলক প্রয়োজন, এমনকি অপরিহার্য। আমি মনে করি, পৃথিবীর কোনো সার্বভৌম জাতি (এমন হামলার) প্রতিক্রিয়া জানানোর ক্ষেত্রে ব্যর্থ হতে পারে না।’
এহুদ বারাক ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও প্রতিরক্ষামন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বলেছেন, ইসরায়েল গত রোববার ইয়েমেনি বন্দরে হুতি নিয়ন্ত্রিত জ্বালানি অবকাঠামো, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ডকে যে প্রতিশোধমূলক বিমান হামলা চালিয়েছিল, সে রকম মডেল ইরানের ক্ষেত্রেও অনুসরণ করা হতে পারে। তেল আবিবের বিমানবন্দর লক্ষ্য করে হুতিরা রকেট ছুড়লে তার জবাবে ইসরায়েল এই হামলা চালায়।
তিনি গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘আমি মনে করি, আমরা এমন কিছুই দেখতে যাচ্ছি। এটি একটি বিশাল আক্রমণ হতে পারে এবং একাধিকবার এর পুনরাবৃত্তিও হতে পারে।’ এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার বাইডেন জানিয়েছেন, ইরানের জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলার ব্যাপারে ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে তিনি বিষয়টিতে সমর্থন দেবেন কি না, তা জানা যায়নি।
ইসরায়েলের ৮২ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এমনও আলোচনা আছে যে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালানোর যে সুযোগ এসেছে, তা হাতছাড়া করা উচিত নয়। তবে এ ধরনের হামলা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির খুব একটা ক্ষতি করতে পারবে বলে তিনি মনে করেন না।
এহুদ বারাক ২০০৭ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এ সময় তাঁর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এহুদ ওলমার্ট ও বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই ইসরায়েলের তরফ থেকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলার পক্ষে কথা বলে আসছেন। এমনকি তিনি এই কাজ করতে সাবেক দুই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ও বারাক ওবামাকে প্ররোচিত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
ইসরায়েলের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন, মঙ্গলবার রাতে ইরানের সামরিক হামলার বিপরীতে একটি উল্লেখযোগ্য ইসরায়েলি সামরিক প্রতিক্রিয়া এখন অনিবার্য ও ন্যায়সংগত। তিনি জানান, একটি আঞ্চলিক যুদ্ধ অনেক আগেই এড়ানো যেত, যদি নেতানিয়াহু আরব দেশগুলোর সমর্থন লাভের জন্য মার্কিন পরিকল্পনায় সায় দিতেন।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, একটি শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া অনিবার্য। এর অর্থ এই নয় যে বিষয়টি এক বছর আগে স্বর্গে লেখা হয়েছিল, আর এখন এটি ঘটতে চলেছে। এই সংঘাত সীমিত করার বেশ কয়েকটি সুযোগ ছিল।’ তিনি বলেন, ‘আমি পুরো ঘটনার জন্য নেতানিয়াহুকে দায়ী করি না। এটি মূলত হামাস ও হিজবুল্লাহ এবং তাদের পেছনে ইরানের দোষ।’
রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ‘অপরাধ দমনে জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ফলে, এখন সরাসরি ওয়াশিংটনের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব নিতে পারবে বিচার বিভাগ। এ ছাড়াও ৭ লাখেরও বেশি মানুষের বসবাসের এই শহরে ন্যাশনাল গার্ডও মোতায়েন করা হবে বলে ঘোষণা করেছেন তিনি।
১৯ মিনিট আগেকাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার তথ্যমতে, আজ মঙ্গলবার খান ইউনিসে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাঁবু লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, যাতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত পাঁচজন। এর আগে গাজা সিটির বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে আরও পাঁচজন।
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের কিছু এলাকা ফেরত আনার চেষ্টা করবেন তিনি। আগামী শুক্রবার আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা। এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেছেন, ‘রাশিয়া ইউক্রেনের মূল ভূমির বড় অংশ দখল করেছে।
১০ ঘণ্টা আগেনিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত মনটক এলাকাটি একসময় ছিল শান্তশিষ্ট ছেলেদের একটি গ্রাম। এখন অবশ্য তা রূপ নিয়েছে বিলাসবহুল ছুটি কাটানোর কেন্দ্রস্থলে। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের ভিড় এবং জমজমাট রাতের জীবন এলাকাটির পুরোনো চেহারা দ্রুত বদলে দিচ্ছে।
১০ ঘণ্টা আগে