ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ, যুদ্ধবিধ্বস্ত ও দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ভূখণ্ড গাজার বাসিন্দাদের কাছে শিগগির খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করে দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ইসরায়েলকে আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। তবে এই নির্দেশনা না মেনে গাজার রাফাহে অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, এমন সময়ে আইসিজে থেকে এই নতুন আদেশ এল, যখন গাজায় হামলা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। গতকাল শুক্রবার ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের বাহিনীর হামলায় ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে ৩২ হাজার ৬২৩ জন নিহত হলো। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ।
এই পরিস্থিতিতে আইসিজে বলেছেন, গাজার ফিলিস্তিনিরা দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন। সেখানে দুর্ভিক্ষ ও ক্ষুধা ছড়িয়ে পড়ছে। আদেশে বিচারকেরা বলেছেন, ‘আদালতের পর্যবেক্ষণ হলো, গাজার ফিলিস্তিনিরা আর দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতেই কেবল নেই, বরং ইতিমধ্যে সেখানে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে।’
ইসরায়েলি বাহিনী রাষ্ট্রীয় মদদে গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে অভিযোগ করে এর আগে আইসিজেতে মামলা করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ওই মামলার আওতায় নতুন পদক্ষেপ গ্রহণে আদালতে আবেদন জানিয়েছিল দেশটি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই অন্তর্বর্তী আদেশ দেন আইসিজে।
গত জানুয়ারিতে আইসিজে অন্তর্বর্তী আদেশে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, গণহত্যা কনভেনশনের আওতায় পড়তে পারে, এমন যেকোনো ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে এবং দেশটির সেনারা গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যাতে কোনো গণহত্যামূলক কাজ না করে তা নিশ্চিত করতে।
গত বৃহস্পতিবারের নতুন আদেশে আদালত জানুয়ারির পদক্ষেপের বিষয়গুলো আবারও উল্লেখ করেছেন। এবারের আদেশে আদালত বলেছেন, ইসরায়েলকে অবশ্যই গাজাজুড়ে ফিলিস্তিনিদের জন্য খাবার, পানি ও বিদ্যুতের পাশাপাশি চিকিৎসা সরঞ্জাম, চিকিৎসাসেবাসহ মৌলিক পরিষেবা এবং মানবিক সহায়তার নিরবচ্ছিন্ন ব্যবস্থা নিশ্চিতে পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিচারকেরা আরও বলেছেন, সীমান্ত ক্রসিংয়ের সংখ্যা ও সক্ষমতা বাড়ানো এবং যতক্ষণ প্রয়োজন সেগুলো খোলা রাখার মাধ্যমে এই কাজ করা যেতে পারে। আদেশ বাস্তবায়নে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা বিস্তারিত জানিয়ে ইসরায়েলকে এক মাসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আইসিজের এই বার্তা আসার আগে গাজা পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি বিবিসির সঙ্গে কথা বলেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক। তিনি জানান, গাজায় মানবিক বিপর্যয় এবার মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষে পরিণত হচ্ছে। কয়েক মাস আগে দুর্ভিক্ষের সতর্কতা দেওয়ার পর নতুন পরিসংখ্যানের আলোকে অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষের নজির পেয়েছে সংস্থাটি।
তবে আইসিজের আদেশ বাস্তবায়নের কোনো লক্ষণ নেতানিয়াহুর কর্মকাণ্ডে দেখা যাচ্ছে না। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হাতে বন্দী ইসরায়েলি জিম্মি মুক্ত করা প্রসঙ্গে তাঁদের স্বজনদের নেতানিয়াহু বলেন, ‘একমাত্র সামরিক চাপই তাঁদের মুক্তি নিশ্চিত করবে।’
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চল ও খান ইউনিস জয় করেছি। এবার দক্ষিণের রাফাহ এলাকায় স্থল অভিযান শুরু হচ্ছে।’
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ, যুদ্ধবিধ্বস্ত ও দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ভূখণ্ড গাজার বাসিন্দাদের কাছে শিগগির খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করে দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ইসরায়েলকে আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। তবে এই নির্দেশনা না মেনে গাজার রাফাহে অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, এমন সময়ে আইসিজে থেকে এই নতুন আদেশ এল, যখন গাজায় হামলা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। গতকাল শুক্রবার ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের বাহিনীর হামলায় ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে ৩২ হাজার ৬২৩ জন নিহত হলো। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ।
এই পরিস্থিতিতে আইসিজে বলেছেন, গাজার ফিলিস্তিনিরা দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন। সেখানে দুর্ভিক্ষ ও ক্ষুধা ছড়িয়ে পড়ছে। আদেশে বিচারকেরা বলেছেন, ‘আদালতের পর্যবেক্ষণ হলো, গাজার ফিলিস্তিনিরা আর দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতেই কেবল নেই, বরং ইতিমধ্যে সেখানে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে।’
ইসরায়েলি বাহিনী রাষ্ট্রীয় মদদে গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে অভিযোগ করে এর আগে আইসিজেতে মামলা করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ওই মামলার আওতায় নতুন পদক্ষেপ গ্রহণে আদালতে আবেদন জানিয়েছিল দেশটি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই অন্তর্বর্তী আদেশ দেন আইসিজে।
গত জানুয়ারিতে আইসিজে অন্তর্বর্তী আদেশে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, গণহত্যা কনভেনশনের আওতায় পড়তে পারে, এমন যেকোনো ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে এবং দেশটির সেনারা গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যাতে কোনো গণহত্যামূলক কাজ না করে তা নিশ্চিত করতে।
গত বৃহস্পতিবারের নতুন আদেশে আদালত জানুয়ারির পদক্ষেপের বিষয়গুলো আবারও উল্লেখ করেছেন। এবারের আদেশে আদালত বলেছেন, ইসরায়েলকে অবশ্যই গাজাজুড়ে ফিলিস্তিনিদের জন্য খাবার, পানি ও বিদ্যুতের পাশাপাশি চিকিৎসা সরঞ্জাম, চিকিৎসাসেবাসহ মৌলিক পরিষেবা এবং মানবিক সহায়তার নিরবচ্ছিন্ন ব্যবস্থা নিশ্চিতে পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিচারকেরা আরও বলেছেন, সীমান্ত ক্রসিংয়ের সংখ্যা ও সক্ষমতা বাড়ানো এবং যতক্ষণ প্রয়োজন সেগুলো খোলা রাখার মাধ্যমে এই কাজ করা যেতে পারে। আদেশ বাস্তবায়নে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা বিস্তারিত জানিয়ে ইসরায়েলকে এক মাসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আইসিজের এই বার্তা আসার আগে গাজা পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি বিবিসির সঙ্গে কথা বলেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক। তিনি জানান, গাজায় মানবিক বিপর্যয় এবার মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষে পরিণত হচ্ছে। কয়েক মাস আগে দুর্ভিক্ষের সতর্কতা দেওয়ার পর নতুন পরিসংখ্যানের আলোকে অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষের নজির পেয়েছে সংস্থাটি।
তবে আইসিজের আদেশ বাস্তবায়নের কোনো লক্ষণ নেতানিয়াহুর কর্মকাণ্ডে দেখা যাচ্ছে না। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হাতে বন্দী ইসরায়েলি জিম্মি মুক্ত করা প্রসঙ্গে তাঁদের স্বজনদের নেতানিয়াহু বলেন, ‘একমাত্র সামরিক চাপই তাঁদের মুক্তি নিশ্চিত করবে।’
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চল ও খান ইউনিস জয় করেছি। এবার দক্ষিণের রাফাহ এলাকায় স্থল অভিযান শুরু হচ্ছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের ‘নৃশংস সামরিক আগ্রাসনের’ তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর এই হামলাকে তারা জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের ‘গভীর ও নজিরবিহীন লঙ্ঘন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
১১ মিনিট আগেসিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের একটি গির্জায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ও ৫২ জন আহত হয়েছেন। রোববার রাতে প্রার্থনার সময় পুরোনো খ্রিস্টান পাড়ায় অবস্থিত গ্রিক অর্থোডক্স সেন্ট এলিয়াস গির্জায় এ হামলা চালানো হয়। দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়।
৪০ মিনিট আগেইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে। এই পদক্ষেপ শুধু মধ্যপ্রাচ্যের শক্তির ভারসাম্যকেই নাড়িয়ে দেয়নি, বরং এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্ব রাজনীতিতেও। মস্কো থেকে এর প্রতিক্রিয়া এসেছে দ্রুত ও তীব্রভাবে।
৩ ঘণ্টা আগেমিছিলে অংশ নেন শতাধিক দলীয় কর্মী, সমর্থক, ছাত্র, যুব ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি। ‘আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদ নিপাত যাক’, ‘ইরানে বোমাবাজি চলবে না’ ইত্যাদি স্লোগানে মুখর হয় গোটা এলাকা। এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগে