৮ ডিসেম্বর, ২০২৪। রাজধানী দামেস্ক দখলে নিতে শুরু করেছে বিদ্রোহী এইচটিএসের (হায়াত তাহরির আল শামস) সদস্যরা। এদিকে খবর এল, পালিয়ে গেছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। এত দ্রুত ঘটনাগুলো ঘটেছে যে সিরিয়াবাসী এবং গোটা বিশ্বকে ধাতস্থ হতে বেগ পেতে হয়েছে। বাশার আল-আসাদের দীর্ঘদিনের শাসনামলের শেষ কয়েক ঘণ্টা কী ঘটেছিল, বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন আসাদ সরকারের উচ্চপর্যায়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা এবং ঘনিষ্ঠরা।
তাঁরা বলেন, প্রেসিডেন্টের সপরিবারে দেশ ছাড়ার এ সিদ্ধান্ত খুব কম লোকই জানতেন। বাশার আল-আসাদ পালিয়ে যাওয়ার আগের রাতে, ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা বুসাইনা শাবানকে একটি ভাষণ প্রস্তুত করতে বলেছিলেন, কিন্তু তা আর প্রকাশ্যে আসেনি। দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে রাশিয়ার হেমেইমিম বিমানঘাঁটিতে গিয়ে সেখান থেকে দেশ ছেড়ে চলে যান তিনি।
আসাদের এক সাবেক সহকারী এএফপিকে বলেন, তিনি (বাশার আল-আসাদ) তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের আগে থেকে কিছু জানাননি। রাশিয়ার ঘাঁটি থেকে একটি বিমান তাঁকে মস্কোতে নিয়ে যায়।
ওই সহকারী আরও বলেন, সিরিয়ান সেনাবাহিনীর ভয়ংকর চতুর্থ ব্রিগেডের নেতৃত্বে থাকা বাশারের ভাই মাহের দামেস্ক প্রতিরক্ষায় সৈন্যদের সঙ্গে ছিলেন। বাশারের চলে যাওয়ার খবর পেয়ে একটি হেলিকপ্টার নিয়ে বাগদাদে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
প্রাসাদের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘শনিবার সকালে আসাদের একটি ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল। আমরা যন্ত্রপাতি সাজানো শুরু করলাম। সবকিছু প্রস্তুত ছিল। পরে আমরা জানতে পারি, ভাষণটি স্থগিত করা হয়েছে। তাঁর মতে, এর মধ্যে সিরীয় সেনাবাহিনী এর মধ্যে তাদের নথিপত্র পুড়িয়ে ধ্বংস করা শুরু করেছে—এটা জানতেন না শীর্ষ কর্মকর্তারা এবং উপদেষ্টারা।’
আসাদের ঘনিষ্ঠ এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, শনিবার রাত ৯টার দিকে বুসাইনা শাবানকে প্রেসিডেন্ট ফোন করে একটি ভাষণ প্রস্তুত করতে বলেন এবং এটি রাজনৈতিক কমিটির সামনে উপস্থাপন করতে বলেন। রোববার সকালে বৈঠক করবেন বলেও জানান। রাত ১০টায় তিনি প্রেসিডেন্টকে আবার ফোন করেন, কিন্তু প্রেসিডেন্ট আর ফোন ধরেননি।
সে সন্ধ্যায় আসাদের মিডিয়া পরিচালক কামেল সাকর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট শিগগিরই একটি বিবৃতি দেবেন। কিন্তু এরপর সাকরও আর ফোন ধরেননি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-রাহমুনকেও ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না।
প্রাসাদের এক কর্মকর্তা বলেন, তিনি রোববার রাত আড়াইটা পর্যন্ত তাঁর অফিসে ছিলেন। এর চার ঘণ্টার মধ্যে, বিদ্রোহীরা ঘোষণা করে যে আসাদ পালিয়ে গেছেন।
সে সময়ের স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে আসাদের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি বা বার্তা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আমরা কখনোই এমন একটি পরিস্থিতি কল্পনা করতে পারিনি। আমরা এমনকি জানতাম না প্রেসিডেন্ট এখনো প্রাসাদে আছেন কি না।’
তিনি আরও বলেন, শনিবার রাত প্রায় ১২টার দিকে, প্রাসাদের কর্মকর্তাদের বলা হয়, প্রেসিডেন্টের সকালে একজন ক্যামেরাম্যান প্রয়োজন। পরে বুঝতে পারলাম, এটি বলা হয়েছিল আমাদের আশ্বস্ত করার জন্য যে তিনি এখনো সেখানে আছেন। কিন্তু রাত ২টার কিছু আগে, একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা ফোন করে জানান, সব সরকারি কর্মকর্তা এবং বাহিনী তাঁদের অফিস ও অবস্থান ছেড়ে চলে গেছেন।
প্রাসাদের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম। অফিসে তখন শুধুই আমরা দুজন ছিলাম। প্রাসাদ প্রায় ফাঁকা ছিল। আমরা সম্পূর্ণ বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘পরে ভোর আড়াইটার দিকে আমিও প্রাসাদ ছেড়ে যাই। সেখান শহরের কেন্দ্রস্থলে উমাইয়া স্কয়ারে পৌঁছে আমি হাজার হাজার সৈন্যকে দেখতে পাই। অনেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। যানবাহন খুঁজছিল। তাদের কাছে জানলাম, তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এটি একটি ভয়ংকর দৃশ্য ছিল। গাড়িতে করে, হেঁটে দামেস্ক ছাড়ছিল মানুষ।’
প্রাসাদের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘সেই মুহূর্তেই আমি বুঝতে পারলাম, সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। দামেস্কের পতন হয়েছে।’
৮ ডিসেম্বর, ২০২৪। রাজধানী দামেস্ক দখলে নিতে শুরু করেছে বিদ্রোহী এইচটিএসের (হায়াত তাহরির আল শামস) সদস্যরা। এদিকে খবর এল, পালিয়ে গেছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। এত দ্রুত ঘটনাগুলো ঘটেছে যে সিরিয়াবাসী এবং গোটা বিশ্বকে ধাতস্থ হতে বেগ পেতে হয়েছে। বাশার আল-আসাদের দীর্ঘদিনের শাসনামলের শেষ কয়েক ঘণ্টা কী ঘটেছিল, বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন আসাদ সরকারের উচ্চপর্যায়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা এবং ঘনিষ্ঠরা।
তাঁরা বলেন, প্রেসিডেন্টের সপরিবারে দেশ ছাড়ার এ সিদ্ধান্ত খুব কম লোকই জানতেন। বাশার আল-আসাদ পালিয়ে যাওয়ার আগের রাতে, ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা বুসাইনা শাবানকে একটি ভাষণ প্রস্তুত করতে বলেছিলেন, কিন্তু তা আর প্রকাশ্যে আসেনি। দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে রাশিয়ার হেমেইমিম বিমানঘাঁটিতে গিয়ে সেখান থেকে দেশ ছেড়ে চলে যান তিনি।
আসাদের এক সাবেক সহকারী এএফপিকে বলেন, তিনি (বাশার আল-আসাদ) তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের আগে থেকে কিছু জানাননি। রাশিয়ার ঘাঁটি থেকে একটি বিমান তাঁকে মস্কোতে নিয়ে যায়।
ওই সহকারী আরও বলেন, সিরিয়ান সেনাবাহিনীর ভয়ংকর চতুর্থ ব্রিগেডের নেতৃত্বে থাকা বাশারের ভাই মাহের দামেস্ক প্রতিরক্ষায় সৈন্যদের সঙ্গে ছিলেন। বাশারের চলে যাওয়ার খবর পেয়ে একটি হেলিকপ্টার নিয়ে বাগদাদে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
প্রাসাদের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘শনিবার সকালে আসাদের একটি ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল। আমরা যন্ত্রপাতি সাজানো শুরু করলাম। সবকিছু প্রস্তুত ছিল। পরে আমরা জানতে পারি, ভাষণটি স্থগিত করা হয়েছে। তাঁর মতে, এর মধ্যে সিরীয় সেনাবাহিনী এর মধ্যে তাদের নথিপত্র পুড়িয়ে ধ্বংস করা শুরু করেছে—এটা জানতেন না শীর্ষ কর্মকর্তারা এবং উপদেষ্টারা।’
আসাদের ঘনিষ্ঠ এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, শনিবার রাত ৯টার দিকে বুসাইনা শাবানকে প্রেসিডেন্ট ফোন করে একটি ভাষণ প্রস্তুত করতে বলেন এবং এটি রাজনৈতিক কমিটির সামনে উপস্থাপন করতে বলেন। রোববার সকালে বৈঠক করবেন বলেও জানান। রাত ১০টায় তিনি প্রেসিডেন্টকে আবার ফোন করেন, কিন্তু প্রেসিডেন্ট আর ফোন ধরেননি।
সে সন্ধ্যায় আসাদের মিডিয়া পরিচালক কামেল সাকর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট শিগগিরই একটি বিবৃতি দেবেন। কিন্তু এরপর সাকরও আর ফোন ধরেননি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-রাহমুনকেও ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না।
প্রাসাদের এক কর্মকর্তা বলেন, তিনি রোববার রাত আড়াইটা পর্যন্ত তাঁর অফিসে ছিলেন। এর চার ঘণ্টার মধ্যে, বিদ্রোহীরা ঘোষণা করে যে আসাদ পালিয়ে গেছেন।
সে সময়ের স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে আসাদের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি বা বার্তা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আমরা কখনোই এমন একটি পরিস্থিতি কল্পনা করতে পারিনি। আমরা এমনকি জানতাম না প্রেসিডেন্ট এখনো প্রাসাদে আছেন কি না।’
তিনি আরও বলেন, শনিবার রাত প্রায় ১২টার দিকে, প্রাসাদের কর্মকর্তাদের বলা হয়, প্রেসিডেন্টের সকালে একজন ক্যামেরাম্যান প্রয়োজন। পরে বুঝতে পারলাম, এটি বলা হয়েছিল আমাদের আশ্বস্ত করার জন্য যে তিনি এখনো সেখানে আছেন। কিন্তু রাত ২টার কিছু আগে, একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা ফোন করে জানান, সব সরকারি কর্মকর্তা এবং বাহিনী তাঁদের অফিস ও অবস্থান ছেড়ে চলে গেছেন।
প্রাসাদের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম। অফিসে তখন শুধুই আমরা দুজন ছিলাম। প্রাসাদ প্রায় ফাঁকা ছিল। আমরা সম্পূর্ণ বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘পরে ভোর আড়াইটার দিকে আমিও প্রাসাদ ছেড়ে যাই। সেখান শহরের কেন্দ্রস্থলে উমাইয়া স্কয়ারে পৌঁছে আমি হাজার হাজার সৈন্যকে দেখতে পাই। অনেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। যানবাহন খুঁজছিল। তাদের কাছে জানলাম, তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এটি একটি ভয়ংকর দৃশ্য ছিল। গাড়িতে করে, হেঁটে দামেস্ক ছাড়ছিল মানুষ।’
প্রাসাদের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘সেই মুহূর্তেই আমি বুঝতে পারলাম, সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। দামেস্কের পতন হয়েছে।’
সম্প্রতি কুয়েতের প্রায় ৫০ হাজার মানুষের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ ফাহাদ ইউসুফ সউদ আল সাবাহ। আল-কাবাস পত্রিকাকে তিনি জানান, কয়েকটি দেশের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে বহু ‘প্রতারক’ শনাক্ত করা হয়েছে।
৪২ মিনিট আগেমিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী; তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্র, সুস্মিতা দেব; সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব; শিবসেনার সঞ্জয় রাউতসহ অন্যান্য দলের শীর্ষ নেতারা। তাঁদের হাতে ‘চুপি চুপি ভোটের কারচুপি?’ লেখা পোস্টার ছিল এবং তাঁরা ‘ভোট চুরি মানছি না, মানব না’ স্লোগান দিচ্ছিলেন।
৪৪ মিনিট আগেভিয়েতনামের কৃষক নুয়েন থি হুয়ং। চিন্তায় ঠিকমতো ঘুমোতে পারছেন না। হাতছাড়া হতে যাচ্ছে তাঁর রুজি-রোজগারের একমাত্র উপায়। তাও আবার তাঁর নিজ দেশে ট্রাম্প পরিবারের সমর্থনে নির্মিত হতে যাওয়া একটি গলফ ক্লাবের জন্য। বিনিময়ে মিলবে মাত্র ৩ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার এবং কয়েক মাসের জন্য চাল।
২ ঘণ্টা আগেপারমাণবিক হামলায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের অনেকে ছিলেন অল্পবয়সী নারী, যাঁরা বোমা হামলার সময় গর্ভবতী বা সন্তান ধারণের উপযুক্ত বয়সে ছিলেন। কিন্তু তাঁদের শরীর থেকে সন্তানের শরীরে তেজস্ক্রিয়তা প্রবেশ করতে পারে, এই ভয়ে একপ্রকার ধ্বংসই হয়ে গেছে তাঁদের জীবন। চিকিৎসক, পরিচিতজন, বন্ধুবান্ধব এমনকি পরিবারের...
৩ ঘণ্টা আগে