বিবিসির প্রতিবেদন
সৌদি আরব যে কূটনৈতিকভাবে বেশ শক্তিশালী হয়েছে, তা বোঝা যায় ট্রাম্প প্রশাসনের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে। সম্প্রতি ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার জন্য সৌদি আরবকে ভেন্যু হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে, যা এক সময় প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া সৌদি আরবের জন্য একটি বড় অর্জন।
২০১৮ সালে সাংবাদিক জামাল খাসোগির হত্যাকাণ্ডের পর সৌদি আরব ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মোহাম্মদ বিন সালমানের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন। তিনি সৌদি আরবকে ‘একঘরে’ করারও ঘোষণা দিয়েছিলেন। যদিও সৌদি আরবের মানবাধিকার ইস্যু এখনো আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচিত, তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই কালো অধ্যায় অনেকটাই পেছনে ফেলে এসেছে দেশটি।
শুধু কূটনৈতিকভাবে নয়, সৌদি আরব বিনোদন ও ক্রীড়া খাতে বিশাল বিনিয়োগ করে বিশ্বমঞ্চে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটি খেলাধুলা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিপুল অর্থ ব্যয় করেছে, যা তাদের বৈশ্বিক প্রভাব বাড়াতে সহায়তা করছে।
কূটনৈতিকভাবেও তারা আগের চেয়ে স্বতন্ত্র অবস্থান নিয়েছে। বাইডেন প্রশাসনের সময় সৌদি আরব তার ঐতিহ্যগত মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে নিজস্ব স্বার্থের দিকে বেশি মনোযোগ দিয়েছে। রিয়াদ এখন রাশিয়া ও চীনের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর সঙ্গেও সম্পর্ক জোরদার করছে।
দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন সৌদি নেতৃত্বের জন্য স্বস্তিদায়ক হতে পারে। কারণ, প্রথম মেয়াদে প্রথম বিদেশ সফরের জন্য সৌদি আরবকেই বেছে নিয়েছিলেন ট্রাম্প। এ ছাড়া ট্রাম্পের বাণিজ্যিক ও চুক্তিভিত্তিক পররাষ্ট্রনীতি সৌদি সরকারের জন্য অনুকূল বলে মনে করা হয়।
ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যতম প্রধান কূটনৈতিক লক্ষ্য ছিল সৌদি-ইসরায়েল শান্তিচুক্তি, যা ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের আব্রাহাম চুক্তির ধারাবাহিকতায় আসার কথা ছিল। তবে গাজা যুদ্ধ সেই পরিকল্পনায় বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন সৌদি আরব তাদের দাবি বাড়াতে পারে।
সৌদি সরকার ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনাকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। ট্রাম্প গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে সেখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার কথা বলেছিলেন, যা আরব বিশ্বে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। এর পরিবর্তে সৌদি আরব অন্যান্য আরব রাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে গাজাকে পুনর্গঠনের এবং দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের জন্য একটি বাস্তবসম্মত বিকল্প পরিকল্পনা তৈরির চেষ্টা করছে।
তবে ট্রাম্প প্রশাসন এই ইস্যুতে ভিন্ন অবস্থান নিলে সৌদি-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ভবিষ্যৎ কেমন হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
এসব কৌশলগত পদক্ষেপ থেকে স্পষ্ট, সৌদি আরব বৈশ্বিক কূটনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত আলোচনায় অংশ নেওয়া—সবকিছুই দেশটির ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক গুরুত্বেরই ইঙ্গিত দেয়।
সৌদি আরব যে কূটনৈতিকভাবে বেশ শক্তিশালী হয়েছে, তা বোঝা যায় ট্রাম্প প্রশাসনের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে। সম্প্রতি ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার জন্য সৌদি আরবকে ভেন্যু হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে, যা এক সময় প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া সৌদি আরবের জন্য একটি বড় অর্জন।
২০১৮ সালে সাংবাদিক জামাল খাসোগির হত্যাকাণ্ডের পর সৌদি আরব ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মোহাম্মদ বিন সালমানের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন। তিনি সৌদি আরবকে ‘একঘরে’ করারও ঘোষণা দিয়েছিলেন। যদিও সৌদি আরবের মানবাধিকার ইস্যু এখনো আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচিত, তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই কালো অধ্যায় অনেকটাই পেছনে ফেলে এসেছে দেশটি।
শুধু কূটনৈতিকভাবে নয়, সৌদি আরব বিনোদন ও ক্রীড়া খাতে বিশাল বিনিয়োগ করে বিশ্বমঞ্চে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটি খেলাধুলা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিপুল অর্থ ব্যয় করেছে, যা তাদের বৈশ্বিক প্রভাব বাড়াতে সহায়তা করছে।
কূটনৈতিকভাবেও তারা আগের চেয়ে স্বতন্ত্র অবস্থান নিয়েছে। বাইডেন প্রশাসনের সময় সৌদি আরব তার ঐতিহ্যগত মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে নিজস্ব স্বার্থের দিকে বেশি মনোযোগ দিয়েছে। রিয়াদ এখন রাশিয়া ও চীনের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর সঙ্গেও সম্পর্ক জোরদার করছে।
দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন সৌদি নেতৃত্বের জন্য স্বস্তিদায়ক হতে পারে। কারণ, প্রথম মেয়াদে প্রথম বিদেশ সফরের জন্য সৌদি আরবকেই বেছে নিয়েছিলেন ট্রাম্প। এ ছাড়া ট্রাম্পের বাণিজ্যিক ও চুক্তিভিত্তিক পররাষ্ট্রনীতি সৌদি সরকারের জন্য অনুকূল বলে মনে করা হয়।
ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যতম প্রধান কূটনৈতিক লক্ষ্য ছিল সৌদি-ইসরায়েল শান্তিচুক্তি, যা ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের আব্রাহাম চুক্তির ধারাবাহিকতায় আসার কথা ছিল। তবে গাজা যুদ্ধ সেই পরিকল্পনায় বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন সৌদি আরব তাদের দাবি বাড়াতে পারে।
সৌদি সরকার ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনাকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। ট্রাম্প গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে সেখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার কথা বলেছিলেন, যা আরব বিশ্বে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। এর পরিবর্তে সৌদি আরব অন্যান্য আরব রাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে গাজাকে পুনর্গঠনের এবং দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের জন্য একটি বাস্তবসম্মত বিকল্প পরিকল্পনা তৈরির চেষ্টা করছে।
তবে ট্রাম্প প্রশাসন এই ইস্যুতে ভিন্ন অবস্থান নিলে সৌদি-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ভবিষ্যৎ কেমন হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
এসব কৌশলগত পদক্ষেপ থেকে স্পষ্ট, সৌদি আরব বৈশ্বিক কূটনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত আলোচনায় অংশ নেওয়া—সবকিছুই দেশটির ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক গুরুত্বেরই ইঙ্গিত দেয়।
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা ঘিরে প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। একের পর এক হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন দুই দেশের নেতারা। কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে টানা পাঁচ রাতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
২৪ মিনিট আগেকানাডার ফেডারেল নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির নেতৃত্বাধীন লিবারেল পার্টি প্রচারণার শেষ সপ্তাহে অপ্রত্যাশিতভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা চতুর্থবারের মতো জয়লাভ করেছে। এর মাধ্যমে দলটি আরও চার বছরের জন্য দেশটির শাসনভার গ্রহণ করতে চলেছে। এই ঐতিহাসিক জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট
১ ঘণ্টা আগেভারতের গুজরাটে গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভোররাত থেকে সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাত পর্যন্ত ৬ হাজার ৫০০ মানুষকে আটক করেছে পুলিশ, যাদের তারা বাংলাদেশি নাগরিক বলে সন্দেহ করছে। তবে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক বিকাশ সহায় সোমবার জানিয়েছেন, নথিপত্রের ভিত্তিতে নিশ্চিতভাবে ৪৫০ জন বাংলাদেশিকে তাঁরা চিহ্নিত করতে পেরেছেন
৩ ঘণ্টা আগেউত্তর-পূর্ব চীনের একটি রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় অন্তত ২২ জন নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম। আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে