Ajker Patrika

মিসরে ট্রাম্পের শীর্ষ সম্মেলন শুরুর আগেই হতে পারে জিম্মি–বন্দী বিনিময়

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: বিবিসির সৌজন্যে
ছবি: বিবিসির সৌজন্যে

ইসরায়েল জানিয়েছে, গাজায় থাকা জীবিত বন্দীদের সবাইকে স্থানীয় সময় আজ সোমবার সকালের দিকেই ফেরত পাওয়ার আশা করছে। অর্থাৎ, মিসরে শুরু হতে যাওয়া গাজা যুদ্ধবিরতি ও পুনর্গঠন সংক্রান্ত শীর্ষ সম্মেলনের আগেই এই বিনিময় সম্পন্ন হতে পারে। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপটি নেওয়া হচ্ছে। এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজায় যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গতকাল রোববার ইসরায়েল সরকারের মুখপাত্র শশ বেদরোসিয়ান বলেন, ইসরায়েল আশা করছে—আজ সোমবার ভোরে বাকি ২০ জন জীবিত বন্দীকে একসঙ্গে ফেরত দেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, বন্দীরা ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশের পরই ইসরায়েল ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি শুরু করবে।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ইসরায়েল প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে, যাদের অনেকেই অভিযোগ ছাড়াই আটক আছেন। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ২৫০ জন ইসরায়েলি আদালতে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত। তবে ফিলিস্তিনিদের বহুদিনের দাবি—কারাবন্দী নেতা মারওয়ান বারঘৌতিকে মুক্তি দেওয়া হবে না বলে ইসরায়েল জানিয়েছে।

কিছু বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে অধিকৃত পশ্চিম তীরে, যেখানে ইসরায়েল পরিবারের সদস্যদের উদ্‌যাপন না করতে ও গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা না বলতে নির্দেশ দিয়েছে। ইসরায়েল আরও জানিয়েছে, গাজায় নিহত ২৮ বন্দীর মরদেহও তারা ফেরত পাবে। রোববার রাতে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, বন্দীদের মুক্তি দেশের জন্য ঐক্যের মুহূর্ত হয়ে উঠবে বলে তিনি আশা করছেন, যদিও যুদ্ধ পরিচালনা নিয়ে তাকে ঘিরে বিতর্ক রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এটি এক আবেগঘন সন্ধ্যা। কারণ, আগামীকাল আমাদের সন্তানেরা সীমান্তে ফিরে আসবে। আগামীকালই শুরু হবে নতুন পথ—পুনর্গঠনের পথ, আরোগ্যের পথ এবং আমি আশা করি, ঐক্যের পথ।’

তবে কিছু বন্দীর পরিবার নেতানিয়াহুর সমালোচনা করেছেন। তাদের অভিযোগ—তিনি জিম্মি মুক্তির চেয়ে সামরিক বিজয়কে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। শনিবার তেল আবিবে এক সমাবেশে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ নেতানিয়াহুর প্রশংসা করলে বহু উপস্থিত ব্যক্তি তাকে দুয়ো দেয়।

যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে কিছু মানবিক সহায়তা গাজায় প্রবেশ করতে শুরু করেছে। রোববার কয়েক ডজন ট্রাক পৌঁছেছে সেখানে। কিন্তু মাসের পর মাস চরম দুর্ভোগের শিকার মানুষের জন্য এই সহায়তা পৌঁছানো এখনো খুব ধীর গতিতে চলছে বলে জানিয়েছেন, আল–জাজিরার প্রতিনিধি হিন্দ খুদারি।

দেইর আল-বালাহ থেকে খুদারি বলেন, ‘মানুষ শুধু খাবারের জন্য নয়, তাঁবু, চলমান আশ্রয়, সৌর প্যানেল, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ওষুধের জন্যও অপেক্ষা করছে—যেগুলো গত দুই বছর ধরে প্রায় অপ্রাপ্য ছিল। বেশির ভাগ মানুষ তাদের সঞ্চয় হারিয়েছে, ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রবেশাধিকার নেই এবং টিকে থাকার জন্য সম্পূর্ণভাবে মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভর করছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত