অনলাইন ডেস্ক
মাত্র ২৪ বছর বয়সেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একা একা ভ্রমণ করছেন তাইওয়ানের নারী অ্যারিয়েল ক্যাং চেংশুয়ান। গত ১২ জুন রাতে ইরানের ইশফাহান শহরে তিনি যখন ঘুমাতে যান, তখন কল্পনাও করেননি, পরদিন সকালে জেগে উঠবেন এক নতুন বৈশ্বিক সংঘাতের মাঝখানে!
সিএনএন জানিয়েছে, সেই রাতটি ছিল ক্যাংয়ের ইরান ভ্রমণের ১১ তম দিন। ঐতিহাসিক ইশফাহান শহরের একটি হোমস্টে-তে মোটা লাল কার্পেটে শুয়ে ছিলেন তিনি। সেই রাতেই ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় হামলা শুরু করে, যা পরবর্তী ১২ দিন ধরে দেশজুড়ে চলতে থাকে।
ক্যাং অবশ্য এই সংঘাতের কথা জানতে পারেন পরদিন সকালে। বন্ধুরাই তাঁকে মেসেজ পাঠিয়ে সতর্ক হতে বলেন।
তবে ইশফাহানে সবকিছু স্বাভাবিকই মনে হচ্ছিল—দোকানপাট খোলা, রাস্তায় যদিও ভিড় কিছুটা কম। যে পরিবারের অতিথি হিসেবে তিনি ছিলেন, ১৪ জুন সকালে তাঁদের সঙ্গে টেলিভিশনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দৃশ্য দেখে পুরো পরিস্থিতির ভয়াবহতা অনুধাবন করেন ক্যাং। হোস্ট পরিবারটি জানায়, গত বছরও তারা এমন পরিস্থিতির মুখে পড়েছিলেন এবং বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
সেই সময়টুকুর কথা স্মরণ করে ক্যাং বলেন, ‘আমি একা ছিলাম, কিছুটা অসহায় অনুভব করছিলাম।’
যুক্তরাষ্ট্রসহ পৃথিবীর অনেক দেশই তাদের নাগরিকদের ইরান ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেয়। তারপরও ৫১ তম দেশে পা রাখার জন্য ক্যাং ইরানে ছুটে গিয়েছিলেন। মূলত দেশটির ইতিহাস ও সৌন্দর্যই তাঁকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল।
তাইওয়ানের সঙ্গে ইরানের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তাই সংঘাতের মধ্যে হতবিহ্বল ক্যাং প্রথমে অনলাইনে চীনা দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অনেক চেষ্টার পর সেখান থেকে জবাব পাওয়া আসে। কিন্তু তাঁকে উদ্ধারের জন্য কোনো বাস পাঠানো ছিল সে সময় এক দুরূহ কাজ।
তবে একজন নিঃসঙ্গ ভ্রমণকারী হিসেবে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় ক্যাং বুঝতে পারেন, ভয় পেলে চলবে না। তিনি যেভাবেই হোক ইরান থেকে ফেরার পরিকল্পনা করেন। তিনি বলেন, ‘হামলা সরকারের বিরুদ্ধে, সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে নয়—এই ধারণা আমাকে সাহস জুগিয়েছিল।’
১৪ জুন পরিস্থিতি খারাপ দেখে তিনি ইশফাহান ছেড়ে তেহরানের পথে যাত্রা শুরু করেন। যদিও সেই সময়টিতে রাজধানী তেহরান ছেড়ে অন্য কোনো দূরের শহর কিংবা গ্রামে পালাচ্ছিলেন সাধারণ ইরানিরা। তেহরান যাওয়ার পথে অসংখ্য নিরাপত্তা চৌকি পার হন ক্যাং। কিছু স্থানে চরম গোলযোগের মধ্যেই তাঁকে হিজাব পরার নির্দেশ, আর দূরে গোলাগুলির শব্দ—সবকিছুই পরে তাঁর অভিজ্ঞতার অংশ হয়ে ওঠে।
১৫ জুন রাত ১০টায় তেহরান থেকে তাবরিজের উদ্দেশে একটি বাসে চড়েছিলেন তিনি। তবে যানজটে ১০০ কিলোমিটার যেতেই লেগে যায় একদিনের মতো। তারপর তাবরিজ থেকে মাকু হয়ে তুরস্ক সীমান্ত পেরিয়ে অবশেষে ইস্তাম্বুলে পৌঁছান এবং সেখান থেকে তাইওয়ানের ফ্লাইট ধরেন।
ইরান থেকে দেশে ফেরার পুরো যাত্রায় তাঁর সময় লাগে প্রায় ১০৪ ঘণ্টা। ২০২২ সাল থেকে একা ভ্রমণ শুরু করেন ক্যাং। ভারত ও মিসরের মতো অগোছালো দেশগুলোয় ভ্রমণের অভিজ্ঞতা তাঁকে তৈরি করেছিল ইরানের চ্যালেঞ্জের জন্য।
ইরানে ১৫ দিনের ভিসার জন্য তিনি মাত্র ১৫ ডলার ফি দিয়ে আবেদন করেছিলেন। দেশটিতে ঢুকতে লাগে আরও ১৩৪ ডলার। পর্যটক অবকাঠামো দুর্বল আর যুদ্ধের বিভীষিকার পরও স্থানীয়দের আতিথেয়তা তাঁকে সাহস জুগিয়েছে। ক্যাং বলেন, ‘আমি কখনো ভাবিনি যুদ্ধের মধ্যে পড়ব। তবু ইরান আমার পছন্দের শীর্ষ পাঁচ দেশের একটি। আমি কখনো আফসোস করব না। ওখানকার মানুষেরা সত্যিই অসাধারণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেখানে কারও কাছে সাহায্য চাইতে আপনি লজ্জা পাবেন না।’
মাত্র ২৪ বছর বয়সেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একা একা ভ্রমণ করছেন তাইওয়ানের নারী অ্যারিয়েল ক্যাং চেংশুয়ান। গত ১২ জুন রাতে ইরানের ইশফাহান শহরে তিনি যখন ঘুমাতে যান, তখন কল্পনাও করেননি, পরদিন সকালে জেগে উঠবেন এক নতুন বৈশ্বিক সংঘাতের মাঝখানে!
সিএনএন জানিয়েছে, সেই রাতটি ছিল ক্যাংয়ের ইরান ভ্রমণের ১১ তম দিন। ঐতিহাসিক ইশফাহান শহরের একটি হোমস্টে-তে মোটা লাল কার্পেটে শুয়ে ছিলেন তিনি। সেই রাতেই ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় হামলা শুরু করে, যা পরবর্তী ১২ দিন ধরে দেশজুড়ে চলতে থাকে।
ক্যাং অবশ্য এই সংঘাতের কথা জানতে পারেন পরদিন সকালে। বন্ধুরাই তাঁকে মেসেজ পাঠিয়ে সতর্ক হতে বলেন।
তবে ইশফাহানে সবকিছু স্বাভাবিকই মনে হচ্ছিল—দোকানপাট খোলা, রাস্তায় যদিও ভিড় কিছুটা কম। যে পরিবারের অতিথি হিসেবে তিনি ছিলেন, ১৪ জুন সকালে তাঁদের সঙ্গে টেলিভিশনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দৃশ্য দেখে পুরো পরিস্থিতির ভয়াবহতা অনুধাবন করেন ক্যাং। হোস্ট পরিবারটি জানায়, গত বছরও তারা এমন পরিস্থিতির মুখে পড়েছিলেন এবং বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
সেই সময়টুকুর কথা স্মরণ করে ক্যাং বলেন, ‘আমি একা ছিলাম, কিছুটা অসহায় অনুভব করছিলাম।’
যুক্তরাষ্ট্রসহ পৃথিবীর অনেক দেশই তাদের নাগরিকদের ইরান ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেয়। তারপরও ৫১ তম দেশে পা রাখার জন্য ক্যাং ইরানে ছুটে গিয়েছিলেন। মূলত দেশটির ইতিহাস ও সৌন্দর্যই তাঁকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল।
তাইওয়ানের সঙ্গে ইরানের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তাই সংঘাতের মধ্যে হতবিহ্বল ক্যাং প্রথমে অনলাইনে চীনা দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অনেক চেষ্টার পর সেখান থেকে জবাব পাওয়া আসে। কিন্তু তাঁকে উদ্ধারের জন্য কোনো বাস পাঠানো ছিল সে সময় এক দুরূহ কাজ।
তবে একজন নিঃসঙ্গ ভ্রমণকারী হিসেবে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় ক্যাং বুঝতে পারেন, ভয় পেলে চলবে না। তিনি যেভাবেই হোক ইরান থেকে ফেরার পরিকল্পনা করেন। তিনি বলেন, ‘হামলা সরকারের বিরুদ্ধে, সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে নয়—এই ধারণা আমাকে সাহস জুগিয়েছিল।’
১৪ জুন পরিস্থিতি খারাপ দেখে তিনি ইশফাহান ছেড়ে তেহরানের পথে যাত্রা শুরু করেন। যদিও সেই সময়টিতে রাজধানী তেহরান ছেড়ে অন্য কোনো দূরের শহর কিংবা গ্রামে পালাচ্ছিলেন সাধারণ ইরানিরা। তেহরান যাওয়ার পথে অসংখ্য নিরাপত্তা চৌকি পার হন ক্যাং। কিছু স্থানে চরম গোলযোগের মধ্যেই তাঁকে হিজাব পরার নির্দেশ, আর দূরে গোলাগুলির শব্দ—সবকিছুই পরে তাঁর অভিজ্ঞতার অংশ হয়ে ওঠে।
১৫ জুন রাত ১০টায় তেহরান থেকে তাবরিজের উদ্দেশে একটি বাসে চড়েছিলেন তিনি। তবে যানজটে ১০০ কিলোমিটার যেতেই লেগে যায় একদিনের মতো। তারপর তাবরিজ থেকে মাকু হয়ে তুরস্ক সীমান্ত পেরিয়ে অবশেষে ইস্তাম্বুলে পৌঁছান এবং সেখান থেকে তাইওয়ানের ফ্লাইট ধরেন।
ইরান থেকে দেশে ফেরার পুরো যাত্রায় তাঁর সময় লাগে প্রায় ১০৪ ঘণ্টা। ২০২২ সাল থেকে একা ভ্রমণ শুরু করেন ক্যাং। ভারত ও মিসরের মতো অগোছালো দেশগুলোয় ভ্রমণের অভিজ্ঞতা তাঁকে তৈরি করেছিল ইরানের চ্যালেঞ্জের জন্য।
ইরানে ১৫ দিনের ভিসার জন্য তিনি মাত্র ১৫ ডলার ফি দিয়ে আবেদন করেছিলেন। দেশটিতে ঢুকতে লাগে আরও ১৩৪ ডলার। পর্যটক অবকাঠামো দুর্বল আর যুদ্ধের বিভীষিকার পরও স্থানীয়দের আতিথেয়তা তাঁকে সাহস জুগিয়েছে। ক্যাং বলেন, ‘আমি কখনো ভাবিনি যুদ্ধের মধ্যে পড়ব। তবু ইরান আমার পছন্দের শীর্ষ পাঁচ দেশের একটি। আমি কখনো আফসোস করব না। ওখানকার মানুষেরা সত্যিই অসাধারণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেখানে কারও কাছে সাহায্য চাইতে আপনি লজ্জা পাবেন না।’
ইরানের শাহেদ ড্রোনের নকশা ব্যবহার করে এই ড্রোন উৎপাদনের জন্য বিশাল এক কারখানা নির্মাণ করেছে রাশিয়া। তাতারস্তান অঞ্চলের আলাবুগা শিল্প এলাকায় অবস্থিত এই কারখানা বর্তমানে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ড্রোন উৎপাদন কেন্দ্র।
৪ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। প্রায় দুই বছর ধরে চলমান যুদ্ধের মধ্যে এই সিদ্ধান্তের ফলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সামরিক অভিযান আরও বিস্তৃত হবে। শুক্রবার এই সিদ্ধান্ত দেশি-বিদেশি মহলে নতুন করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে...
৬ ঘণ্টা আগেগাজায় চলমান যুদ্ধ, অর্থনৈতিক বিপর্যয় এবং খাদ্যসহ জরুরি পণ্যের তীব্র সংকটের মধ্যে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার লড়াই আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। ব্যাংকগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ, স্থানীয় বাজারে ডিজিটাল লেনদেনও প্রায় অগ্রহণযোগ্য।
৬ ঘণ্টা আগেভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। আজ শুক্রবার (৮ আগস্ট) সাম্প্রতিক নানা বিষয়ে কথা হয় এই দুই নেতার।
৬ ঘণ্টা আগে