হামাস-ইসরায়েল চলমান যুদ্ধের বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা। এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের পাশে অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা অনেক দেশ। অপরদিকে ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে তুরস্ক, সৌদি আরব, ইরান, ইরাক, কাতার, কুয়েত, আরব আমিরাত ও লেবাননসহ বেশ কিছু আরব দেশ।
তবে এই সংঘাতের অবসানে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন আলাদা দুই স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলছে চীন। আজ রোববার বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের বিষয়টি উঠেছে।
এ সময় এক সাংবাদিক গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ভয়াবহ সংঘাত এবং উভয় পক্ষের ব্যাপক হতাহতের ঘটনার বিষয়ে চীনের মন্তব্য জানতে চান।
জবাবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের বর্তমান উত্তেজনা ও সহিংসতা বৃদ্ধির ঘটনায় চীন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে শান্ত থাকার, সংযম চর্চার আহ্বান জানাই। পাশাপাশি বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় এবং পরিস্থিতির যাতে আরও অবনতি না ঘটে, সে জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘সংঘাতের পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে একটি বিষয় দেখা যাচ্ছে যে, শান্তি প্রক্রিয়ার দীর্ঘস্থায়ী স্থবিরতা চলতে পারে না। দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রই এ সমস্যার সমাধান হতে পারে, অর্থাৎ ফিলিস্তিনের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এই সংঘাত থেকে বেরিয়ে আসার মূল উপায়।’
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অত্যন্ত জরুরি ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। ফিলিস্তিন প্রশ্নে আলোচনা বৃদ্ধি এবং ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরুর প্রক্রিয়া আরও সহজ এবং স্থায়ী শান্তির উপায় খুঁজে বের করতে হবে। চীন সেই লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করে যাবে।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে চীনের এই অবস্থানে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তেলআবিব। বেইজিংয়ে নিযুক্ত ইসরায়েলের দূতাবাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইউভাল ওয়াকস বলেছেন, ইসরায়েল চীনের কাছ থেকে হামাসের হামলার বিষয়ে ‘কঠোর নিন্দা’ দেখতে পাওয়ার আশা করেছিল। কারণ তারা চীনকে ইসরায়েলের বন্ধু হিসেবে দেখে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘যখন মানুষ খুন হচ্ছে, রাস্তায় জবাই হচ্ছে, তখন দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রস্তাবনার সময় এটা নয়।’
এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে হামাসের নজিরবিহীন হামলার প্রতিশোধে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর পাল্টা হামলায় এখন পর্যন্ত উভয় পক্ষের সাত শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। আহত হয়েছেন আরও হাজার হাজার মানুষ।
গতকাল শনিবার ভোরের দিকে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের রকেট বৃষ্টির মাধ্যমে শুরু হওয়া এই হামলা এখন নৃশংস ধ্বংসযজ্ঞ ডেকে এনেছে গাজায়। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর যুদ্ধবিমান থেকে টানা গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে হামাসের বিভিন্ন স্থাপনায়। হামাসও পাল্টা গোলাবর্ষণ করছে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে।
হামাস-ইসরায়েল চলমান যুদ্ধের বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা। এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের পাশে অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা অনেক দেশ। অপরদিকে ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে তুরস্ক, সৌদি আরব, ইরান, ইরাক, কাতার, কুয়েত, আরব আমিরাত ও লেবাননসহ বেশ কিছু আরব দেশ।
তবে এই সংঘাতের অবসানে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন আলাদা দুই স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলছে চীন। আজ রোববার বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের বিষয়টি উঠেছে।
এ সময় এক সাংবাদিক গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ভয়াবহ সংঘাত এবং উভয় পক্ষের ব্যাপক হতাহতের ঘটনার বিষয়ে চীনের মন্তব্য জানতে চান।
জবাবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের বর্তমান উত্তেজনা ও সহিংসতা বৃদ্ধির ঘটনায় চীন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে শান্ত থাকার, সংযম চর্চার আহ্বান জানাই। পাশাপাশি বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় এবং পরিস্থিতির যাতে আরও অবনতি না ঘটে, সে জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘সংঘাতের পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে একটি বিষয় দেখা যাচ্ছে যে, শান্তি প্রক্রিয়ার দীর্ঘস্থায়ী স্থবিরতা চলতে পারে না। দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রই এ সমস্যার সমাধান হতে পারে, অর্থাৎ ফিলিস্তিনের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এই সংঘাত থেকে বেরিয়ে আসার মূল উপায়।’
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অত্যন্ত জরুরি ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। ফিলিস্তিন প্রশ্নে আলোচনা বৃদ্ধি এবং ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরুর প্রক্রিয়া আরও সহজ এবং স্থায়ী শান্তির উপায় খুঁজে বের করতে হবে। চীন সেই লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করে যাবে।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে চীনের এই অবস্থানে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তেলআবিব। বেইজিংয়ে নিযুক্ত ইসরায়েলের দূতাবাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইউভাল ওয়াকস বলেছেন, ইসরায়েল চীনের কাছ থেকে হামাসের হামলার বিষয়ে ‘কঠোর নিন্দা’ দেখতে পাওয়ার আশা করেছিল। কারণ তারা চীনকে ইসরায়েলের বন্ধু হিসেবে দেখে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘যখন মানুষ খুন হচ্ছে, রাস্তায় জবাই হচ্ছে, তখন দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রস্তাবনার সময় এটা নয়।’
এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে হামাসের নজিরবিহীন হামলার প্রতিশোধে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর পাল্টা হামলায় এখন পর্যন্ত উভয় পক্ষের সাত শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। আহত হয়েছেন আরও হাজার হাজার মানুষ।
গতকাল শনিবার ভোরের দিকে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের রকেট বৃষ্টির মাধ্যমে শুরু হওয়া এই হামলা এখন নৃশংস ধ্বংসযজ্ঞ ডেকে এনেছে গাজায়। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর যুদ্ধবিমান থেকে টানা গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে হামাসের বিভিন্ন স্থাপনায়। হামাসও পাল্টা গোলাবর্ষণ করছে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে।
ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে। এই পদক্ষেপ শুধু মধ্যপ্রাচ্যের শক্তির ভারসাম্যকেই নাড়িয়ে দেয়নি, বরং এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্ব রাজনীতিতেও। মস্কো থেকে এর প্রতিক্রিয়া এসেছে দ্রুত ও তীব্রভাবে।
১ ঘণ্টা আগেমিছিলে অংশ নেন শতাধিক দলীয় কর্মী, সমর্থক, ছাত্র, যুব ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি। ‘আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদ নিপাত যাক’, ‘ইরানে বোমাবাজি চলবে না’ ইত্যাদি স্লোগানে মুখর হয় গোটা এলাকা। এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ‘সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস’ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এই দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে ইরানি গণমাধ্যম ও স্থানীয় কর্মকর্তারা।
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর সামরিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় হরমুজ প্রণালি বন্ধের প্রস্তাব পাস করেছে ইরানের পার্লামেন্ট। এই প্রস্তাবের ফলে বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহে বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগে