ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড অবকাঠামোগত ও অর্থনৈতিক উভয় দিক থেকেই ‘পুরোপুরি বিধ্বস্ত’ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় অঞ্চলটির অর্থনীতি যুদ্ধ-পূর্ব অবস্থায় ফিরতে সময় লাগবে ৩৫০ বছর। এমনটাই উঠে এসেছে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নসংক্রান্ত শাখা আঙ্কটাডের এক প্রতিবেদন থেকে।
জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন শাখা আঙ্কটাডের তৈরি করা প্রতিবেদনে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের অর্থনৈতিক খরচ সম্পর্কে বলা হয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হাতে ইসরায়েলে ১ হাজার ১৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পর থেকে চলমান আগ্রাসন গাজার অর্থনীতি ও অবকাঠামোকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে উপস্থাপিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধের আগে থেকেই দুর্বল অবস্থায় থাকা গাজার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুরোপুরি থমকে গেছে এই আগ্রাসনের কারণে। কেবল ন্যূনতম মানবিক স্বাস্থ্য ও খাদ্য পরিষেবাগুলো চলছে। তা-ও এর মধ্যে সুপেয় পানি, জ্বালানি ও বিদ্যুতের সংকট তীব্রতর এবং এসব পরিষেবা বাইরে থেকেও খুব একটা দেওয়া যাচ্ছে না।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের ফলে অভূতপূর্ব মানবিক, পরিবেশগত ও সামাজিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে এবং গাজাকে পুনঃ উন্নয়নের পথ থেকে সম্পূর্ণ ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে। এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব কয়েক বছর ধরে বজায় থাকবে এবং গাজাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কয়েক দশক সময় লাগতে পারে।’ এতে আরও বলা হয়েছে, ‘একবার যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠিত হলে ২০০৭-২০২২ সময়কালে গাজায় যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা ছিল, সেই অবস্থায় ফিরতে প্রায় ৩৫০ বছর সময় লাগবে।’
আঙ্কটাড বলেছে, চলতি বছরের প্রথম চতুর্থাংশে (জানুয়ারি–মার্চ মাস) গাজার ৯৬ শতাংশ নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে গেছে, কৃষি উৎপাদন নেমে গেছে ৯৩ শতাংশ, সামগ্রিক উৎপাদন কমেছে ৯২ শতাংশ, সেবা খাতের উৎপাদন কমেছে ৭৬ শতাংশ। এ ছাড়া বেকারত্বের হার পৌঁছেছে ৮১ দশমিক ৭ শতাংশে। ইসরায়েলের সামরিক অভিযান চলতে থাকায় গাজার এই পরিস্থিতি এখনো বিদ্যমান আছে কিংবা আরও খারাপ হয়েছে বলে মনে করে জাতিসংঘ।
এই প্রতিবেদনে দেওয়া হিসাব বলছে, উল্লিখিত সীমাবদ্ধতাগুলো না থাকলে ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ গাজার মোট দেশজ উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় ৭৭ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি হতো। এর অর্থ হলো, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফলে ক্ষতি হয়েছে ৩৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৩ সালে গাজার মোট জিডিপির ১৭ গুণ বেশি।
ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড অবকাঠামোগত ও অর্থনৈতিক উভয় দিক থেকেই ‘পুরোপুরি বিধ্বস্ত’ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় অঞ্চলটির অর্থনীতি যুদ্ধ-পূর্ব অবস্থায় ফিরতে সময় লাগবে ৩৫০ বছর। এমনটাই উঠে এসেছে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নসংক্রান্ত শাখা আঙ্কটাডের এক প্রতিবেদন থেকে।
জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন শাখা আঙ্কটাডের তৈরি করা প্রতিবেদনে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের অর্থনৈতিক খরচ সম্পর্কে বলা হয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হাতে ইসরায়েলে ১ হাজার ১৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পর থেকে চলমান আগ্রাসন গাজার অর্থনীতি ও অবকাঠামোকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে উপস্থাপিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধের আগে থেকেই দুর্বল অবস্থায় থাকা গাজার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুরোপুরি থমকে গেছে এই আগ্রাসনের কারণে। কেবল ন্যূনতম মানবিক স্বাস্থ্য ও খাদ্য পরিষেবাগুলো চলছে। তা-ও এর মধ্যে সুপেয় পানি, জ্বালানি ও বিদ্যুতের সংকট তীব্রতর এবং এসব পরিষেবা বাইরে থেকেও খুব একটা দেওয়া যাচ্ছে না।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের ফলে অভূতপূর্ব মানবিক, পরিবেশগত ও সামাজিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে এবং গাজাকে পুনঃ উন্নয়নের পথ থেকে সম্পূর্ণ ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে। এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব কয়েক বছর ধরে বজায় থাকবে এবং গাজাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কয়েক দশক সময় লাগতে পারে।’ এতে আরও বলা হয়েছে, ‘একবার যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠিত হলে ২০০৭-২০২২ সময়কালে গাজায় যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা ছিল, সেই অবস্থায় ফিরতে প্রায় ৩৫০ বছর সময় লাগবে।’
আঙ্কটাড বলেছে, চলতি বছরের প্রথম চতুর্থাংশে (জানুয়ারি–মার্চ মাস) গাজার ৯৬ শতাংশ নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে গেছে, কৃষি উৎপাদন নেমে গেছে ৯৩ শতাংশ, সামগ্রিক উৎপাদন কমেছে ৯২ শতাংশ, সেবা খাতের উৎপাদন কমেছে ৭৬ শতাংশ। এ ছাড়া বেকারত্বের হার পৌঁছেছে ৮১ দশমিক ৭ শতাংশে। ইসরায়েলের সামরিক অভিযান চলতে থাকায় গাজার এই পরিস্থিতি এখনো বিদ্যমান আছে কিংবা আরও খারাপ হয়েছে বলে মনে করে জাতিসংঘ।
এই প্রতিবেদনে দেওয়া হিসাব বলছে, উল্লিখিত সীমাবদ্ধতাগুলো না থাকলে ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ গাজার মোট দেশজ উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় ৭৭ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি হতো। এর অর্থ হলো, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফলে ক্ষতি হয়েছে ৩৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৩ সালে গাজার মোট জিডিপির ১৭ গুণ বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে দেশের অর্থনীতি সংকুচিত হওয়ার জন্য দায়ী করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে। নতুন শুল্ক আরোপের আগেই আমদানির চাপ, সরকারি ব্যয়ে কাটছাঁট এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা— এই বাস্তব কারণগুলো উপেক্ষা করে তিনি বারবার দায় দিচ্ছেন বাইডেন প্রশাসন
৩ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের ১০০ দিন পেরোতেই তাঁর প্রশাসনে প্রথম বড় ধাক্কা লাগল। পদত্যাগ করলেন রিপাবলিকান সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ। ট্রাম্প প্রশাসন থেকে ওয়াল্টজের সরে দাঁড়ানোর ঘটনায় হোয়াইট হাউসের অভ্যন্তরীণ গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে।
৩ ঘণ্টা আগেকাশ্মীরে সাম্প্রতিক সহিংসতার পর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে গেছে। এরই মধ্যে ভারতীয় হামলার আশঙ্কায় পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সব মাদ্রাসা ১০ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, নিরাপত্তার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে নিরীহ শিক্ষার্থীরা কোনো ঝুঁকিতে না...
৪ ঘণ্টা আগেভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় পাকিস্তানকে দায় দিয়ে আসছে নয়াদিল্লি। তবে পাকিস্তান সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নেয়। জবাবে পাকিস্তানও ভারতীয় বিমানগুলোর জন্য তাদের আকাশসীমা ব্যবহার নিষিদ্ধ
৭ ঘণ্টা আগে