আজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে লিবিয়ায় হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাওয়া শিয়া ধর্মীয় নেতা ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ইমাম মুসা আল-সদরের রহস্য আজও অমীমাংসিত। তাঁর গায়েব হওয়ার ঘটনায় লেবাননসহ সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে জন্ম নেয় অসংখ্য জল্পনা-কল্পনা, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা। সম্প্রতি ব্র্যাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানী অধ্যাপক হাসান উগাইল একটি ছবির বিশ্লেষণ করে জানিয়েছেন—লিবিয়ার এক গোপন মর্গে ২০১১ সালে পাওয়া একটি দেহ হয়তো মুসা আল-সদরেরই হতে পারে।
রহস্যের সূচনা
এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, ১৯৭৮ সালের আগস্ট মাসে লেবাননের জনপ্রিয় এই নেতা লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির আমন্ত্রণে ত্রিপোলি সফরে যান। সেই সময় লেবানন গৃহযুদ্ধে জর্জরিত ছিল, দক্ষিণাঞ্চলে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ইসরায়েলের সঙ্গে লড়াই করছিল। সদর চেয়েছিলেন গাদ্দাফিকে বোঝাতে যেন তিনি ফিলিস্তিনিদের প্রভাবিত করে লেবাননের সাধারণ মানুষকে সংঘাত থেকে রক্ষা করেন।
কিন্তু ৩১ আগস্ট সদরকে শেষবার দেখা গিয়েছিল ত্রিপোলির এক হোটেল থেকে বেরিয়ে যেতে। গাদ্দাফির নিরাপত্তা বাহিনী দাবি করে, তিনি রোমে উড়ে গেছেন। কিন্তু তদন্তে প্রমাণিত হয়—সেই দাবি ছিল মিথ্যা। এরপর থেকেই শুরু হয় এক দীর্ঘ রহস্য, যা আজও শেষ হয়নি।
সদরের জনপ্রিয়তা ও রাজনৈতিক প্রভাব
১৯২৮ সালে ইরানে জন্ম নেওয়া মুসা আল-সদর ১৯৫৯ সালে লেবাননে যান। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি লেবাননের শিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে একজন অগ্রগণ্য নেতা হয়ে ওঠেন। ১৯৭৪ সালে তিনি গঠন করেন মুভমেন্ট অব দ্য ডিপ্রাইভড, যা শিয়াদের সামাজিক-রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সব ধর্মের গরিব মানুষের জন্য কাজ করত। এমনকি তিনি খ্রিষ্টান গির্জায়ও বক্তব্য রেখেছেন—যাতে বোঝা যায় তিনি কতটা অসাম্প্রদায়িক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গির ছিলেন।

শিয়ারা তাঁকে জীবিত অবস্থাতেই ‘ইমাম’ উপাধি দিয়েছিল, যা অত্যন্ত বিরল সম্মান। তাঁর গায়েব হয়ে যাওয়া শিয়াদের বিশ্বাসে এক গভীর ধর্মীয় প্রতীকী অর্থও পেয়েছে। শিয়া দ্বাদশী মতবাদে ‘গায়েব ইমাম’ নামে একটি ধারণাও রয়েছে। সদরের নিখোঁজ হওয়াও তাঁদের কাছে এক ধরনের আধ্যাত্মিক রহস্য হয়ে উঠেছিল।
২০১১ সালে রহস্যের নতুন অধ্যায়
গাদ্দাফি বিরোধী আরব বসন্তের সময় লিবিয়ায় বিপ্লব শুরু হলে কিছু অজানা তথ্য সামনে আসে। লেবানিজ-সুইডিশ সাংবাদিক কাসেম হামাদে ত্রিপোলির এক গোপন মর্গে প্রবেশের সুযোগ পান। সেখানে প্রায় ১৭টি দেহ সংরক্ষিত ছিল—যার মধ্যে একটির উচ্চতা এবং গড়ন সদরের সঙ্গে মিলে যায়। ছবিতে দেখা যায়, মৃতদেহটির মাথার খুলি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত—যা দেখে অনুমান করা হয়, হয়তো তাকে গুলি করা হয়েছিল।

কাসেম দেহটির ছবি তোলেন এবং কিছু চুল সংগ্রহ করে লেবাননের রাজনৈতিক নেতাদের হাতে দেন ডিএনএ পরীক্ষার জন্য। কিন্তু রহস্যজনকভাবে সেই নমুনাও হারিয়ে যায়।
আধুনিক প্রযুক্তির বিশ্লেষণ
ব্রিটেনের ব্র্যাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাসান উগাইল ও তাঁর দল দেহটির ছবির সঙ্গে মুসা সাদরের জীবদ্দশার একাধিক ছবির তুলনা করেন। তাঁদের তৈরি ‘ডিপ ফেস রিকগনিশন’ অ্যালগরিদম অনুযায়ী, ছবিটির মিল ৬০ শতাংশের বেশি—যা প্রমাণ করে এটি হয়তো সদর অথবা তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের দেহ।
অধ্যাপক উগাইল বলেন, ‘এই ফলাফল উচ্চ সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয় যে, ছবিটি ইমাম মুসা সাদরেরই।’ যদিও নিশ্চিত প্রমাণের জন্য ডিএনএ পরীক্ষা অপরিহার্য।

সাংবাদিকদের আটক ও ঝুঁকিপূর্ণ অনুসন্ধান
বিবিসি টিম এই অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে লিবিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার হাতে আটক হয়। ছয় দিন কারাগারে অমানবিক অবস্থায় কাটানোর পর তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়। এ থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, গাদ্দাফি যুগের প্রভাবশালীরা এখনো এই রহস্য উন্মোচন হোক তা চান না।
কেন গাদ্দাফি সদরকে হত্যা করতে চাইতেন?
বিভিন্ন বিশ্লেষকের মতে, এর পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। গাদ্দাফি ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সহায়তা দিচ্ছিলেন, আর সাদর হয়তো তাঁদের লাগাম টানতে চাইছিলেন। ইরানের কট্টরপন্থী বিপ্লবীরা সদরের মধ্যপন্থী অবস্থানকে ভয় পেতেন। তাঁর প্রভাব থাকলে হয়তো ইরানি বিপ্লব ভিন্ন পথে যেতে পারত।
কিছু সূত্র বলছে, তৎকালীন শাহ অব ইরানের কাছে সদর একটি চিঠি লিখেছিলেন। এতে তিনি কট্টরপন্থীদের শক্তি ভাঙতে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এই তথ্য প্রকাশ পেয়ে গেলে বিপ্লবীরা ক্ষিপ্ত হয়েছিল।
লেবাননে সাদরের উত্তরাধিকার
আজও লেবাননের শিয়া রাজনীতি সদরের স্মৃতি ঘিরেই আবর্তিত হয়। তাঁর প্রতিষ্ঠিত আন্দোলন ‘আমল’ বর্তমানে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দল। আমলের নেতা ও লেবাননের পার্লামেন্ট স্পিকার নাবিহ বেরি জোর দিয়ে বলেন—সদর জীবিত আছেন এবং লিবিয়ার কারাগারে আটক। যদিও কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রতি বছর ৩১ আগস্ট তাঁকে স্মরণ করে শোক পালিত হয়।

রহস্য কি শেষ হবে?
সত্যিই কি ২০১১ সালে পাওয়া দেহটি মুসা আল-সাদরের? ফেসিয়াল রিকগনিশন ফলাফল তাই বলছে। কিন্তু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়তো এখনো তা অস্বীকার করা হচ্ছে। সদরের ছেলে সাইয়্যেদ সাদরেদ্দিন সদর বলেছেন—ছবিতে দেখা দেহ তাঁর বাবার নয়। কেউ কেউ এই বক্তব্যটিকেও রাজনৈতিক হিসেবে মনে করছেন।
তবে ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া এই রহস্যের অবসান হবে না। কাসেমের সংগ্রহ করা চুলের নমুনা যদি হারিয়ে না যেত, হয়তো এখনই সত্য জানা যেত।
ইমাম মুসা আল-সদরের নিখোঁজ হওয়া শুধু এক ব্যক্তির অন্তর্ধান নয়—বরং মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ইতিহাসে এক বড় মোড়। যদি সত্যিই প্রমাণিত হয় যে, তিনি গাদ্দাফির কারাগারে খুন হয়েছেন, তাহলে তা শুধু তাঁর অনুসারীদের জন্য নয়, বরং সমগ্র অঞ্চলের ইতিহাসে নতুন আলো ফেলবে। আর যদি তিনি এখনো জীবিত থাকেন, তবে সেটি হবে একবিংশ শতকের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক বিস্ময়।
একটি ছবির বিশ্লেষণ কি ৫০ বছরের পুরোনো রহস্য সমাধান করবে? উত্তর হয়তো এখনো অধরা। কিন্তু ইমাম সদরের নাম, তাঁর কাজ ও তাঁর রহস্যময় অন্তর্ধান ইতিহাসে চিরকাল এক অমোঘ প্রশ্ন হয়ে থাকবে।

প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে লিবিয়ায় হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাওয়া শিয়া ধর্মীয় নেতা ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ইমাম মুসা আল-সদরের রহস্য আজও অমীমাংসিত। তাঁর গায়েব হওয়ার ঘটনায় লেবাননসহ সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে জন্ম নেয় অসংখ্য জল্পনা-কল্পনা, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা। সম্প্রতি ব্র্যাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানী অধ্যাপক হাসান উগাইল একটি ছবির বিশ্লেষণ করে জানিয়েছেন—লিবিয়ার এক গোপন মর্গে ২০১১ সালে পাওয়া একটি দেহ হয়তো মুসা আল-সদরেরই হতে পারে।
রহস্যের সূচনা
এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, ১৯৭৮ সালের আগস্ট মাসে লেবাননের জনপ্রিয় এই নেতা লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির আমন্ত্রণে ত্রিপোলি সফরে যান। সেই সময় লেবানন গৃহযুদ্ধে জর্জরিত ছিল, দক্ষিণাঞ্চলে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ইসরায়েলের সঙ্গে লড়াই করছিল। সদর চেয়েছিলেন গাদ্দাফিকে বোঝাতে যেন তিনি ফিলিস্তিনিদের প্রভাবিত করে লেবাননের সাধারণ মানুষকে সংঘাত থেকে রক্ষা করেন।
কিন্তু ৩১ আগস্ট সদরকে শেষবার দেখা গিয়েছিল ত্রিপোলির এক হোটেল থেকে বেরিয়ে যেতে। গাদ্দাফির নিরাপত্তা বাহিনী দাবি করে, তিনি রোমে উড়ে গেছেন। কিন্তু তদন্তে প্রমাণিত হয়—সেই দাবি ছিল মিথ্যা। এরপর থেকেই শুরু হয় এক দীর্ঘ রহস্য, যা আজও শেষ হয়নি।
সদরের জনপ্রিয়তা ও রাজনৈতিক প্রভাব
১৯২৮ সালে ইরানে জন্ম নেওয়া মুসা আল-সদর ১৯৫৯ সালে লেবাননে যান। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি লেবাননের শিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে একজন অগ্রগণ্য নেতা হয়ে ওঠেন। ১৯৭৪ সালে তিনি গঠন করেন মুভমেন্ট অব দ্য ডিপ্রাইভড, যা শিয়াদের সামাজিক-রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সব ধর্মের গরিব মানুষের জন্য কাজ করত। এমনকি তিনি খ্রিষ্টান গির্জায়ও বক্তব্য রেখেছেন—যাতে বোঝা যায় তিনি কতটা অসাম্প্রদায়িক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গির ছিলেন।

শিয়ারা তাঁকে জীবিত অবস্থাতেই ‘ইমাম’ উপাধি দিয়েছিল, যা অত্যন্ত বিরল সম্মান। তাঁর গায়েব হয়ে যাওয়া শিয়াদের বিশ্বাসে এক গভীর ধর্মীয় প্রতীকী অর্থও পেয়েছে। শিয়া দ্বাদশী মতবাদে ‘গায়েব ইমাম’ নামে একটি ধারণাও রয়েছে। সদরের নিখোঁজ হওয়াও তাঁদের কাছে এক ধরনের আধ্যাত্মিক রহস্য হয়ে উঠেছিল।
২০১১ সালে রহস্যের নতুন অধ্যায়
গাদ্দাফি বিরোধী আরব বসন্তের সময় লিবিয়ায় বিপ্লব শুরু হলে কিছু অজানা তথ্য সামনে আসে। লেবানিজ-সুইডিশ সাংবাদিক কাসেম হামাদে ত্রিপোলির এক গোপন মর্গে প্রবেশের সুযোগ পান। সেখানে প্রায় ১৭টি দেহ সংরক্ষিত ছিল—যার মধ্যে একটির উচ্চতা এবং গড়ন সদরের সঙ্গে মিলে যায়। ছবিতে দেখা যায়, মৃতদেহটির মাথার খুলি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত—যা দেখে অনুমান করা হয়, হয়তো তাকে গুলি করা হয়েছিল।

কাসেম দেহটির ছবি তোলেন এবং কিছু চুল সংগ্রহ করে লেবাননের রাজনৈতিক নেতাদের হাতে দেন ডিএনএ পরীক্ষার জন্য। কিন্তু রহস্যজনকভাবে সেই নমুনাও হারিয়ে যায়।
আধুনিক প্রযুক্তির বিশ্লেষণ
ব্রিটেনের ব্র্যাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাসান উগাইল ও তাঁর দল দেহটির ছবির সঙ্গে মুসা সাদরের জীবদ্দশার একাধিক ছবির তুলনা করেন। তাঁদের তৈরি ‘ডিপ ফেস রিকগনিশন’ অ্যালগরিদম অনুযায়ী, ছবিটির মিল ৬০ শতাংশের বেশি—যা প্রমাণ করে এটি হয়তো সদর অথবা তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের দেহ।
অধ্যাপক উগাইল বলেন, ‘এই ফলাফল উচ্চ সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয় যে, ছবিটি ইমাম মুসা সাদরেরই।’ যদিও নিশ্চিত প্রমাণের জন্য ডিএনএ পরীক্ষা অপরিহার্য।

সাংবাদিকদের আটক ও ঝুঁকিপূর্ণ অনুসন্ধান
বিবিসি টিম এই অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে লিবিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার হাতে আটক হয়। ছয় দিন কারাগারে অমানবিক অবস্থায় কাটানোর পর তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়। এ থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, গাদ্দাফি যুগের প্রভাবশালীরা এখনো এই রহস্য উন্মোচন হোক তা চান না।
কেন গাদ্দাফি সদরকে হত্যা করতে চাইতেন?
বিভিন্ন বিশ্লেষকের মতে, এর পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। গাদ্দাফি ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সহায়তা দিচ্ছিলেন, আর সাদর হয়তো তাঁদের লাগাম টানতে চাইছিলেন। ইরানের কট্টরপন্থী বিপ্লবীরা সদরের মধ্যপন্থী অবস্থানকে ভয় পেতেন। তাঁর প্রভাব থাকলে হয়তো ইরানি বিপ্লব ভিন্ন পথে যেতে পারত।
কিছু সূত্র বলছে, তৎকালীন শাহ অব ইরানের কাছে সদর একটি চিঠি লিখেছিলেন। এতে তিনি কট্টরপন্থীদের শক্তি ভাঙতে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এই তথ্য প্রকাশ পেয়ে গেলে বিপ্লবীরা ক্ষিপ্ত হয়েছিল।
লেবাননে সাদরের উত্তরাধিকার
আজও লেবাননের শিয়া রাজনীতি সদরের স্মৃতি ঘিরেই আবর্তিত হয়। তাঁর প্রতিষ্ঠিত আন্দোলন ‘আমল’ বর্তমানে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দল। আমলের নেতা ও লেবাননের পার্লামেন্ট স্পিকার নাবিহ বেরি জোর দিয়ে বলেন—সদর জীবিত আছেন এবং লিবিয়ার কারাগারে আটক। যদিও কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রতি বছর ৩১ আগস্ট তাঁকে স্মরণ করে শোক পালিত হয়।

রহস্য কি শেষ হবে?
সত্যিই কি ২০১১ সালে পাওয়া দেহটি মুসা আল-সাদরের? ফেসিয়াল রিকগনিশন ফলাফল তাই বলছে। কিন্তু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়তো এখনো তা অস্বীকার করা হচ্ছে। সদরের ছেলে সাইয়্যেদ সাদরেদ্দিন সদর বলেছেন—ছবিতে দেখা দেহ তাঁর বাবার নয়। কেউ কেউ এই বক্তব্যটিকেও রাজনৈতিক হিসেবে মনে করছেন।
তবে ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া এই রহস্যের অবসান হবে না। কাসেমের সংগ্রহ করা চুলের নমুনা যদি হারিয়ে না যেত, হয়তো এখনই সত্য জানা যেত।
ইমাম মুসা আল-সদরের নিখোঁজ হওয়া শুধু এক ব্যক্তির অন্তর্ধান নয়—বরং মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ইতিহাসে এক বড় মোড়। যদি সত্যিই প্রমাণিত হয় যে, তিনি গাদ্দাফির কারাগারে খুন হয়েছেন, তাহলে তা শুধু তাঁর অনুসারীদের জন্য নয়, বরং সমগ্র অঞ্চলের ইতিহাসে নতুন আলো ফেলবে। আর যদি তিনি এখনো জীবিত থাকেন, তবে সেটি হবে একবিংশ শতকের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক বিস্ময়।
একটি ছবির বিশ্লেষণ কি ৫০ বছরের পুরোনো রহস্য সমাধান করবে? উত্তর হয়তো এখনো অধরা। কিন্তু ইমাম সদরের নাম, তাঁর কাজ ও তাঁর রহস্যময় অন্তর্ধান ইতিহাসে চিরকাল এক অমোঘ প্রশ্ন হয়ে থাকবে।

এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমি নিশ্চিত, তিনি এখন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই ভাবনা ভেবে কাঁদেন। আমিও ঠিক এমনটাই করতাম।’
১৩ মিনিট আগে
ভারতের অন্যতম প্রভাবশালী চিন্তক ও বাঙালি সাহিত্যিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৭৫ সালের ৭ নভেম্বর একটি কবিতা লিখেন। পরে এই কবিতা ভারতের স্বাধীনতার আন্দোলনে মুক্তিকামীদের স্লোগানে পরিণত হয়। ছয় স্তবকের সেই গীতিকবিতা প্রথম প্রকাশিত হয় তাঁর ১৮৮২ সালের উপন্যাস আনন্দমঠে। এর শিরোনাম ছিল ‘বন্দে মাতরম।’
২৩ মিনিট আগে
ভারতের রাজধানী দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) সিস্টেমে একটি বড়সড় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে আজ শুক্রবার ৩০০ টিরও বেশি ফ্লাইট প্রভাবিত হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) খুব শিগগির গাজায় মোতায়েন করা হবে। যুদ্ধপরবর্তী গাজা পুনর্গঠন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই বাহিনী কাজ করবে। তবে ট্রাম্প এ ঘোষণা দিলেও অঞ্চলটিতে এখনো ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ চলছে। মানবিক
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জীবনে এমন মুহূর্ত খুব কমই আসে, যখন কাউকে ‘না’ বলার জন্য আফসোস করতে হয়। ভাবুন তো, আপনি কাউকে প্রত্যাখ্যান করলেন আর পরে জানতে পারলেন, সেই ব্যক্তি নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন; যাঁকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে তুমুল আলোচনা!
আহ্, কী আফসোসটাই না হবে!
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে, যেখানে টিকটকে একজন নারীর গল্প শেয়ার করার স্ক্রিনশট দেখা যাচ্ছে।

ক্যাপশনে ‘এই শতাব্দীর সবচেয়ে বড় ভুল’ লিখে ওই নারী জানিয়েছেন, বছর কয়েক আগে নিউইয়র্কে হিঞ্জ অ্যাপে তিনি জোহরান মামদানির সঙ্গে ‘ম্যাচ’ করেছিলেন; কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেন।
কারণ? ‘তাঁর (মামদানি) উচ্চতার জন্য।’
পোস্টটিতে লেখা, ‘অ্যাপে তাঁর উচ্চতা ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি বা ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি লেখা ছিল। আমি তখন ভেবেছিলাম, এর মানে তিনি সম্ভবত ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি। এখন বুঝি, তিনি ওই অ্যাপের অন্য পুরুষদের চেয়ে বেশি সৎ ছিলেন।’
এই খবর ছড়িয়ে পড়তে না পড়তেই এক্সজুড়ে শুরু হয় মজার সব প্রতিক্রিয়া।
অনেকেই লিখেছেন, ওই নারী জীবনের এক সোনালি সুযোগ হারিয়েছেন।
এক ব্যবহারকারী লেখেন, ‘আমি নিশ্চিত, তিনি এখন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই ভাবনা ভেবে কাঁদেন। আমিও ঠিক এমনটাই করতাম।’
আরেকজন লেখেন, ‘উচ্চতার জন্য নিউইয়র্কের ভবিষ্যৎ মেয়রকে হাতছাড়া করার কথা কল্পনা করুন!’
জানা গেছে, মামদানির শারীরিক উচ্চতা ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি।
মজার বিষয় হলো, নিয়তির বাঁকে জোহরান মামদানি তাঁর স্ত্রী রামা দুয়াজির সঙ্গে এই হিঞ্জ অ্যাপেই পরিচিত হন, ২০২১ সালে। রাজনীতিতে মামদানির উত্থান শুরু হয় তখন। তাই দুজনেই সম্পর্কটা গোপন রাখেন।
কিছুদিন প্রেম করার পর মামদানি নিশ্চিত হন—রামাই তাঁর জীবনের সঙ্গী। ২০২৪ সালের অক্টোবরে তাঁরা বাগদান করেন আর একই বছরের ডিসেম্বরে দুবাইয়ে বুর্জ খলিফার সামনে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে তাঁদের নিকাহ ও এনগেজমেন্ট পার্টি হয়।
পরে এ বছরের শুরুর দিকে নিউইয়র্ক সিটি ক্লার্ক অফিসে তাঁরা বিয়ে করেন এবং পরবর্তী উদ্যাপন করেন উগান্ডায়।
রামা দুয়াজি একজন সিরীয়-আমেরিকান শিল্পী। তিনি রাজনীতির আলোচনায় থাকেন না। তবে নিউইয়র্কে পুরো নির্বাচনী প্রচারজুড়ে তিনি মামদানির পাশে ছিলেন সহযাত্রী হিসেবে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

জীবনে এমন মুহূর্ত খুব কমই আসে, যখন কাউকে ‘না’ বলার জন্য আফসোস করতে হয়। ভাবুন তো, আপনি কাউকে প্রত্যাখ্যান করলেন আর পরে জানতে পারলেন, সেই ব্যক্তি নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন; যাঁকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে তুমুল আলোচনা!
আহ্, কী আফসোসটাই না হবে!
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে, যেখানে টিকটকে একজন নারীর গল্প শেয়ার করার স্ক্রিনশট দেখা যাচ্ছে।

ক্যাপশনে ‘এই শতাব্দীর সবচেয়ে বড় ভুল’ লিখে ওই নারী জানিয়েছেন, বছর কয়েক আগে নিউইয়র্কে হিঞ্জ অ্যাপে তিনি জোহরান মামদানির সঙ্গে ‘ম্যাচ’ করেছিলেন; কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে প্রত্যাখ্যান করেন।
কারণ? ‘তাঁর (মামদানি) উচ্চতার জন্য।’
পোস্টটিতে লেখা, ‘অ্যাপে তাঁর উচ্চতা ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি বা ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি লেখা ছিল। আমি তখন ভেবেছিলাম, এর মানে তিনি সম্ভবত ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি। এখন বুঝি, তিনি ওই অ্যাপের অন্য পুরুষদের চেয়ে বেশি সৎ ছিলেন।’
এই খবর ছড়িয়ে পড়তে না পড়তেই এক্সজুড়ে শুরু হয় মজার সব প্রতিক্রিয়া।
অনেকেই লিখেছেন, ওই নারী জীবনের এক সোনালি সুযোগ হারিয়েছেন।
এক ব্যবহারকারী লেখেন, ‘আমি নিশ্চিত, তিনি এখন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই ভাবনা ভেবে কাঁদেন। আমিও ঠিক এমনটাই করতাম।’
আরেকজন লেখেন, ‘উচ্চতার জন্য নিউইয়র্কের ভবিষ্যৎ মেয়রকে হাতছাড়া করার কথা কল্পনা করুন!’
জানা গেছে, মামদানির শারীরিক উচ্চতা ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি।
মজার বিষয় হলো, নিয়তির বাঁকে জোহরান মামদানি তাঁর স্ত্রী রামা দুয়াজির সঙ্গে এই হিঞ্জ অ্যাপেই পরিচিত হন, ২০২১ সালে। রাজনীতিতে মামদানির উত্থান শুরু হয় তখন। তাই দুজনেই সম্পর্কটা গোপন রাখেন।
কিছুদিন প্রেম করার পর মামদানি নিশ্চিত হন—রামাই তাঁর জীবনের সঙ্গী। ২০২৪ সালের অক্টোবরে তাঁরা বাগদান করেন আর একই বছরের ডিসেম্বরে দুবাইয়ে বুর্জ খলিফার সামনে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে তাঁদের নিকাহ ও এনগেজমেন্ট পার্টি হয়।
পরে এ বছরের শুরুর দিকে নিউইয়র্ক সিটি ক্লার্ক অফিসে তাঁরা বিয়ে করেন এবং পরবর্তী উদ্যাপন করেন উগান্ডায়।
রামা দুয়াজি একজন সিরীয়-আমেরিকান শিল্পী। তিনি রাজনীতির আলোচনায় থাকেন না। তবে নিউইয়র্কে পুরো নির্বাচনী প্রচারজুড়ে তিনি মামদানির পাশে ছিলেন সহযাত্রী হিসেবে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে লিবিয়ায় হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাওয়া শিয়া ধর্মীয় নেতা ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ইমাম মুসা আল-সদরের রহস্য আজও অমীমাংসিত। তাঁর গায়েব হওয়ার ঘটনায় লেবাননসহ সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে জন্ম নেয় অসংখ্য জল্পনা-কল্পনা, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ভারতের অন্যতম প্রভাবশালী চিন্তক ও বাঙালি সাহিত্যিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৭৫ সালের ৭ নভেম্বর একটি কবিতা লিখেন। পরে এই কবিতা ভারতের স্বাধীনতার আন্দোলনে মুক্তিকামীদের স্লোগানে পরিণত হয়। ছয় স্তবকের সেই গীতিকবিতা প্রথম প্রকাশিত হয় তাঁর ১৮৮২ সালের উপন্যাস আনন্দমঠে। এর শিরোনাম ছিল ‘বন্দে মাতরম।’
২৩ মিনিট আগে
ভারতের রাজধানী দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) সিস্টেমে একটি বড়সড় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে আজ শুক্রবার ৩০০ টিরও বেশি ফ্লাইট প্রভাবিত হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) খুব শিগগির গাজায় মোতায়েন করা হবে। যুদ্ধপরবর্তী গাজা পুনর্গঠন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই বাহিনী কাজ করবে। তবে ট্রাম্প এ ঘোষণা দিলেও অঞ্চলটিতে এখনো ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ চলছে। মানবিক
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের অন্যতম প্রভাবশালী চিন্তক ও বাঙালি সাহিত্যিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৭৫ সালের ৭ নভেম্বর একটি কবিতা লিখেন। পরে এই কবিতা ভারতের স্বাধীনতার আন্দোলনে মুক্তিকামীদের স্লোগানে পরিণত হয়। ছয় স্তবকের সেই গীতিকবিতা প্রথম প্রকাশিত হয় তাঁর ১৮৮২ সালের উপন্যাস আনন্দমঠে। এর শিরোনাম ছিল ‘বন্দে মাতরম।’
আজ সেটিই নতুন করে রাজনৈতিক লড়াইয়ের জন্ম দিয়েছে বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে। বিজেপির অভিযোগ, কংগ্রেস ১৯৩৭ সালে ‘সম্প্রদায়তান্ত্রিক তোষণের’ কারণে কবিতার কিছু অংশ বাদ দিয়ে অসম্পূর্ণ সংস্করণকে জাতীয় পরিচয়ের গান হিসেবে গ্রহণ করে ‘দেশকে অসম্মান’ করেছে। সে সময় যে অংশগুলো বাদ দেওয়া হয়েছিল সেখানে তিন হিন্দু দেবী দুর্গা, লক্ষ্মী ও সরস্বতীর উল্লেখ ছিল।
আজ শুক্রবার সকালে কবিতাটি রচনার ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কবিতার পূর্ণ সংস্করণ পাঠ করে বলেন, কংগ্রেস কবিতাটিকে ‘ছিন্নভিন্ন করে ফেলেছে।’ মূলত কংগ্রেসের প্রতি মোদির তোপ দাগা থেকেই এর সূত্রপাত। এর প্রেক্ষাপটে বিজেপি প্রকাশ করেছে ১৯৩৭ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে জওহরলাল নেহরু ও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মধ্যে বিনিময় হওয়া কয়েকটি চিঠি। সেখানে নেহরু লিখেছিলেন, ‘বন্দে মাতরম-এর পটভূমি মুসলমানদের বিরক্ত করতে পারে।’
কংগ্রেস পাল্টা অভিযোগ করে বলেছে, যারা আজ নিজেদের জাতীয়তাবাদের রক্ষক দাবি করছে—বিজেপি ও তাদের আদর্শিক সংগঠন আরএসএস—তারাই বরাবরই ‘বন্দে মাতরম’ এড়িয়ে চলে। দলীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ‘আজ যারা জাতীয়তাবাদের মুখোশ পরে ঘোরে, তারাই আসলে কখনো বন্দে মাতরম গাননি।’
সারা দিন ধরেই দুই দলের নেতা, এমনকি বিরোধী রাজনীতিকেরাও পাল্টাপাল্টি কটাক্ষ চালিয়ে যাচ্ছেন। সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক আবু আজমি পর্যন্ত বলেন, ‘আমাকে কেউ জোর করে বন্দে মাতরম গাওয়াতে পারবে না।’ তিনি বলেন, মুসলমানের দেব–দেবী নয়, এক আল্লাহকে মানে।
ছয় স্তবকের এই গীতিকবিতায় বঙ্কিমচন্দ্র মাতৃশক্তির বন্দনা করেছেন। তিনি ভারতভূমিকে এক মাতৃরূপে কল্পনা করেছেন—যা একদিকে স্নেহময়ী, অন্যদিকে যোদ্ধা। কবিতায় তিনি মাতৃরূপ দেবীর শক্তি (‘…সত্তর কোটি হাতে ঝলসে ওঠে তরবারি, সত্তর কোটি কণ্ঠে গর্জে ওঠে তোমার নাম) এবং কোমলতা (‘…হে জননী, শান্তির দাত্রী, কোমল হাসি তোমার’)—দুটো দিকই তুলে ধরেছেন।
তবে কবিতার শেষ দুটি স্তবকে তিনি মাতৃরূপকে আরও স্পষ্টভাবে চিত্রিত করেন—দুর্গা, কমলা (অর্থাৎ লক্ষ্মী) ও সরস্বতীর রূপে। সেখানে ভারতভূমিকে দেবী হিসেবে কল্পনা করা হয়েছে—‘অতুল, অনুপমা, নির্মলা।’ ১৯৩৭ সালে কংগ্রেস নেতা জওহরলাল নেহরু সিদ্ধান্ত নেন—ফৈজাপুর অধিবেশনে জাতীয় অনুষ্ঠানে ‘বন্দে মাতরম’-এর কেবল প্রথম দুটি স্তবক ব্যবহার করা হবে। কারণ, দেবী-উল্লেখ থাকা অংশ মুসলমান সমাজের একটি অংশের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি; সেটি ‘বর্জনমূলক’ মনে হয়েছিল।
বিজেপির দাবি, এই সিদ্ধান্তই কংগ্রেসের বিভাজনবাদী মানসিকতা প্রমাণ করে। মোদি বলেন, ‘এই অংশ বাদ দেওয়াই দেশের বিভাজনের বীজ বপন করেছিল।’ বিজেপি মুখপাত্র সিআর কেশবন যে চিঠিগুলো প্রকাশ করেছেন, সেখানে নেহরু বসুকে লিখেছিলেন, ‘গানের দেবী-সম্পর্কিত ব্যাখ্যাটা অবাস্তব। আমার মনে হয় পুরো গানটাই নিরীহ, কেউ আপত্তি তোলার কারণ নেই।’
তবুও তিনি স্বীকার করেন, মুসলমান সমাজের কিছু অংশে অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল এবং বলেন, ‘এই বিতর্কে কিছুটা বাস্তবতা আছে, যদিও মূলত এটি সাম্প্রদায়িকদের সৃষ্টি।’ ফলস্বরূপ, ১৯৩৭ সালের ২৬-২৮ ডিসেম্বর ফৈজাপুর অধিবেশনে কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নেয়, যে অংশে দুর্গা, লক্ষ্মী ও সরস্বতীর উল্লেখ আছে, তা বাদ দিয়ে কেবল প্রথম দুটি স্তবকই জাতীয়ভাবে গাওয়া হবে।
সেই প্রস্তাবে বলা হয়, ‘সব দিক বিবেচনা করে কমিটি সুপারিশ করছে যে জাতীয় অনুষ্ঠানে বন্দে মাতরম-এর কেবল প্রথম দুটি স্তবকই গাওয়া হবে।’ তবে কংগ্রেস তখনই এ-ও বলেছিল, ‘যে কেউ চাইলে অন্য কোনো দেশাত্মবোধক গান গাইতে বা ব্যবহার করতে পারেন।’
কিন্তু প্রায় ৯০ বছর পরও সেই সিদ্ধান্ত ভারতীয় রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়ায়। বিশেষ করে আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন ঘিরে দেশপ্রেম ও মুসলমান তোষণের বিতর্ক নতুন করে মাথা তুলেছে—আর ‘বন্দে মাতরম’ তার কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে আছে।

ভারতের অন্যতম প্রভাবশালী চিন্তক ও বাঙালি সাহিত্যিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৭৫ সালের ৭ নভেম্বর একটি কবিতা লিখেন। পরে এই কবিতা ভারতের স্বাধীনতার আন্দোলনে মুক্তিকামীদের স্লোগানে পরিণত হয়। ছয় স্তবকের সেই গীতিকবিতা প্রথম প্রকাশিত হয় তাঁর ১৮৮২ সালের উপন্যাস আনন্দমঠে। এর শিরোনাম ছিল ‘বন্দে মাতরম।’
আজ সেটিই নতুন করে রাজনৈতিক লড়াইয়ের জন্ম দিয়েছে বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে। বিজেপির অভিযোগ, কংগ্রেস ১৯৩৭ সালে ‘সম্প্রদায়তান্ত্রিক তোষণের’ কারণে কবিতার কিছু অংশ বাদ দিয়ে অসম্পূর্ণ সংস্করণকে জাতীয় পরিচয়ের গান হিসেবে গ্রহণ করে ‘দেশকে অসম্মান’ করেছে। সে সময় যে অংশগুলো বাদ দেওয়া হয়েছিল সেখানে তিন হিন্দু দেবী দুর্গা, লক্ষ্মী ও সরস্বতীর উল্লেখ ছিল।
আজ শুক্রবার সকালে কবিতাটি রচনার ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কবিতার পূর্ণ সংস্করণ পাঠ করে বলেন, কংগ্রেস কবিতাটিকে ‘ছিন্নভিন্ন করে ফেলেছে।’ মূলত কংগ্রেসের প্রতি মোদির তোপ দাগা থেকেই এর সূত্রপাত। এর প্রেক্ষাপটে বিজেপি প্রকাশ করেছে ১৯৩৭ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে জওহরলাল নেহরু ও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মধ্যে বিনিময় হওয়া কয়েকটি চিঠি। সেখানে নেহরু লিখেছিলেন, ‘বন্দে মাতরম-এর পটভূমি মুসলমানদের বিরক্ত করতে পারে।’
কংগ্রেস পাল্টা অভিযোগ করে বলেছে, যারা আজ নিজেদের জাতীয়তাবাদের রক্ষক দাবি করছে—বিজেপি ও তাদের আদর্শিক সংগঠন আরএসএস—তারাই বরাবরই ‘বন্দে মাতরম’ এড়িয়ে চলে। দলীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ‘আজ যারা জাতীয়তাবাদের মুখোশ পরে ঘোরে, তারাই আসলে কখনো বন্দে মাতরম গাননি।’
সারা দিন ধরেই দুই দলের নেতা, এমনকি বিরোধী রাজনীতিকেরাও পাল্টাপাল্টি কটাক্ষ চালিয়ে যাচ্ছেন। সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক আবু আজমি পর্যন্ত বলেন, ‘আমাকে কেউ জোর করে বন্দে মাতরম গাওয়াতে পারবে না।’ তিনি বলেন, মুসলমানের দেব–দেবী নয়, এক আল্লাহকে মানে।
ছয় স্তবকের এই গীতিকবিতায় বঙ্কিমচন্দ্র মাতৃশক্তির বন্দনা করেছেন। তিনি ভারতভূমিকে এক মাতৃরূপে কল্পনা করেছেন—যা একদিকে স্নেহময়ী, অন্যদিকে যোদ্ধা। কবিতায় তিনি মাতৃরূপ দেবীর শক্তি (‘…সত্তর কোটি হাতে ঝলসে ওঠে তরবারি, সত্তর কোটি কণ্ঠে গর্জে ওঠে তোমার নাম) এবং কোমলতা (‘…হে জননী, শান্তির দাত্রী, কোমল হাসি তোমার’)—দুটো দিকই তুলে ধরেছেন।
তবে কবিতার শেষ দুটি স্তবকে তিনি মাতৃরূপকে আরও স্পষ্টভাবে চিত্রিত করেন—দুর্গা, কমলা (অর্থাৎ লক্ষ্মী) ও সরস্বতীর রূপে। সেখানে ভারতভূমিকে দেবী হিসেবে কল্পনা করা হয়েছে—‘অতুল, অনুপমা, নির্মলা।’ ১৯৩৭ সালে কংগ্রেস নেতা জওহরলাল নেহরু সিদ্ধান্ত নেন—ফৈজাপুর অধিবেশনে জাতীয় অনুষ্ঠানে ‘বন্দে মাতরম’-এর কেবল প্রথম দুটি স্তবক ব্যবহার করা হবে। কারণ, দেবী-উল্লেখ থাকা অংশ মুসলমান সমাজের একটি অংশের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি; সেটি ‘বর্জনমূলক’ মনে হয়েছিল।
বিজেপির দাবি, এই সিদ্ধান্তই কংগ্রেসের বিভাজনবাদী মানসিকতা প্রমাণ করে। মোদি বলেন, ‘এই অংশ বাদ দেওয়াই দেশের বিভাজনের বীজ বপন করেছিল।’ বিজেপি মুখপাত্র সিআর কেশবন যে চিঠিগুলো প্রকাশ করেছেন, সেখানে নেহরু বসুকে লিখেছিলেন, ‘গানের দেবী-সম্পর্কিত ব্যাখ্যাটা অবাস্তব। আমার মনে হয় পুরো গানটাই নিরীহ, কেউ আপত্তি তোলার কারণ নেই।’
তবুও তিনি স্বীকার করেন, মুসলমান সমাজের কিছু অংশে অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল এবং বলেন, ‘এই বিতর্কে কিছুটা বাস্তবতা আছে, যদিও মূলত এটি সাম্প্রদায়িকদের সৃষ্টি।’ ফলস্বরূপ, ১৯৩৭ সালের ২৬-২৮ ডিসেম্বর ফৈজাপুর অধিবেশনে কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নেয়, যে অংশে দুর্গা, লক্ষ্মী ও সরস্বতীর উল্লেখ আছে, তা বাদ দিয়ে কেবল প্রথম দুটি স্তবকই জাতীয়ভাবে গাওয়া হবে।
সেই প্রস্তাবে বলা হয়, ‘সব দিক বিবেচনা করে কমিটি সুপারিশ করছে যে জাতীয় অনুষ্ঠানে বন্দে মাতরম-এর কেবল প্রথম দুটি স্তবকই গাওয়া হবে।’ তবে কংগ্রেস তখনই এ-ও বলেছিল, ‘যে কেউ চাইলে অন্য কোনো দেশাত্মবোধক গান গাইতে বা ব্যবহার করতে পারেন।’
কিন্তু প্রায় ৯০ বছর পরও সেই সিদ্ধান্ত ভারতীয় রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়ায়। বিশেষ করে আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন ঘিরে দেশপ্রেম ও মুসলমান তোষণের বিতর্ক নতুন করে মাথা তুলেছে—আর ‘বন্দে মাতরম’ তার কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে আছে।

প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে লিবিয়ায় হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাওয়া শিয়া ধর্মীয় নেতা ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ইমাম মুসা আল-সদরের রহস্য আজও অমীমাংসিত। তাঁর গায়েব হওয়ার ঘটনায় লেবাননসহ সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে জন্ম নেয় অসংখ্য জল্পনা-কল্পনা, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমি নিশ্চিত, তিনি এখন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই ভাবনা ভেবে কাঁদেন। আমিও ঠিক এমনটাই করতাম।’
১৩ মিনিট আগে
ভারতের রাজধানী দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) সিস্টেমে একটি বড়সড় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে আজ শুক্রবার ৩০০ টিরও বেশি ফ্লাইট প্রভাবিত হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) খুব শিগগির গাজায় মোতায়েন করা হবে। যুদ্ধপরবর্তী গাজা পুনর্গঠন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই বাহিনী কাজ করবে। তবে ট্রাম্প এ ঘোষণা দিলেও অঞ্চলটিতে এখনো ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ চলছে। মানবিক
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) সিস্টেমে একটি বড়সড় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে আজ শুক্রবার ৩০০টিরও বেশি ফ্লাইট প্রভাবিত হয়েছে। এই বিপর্যয়ের ফলে শত শত যাত্রী বিমানবন্দরে আটকে পড়েন এবং উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি বিমানবন্দরে এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।
সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে এই প্রযুক্তিগত ত্রুটি শুরু হয় এবং এটি সরাসরি স্বয়ংক্রিয় বার্তা সুইচিং সিস্টেম (এএমএসএস)-কে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই এএমএসএস হলো মূল যোগাযোগ নেটওয়ার্ক, যা অটো ট্র্যাক সিস্টেম (এটিএস)-এর জন্য প্রয়োজনীয় ডেটা সরবরাহ করে—যা আবার কন্ট্রোলারদের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফ্লাইট প্ল্যান তৈরি করে।
স্বয়ংক্রিয় সিস্টেমটি অচল হয়ে পড়ায়, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা হাতে থাকা সীমিত ডেটা ব্যবহার করে ম্যানুয়ালি ফ্লাইট প্ল্যান তৈরি করতে বাধ্য হচ্ছেন। যেহেতু এটি একটি অত্যন্ত ধীর এবং সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া, তাই দিল্লিজুড়ে ব্যাপক বিলম্ব এবং এয়ারস্পেসে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
এক জ্যেষ্ঠ বিমানবন্দর কর্মকর্তা বলেন, ত্রুটিটি এএমএসএস-এ, এটি অটো ট্র্যাক সিস্টেমের জন্য তথ্য সরবরাহ করে। কন্ট্রোলাররা ম্যানুয়ালি ফ্লাইট প্ল্যান তৈরি করছেন, যার ফলে বেশি সময় লাগছে।
প্রতিদিন ১ হাজার ৫০০টিরও বেশি ফ্লাইট পরিচালনা করা ভারতের ব্যস্ততম বিমানবন্দর ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সেখানে এমন বিঘ্ন ঘটায় আজ সকাল থেকেই উড্ডয়ন ও অবতরণে বিঘ্ন ঘটে। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটর্যাডার ২৪ অনুযায়ী, সকাল ৯টা নাগাদ উড়ান ছাড়ার গড় বিলম্ব ছিল ৪৫ থেকে ৫০ মিনিট।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে রানওয়েতে পার্কিংয়ের জায়গার অভাবে সন্ধ্যার কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল হতে পারে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এই সফটওয়্যার সমস্যার বিমানবন্দরে যাত্রীরা দীর্ঘ লাইন, ফ্লাইটের ভেতরে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা এবং বারবার সময় পরিবর্তনের ঘোষণায় ভোগান্তির শিকার হন। অনেক যাত্রী সামাজিক মাধ্যমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকা এবং এয়ারলাইনসগুলোর কাছ থেকে সঠিক তথ্যের অভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
দিল্লি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেডের (ডায়াল) একজন মুখপাত্র এটিসি সিস্টেমে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে ফ্লাইট পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং জানিয়েছেন যে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য এয়ারপোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (এএআই) সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা হচ্ছে।
এদিকে, ইন্ডিগো, স্পাইসজেট এবং এয়ার ইন্ডিয়াসহ বেশ কিছু এয়ারলাইনস যাত্রীদের সম্ভাব্য বিলম্ব সম্পর্কে সতর্ক করে ভ্রমণ উপদেশ জারি করেছে। এয়ার ইন্ডিয়া তাদের বার্তায় এই অপ্রত্যাশিত বিঘ্নের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে যাত্রীদের ধৈর্যের প্রশংসা করেছে।
দুপুরের দিকে এএআইয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, এটিসি অপারেশন স্থিতিশীল রয়েছে, তবে স্বাভাবিকের চেয়ে ধীরগতিতে চলছে। মেরামতের কাজ চলছে।
কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে, এই জট কাটাতে আরও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে এবং এর ফলে লক্ষ্ণৌ, জয়পুর, চণ্ডীগড় এবং অমৃতসরের মতো উত্তরের অন্যান্য বিমানবন্দরেও বিলম্ব হতে পারে।

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) সিস্টেমে একটি বড়সড় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে আজ শুক্রবার ৩০০টিরও বেশি ফ্লাইট প্রভাবিত হয়েছে। এই বিপর্যয়ের ফলে শত শত যাত্রী বিমানবন্দরে আটকে পড়েন এবং উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি বিমানবন্দরে এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।
সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে এই প্রযুক্তিগত ত্রুটি শুরু হয় এবং এটি সরাসরি স্বয়ংক্রিয় বার্তা সুইচিং সিস্টেম (এএমএসএস)-কে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই এএমএসএস হলো মূল যোগাযোগ নেটওয়ার্ক, যা অটো ট্র্যাক সিস্টেম (এটিএস)-এর জন্য প্রয়োজনীয় ডেটা সরবরাহ করে—যা আবার কন্ট্রোলারদের জন্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফ্লাইট প্ল্যান তৈরি করে।
স্বয়ংক্রিয় সিস্টেমটি অচল হয়ে পড়ায়, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা হাতে থাকা সীমিত ডেটা ব্যবহার করে ম্যানুয়ালি ফ্লাইট প্ল্যান তৈরি করতে বাধ্য হচ্ছেন। যেহেতু এটি একটি অত্যন্ত ধীর এবং সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া, তাই দিল্লিজুড়ে ব্যাপক বিলম্ব এবং এয়ারস্পেসে যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
এক জ্যেষ্ঠ বিমানবন্দর কর্মকর্তা বলেন, ত্রুটিটি এএমএসএস-এ, এটি অটো ট্র্যাক সিস্টেমের জন্য তথ্য সরবরাহ করে। কন্ট্রোলাররা ম্যানুয়ালি ফ্লাইট প্ল্যান তৈরি করছেন, যার ফলে বেশি সময় লাগছে।
প্রতিদিন ১ হাজার ৫০০টিরও বেশি ফ্লাইট পরিচালনা করা ভারতের ব্যস্ততম বিমানবন্দর ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সেখানে এমন বিঘ্ন ঘটায় আজ সকাল থেকেই উড্ডয়ন ও অবতরণে বিঘ্ন ঘটে। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটর্যাডার ২৪ অনুযায়ী, সকাল ৯টা নাগাদ উড়ান ছাড়ার গড় বিলম্ব ছিল ৪৫ থেকে ৫০ মিনিট।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে রানওয়েতে পার্কিংয়ের জায়গার অভাবে সন্ধ্যার কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল হতে পারে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এই সফটওয়্যার সমস্যার বিমানবন্দরে যাত্রীরা দীর্ঘ লাইন, ফ্লাইটের ভেতরে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা এবং বারবার সময় পরিবর্তনের ঘোষণায় ভোগান্তির শিকার হন। অনেক যাত্রী সামাজিক মাধ্যমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকা এবং এয়ারলাইনসগুলোর কাছ থেকে সঠিক তথ্যের অভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
দিল্লি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেডের (ডায়াল) একজন মুখপাত্র এটিসি সিস্টেমে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে ফ্লাইট পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং জানিয়েছেন যে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য এয়ারপোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (এএআই) সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা হচ্ছে।
এদিকে, ইন্ডিগো, স্পাইসজেট এবং এয়ার ইন্ডিয়াসহ বেশ কিছু এয়ারলাইনস যাত্রীদের সম্ভাব্য বিলম্ব সম্পর্কে সতর্ক করে ভ্রমণ উপদেশ জারি করেছে। এয়ার ইন্ডিয়া তাদের বার্তায় এই অপ্রত্যাশিত বিঘ্নের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে যাত্রীদের ধৈর্যের প্রশংসা করেছে।
দুপুরের দিকে এএআইয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, এটিসি অপারেশন স্থিতিশীল রয়েছে, তবে স্বাভাবিকের চেয়ে ধীরগতিতে চলছে। মেরামতের কাজ চলছে।
কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে, এই জট কাটাতে আরও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে এবং এর ফলে লক্ষ্ণৌ, জয়পুর, চণ্ডীগড় এবং অমৃতসরের মতো উত্তরের অন্যান্য বিমানবন্দরেও বিলম্ব হতে পারে।

প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে লিবিয়ায় হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাওয়া শিয়া ধর্মীয় নেতা ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ইমাম মুসা আল-সদরের রহস্য আজও অমীমাংসিত। তাঁর গায়েব হওয়ার ঘটনায় লেবাননসহ সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে জন্ম নেয় অসংখ্য জল্পনা-কল্পনা, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমি নিশ্চিত, তিনি এখন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই ভাবনা ভেবে কাঁদেন। আমিও ঠিক এমনটাই করতাম।’
১৩ মিনিট আগে
ভারতের অন্যতম প্রভাবশালী চিন্তক ও বাঙালি সাহিত্যিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৭৫ সালের ৭ নভেম্বর একটি কবিতা লিখেন। পরে এই কবিতা ভারতের স্বাধীনতার আন্দোলনে মুক্তিকামীদের স্লোগানে পরিণত হয়। ছয় স্তবকের সেই গীতিকবিতা প্রথম প্রকাশিত হয় তাঁর ১৮৮২ সালের উপন্যাস আনন্দমঠে। এর শিরোনাম ছিল ‘বন্দে মাতরম।’
২৩ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) খুব শিগগির গাজায় মোতায়েন করা হবে। যুদ্ধপরবর্তী গাজা পুনর্গঠন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই বাহিনী কাজ করবে। তবে ট্রাম্প এ ঘোষণা দিলেও অঞ্চলটিতে এখনো ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ চলছে। মানবিক
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) খুব শিগগির গাজায় মোতায়েন করা হবে। যুদ্ধপরবর্তী গাজা পুনর্গঠন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই বাহিনী কাজ করবে। তবে ট্রাম্প এ ঘোষণা দিলেও অঞ্চলটিতে এখনো ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ চলছে। মানবিক বিপর্যয়ও এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেন, খুব শিগগির এটা হবে। গাজা নিয়ে সবকিছুই ভালোভাবে এগোচ্ছে। তিনি জানান, ‘খুব শক্তিশালী কয়েকটি দেশ’ স্বেচ্ছায় এতে অংশ নিতে রাজি হয়েছে। এই বাহিনী হামাসের মতো সশস্ত্র সংগঠনের সঙ্গে কোনো সমস্যা হলে তা মোকাবিলা করবে। যদিও হামাস এখনো নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে কিছু বলেনি।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এ নিয়ে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে সদস্য দেশগুলো। সেখানে দুই বছরের মেয়াদে একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন ও স্থিতিশীলতা বাহিনী অনুমোদনের প্রস্তাব তোলা হবে। এই বাহিনীর দায়িত্ব হবে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সীমান্ত এলাকায় নিয়ন্ত্রণ রাখা ও ফিলিস্তিনি পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেওয়া।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আল–জাজিরাকে বলেন, গাজায় পাঠানো যেকোনো স্থিতিশীলতা বাহিনীর ‘পূর্ণ আন্তর্জাতিক বৈধতা’ থাকতে হবে, যাতে তা ফিলিস্তিনিদের সহায়তা করতে পারে। এক মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, গতকাল থেকেই এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র গত সপ্তাহে নিরাপত্তা পরিষদের ১০ নির্বাচিত সদস্য ও কয়েকটি আঞ্চলিক মিত্রের কাছে খসড়া প্রস্তাব পাঠিয়েছে।
রয়টার্সের তথ্যানুযায়ী, মিসর, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও তুরস্ক এ প্রস্তাব দেখেছে। এতে ২০ হাজার সেনার একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের কথা বলা হয়েছে, যারা প্রয়োজনে ‘সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারবে’। অর্থাৎ, প্রয়োজন হলে তারা বল প্রয়োগও করতে পারবে।
ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনার অন্যতম প্রধান শর্ত, হামাসের নিরস্ত্রীকরণ। তবে সংগঠনটি এখনো রাজি হয়নি। পরিকল্পনা অনুযায়ী, স্থিতিশীলতা বাহিনীর একটি দায়িত্ব হবে হামাসের সামরিক সক্ষমতা ও ‘আক্রমণাত্মক অবকাঠামো’ ধ্বংস করা এবং তা পুনর্গঠন ঠেকানো।
ট্রাম্পের পরিকল্পনার ফলেই ১০ অক্টোবর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে বন্দিবিনিময় চুক্তি ও এক অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি হয়। তবে বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে এবং গাজায় ত্রাণ প্রবেশেও কঠোর বাধা দিয়ে ইসরায়েল বারবার এই যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করেছে।
এই প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে তুরস্ক। দেশটি হামাসকে শান্তি পরিকল্পনা মেনে নিতে উৎসাহ দিয়েছে এবং স্থিতিশীলতা বাহিনীর পক্ষে সমর্থন জোগাড় করেছে। এ লক্ষ্যে তারা এ সপ্তাহে ইস্তাম্বুলে কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক আয়োজন করেছে।
তুরস্ক বারবার ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধের নিন্দা জানিয়েছে। ইস্তাম্বুলের বৈঠকেও তারা জোর দিয়ে বলেছে, ইসরায়েলকে অবশ্যই যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ বন্ধ করতে হবে এবং গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দিতে হবে। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সা’র স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, গাজায় কোনোভাবেই তুর্কি উপস্থিতি তারা মেনে নেবে না।
ইসরায়েল বিষয়টি ভিন্নভাবে দেখছে। সেপ্টেম্বরে ট্রাম্পের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ইসরায়েল দীর্ঘ সময়ের জন্য গাজার নিরাপত্তা দায়িত্ব রাখবে, যার মধ্যে থাকবে নিরাপত্তা ঘেরাও বা নিরাপত্তাবেষ্টনী। মধ্যপ্রাচ্যের দায়িত্বে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান গত মাসে গাজা সফরে গিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সেনা সেখানে মোতায়েন করা হবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) খুব শিগগির গাজায় মোতায়েন করা হবে। যুদ্ধপরবর্তী গাজা পুনর্গঠন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই বাহিনী কাজ করবে। তবে ট্রাম্প এ ঘোষণা দিলেও অঞ্চলটিতে এখনো ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ চলছে। মানবিক বিপর্যয়ও এখনো পুরোপুরি কাটেনি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেন, খুব শিগগির এটা হবে। গাজা নিয়ে সবকিছুই ভালোভাবে এগোচ্ছে। তিনি জানান, ‘খুব শক্তিশালী কয়েকটি দেশ’ স্বেচ্ছায় এতে অংশ নিতে রাজি হয়েছে। এই বাহিনী হামাসের মতো সশস্ত্র সংগঠনের সঙ্গে কোনো সমস্যা হলে তা মোকাবিলা করবে। যদিও হামাস এখনো নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে কিছু বলেনি।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এ নিয়ে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে সদস্য দেশগুলো। সেখানে দুই বছরের মেয়াদে একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন ও স্থিতিশীলতা বাহিনী অনুমোদনের প্রস্তাব তোলা হবে। এই বাহিনীর দায়িত্ব হবে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সীমান্ত এলাকায় নিয়ন্ত্রণ রাখা ও ফিলিস্তিনি পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেওয়া।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আল–জাজিরাকে বলেন, গাজায় পাঠানো যেকোনো স্থিতিশীলতা বাহিনীর ‘পূর্ণ আন্তর্জাতিক বৈধতা’ থাকতে হবে, যাতে তা ফিলিস্তিনিদের সহায়তা করতে পারে। এক মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, গতকাল থেকেই এ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র গত সপ্তাহে নিরাপত্তা পরিষদের ১০ নির্বাচিত সদস্য ও কয়েকটি আঞ্চলিক মিত্রের কাছে খসড়া প্রস্তাব পাঠিয়েছে।
রয়টার্সের তথ্যানুযায়ী, মিসর, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও তুরস্ক এ প্রস্তাব দেখেছে। এতে ২০ হাজার সেনার একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের কথা বলা হয়েছে, যারা প্রয়োজনে ‘সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারবে’। অর্থাৎ, প্রয়োজন হলে তারা বল প্রয়োগও করতে পারবে।
ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনার অন্যতম প্রধান শর্ত, হামাসের নিরস্ত্রীকরণ। তবে সংগঠনটি এখনো রাজি হয়নি। পরিকল্পনা অনুযায়ী, স্থিতিশীলতা বাহিনীর একটি দায়িত্ব হবে হামাসের সামরিক সক্ষমতা ও ‘আক্রমণাত্মক অবকাঠামো’ ধ্বংস করা এবং তা পুনর্গঠন ঠেকানো।
ট্রাম্পের পরিকল্পনার ফলেই ১০ অক্টোবর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে বন্দিবিনিময় চুক্তি ও এক অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি হয়। তবে বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে এবং গাজায় ত্রাণ প্রবেশেও কঠোর বাধা দিয়ে ইসরায়েল বারবার এই যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করেছে।
এই প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে তুরস্ক। দেশটি হামাসকে শান্তি পরিকল্পনা মেনে নিতে উৎসাহ দিয়েছে এবং স্থিতিশীলতা বাহিনীর পক্ষে সমর্থন জোগাড় করেছে। এ লক্ষ্যে তারা এ সপ্তাহে ইস্তাম্বুলে কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক আয়োজন করেছে।
তুরস্ক বারবার ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধের নিন্দা জানিয়েছে। ইস্তাম্বুলের বৈঠকেও তারা জোর দিয়ে বলেছে, ইসরায়েলকে অবশ্যই যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ বন্ধ করতে হবে এবং গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দিতে হবে। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সা’র স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, গাজায় কোনোভাবেই তুর্কি উপস্থিতি তারা মেনে নেবে না।
ইসরায়েল বিষয়টি ভিন্নভাবে দেখছে। সেপ্টেম্বরে ট্রাম্পের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ইসরায়েল দীর্ঘ সময়ের জন্য গাজার নিরাপত্তা দায়িত্ব রাখবে, যার মধ্যে থাকবে নিরাপত্তা ঘেরাও বা নিরাপত্তাবেষ্টনী। মধ্যপ্রাচ্যের দায়িত্বে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান গত মাসে গাজা সফরে গিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সেনা সেখানে মোতায়েন করা হবে না।

প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে লিবিয়ায় হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাওয়া শিয়া ধর্মীয় নেতা ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ইমাম মুসা আল-সদরের রহস্য আজও অমীমাংসিত। তাঁর গায়েব হওয়ার ঘটনায় লেবাননসহ সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে জন্ম নেয় অসংখ্য জল্পনা-কল্পনা, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমি নিশ্চিত, তিনি এখন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই ভাবনা ভেবে কাঁদেন। আমিও ঠিক এমনটাই করতাম।’
১৩ মিনিট আগে
ভারতের অন্যতম প্রভাবশালী চিন্তক ও বাঙালি সাহিত্যিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৭৫ সালের ৭ নভেম্বর একটি কবিতা লিখেন। পরে এই কবিতা ভারতের স্বাধীনতার আন্দোলনে মুক্তিকামীদের স্লোগানে পরিণত হয়। ছয় স্তবকের সেই গীতিকবিতা প্রথম প্রকাশিত হয় তাঁর ১৮৮২ সালের উপন্যাস আনন্দমঠে। এর শিরোনাম ছিল ‘বন্দে মাতরম।’
২৩ মিনিট আগে
ভারতের রাজধানী দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) সিস্টেমে একটি বড়সড় প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে আজ শুক্রবার ৩০০ টিরও বেশি ফ্লাইট প্রভাবিত হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে