Ajker Patrika

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৫০০ শিশুসহ নিহত ১৫৩৭, লাশ রাখার জায়গা নেই মর্গে

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৫০০ শিশুসহ নিহত ১৫৩৭, লাশ রাখার জায়গা নেই মর্গে

সপ্তম দিনে গড়িয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধ। এই যুদ্ধে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৫ শ। নিহতদের মধ্যে বিপুল পরিমাণ শিশু ও নারী রয়েছে। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছে আরও ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এই তথ্য জানিয়েছে। 

গত ৭ অক্টোবর সকালে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারা মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ইসরায়েলের দিকে ৫ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। একই সঙ্গে স্থলপথ, জলপথ ও আকাশপথে দেশটিতে ঢুকে পড়েন হামাস যোদ্ধারা। ইসরায়েলও এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ ঘোষণা করে হামাসের বিরুদ্ধে। এর পর থেকেই দফায় দফায় গাজায় বিমান, স্থল এমনকি নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

ফিলিস্তিনের গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫৩৭ জনে। নিহতদের মধ্যে ৫০০ জনই শিশু এবং ২৭৬ জন নারী। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় ৬ হাজার ৬১২ জন আহত হয়েছে।

এদিকে, ইসরায়েলি হামলায় গাজার অধিকাংশ স্কুল ও বেশ কয়েকটি হাসপাতাল বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এই অবস্থায় হাসপাতালগুলোর রোগীর সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে মারাত্মকভাবে। এমনকি নিহতের সংখ্যা এত বেশি যে, হাসপাতালগুলোর মর্গেও জায়গা খালি নেই। 

বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে গাজার হাসপাতালগুলোতে মরদেহের আধিক্যের বিষয়টি। এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার শিফা হাসপাতাল একসঙ্গে মাত্র ৩০টি মরদেহ সংরক্ষণ করতে পারে। কিন্তু ইসরায়েলের হামলার পর মরদেহ এত বেশি আসছে যে, সংরক্ষণাগারে আর কোনো জায়গা নেই। তাই বাধ্য হয়েই হাসপাতালের করিডরে, গ্যারেজে এমনকি হাসপাতালের বাইরে খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখতে হচ্ছে। অন্যান্য হাসপাতালের অবস্থাও কমবেশি একই।

শিফা হাসপাতালের নার্স আবু ইলিয়াস বলেন, ‘একের পর এক মরদেহ আসছেই, এখন যেন এটি (হাসপাতাল) কবরস্থানে পরিণত হয়েছে।’ গ্যারেজ, খোলা আকাশের নিচেও মরদেহ রাখা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিষয়গুলো দেখতে দেখতে আর সামলাতে আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে আছি। এখন একটাই করণীয়, পরিস্থিতি কতটা খারাপ হতে পারে সেটি ভাবা বন্ধ করে দেওয়া।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত