সৌদি আরবের শহর মদিনার পূর্বের হাইল অঞ্চলে মরুভূমির ঘুড়ি নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। বালুতে লুকানো মরুভূমির ঘুড়ির সন্ধান মিলছে। হাইল অঞ্চলে আরব উপদ্বীপের প্রাচীন মরুভূমিতে সভ্যতার নিদর্শনস্বরূপ মরুভূমির ঘুড়ি দেখতে পাওয়া যায়।
মরুভূমির ঘুড়ি বলতে মূলত পাথরের বৃত্ত এবং কাঠামোকে বোঝানো হয়। যা কাইট নামে পরিচিত। প্রধানত পশ্চিম অঞ্চলে এগুলোর সন্ধান পাওয়া গেছে।
আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বহুভুজ, ফানেল এবং ত্রিভুজ আকৃতির কাঠামোগুলো পশ্চিমে হাররাত খায়বার লাভা ক্ষেত্রগুলোর কাছে কেন্দ্রীভূত। বিশ্বাস করা হয়ে থাকে, খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ এবং সপ্তম শতাব্দীর এই পাথরগুলো নিওলিথিক যুগের। হাইল অঞ্চলের এই কাঠামোগুলো উত্তর-পশ্চিমে শুয়াইমিস শহরের কাছে কাআ আল-সিবাকে পাওয়া যায়।
আরব নিউজের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ৫ হাজার ৮০০ টির বেশি মরুভূমি ঘুড়ি এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়েছে। আর্মেনিয়া, সৌদি আরব, জর্ডান এবং কাজাখস্তান জুড়ে মরুভূমির ঘুড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশি মরুভূমি ঘুড়ির দেখা পাওয়া গেছে সিরিয়ায়। শুধু সিরিয়াতেই ২ হাজার ৫০০টি ঘুড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে। মরুভূমির এই ঘুড়িগুলো অত্যাধুনিক এবং সুন্দর কাঠামোতে তৈরি। তবে ঠিক কী উদ্দেশ্যে এগুলো তৈরি করা হয়েছে সেটি আজও অজানা।
কিং সউদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন ইতিহাসের অধ্যাপক ড. সালমা হাওসাউই আরব নিউজকে বলেন, ‘পুরো সৌদি আরব জুড়ে অসংখ্য পাথরের বৃত্ত, ঘুড়ি এবং কাঠামো ছড়িয়ে রয়েছে। মদিনার উত্তরের অনেক এলাকায় মরুভূমির ঘুড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে। খায়বার, ফাদাক, আলউলা এলাকায় মরুভূমির ঘুড়ি দেখা গেছে। বড় বড় এসব মরুভূমির ঘুড়িগুলো বৃত্ত, ত্রিভুজ, ডিম্বাকৃতি, উত্থিত পাথর, পাথরের স্তূপ, বর্গাকার এবং আর্কস আকৃতির হয়ে থাকে।’
ড. সালমা হাওসাউই আরও বলেন, ‘মরুভূমির ঘুড়িগুলো জ্যামিতিক আকৃতির। এর একটি অপরটির সঙ্গে সংযুক্ত বা সংযোগহীন হতে পারে। এগুলো ভবনের অংশ বা পৃথক, বা অসামঞ্জস্যপূর্ণ পাথরের স্তূপ হতে পারে।’
জানা গেছে, রয়্যাল এয়ার ফোর্সের পাইলটরা জর্ডানের পূর্ব মরুভূমির ওপর দিয়ে যাওয়ার পথে প্রথম মরুভূমির ঘুড়ি শনাক্ত করেছিলেন। পাইলটরা নাম রাখেন ‘ঘুড়ি’। কেননা তাদের বাতাস থেকে প্রাপ্ত রূপরেখা শিশুদের খেলনা ঘুড়ির কথা মনে করিয়ে দেয়।
একেক জায়গার মরুভূমির ঘুড়িগুলো একেক রকমের আকৃতিতে পাওয়া গেছে। এটি স্থানের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এগুলো বাণিজ্য পথ বোঝাতে, কাফেলা, উপাসনার স্থান, আবাসিক এলাকা, সমাধিস্থল অথবা এটি শিকারের জন্য সংকেত হিসেবে ব্যবহার করা হতো। আরব নিউজকে এমনটিই বলেন ড. সালমা হাওসাউই।
১৯৭৬ সালের এক প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপে দেখা গেছে, এই মরুভূমির ঘুড়িগুলো ওয়াদি সারহানের উত্তর থেকে হাইল অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত। এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলের পরিবেশগত ও বিভিন্ন পার্থক্য থাকায় মরুভূমি ঘুড়ির বিস্তার কাঠামোর বৈচিত্র দেখা যায়।
এক মার্কিন গবেষণায় দেখা গেছে, আওউলা অঞ্চলে যে মরুভূমির ঘুড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে সেটি প্রায় সাত হাজার বছরের পুরোনো। অর্থাৎ গিজার পিরামিড এবং যুক্তরাজ্যের স্টোনহেঞ্জের পাথরের বৃত্তের চেয়েও মরুভূমির এই ঘুড়িগুলো বেশি পুরোনো।
ড. হাওসাউই বলেন, ‘মরুভূমির এই ঘুড়িগুলো আরব উপদ্বীপে বসবাসকারী প্রাচীন সভ্যতাগুলোর বিকাশের পরিধিকে ফুটিয়ে তোলে। এটি প্রমাণ করে সৌদি আরবের এই ভূমিগুলোর ইতিহাসের কতটা পুরোনো।’
সৌদি আরবের শহর মদিনার পূর্বের হাইল অঞ্চলে মরুভূমির ঘুড়ি নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। বালুতে লুকানো মরুভূমির ঘুড়ির সন্ধান মিলছে। হাইল অঞ্চলে আরব উপদ্বীপের প্রাচীন মরুভূমিতে সভ্যতার নিদর্শনস্বরূপ মরুভূমির ঘুড়ি দেখতে পাওয়া যায়।
মরুভূমির ঘুড়ি বলতে মূলত পাথরের বৃত্ত এবং কাঠামোকে বোঝানো হয়। যা কাইট নামে পরিচিত। প্রধানত পশ্চিম অঞ্চলে এগুলোর সন্ধান পাওয়া গেছে।
আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বহুভুজ, ফানেল এবং ত্রিভুজ আকৃতির কাঠামোগুলো পশ্চিমে হাররাত খায়বার লাভা ক্ষেত্রগুলোর কাছে কেন্দ্রীভূত। বিশ্বাস করা হয়ে থাকে, খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ এবং সপ্তম শতাব্দীর এই পাথরগুলো নিওলিথিক যুগের। হাইল অঞ্চলের এই কাঠামোগুলো উত্তর-পশ্চিমে শুয়াইমিস শহরের কাছে কাআ আল-সিবাকে পাওয়া যায়।
আরব নিউজের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ৫ হাজার ৮০০ টির বেশি মরুভূমি ঘুড়ি এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়েছে। আর্মেনিয়া, সৌদি আরব, জর্ডান এবং কাজাখস্তান জুড়ে মরুভূমির ঘুড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশি মরুভূমি ঘুড়ির দেখা পাওয়া গেছে সিরিয়ায়। শুধু সিরিয়াতেই ২ হাজার ৫০০টি ঘুড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে। মরুভূমির এই ঘুড়িগুলো অত্যাধুনিক এবং সুন্দর কাঠামোতে তৈরি। তবে ঠিক কী উদ্দেশ্যে এগুলো তৈরি করা হয়েছে সেটি আজও অজানা।
কিং সউদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন ইতিহাসের অধ্যাপক ড. সালমা হাওসাউই আরব নিউজকে বলেন, ‘পুরো সৌদি আরব জুড়ে অসংখ্য পাথরের বৃত্ত, ঘুড়ি এবং কাঠামো ছড়িয়ে রয়েছে। মদিনার উত্তরের অনেক এলাকায় মরুভূমির ঘুড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে। খায়বার, ফাদাক, আলউলা এলাকায় মরুভূমির ঘুড়ি দেখা গেছে। বড় বড় এসব মরুভূমির ঘুড়িগুলো বৃত্ত, ত্রিভুজ, ডিম্বাকৃতি, উত্থিত পাথর, পাথরের স্তূপ, বর্গাকার এবং আর্কস আকৃতির হয়ে থাকে।’
ড. সালমা হাওসাউই আরও বলেন, ‘মরুভূমির ঘুড়িগুলো জ্যামিতিক আকৃতির। এর একটি অপরটির সঙ্গে সংযুক্ত বা সংযোগহীন হতে পারে। এগুলো ভবনের অংশ বা পৃথক, বা অসামঞ্জস্যপূর্ণ পাথরের স্তূপ হতে পারে।’
জানা গেছে, রয়্যাল এয়ার ফোর্সের পাইলটরা জর্ডানের পূর্ব মরুভূমির ওপর দিয়ে যাওয়ার পথে প্রথম মরুভূমির ঘুড়ি শনাক্ত করেছিলেন। পাইলটরা নাম রাখেন ‘ঘুড়ি’। কেননা তাদের বাতাস থেকে প্রাপ্ত রূপরেখা শিশুদের খেলনা ঘুড়ির কথা মনে করিয়ে দেয়।
একেক জায়গার মরুভূমির ঘুড়িগুলো একেক রকমের আকৃতিতে পাওয়া গেছে। এটি স্থানের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এগুলো বাণিজ্য পথ বোঝাতে, কাফেলা, উপাসনার স্থান, আবাসিক এলাকা, সমাধিস্থল অথবা এটি শিকারের জন্য সংকেত হিসেবে ব্যবহার করা হতো। আরব নিউজকে এমনটিই বলেন ড. সালমা হাওসাউই।
১৯৭৬ সালের এক প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপে দেখা গেছে, এই মরুভূমির ঘুড়িগুলো ওয়াদি সারহানের উত্তর থেকে হাইল অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত। এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলের পরিবেশগত ও বিভিন্ন পার্থক্য থাকায় মরুভূমি ঘুড়ির বিস্তার কাঠামোর বৈচিত্র দেখা যায়।
এক মার্কিন গবেষণায় দেখা গেছে, আওউলা অঞ্চলে যে মরুভূমির ঘুড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে সেটি প্রায় সাত হাজার বছরের পুরোনো। অর্থাৎ গিজার পিরামিড এবং যুক্তরাজ্যের স্টোনহেঞ্জের পাথরের বৃত্তের চেয়েও মরুভূমির এই ঘুড়িগুলো বেশি পুরোনো।
ড. হাওসাউই বলেন, ‘মরুভূমির এই ঘুড়িগুলো আরব উপদ্বীপে বসবাসকারী প্রাচীন সভ্যতাগুলোর বিকাশের পরিধিকে ফুটিয়ে তোলে। এটি প্রমাণ করে সৌদি আরবের এই ভূমিগুলোর ইতিহাসের কতটা পুরোনো।’
লোহিত সাগরে মার্কিন রণতরীতে তাৎক্ষণিকভাবে হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভির এক প্রতিবেদনে হুতি মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারির বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, জায়নবাদী শত্রুর পক্ষে মার্কিন আগ্রাসন উপেক্ষা করার মতো নয়।
৪ মিনিট আগেচলমান সংঘাতে প্রাণনাশের আশঙ্কায় সম্ভাব্য তিনজন উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। যে কোনো সময় গুপ্তহত্যার শিকার হতে পারেন, এমন শঙ্কায় বর্তমানে বাঙ্কারে অবস্থান করছেন তিনি। অবস্থান গোপন রাখতে মোবাইল ফোনসহ যেকোনো ডিভাইস ব্যবহার থেকে বিরত থাকছেন।
১৯ মিনিট আগেইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একে অপরের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। উভয় নেতাই এই অভিযানকে ঐতিহাসিক এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছেন।
২৭ মিনিট আগেইরানের প্রধান তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা ফোরদো, নাতানজ ও ইস্পাহানে হামলা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনটি স্থাপনাই ‘শেষ’ করে দেওয়া হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের হুমকি দূর করা হয়েছে।
৪১ মিনিট আগে