Ajker Patrika

গোপন বৈঠকের খবরের পরই ইরান সম্পর্কে সুর নরম সৌদি যুবরাজের

আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২১, ১৯: ২৮
গোপন বৈঠকের খবরের পরই ইরান সম্পর্কে সুর নরম সৌদি যুবরাজের

ঢাকা: ইরান নিয়ে সুর নরম করেছেন সৌদি আরবের যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান। তিনি বলেছেন, ইরানের সঙ্গে সুসম্পর্ক চান। উপসাগরীয় অঞ্চলে উন্নয়ন ও অগ্রগতি কামনা করেন তিনি। ইরাকের রাজধানী বাগদাদে দুই দেশের মধ্যে গোপন বৈঠকের খবর প্রকাশের পর এক সাক্ষাৎকারে এমন কথা বললেন মুহাম্মদ বিন সালমান।

গত মঙ্গলবার রাতে মিডল ইস্ট ব্রডকাস্টিং সেন্টার প্রচারিত সাক্ষাৎকারে সৌদি যুবরাজ বলেন, ইরানের সঙ্গে সুসম্পর্কের জন্য তার দেশ আঞ্চলিক দেশগুলোর পাশাপাশি অন্যদের সঙ্গেও কাজ করছে। রিয়াদ এমন সম্পর্ক চায় যা সবার জন্য কল্যাণকর।

আঞ্চলিক আধিপত্য নিয়ে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে দ্বন্দ্ব বহু পুরনো। সৌদি আরব এক শিয়া ধর্মগুরুকে ফাঁসি দেওয়ার পর তেহরানে সৌদি কূটনৈতিক মিশনে ইরানিরা হামলা করলে ২০১৬ সালে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়।

সাক্ষাৎকারে সৌদি যুবরাজ বলেন, সৌদি আরব ও ইরানের লক্ষ্য অভিন্ন। সৌদি আরব ইরানের উন্নয়ন চায়। একইসঙ্গে গোটা অঞ্চল ও বিশ্বের উন্নয়ন ও অগ্রগতি প্রত্যাশা করে রিয়াদ।

তবে সৌদি আরবের নেতৃত্বে ইয়েমেনে অব্যাহত হামলা ও যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের বিষয়ে প্রশ্ন করলে কোনো মন্তব্য করেননি যুবরাজ। তবে তিনি আশা করেন ইয়েমেনের হুতি সমর্থিত সরকার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেবে এবং আলোচনায় বসবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-কাদেমির মধ্যস্থতায় বাগদাদে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে একটি গোপন বৈঠক হয়। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৯ এপ্রিল দুই দেশের মধ্যে প্রথম বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকের বিষয়টি বার্তা সংস্থা এএফপিকেও নিশ্চিত করেন ইরাক সরকারের এক কর্মকর্তা। অন্যদিকে পশ্চিমা এক কূটনীতিক জানান, দুই দেশের মধ্যে ভালো সম্পর্ক স্থাপন ও উত্তেজনা নিরসনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে বৈঠকটি নিয়ে তিনি আগে থেকে জানতেন।

তবে বৈঠকের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারি সংবাদমাধ্যমে অস্বীকার করেছে রিয়াদ। তেহরান জানিয়েছে, তারা সব সময় সৌদি আরবের সঙ্গে যেকোনো আলোচনাকে স্বাগত জানায়।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে সাক্ষাৎকারে সৌদি যুবরাজ বলেছেন, বিভিন্ন ইস্যুতে একমত না হলেও রিয়াদ এবং ওয়াশিংটন এখনো কৌশলগত অংশীদার। তবে সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের কোনো চাপ সৌদি আরব গ্রহণ করতে চায় না।

ট্রাম্পের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল সৌদি আরবের। তবে জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর ইয়েমেন যুদ্ধে মার্কিন সমর্থন প্রত্যাহার করেন। এছাড়া সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে দায়ী করে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনটিও দেওয়া হয় বাইডেন শপথ গ্রহণের পর। তবে যুক্তরাষ্ট্র এখনও মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত