Ajker Patrika

গাজায় ১১৪ মৃত্যু, বেড়েছে ইসরায়েলের আগ্রাসন

অনলাইন ডেস্ক
গাজায় বেড়েছে ইসরায়েলের হামলার তীব্রতা। ছবি: এএফপি
গাজায় বেড়েছে ইসরায়েলের হামলার তীব্রতা। ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের মধ্যেই গাজায় বেড়েছে ইসরায়েলের হামলার তীব্রতা। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ও উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ১১৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের স্থল অভিযান শুরুর আগে বেড়েছে বিমান হামলা। দক্ষিণ গাজায় হামাস ও প্যালেস্টিনিয়ান ইসলামিক জিহাদ যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বোমা হামলায় খান ইউনিসে ঘরবাড়ি ও আশ্রয়কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে নারী ও শিশুসহ ৫৬ জন নিহত হয়েছে। অন্যদিকে জাবালিয়ায় প্রাণঘাতী হামলায় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও নামাজের হলঘরে ১৩ জন নিহত হয়েছে বলে হামাস-নিয়ন্ত্রিত সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে।

খান ইউনিসের রাস্তাগুলোতে মরদেহ নিয়ে দাফন করতে যাওয়া শোকাহত পরিবারের ভিড় দেখা যায়। শহরের বাসিন্দারা বলেন, প্রায় দুই মাস আগে ইসরায়েল আবার আক্রমণ শুরু করার পর থেকে এটাই শহরের সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান হামলা।

এদিকে মধ্যপ্রাচ্যে সফরে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সফরের ফলে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন সাময়িকভাবে হলেও থামবে বলে আশা করা হয়েছিল। তবে গত ৪৮ ঘণ্টার অবিরাম বোমাবর্ষণে গাজার সহিংসতা আরও বেড়ে গেছে। উপত্যকাটির পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটপূর্ণ হয়ে গেছে। শয্যা ও চিকিৎসাসামগ্রীর অভাবে আহতদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো।

নাসের হাসপাতালে দেখা যায়, হাসপাতালটিতে শয্যার সংকটে চিকিৎসকেরা স্ট্রেচার, বেঞ্চ ও মেঝেতেই আহতদের চিকিৎসা দিচ্ছেন।

মর্গের অবস্থা বর্ণনা করে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘মর্গ পুরো ভর্তি হয়ে আছে। এমনকি করিডোরেও জায়গা নেই। আজ নিহতদের মধ্যে ৩৬ জন শিশু রয়েছে।’

সফরের তৃতীয় দিনে কাতারে ট্রাম্প বলেন, ‘গাজা নিয়ে আমার কিছু ভাবনা আছে যা খুব ভালো হবে বলে মনে করি—এটিকে একটি ‘ফ্রিডম জোন’ বানানো। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে এটিকে একটি স্বাধীন অঞ্চল করা। যুক্তরাষ্ট্র এটিকে নিজের দায়িত্বে নিতে পেরে গর্ববোধ করবে।’

ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা বাসেম নাইম বলেন, ‘গাজা ফিলিস্তিনি ভূমির অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি কোনো খোলা বাজারে বিক্রির সম্পত্তি নয়। আমরা আমাদের ভূমি ও জাতীয় উদ্দেশ্যের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের মাতৃভূমি রক্ষা ও আমাদের জনগণের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে আমরা যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত