আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা মারওয়ান বারঘৌতিকে এবারও মুক্তি দিতে চায় না ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত চুক্তির আওতায় হামাস মারওয়ান বারঘৌতিসহ প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তির তালিকা দিয়েছিল। বিনিময়ে হামাস ২০ জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। কিন্তু বারঘৌতির একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় তালিকা থেকে বারঘৌতির নাম কেটে দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রটি লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইকে জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় শেষ মুহূর্তে একতরফাভাবে বারঘৌতির নাম বন্দিবিনিময় তালিকা থেকে বাদ দেওয়ায় গাজা শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
বিভিন্ন জরিপ অনুসারে, সর্বাধিক জনপ্রিয় ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মারওয়ান বারঘৌতি। হামাস ৪৮ জন ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে সর্বোচ্চ প্রভাবশালী ফিলিস্তিনি যেসব ব্যক্তির নাম দিয়েছিল, তার মধ্যে বারঘৌতির নাম প্রথম দিকেই ছিল। বারঘৌতি ও তাঁর পরিবারের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র মিডল ইস্ট আইকে জানিয়েছে, গত রাতে মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফসহ মধ্যস্থতাকারীরা এমন একটি বন্দী তালিকায় সম্মতি জানিয়েছিলেন, যেটিতে বারঘৌতির নামও ছিল।
তবে বৃহস্পতিবার এক ইসরায়েলি মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে বারঘৌতি এই বন্দিবিনিময়ের অংশ হবেন না।
সূত্র বলছে, তাঁর নাম সম্ভবত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় একতরফাভাবে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে।
মিডল ইস্ট আইয়ের তথ্য অনুযায়ী, আহমেদ সাদাত (পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের নেতা), হাসান সালামা (হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা) ও আবদুল্লাহ বারঘৌতির নামও তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে জটিলতা দেখা দিয়েছে। মধ্যস্থতাকারীরা এখন এই নামগুলো ফের তালিকায় যুক্ত করার জন্য চাপ দিচ্ছেন।
বারঘৌতির মুক্তি ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গভিরের জন্য এক ‘রেড কার্ড’ বা বিপজ্জনক ইস্যু হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যদি বেন গভির তাঁর এমপিদের নেতানিয়াহুর জোট সরকার থেকে প্রত্যাহার করেন, তাহলে সরকারই বিপদে পড়বে।
তবে বারঘৌতির মুক্তির জন্য মধ্যপ্রাচ্যে কূটনৈতিক পদক্ষেপ জোরদার হয়েছে। মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, বারঘৌতির স্ত্রী মিসরের রাজধানী কায়রোতে অবস্থান করছেন। তিনি মধ্যস্থতাকারীদের কাছে প্রস্তাব করেছেন, যাতে তাঁর স্বামীর নাম বিনিময় তালিকায় রাখা হয়।
আল জাজিরাকে হামাসের এক কর্মকর্তা বলেন, মধ্যস্থতাকারীরা বন্দীদের তালিকা নিয়ে সমঝোতায় আসার চেষ্টা করছে। ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলোর সঙ্গে একটি জাতীয় সংলাপ হবে, যাতে তাদের অবস্থান সমন্বয় করা যায়।
চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যরাতে হওয়া আলোচনার ভিত্তিতে ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এর মধ্যে আনুমানিক ১ হাজার ৭০০ জন গাজা থেকে আটক হয়ে বিনা বিচারে জেলবন্দী থাকা পুরুষ, নারী ও শিশু।
বারঘৌতি ২০০৪ সাল থেকে কারাবন্দী। অক্টোবর ২০২৩-এ গাজায় ব্যাপক হামলা শুরুর পর থেকে তাঁকে একা একটি কক্ষে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তিনি ফাতাহর শীর্ষস্থানীয় নেতা। ২০০০-২০০৫ সালের দ্বিতীয় ইন্তিফাদায় তাঁর নেতৃত্বের কারণে তাঁকে ইসরায়েল লক্ষ্যবস্তু করে।
একাধিক জনমত জরিপ ইঙ্গিত দেয়, মারওয়ান বারঘৌতি (বর্তমানে প্রায় ৬৬ বছর বয়স) যদি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন, তবে তিনি খুব সহজে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।
এর আগে গত জানুয়ারিতে মিডল ইস্ট আই প্রতিবেদন করেছিল, মিসর ও কাতার হামাসের সঙ্গে সমন্বয় করে বারঘৌতির মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য সম্ভাব্য সব মাধ্যম ব্যবহার করছে। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামিদ আল থানি এবং মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান মেজর জেনারেল হাসান মাহমুদ রাশাদ ব্যক্তিগতভাবে তাঁর মুক্তির পক্ষে মধ্যস্থতা করেছেন বলে সূত্রগুলো জানায়।
তবে একই সময়ে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (মাহমুদ আব্বাস নেতৃত্বাধীন পিএ) কিছু শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বারঘৌতির নাম বন্দিবিনিময় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করার দাবি জানিয়েছিলেন। তাঁদের উদ্বেগ, যদি তিনি মুক্তি পান, তাহলে তা মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বকে সংকটে ফেলতে পারে।
পশ্চিম তীরে জন্ম ও বেড়ে ওঠা বারঘৌতি ১৫ বছর বয়সে ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ গোষ্ঠীতে সক্রিয় হন। দ্বিতীয় ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদা তথা বিদ্রোহের সময় তিনি জনপ্রিয় নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পাঁচ ইসরায়েলিকে হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয়। তিনি সব সময় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ২০০২ সাল থেকে তিনি ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী।
তবু যখন ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনা হয়, তখন ফিলিস্তিনিরা প্রায় ২৫ বছর ধরে বন্দী একজন ব্যক্তির নামই বারবার উচ্চারণ করে আসছে। পশ্চিম তীরভিত্তিক ‘প্যালেস্টিনিয়ান সেন্টার ফর পলিসি অ্যান্ড সার্ভে রিসার্চের’ সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, ৫০ শতাংশ ফিলিস্তিনি বারঘৌতিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে চায়। আর ২০০৫ সাল থেকে এই পদে থাকা মাহমুদ আব্বাসের সমর্থন অনেক কম।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা মারওয়ান বারঘৌতিকে এবারও মুক্তি দিতে চায় না ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত চুক্তির আওতায় হামাস মারওয়ান বারঘৌতিসহ প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তির তালিকা দিয়েছিল। বিনিময়ে হামাস ২০ জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। কিন্তু বারঘৌতির একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় তালিকা থেকে বারঘৌতির নাম কেটে দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রটি লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইকে জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় শেষ মুহূর্তে একতরফাভাবে বারঘৌতির নাম বন্দিবিনিময় তালিকা থেকে বাদ দেওয়ায় গাজা শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
বিভিন্ন জরিপ অনুসারে, সর্বাধিক জনপ্রিয় ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মারওয়ান বারঘৌতি। হামাস ৪৮ জন ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে সর্বোচ্চ প্রভাবশালী ফিলিস্তিনি যেসব ব্যক্তির নাম দিয়েছিল, তার মধ্যে বারঘৌতির নাম প্রথম দিকেই ছিল। বারঘৌতি ও তাঁর পরিবারের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র মিডল ইস্ট আইকে জানিয়েছে, গত রাতে মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফসহ মধ্যস্থতাকারীরা এমন একটি বন্দী তালিকায় সম্মতি জানিয়েছিলেন, যেটিতে বারঘৌতির নামও ছিল।
তবে বৃহস্পতিবার এক ইসরায়েলি মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে বারঘৌতি এই বন্দিবিনিময়ের অংশ হবেন না।
সূত্র বলছে, তাঁর নাম সম্ভবত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় একতরফাভাবে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে।
মিডল ইস্ট আইয়ের তথ্য অনুযায়ী, আহমেদ সাদাত (পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের নেতা), হাসান সালামা (হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা) ও আবদুল্লাহ বারঘৌতির নামও তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে জটিলতা দেখা দিয়েছে। মধ্যস্থতাকারীরা এখন এই নামগুলো ফের তালিকায় যুক্ত করার জন্য চাপ দিচ্ছেন।
বারঘৌতির মুক্তি ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গভিরের জন্য এক ‘রেড কার্ড’ বা বিপজ্জনক ইস্যু হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যদি বেন গভির তাঁর এমপিদের নেতানিয়াহুর জোট সরকার থেকে প্রত্যাহার করেন, তাহলে সরকারই বিপদে পড়বে।
তবে বারঘৌতির মুক্তির জন্য মধ্যপ্রাচ্যে কূটনৈতিক পদক্ষেপ জোরদার হয়েছে। মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, বারঘৌতির স্ত্রী মিসরের রাজধানী কায়রোতে অবস্থান করছেন। তিনি মধ্যস্থতাকারীদের কাছে প্রস্তাব করেছেন, যাতে তাঁর স্বামীর নাম বিনিময় তালিকায় রাখা হয়।
আল জাজিরাকে হামাসের এক কর্মকর্তা বলেন, মধ্যস্থতাকারীরা বন্দীদের তালিকা নিয়ে সমঝোতায় আসার চেষ্টা করছে। ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলোর সঙ্গে একটি জাতীয় সংলাপ হবে, যাতে তাদের অবস্থান সমন্বয় করা যায়।
চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যরাতে হওয়া আলোচনার ভিত্তিতে ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এর মধ্যে আনুমানিক ১ হাজার ৭০০ জন গাজা থেকে আটক হয়ে বিনা বিচারে জেলবন্দী থাকা পুরুষ, নারী ও শিশু।
বারঘৌতি ২০০৪ সাল থেকে কারাবন্দী। অক্টোবর ২০২৩-এ গাজায় ব্যাপক হামলা শুরুর পর থেকে তাঁকে একা একটি কক্ষে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তিনি ফাতাহর শীর্ষস্থানীয় নেতা। ২০০০-২০০৫ সালের দ্বিতীয় ইন্তিফাদায় তাঁর নেতৃত্বের কারণে তাঁকে ইসরায়েল লক্ষ্যবস্তু করে।
একাধিক জনমত জরিপ ইঙ্গিত দেয়, মারওয়ান বারঘৌতি (বর্তমানে প্রায় ৬৬ বছর বয়স) যদি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন, তবে তিনি খুব সহজে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।
এর আগে গত জানুয়ারিতে মিডল ইস্ট আই প্রতিবেদন করেছিল, মিসর ও কাতার হামাসের সঙ্গে সমন্বয় করে বারঘৌতির মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য সম্ভাব্য সব মাধ্যম ব্যবহার করছে। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামিদ আল থানি এবং মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান মেজর জেনারেল হাসান মাহমুদ রাশাদ ব্যক্তিগতভাবে তাঁর মুক্তির পক্ষে মধ্যস্থতা করেছেন বলে সূত্রগুলো জানায়।
তবে একই সময়ে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (মাহমুদ আব্বাস নেতৃত্বাধীন পিএ) কিছু শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বারঘৌতির নাম বন্দিবিনিময় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করার দাবি জানিয়েছিলেন। তাঁদের উদ্বেগ, যদি তিনি মুক্তি পান, তাহলে তা মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বকে সংকটে ফেলতে পারে।
পশ্চিম তীরে জন্ম ও বেড়ে ওঠা বারঘৌতি ১৫ বছর বয়সে ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ গোষ্ঠীতে সক্রিয় হন। দ্বিতীয় ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদা তথা বিদ্রোহের সময় তিনি জনপ্রিয় নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পাঁচ ইসরায়েলিকে হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয়। তিনি সব সময় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ২০০২ সাল থেকে তিনি ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী।
তবু যখন ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনা হয়, তখন ফিলিস্তিনিরা প্রায় ২৫ বছর ধরে বন্দী একজন ব্যক্তির নামই বারবার উচ্চারণ করে আসছে। পশ্চিম তীরভিত্তিক ‘প্যালেস্টিনিয়ান সেন্টার ফর পলিসি অ্যান্ড সার্ভে রিসার্চের’ সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, ৫০ শতাংশ ফিলিস্তিনি বারঘৌতিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে চায়। আর ২০০৫ সাল থেকে এই পদে থাকা মাহমুদ আব্বাসের সমর্থন অনেক কম।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা মারওয়ান বারঘৌতিকে এবারও মুক্তি দিতে চায় না ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত চুক্তির আওতায় হামাস মারওয়ান বারঘৌতিসহ প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তির তালিকা দিয়েছিল। বিনিময়ে হামাস ২০ জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। কিন্তু বারঘৌতির একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় তালিকা থেকে বারঘৌতির নাম কেটে দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রটি লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইকে জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় শেষ মুহূর্তে একতরফাভাবে বারঘৌতির নাম বন্দিবিনিময় তালিকা থেকে বাদ দেওয়ায় গাজা শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
বিভিন্ন জরিপ অনুসারে, সর্বাধিক জনপ্রিয় ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মারওয়ান বারঘৌতি। হামাস ৪৮ জন ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে সর্বোচ্চ প্রভাবশালী ফিলিস্তিনি যেসব ব্যক্তির নাম দিয়েছিল, তার মধ্যে বারঘৌতির নাম প্রথম দিকেই ছিল। বারঘৌতি ও তাঁর পরিবারের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র মিডল ইস্ট আইকে জানিয়েছে, গত রাতে মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফসহ মধ্যস্থতাকারীরা এমন একটি বন্দী তালিকায় সম্মতি জানিয়েছিলেন, যেটিতে বারঘৌতির নামও ছিল।
তবে বৃহস্পতিবার এক ইসরায়েলি মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে বারঘৌতি এই বন্দিবিনিময়ের অংশ হবেন না।
সূত্র বলছে, তাঁর নাম সম্ভবত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় একতরফাভাবে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে।
মিডল ইস্ট আইয়ের তথ্য অনুযায়ী, আহমেদ সাদাত (পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের নেতা), হাসান সালামা (হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা) ও আবদুল্লাহ বারঘৌতির নামও তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে জটিলতা দেখা দিয়েছে। মধ্যস্থতাকারীরা এখন এই নামগুলো ফের তালিকায় যুক্ত করার জন্য চাপ দিচ্ছেন।
বারঘৌতির মুক্তি ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গভিরের জন্য এক ‘রেড কার্ড’ বা বিপজ্জনক ইস্যু হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যদি বেন গভির তাঁর এমপিদের নেতানিয়াহুর জোট সরকার থেকে প্রত্যাহার করেন, তাহলে সরকারই বিপদে পড়বে।
তবে বারঘৌতির মুক্তির জন্য মধ্যপ্রাচ্যে কূটনৈতিক পদক্ষেপ জোরদার হয়েছে। মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, বারঘৌতির স্ত্রী মিসরের রাজধানী কায়রোতে অবস্থান করছেন। তিনি মধ্যস্থতাকারীদের কাছে প্রস্তাব করেছেন, যাতে তাঁর স্বামীর নাম বিনিময় তালিকায় রাখা হয়।
আল জাজিরাকে হামাসের এক কর্মকর্তা বলেন, মধ্যস্থতাকারীরা বন্দীদের তালিকা নিয়ে সমঝোতায় আসার চেষ্টা করছে। ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলোর সঙ্গে একটি জাতীয় সংলাপ হবে, যাতে তাদের অবস্থান সমন্বয় করা যায়।
চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যরাতে হওয়া আলোচনার ভিত্তিতে ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এর মধ্যে আনুমানিক ১ হাজার ৭০০ জন গাজা থেকে আটক হয়ে বিনা বিচারে জেলবন্দী থাকা পুরুষ, নারী ও শিশু।
বারঘৌতি ২০০৪ সাল থেকে কারাবন্দী। অক্টোবর ২০২৩-এ গাজায় ব্যাপক হামলা শুরুর পর থেকে তাঁকে একা একটি কক্ষে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তিনি ফাতাহর শীর্ষস্থানীয় নেতা। ২০০০-২০০৫ সালের দ্বিতীয় ইন্তিফাদায় তাঁর নেতৃত্বের কারণে তাঁকে ইসরায়েল লক্ষ্যবস্তু করে।
একাধিক জনমত জরিপ ইঙ্গিত দেয়, মারওয়ান বারঘৌতি (বর্তমানে প্রায় ৬৬ বছর বয়স) যদি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন, তবে তিনি খুব সহজে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।
এর আগে গত জানুয়ারিতে মিডল ইস্ট আই প্রতিবেদন করেছিল, মিসর ও কাতার হামাসের সঙ্গে সমন্বয় করে বারঘৌতির মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য সম্ভাব্য সব মাধ্যম ব্যবহার করছে। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামিদ আল থানি এবং মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান মেজর জেনারেল হাসান মাহমুদ রাশাদ ব্যক্তিগতভাবে তাঁর মুক্তির পক্ষে মধ্যস্থতা করেছেন বলে সূত্রগুলো জানায়।
তবে একই সময়ে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (মাহমুদ আব্বাস নেতৃত্বাধীন পিএ) কিছু শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বারঘৌতির নাম বন্দিবিনিময় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করার দাবি জানিয়েছিলেন। তাঁদের উদ্বেগ, যদি তিনি মুক্তি পান, তাহলে তা মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বকে সংকটে ফেলতে পারে।
পশ্চিম তীরে জন্ম ও বেড়ে ওঠা বারঘৌতি ১৫ বছর বয়সে ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ গোষ্ঠীতে সক্রিয় হন। দ্বিতীয় ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদা তথা বিদ্রোহের সময় তিনি জনপ্রিয় নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পাঁচ ইসরায়েলিকে হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয়। তিনি সব সময় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ২০০২ সাল থেকে তিনি ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী।
তবু যখন ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনা হয়, তখন ফিলিস্তিনিরা প্রায় ২৫ বছর ধরে বন্দী একজন ব্যক্তির নামই বারবার উচ্চারণ করে আসছে। পশ্চিম তীরভিত্তিক ‘প্যালেস্টিনিয়ান সেন্টার ফর পলিসি অ্যান্ড সার্ভে রিসার্চের’ সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, ৫০ শতাংশ ফিলিস্তিনি বারঘৌতিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে চায়। আর ২০০৫ সাল থেকে এই পদে থাকা মাহমুদ আব্বাসের সমর্থন অনেক কম।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা মারওয়ান বারঘৌতিকে এবারও মুক্তি দিতে চায় না ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত চুক্তির আওতায় হামাস মারওয়ান বারঘৌতিসহ প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তির তালিকা দিয়েছিল। বিনিময়ে হামাস ২০ জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। কিন্তু বারঘৌতির একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় তালিকা থেকে বারঘৌতির নাম কেটে দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রটি লন্ডনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইকে জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় শেষ মুহূর্তে একতরফাভাবে বারঘৌতির নাম বন্দিবিনিময় তালিকা থেকে বাদ দেওয়ায় গাজা শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
বিভিন্ন জরিপ অনুসারে, সর্বাধিক জনপ্রিয় ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মারওয়ান বারঘৌতি। হামাস ৪৮ জন ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে সর্বোচ্চ প্রভাবশালী ফিলিস্তিনি যেসব ব্যক্তির নাম দিয়েছিল, তার মধ্যে বারঘৌতির নাম প্রথম দিকেই ছিল। বারঘৌতি ও তাঁর পরিবারের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র মিডল ইস্ট আইকে জানিয়েছে, গত রাতে মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফসহ মধ্যস্থতাকারীরা এমন একটি বন্দী তালিকায় সম্মতি জানিয়েছিলেন, যেটিতে বারঘৌতির নামও ছিল।
তবে বৃহস্পতিবার এক ইসরায়েলি মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে বারঘৌতি এই বন্দিবিনিময়ের অংশ হবেন না।
সূত্র বলছে, তাঁর নাম সম্ভবত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় একতরফাভাবে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে।
মিডল ইস্ট আইয়ের তথ্য অনুযায়ী, আহমেদ সাদাত (পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের নেতা), হাসান সালামা (হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা) ও আবদুল্লাহ বারঘৌতির নামও তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে জটিলতা দেখা দিয়েছে। মধ্যস্থতাকারীরা এখন এই নামগুলো ফের তালিকায় যুক্ত করার জন্য চাপ দিচ্ছেন।
বারঘৌতির মুক্তি ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গভিরের জন্য এক ‘রেড কার্ড’ বা বিপজ্জনক ইস্যু হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যদি বেন গভির তাঁর এমপিদের নেতানিয়াহুর জোট সরকার থেকে প্রত্যাহার করেন, তাহলে সরকারই বিপদে পড়বে।
তবে বারঘৌতির মুক্তির জন্য মধ্যপ্রাচ্যে কূটনৈতিক পদক্ষেপ জোরদার হয়েছে। মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, বারঘৌতির স্ত্রী মিসরের রাজধানী কায়রোতে অবস্থান করছেন। তিনি মধ্যস্থতাকারীদের কাছে প্রস্তাব করেছেন, যাতে তাঁর স্বামীর নাম বিনিময় তালিকায় রাখা হয়।
আল জাজিরাকে হামাসের এক কর্মকর্তা বলেন, মধ্যস্থতাকারীরা বন্দীদের তালিকা নিয়ে সমঝোতায় আসার চেষ্টা করছে। ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলোর সঙ্গে একটি জাতীয় সংলাপ হবে, যাতে তাদের অবস্থান সমন্বয় করা যায়।
চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যরাতে হওয়া আলোচনার ভিত্তিতে ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এর মধ্যে আনুমানিক ১ হাজার ৭০০ জন গাজা থেকে আটক হয়ে বিনা বিচারে জেলবন্দী থাকা পুরুষ, নারী ও শিশু।
বারঘৌতি ২০০৪ সাল থেকে কারাবন্দী। অক্টোবর ২০২৩-এ গাজায় ব্যাপক হামলা শুরুর পর থেকে তাঁকে একা একটি কক্ষে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তিনি ফাতাহর শীর্ষস্থানীয় নেতা। ২০০০-২০০৫ সালের দ্বিতীয় ইন্তিফাদায় তাঁর নেতৃত্বের কারণে তাঁকে ইসরায়েল লক্ষ্যবস্তু করে।
একাধিক জনমত জরিপ ইঙ্গিত দেয়, মারওয়ান বারঘৌতি (বর্তমানে প্রায় ৬৬ বছর বয়স) যদি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন, তবে তিনি খুব সহজে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।
এর আগে গত জানুয়ারিতে মিডল ইস্ট আই প্রতিবেদন করেছিল, মিসর ও কাতার হামাসের সঙ্গে সমন্বয় করে বারঘৌতির মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য সম্ভাব্য সব মাধ্যম ব্যবহার করছে। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামিদ আল থানি এবং মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান মেজর জেনারেল হাসান মাহমুদ রাশাদ ব্যক্তিগতভাবে তাঁর মুক্তির পক্ষে মধ্যস্থতা করেছেন বলে সূত্রগুলো জানায়।
তবে একই সময়ে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (মাহমুদ আব্বাস নেতৃত্বাধীন পিএ) কিছু শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বারঘৌতির নাম বন্দিবিনিময় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করার দাবি জানিয়েছিলেন। তাঁদের উদ্বেগ, যদি তিনি মুক্তি পান, তাহলে তা মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বকে সংকটে ফেলতে পারে।
পশ্চিম তীরে জন্ম ও বেড়ে ওঠা বারঘৌতি ১৫ বছর বয়সে ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ গোষ্ঠীতে সক্রিয় হন। দ্বিতীয় ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদা তথা বিদ্রোহের সময় তিনি জনপ্রিয় নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পাঁচ ইসরায়েলিকে হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগ আনা হয়। তিনি সব সময় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ২০০২ সাল থেকে তিনি ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী।
তবু যখন ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনা হয়, তখন ফিলিস্তিনিরা প্রায় ২৫ বছর ধরে বন্দী একজন ব্যক্তির নামই বারবার উচ্চারণ করে আসছে। পশ্চিম তীরভিত্তিক ‘প্যালেস্টিনিয়ান সেন্টার ফর পলিসি অ্যান্ড সার্ভে রিসার্চের’ সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, ৫০ শতাংশ ফিলিস্তিনি বারঘৌতিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে চায়। আর ২০০৫ সাল থেকে এই পদে থাকা মাহমুদ আব্বাসের সমর্থন অনেক কম।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে—ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের সেনাদের ওপর আইএসআইএসের হামলার জবাব আমরা দেব। যদি মার্কিন বাহিনীর ওপর আবারও হামলা হয় সেটার জবাও আমরা দেব।’
এর আগে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলকেন্দ্রিক কমান্ড ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, আইসিসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং তাদের এক দোভাষী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছে। সেন্টকম আরও বলেছে, ‘বন্দুকধারীকে শনাক্ত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল। সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়। সানা আরও জানায়, আহত ব্যক্তিদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন। আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে—ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের সেনাদের ওপর আইএসআইএসের হামলার জবাব আমরা দেব। যদি মার্কিন বাহিনীর ওপর আবারও হামলা হয় সেটার জবাও আমরা দেব।’
এর আগে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলকেন্দ্রিক কমান্ড ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, আইসিসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং তাদের এক দোভাষী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছে। সেন্টকম আরও বলেছে, ‘বন্দুকধারীকে শনাক্ত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল। সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়। সানা আরও জানায়, আহত ব্যক্তিদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন। আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা মারওয়ান বারঘৌতিকে এবারও মুক্তি দিতে চায় না ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত চুক্তির আওতায় হামাস মারওয়ান বারঘৌতিসহ প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তির তালিকা দিয়েছিল। বিনিময়ে হামাস ২০ জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে।
১০ অক্টোবর ২০২৫
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য রোড আইল্যান্ডের রাজধানী প্রভিডেন্সের মেয়র ব্রেট স্মাইলি নিশ্চিত করেছেন, ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে সক্রিয় বন্দুকধারীর হামলায় দুজন নিহত এবং আরও আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই আইভি লীগ ক্যাম্পাসে শনিবার যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তখন সেখানে পরীক্ষা চলছিল।
রোড আইল্যান্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি এখনও পলাতক। তারা হামলাকারীকে কালো পোশাক পরিহিত পুরুষ হিসেবে শনাক্ত করেছেন, যিনি পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। তারা আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি।
এক সংবাদ সম্মেলনে স্মাইলি বলেন, স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টা ৫ মিনিটের দিকে জরুরি সেবা প্রতিক্রিয়াকারীদের কাছে ৯১১ কল আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোলাগুলির বিষয়টি জানতে পারে। স্মাইলি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, আজ বিকেলে দুইজন ব্যক্তি মারা গেছেন এবং আরও আটজন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন, যদিও তারা রোড আইল্যান্ড হাসপাতালে স্থিতিশীল আছেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধুমাত্র এই আঘাত বা হতাহতের খবর জানি। তবে যেমনটি আমি উল্লেখ করেছি—এবং জনসাধারণকে মনে করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ—এই সংখ্যাগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। আমরা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’
চলমান তদন্তের ওপর জোর দিয়ে স্মাইলি নিহতদের পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা প্যাক্সটন এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি এমন একটি দিন যা আমরা আশা করেছিলাম যেন আমাদের সম্প্রদায়ে কখনও না আসে। এটি আমাদের সকলের জন্য গভীরভাবে হৃদয়বিদারক।’ তিনি ক্যাম্পাসের সবাইকে সতর্ক থাকার এবং লকডাউন প্রোটোকল মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো সমস্ত দরজা তালাবদ্ধ রাখা এবং ক্যাম্পাস জুড়ে কোনো চলাচল না করা নিশ্চিত করা।’
শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকেল ৪ টা ২২ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথম জরুরি সতর্কতা জারি করে জানায়, বারাস অ্যান্ড হলি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফিজিক্স ভবনের কাছে একজন বন্দুকধারী রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সতর্কবার্তায় বলে, ‘দরজা লক করুন, ফোন নীরব করুন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লুকিয়ে থাকুন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘মনে রাখবেন—দৌড়ান, যদি আপনি আক্রান্ত স্থানে থাকেন তবে নিরাপদে সরে যান; লুকান, যদি সরে যাওয়া সম্ভব না হয় তবে আড়াল নিন; প্রতিরোধ করুন, শেষ অবলম্বন হিসেবে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নিন।’
প্রভিডেন্সের পুলিশ প্রধান টিমোথি ও’হারা জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভবনটিতে তল্লাশি চালায়। ও’হারা বলেন, ‘তারা ভবনটিতে পদ্ধতিগতভাবে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে সে সময় কোনো সন্দেহভাজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা সেই ভবনটি খালি করতে সক্ষম হন এবং সেই ভবনের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করে দেন।’ তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন কীভাবে ভবনে প্রবেশ করেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে সে হোপ স্ট্রিট দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।
স্থানীয় সময় ৫ টা ২৭ মিনিটে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি জানায়, গভর্নর স্ট্রিটের কাছে, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফিজিক্স ল্যাব থেকে প্রায় দুটি ব্লক দূরে, গুলি চালানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোনো সন্দেহভাজনকে আটক করেছে কিনা তা স্পষ্ট ছিল না, কারণ অনলাইনে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন প্রচারিত হচ্ছিল।
উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রাথমিক ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হয়েছিল যে, একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা লিখেছিল, ’পুলিশের হেফাজতে কোনো সন্দেহভাজন নেই এবং তারা সন্দেহভাজনদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।’
স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এবং তাদের সাথে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং ব্যুরো অব অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস (এটিএফ) এর ফেডারেল এজেন্টরাও যোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য রোড আইল্যান্ডের রাজধানী প্রভিডেন্সের মেয়র ব্রেট স্মাইলি নিশ্চিত করেছেন, ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে সক্রিয় বন্দুকধারীর হামলায় দুজন নিহত এবং আরও আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই আইভি লীগ ক্যাম্পাসে শনিবার যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তখন সেখানে পরীক্ষা চলছিল।
রোড আইল্যান্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি এখনও পলাতক। তারা হামলাকারীকে কালো পোশাক পরিহিত পুরুষ হিসেবে শনাক্ত করেছেন, যিনি পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। তারা আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি।
এক সংবাদ সম্মেলনে স্মাইলি বলেন, স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টা ৫ মিনিটের দিকে জরুরি সেবা প্রতিক্রিয়াকারীদের কাছে ৯১১ কল আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোলাগুলির বিষয়টি জানতে পারে। স্মাইলি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, আজ বিকেলে দুইজন ব্যক্তি মারা গেছেন এবং আরও আটজন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন, যদিও তারা রোড আইল্যান্ড হাসপাতালে স্থিতিশীল আছেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধুমাত্র এই আঘাত বা হতাহতের খবর জানি। তবে যেমনটি আমি উল্লেখ করেছি—এবং জনসাধারণকে মনে করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ—এই সংখ্যাগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। আমরা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’
চলমান তদন্তের ওপর জোর দিয়ে স্মাইলি নিহতদের পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা প্যাক্সটন এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি এমন একটি দিন যা আমরা আশা করেছিলাম যেন আমাদের সম্প্রদায়ে কখনও না আসে। এটি আমাদের সকলের জন্য গভীরভাবে হৃদয়বিদারক।’ তিনি ক্যাম্পাসের সবাইকে সতর্ক থাকার এবং লকডাউন প্রোটোকল মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো সমস্ত দরজা তালাবদ্ধ রাখা এবং ক্যাম্পাস জুড়ে কোনো চলাচল না করা নিশ্চিত করা।’
শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকেল ৪ টা ২২ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথম জরুরি সতর্কতা জারি করে জানায়, বারাস অ্যান্ড হলি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফিজিক্স ভবনের কাছে একজন বন্দুকধারী রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সতর্কবার্তায় বলে, ‘দরজা লক করুন, ফোন নীরব করুন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লুকিয়ে থাকুন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘মনে রাখবেন—দৌড়ান, যদি আপনি আক্রান্ত স্থানে থাকেন তবে নিরাপদে সরে যান; লুকান, যদি সরে যাওয়া সম্ভব না হয় তবে আড়াল নিন; প্রতিরোধ করুন, শেষ অবলম্বন হিসেবে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নিন।’
প্রভিডেন্সের পুলিশ প্রধান টিমোথি ও’হারা জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভবনটিতে তল্লাশি চালায়। ও’হারা বলেন, ‘তারা ভবনটিতে পদ্ধতিগতভাবে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে সে সময় কোনো সন্দেহভাজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা সেই ভবনটি খালি করতে সক্ষম হন এবং সেই ভবনের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করে দেন।’ তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন কীভাবে ভবনে প্রবেশ করেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে সে হোপ স্ট্রিট দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।
স্থানীয় সময় ৫ টা ২৭ মিনিটে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি জানায়, গভর্নর স্ট্রিটের কাছে, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফিজিক্স ল্যাব থেকে প্রায় দুটি ব্লক দূরে, গুলি চালানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোনো সন্দেহভাজনকে আটক করেছে কিনা তা স্পষ্ট ছিল না, কারণ অনলাইনে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন প্রচারিত হচ্ছিল।
উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রাথমিক ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হয়েছিল যে, একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা লিখেছিল, ’পুলিশের হেফাজতে কোনো সন্দেহভাজন নেই এবং তারা সন্দেহভাজনদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।’
স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এবং তাদের সাথে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং ব্যুরো অব অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস (এটিএফ) এর ফেডারেল এজেন্টরাও যোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা মারওয়ান বারঘৌতিকে এবারও মুক্তি দিতে চায় না ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত চুক্তির আওতায় হামাস মারওয়ান বারঘৌতিসহ প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তির তালিকা দিয়েছিল। বিনিময়ে হামাস ২০ জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে।
১০ অক্টোবর ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
১ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গতকাল শনিবারের এই হামলায় ৫ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে।
হামাস কোনো বিবৃতিতে রায়েদ সাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তারা জানিয়েছে, গাজা সিটির বাইরে একটি বেসামরিক গাড়িতে আঘাত হানা হয়েছে এবং এটিকে অক্টোবরে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করেছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, এই কমান্ডার হামাসের সক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন, যা দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের গাজায় চালানো গণহত্যার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাঁকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলে হামলার অন্যতম স্থপতি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
যদি সাদ নিহত হন, তবে চলতি বছরের অক্টোবরে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এটি হবে হামাসের একজন সিনিয়র নেতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ-পর্যায়ের হত্যাকাণ্ড। এক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সাদকে এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং তাকে হামাসের অস্ত্র উৎপাদনকারী বাহিনীর প্রধান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
হামাসের সূত্রগুলো তাকে ইজ আল-দিন আল-হাদ্দাদের পরে এই গোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখার দ্বিতীয়-কমান্ডার হিসেবেও বর্ণনা করেছে। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, সাদ হামাসের গাজা সিটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ছিলেন, যা গোষ্ঠীটির সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সুসজ্জিত ব্যাটালিয়নগুলোর মধ্যে একটি।
ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, একটি ইসরায়েলি ড্রোন গাজা শহরের পশ্চিমে নাবুলসি মোড়ে একটি গাড়িতে আঘাত হানে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংস্থাটি নির্দিষ্ট সংখ্যার কথা জানায়নি এবং স্পষ্ট নয় যে এই হামলাটিই সেই হামলা কি না, যেখানে কথিত হামাসের সদস্য নিহত হয়েছিলেন।
গাজার কর্তৃপক্ষের মতে, অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল প্রতিদিন গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, যা প্রায় ৮০০ বার পৌঁছেছে এবং কমপক্ষে ৩৮৬ জনকে হত্যা করেছে, যা চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরায়েল এখনো ছিটমহলটিতে বেশির ভাগ সাহায্যবাহী ট্রাকের প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে। শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় একটি প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের প্রতি গাজা উপত্যকায় অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করা, জাতিসংঘের স্থাপনাগুলোতে হামলা বন্ধ করা এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা, অর্থাৎ দখলদার শক্তি হিসেবে এর বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলার দাবি জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গতকাল শনিবারের এই হামলায় ৫ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে।
হামাস কোনো বিবৃতিতে রায়েদ সাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তারা জানিয়েছে, গাজা সিটির বাইরে একটি বেসামরিক গাড়িতে আঘাত হানা হয়েছে এবং এটিকে অক্টোবরে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করেছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, এই কমান্ডার হামাসের সক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন, যা দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের গাজায় চালানো গণহত্যার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাঁকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলে হামলার অন্যতম স্থপতি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
যদি সাদ নিহত হন, তবে চলতি বছরের অক্টোবরে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এটি হবে হামাসের একজন সিনিয়র নেতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ-পর্যায়ের হত্যাকাণ্ড। এক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সাদকে এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং তাকে হামাসের অস্ত্র উৎপাদনকারী বাহিনীর প্রধান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
হামাসের সূত্রগুলো তাকে ইজ আল-দিন আল-হাদ্দাদের পরে এই গোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখার দ্বিতীয়-কমান্ডার হিসেবেও বর্ণনা করেছে। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, সাদ হামাসের গাজা সিটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ছিলেন, যা গোষ্ঠীটির সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সুসজ্জিত ব্যাটালিয়নগুলোর মধ্যে একটি।
ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, একটি ইসরায়েলি ড্রোন গাজা শহরের পশ্চিমে নাবুলসি মোড়ে একটি গাড়িতে আঘাত হানে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংস্থাটি নির্দিষ্ট সংখ্যার কথা জানায়নি এবং স্পষ্ট নয় যে এই হামলাটিই সেই হামলা কি না, যেখানে কথিত হামাসের সদস্য নিহত হয়েছিলেন।
গাজার কর্তৃপক্ষের মতে, অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল প্রতিদিন গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, যা প্রায় ৮০০ বার পৌঁছেছে এবং কমপক্ষে ৩৮৬ জনকে হত্যা করেছে, যা চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরায়েল এখনো ছিটমহলটিতে বেশির ভাগ সাহায্যবাহী ট্রাকের প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে। শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় একটি প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের প্রতি গাজা উপত্যকায় অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করা, জাতিসংঘের স্থাপনাগুলোতে হামলা বন্ধ করা এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা, অর্থাৎ দখলদার শক্তি হিসেবে এর বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলার দাবি জানানো হয়েছে।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা মারওয়ান বারঘৌতিকে এবারও মুক্তি দিতে চায় না ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত চুক্তির আওতায় হামাস মারওয়ান বারঘৌতিসহ প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তির তালিকা দিয়েছিল। বিনিময়ে হামাস ২০ জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে।
১০ অক্টোবর ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল।
সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়।
সানা আরও জানায়, আহতদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শীও জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন।
আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল।
সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়।
সানা আরও জানায়, আহতদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শীও জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন।
আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা মারওয়ান বারঘৌতিকে এবারও মুক্তি দিতে চায় না ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত চুক্তির আওতায় হামাস মারওয়ান বারঘৌতিসহ প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তির তালিকা দিয়েছিল। বিনিময়ে হামাস ২০ জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে।
১০ অক্টোবর ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে