Ajker Patrika

ইরাকে ৩৫ হাজার বন্দীকে সাধারণ ক্ষমা, দুর্নীতির ৩৪ মিলিয়ন ডলার উদ্ধার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ৫০
ইরাকের কুখ্যাত আবু গারিব কারাগার। ছবি: সংগৃহীত
ইরাকের কুখ্যাত আবু গারিব কারাগার। ছবি: সংগৃহীত

ইরাকে ৩৫ হাজার বন্দীকে সাধারণ ক্ষমার মাধ্যমে কারাগার ও আটক কেন্দ্র থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। পাশাপাশি চুরি ও দুর্নীতির ৩৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে।

কাউন্সিল জানায়, এই আইনের অধীনে আরও ১ লাখ ৪৪ হাজারজন মুক্তি পেতে পারেন বা কারাদণ্ড এড়াতে পারেন। তাঁদের মধ্যে বিচারপূর্ব আটক ব্যক্তিরা এবং জামিনপ্রাপ্ত বা যাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে, তাঁরাও অন্তর্ভুক্ত। চলতি বছরের শুরুতে পাস হওয়া ক্ষমা আইনের অধীনে এ মুক্তি ঘোষণা করা হয় বলে আজ মঙ্গলবার এবিসি নিউজের সংবাদে বলা হয়েছে।

কারাগারের অতিরিক্ত ভিড় কমানোর একটি উপায় হিসেবে গত জানুয়ারিতে এই আইন পাস করা হয়। ইরাকের বিচারমন্ত্রী গত মে মাসে বলেছিলেন, দেশটির ৩১টি কারাগারে প্রায় ৬৫ হাজার বন্দী রয়েছেন, যদিও সেগুলোর ধারণক্ষমতা এর প্রায় অর্ধেক।

এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে জানা যায়, এ সাধারণ ক্ষমা আইন দুর্নীতি, চুরি ও মাদক ব্যবহারের মতো অপরাধের পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ-সম্পর্কিত অপরাধে দোষী সাব্যস্ত কিছু লোককেও অন্তর্ভুক্ত করে। তবে সন্ত্রাসবাদে যুক্ত কোনো হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি এ ক্ষমার আওতায় আসবেন না।

এই আইন পাসের উদ্যোগ নিয়েছিলেন সুন্নি আইনপ্রণেতারা। তাঁদের দাবি, তাঁদের সম্প্রদায়কে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে এবং অনেক সময় নির্যাতনের মাধ্যমে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। তবে অন্যরা আইনটির সমালোচনা করেছিলেন। তাঁরা আশঙ্কা করছিলেন, এই আইনের ফলে চরমপন্থী ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা মুক্তি পেয়ে যেতে পারেন।

বিচার বিভাগীয় কাউন্সিল এই ক্ষমার অধীনে মুক্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ ছিল, এর বিস্তারিত কোনো তথ্য সরবরাহ করেনি।

এই নতুন আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান হলো, সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত কোনো ব্যক্তি যদি দাবি করেন—আটক অবস্থায় জোর করে তাঁর কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছিল, তবে তিনি পুনরায় বিচারের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আইনটির আওতায় মৃত্যুদণ্ডও স্থগিত করা হয়েছে।

অন্যদিকে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর পক্ষ থেকে ইরাককে মৃত্যুদণ্ড প্রয়োগের পদ্ধতির জন্য কঠোর সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। বিশেষত, বন্দীদের আইনজীবী বা পরিবারের সদস্যদের পূর্ব নোটিশ না দিয়ে গণহারে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বিষয়টি নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রতি রাতে সাপ হয়ে দংশন করেন স্ত্রী, প্রশাসনে অভিযোগ স্বামীর

চমকে দিয়ে বিসিবির সহসভাপতি হওয়া কে এই শাখাওয়াত

লন্ডন বৈঠকে ড. ইউনূসের সঙ্গে কী আলাপ হয়েছে—বিবিসি বাংলাকে যা বললেন তারেক রহমান

বিদায় ঘোষণার পর দেশের মঞ্চে তাহসান

স্বৈরাচারকে আশ্রয় দিয়ে ভারত বাংলাদেশের মানুষের বিরাগভাজন হলে ‘আমাদের কিছু করার নেই’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত