Ajker Patrika

যুদ্ধপরবর্তী গাজা প্রশাসনের অংশ হবে না, জানাল হামাস সূত্র

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির পর কি ঘটবে সেই বিষয়টি এখনো স্পষ্ট না হলেও, হামাস আস্থা রাখছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের আশ্বাসবাণীর ওপর। মিসরের অবকাশ যাপনকেন্দ্র শারম আল–শেখে ইসরায়েল, হামাসসহ বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে যুদ্ধপরবর্তী সময়ে গাজার শাসন ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা চলছে। এরই মধ্যে হামাস জানিয়েছে, তারা যুদ্ধপরবর্তী গাজার শাসনকাজে অংশ নেবে না।

হামাসের আলোচক দলের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র সংবাদ সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানিয়েছে, যুদ্ধপরবর্তী গাজা শাসনে অংশ নেবে না হামাস। এই মন্তব্য এল এমন এক সময়, যার মাত্র কয়েক দিন আগে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।

সূত্রটি এএফপিকে বলেছে, ‘হামাসের কাছে গাজা উপত্যকার শাসন এখন বন্ধ অধ্যায়। হামাস অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে কোনোভাবেই অংশ নেবে না। অর্থাৎ, তারা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। তবে ফিলিস্তিনি সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবেই হামাস থাকবে।”

যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই হামাসের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ছবি প্রকাশ করে দলটি। এই বাহিনী গাজায় শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে আছে। ছবিতে দেখা যায়, তারা প্রকাশ্যে এসেছে। এই উপস্থিতি সীমিত হলেও, সেটি ছিল শক্তির প্রদর্শনীর এক প্রতীকী রূপ।

হামাস ঘনিষ্ঠ গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সশস্ত্র ওই সদস্যরা সীমিত পরিসরে টহল দিচ্ছেন। ছবিতে মাত্র কয়েকজন অস্ত্রধারীকে দেখা গেছে, তাদের বাইরে আরও কেউ উপস্থিত ছিল কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এই প্রকাশনা মূলত দেখানোর চেষ্টা যে, দুই বছরের ভয়াবহ যুদ্ধের পরও হামাস এখনো গাজার কিছু অংশে সবচেয়ে প্রভাবশালী শক্তি।

হামাস ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, আগামী সপ্তাহের শুরুতেই তারা অবশিষ্ট ৪৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধপরবর্তী পরিকল্পনার কিছু ধাপ নিয়ে সংগঠনটির আপত্তি রয়েছে। জিম্মি-অপহৃত বিনিময় সম্পন্ন হওয়ার পর সেসব বিষয়ে পরবর্তী আলোচনা হবে।

এই ধাপগুলোর মধ্যে রয়েছে—হামাসের নিরস্ত্রীকরণ এবং যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা প্রশাসনে তাদের সম্পূর্ণ বর্জন। তবে হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাত চলতে থাকলে তারা অন্তত কিছু অস্ত্র নিজেদের কাছে রাখবে।

একই সঙ্গে তারা গাজার প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাট কমিটির হাতে তুলে দিতে রাজি হয়েছে, তবে ফিলিস্তিনি জাতীয় রাজনৈতিক আলোচনায় অংশ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে হামাস।

শুক্রবার হামাসের সামরিক সদস্যদের আংশিক প্রকাশ্য উপস্থিতি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কট্টর-ডানপন্থী জোটসঙ্গীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি করেছে। ওই দুই দল বৃহস্পতিবার স্বাক্ষরিত যুদ্ধ-সমাপ্তি চুক্তির বিরোধিতা করছে এবং গাজায় ইহুদি পুনর্বাসনের দাবিও তুলেছে।

পরিকল্পনার এখনো আলোচনাধীন অংশে রয়েছে হামাসের অস্ত্র সম্পূর্ণভাবে নিষ্ক্রিয় করা এবং গাজা উপত্যকার সামরিকীকরণ বন্ধ করা। নেতানিয়াহু সতর্ক করেছেন, এই শর্তগুলো কার্যকর না হলে ইসরায়েল আবারও যুদ্ধ শুরু করবে।

এদিকে, শুক্রবার সকালে প্রাথমিকভাবে সেনা প্রত্যাহার শুরু করলেও ইসরায়েল এখনো গাজা উপত্যকার অর্ধেকেরও বেশি অংশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আগামী সপ্তাহে জিম্মি মুক্তির পর পর্যন্ত আইডিএফ (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) ওই সব এলাকায় অবস্থান করবে। হামাসের নিরস্ত্রীকরণ এবং একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী গঠনের ওপর পরবর্তী সেনা প্রত্যাহার নির্ভর করবে। এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব এহসানুল হক

লন্ডনে ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে দেখা করে চিকিৎসার খোঁজখবর নিয়েছিলেন রোজিনা

যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ দম্পতি অভিজিৎ ও দুফলো

তেল আবিবে মহাসমাবেশ: নেতানিয়াহুর নাম বলতেই মার্কিন দূতকে থামিয়ে দুয়োধ্বনি, ট্রাম্পের নামে স্লোগান

গাজায় অবস্থান পুনরুদ্ধার করছে হামাস, ইসরায়েলপন্থীদের দিচ্ছে শাস্তি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত