রাতের বেলায় নামাজ পড়তে বেরিয়েছিলেন সিরিয়ার ইব্রাহিম ওসমান। পরে তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন একটি সদ্যোজাত শিশুকে কোলে নিয়ে। জন্মের মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই কেউ তাকে ফেলে গিয়েছিল গ্রামের মসজিদটির সামনে।
৫৯ বছর বয়সী ইব্রাহিম ওসমান বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমি শিশুটিকে বাড়িতে নিয়ে যাই এবং স্ত্রীকে বলি, দেখ, তোমার জন্য একটি উপহার নিয়ে এসেছি।’ ইব্রাহিম ওসমান সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিম এলাকার হাজানোতে বাস করেন।
ইব্রাহিম ওসমান জানান, পরে তারা শিশুটির নাম রাখেন হাইবাতুল্লাহ। এর অর্থ ‘আল্লাহর উপহার’। তাঁরা শিশুটিকে নিজেদের সন্তানের মতো বড় করার সিদ্ধান্ত নেন। সিরিয়ায় শিশু দত্তক নেওয়া নিষিদ্ধ। এ কারণে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে হাইবাতুল্লাহকে বড় করার অনুমতি চেয়েছেন তাঁরা।
সিরিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে চরম দারিদ্র্য জেঁকে বসেছে। এ জন্য অনেকেই জলপাই গাছের নিচে, মসজিদের সামনে, হাসপাতালের সামনে নবজাতকদের গোপনে ফেলে যাচ্ছে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান ফর ট্রুথ অ্যান্ড জাস্টিস (এসটিজে) জানিয়েছে, সিরিয়ায় চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। এ রকম শিশু ফেলে যাওয়ার ঘটনা ২০১১ সালে একবার আনুষ্ঠানিকভাবে নথিভুক্ত করা হয়েছিল। তবে গত দু-তিন বছরে শিশু পরিত্যক্তের ঘটনা আবার বেড়েছে।
গত মার্চে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসটিজে বলেছে, ২০২১ সালের শুরু থেকে ২০২২ সালের শেষ পর্যন্ত সিরিয়ায় ১০০ জনেরও বেশি শিশু পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ৬২ জন ছিল মেয়ে শিশু। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে।
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে শিশু পরিত্যক্তের ঘটনা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছে এসটিজে। সংস্থাটি বলেছে, এর পেছনে দারিদ্র্য, অস্থিতিশীলতা, নিরাপত্তাহীনতা, বাল্যবিবাহ, যৌন নির্যাতন, বিবাহবহির্ভূত গর্ভধারণ ইত্যাদি কারণ দায়ী।
সিরিয়ার যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৫ লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি।
সিরিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা জাহের হাজ্জো এএফপিকে বলেন, গত বছরের প্রথম ১০ মাসে সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ৫৩টি পরিত্যক্ত শিশু নিবন্ধন করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৭টি ছেলে ও ২৫টি মেয়ে।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ চলতি বছরে একটি ডিক্রি জারি করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, পরিত্যক্ত শিশুদের যে এলাকায় পাওয়া যাবে, সেই এলাকার আরব, সিরিয়ান ও মুসলিম হিসেবে তাদের নিবন্ধিত করা হবে।
বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিব প্রদেশে পরিত্যক্ত শিশু কেন্দ্রের প্রকল্পপ্রধান ফয়সাল আল-হামউদ বলেন, সম্প্রতি একটি জলপাইগাছের নিচে একটি শিশুকন্যাকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। শিশুটিকে একটি বিড়াল আঘাত করছিল। তার মুখ থেকে রক্ত ঝরছিল। পরে শিশুটিকে একটি পরিবারের কাছে দেওয়া হয়।
ইদলিবের বিদ্রোহী কর্তৃপক্ষের নাগরিকবিষয়ক কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ বলেন, ২০১৯ সালে পরিত্যক্ত শিশুকেন্দ্রটি খোলা হয়। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত ২৬টি শিশুকে নিয়ে আসা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি মেয়ে ও ১২টি ছেলে। শুধু এ বছরই ৯টি শিশুকে উদ্ধার করে আনা হয়েছে।
রাতের বেলায় নামাজ পড়তে বেরিয়েছিলেন সিরিয়ার ইব্রাহিম ওসমান। পরে তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন একটি সদ্যোজাত শিশুকে কোলে নিয়ে। জন্মের মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই কেউ তাকে ফেলে গিয়েছিল গ্রামের মসজিদটির সামনে।
৫৯ বছর বয়সী ইব্রাহিম ওসমান বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমি শিশুটিকে বাড়িতে নিয়ে যাই এবং স্ত্রীকে বলি, দেখ, তোমার জন্য একটি উপহার নিয়ে এসেছি।’ ইব্রাহিম ওসমান সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিম এলাকার হাজানোতে বাস করেন।
ইব্রাহিম ওসমান জানান, পরে তারা শিশুটির নাম রাখেন হাইবাতুল্লাহ। এর অর্থ ‘আল্লাহর উপহার’। তাঁরা শিশুটিকে নিজেদের সন্তানের মতো বড় করার সিদ্ধান্ত নেন। সিরিয়ায় শিশু দত্তক নেওয়া নিষিদ্ধ। এ কারণে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে হাইবাতুল্লাহকে বড় করার অনুমতি চেয়েছেন তাঁরা।
সিরিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে চরম দারিদ্র্য জেঁকে বসেছে। এ জন্য অনেকেই জলপাই গাছের নিচে, মসজিদের সামনে, হাসপাতালের সামনে নবজাতকদের গোপনে ফেলে যাচ্ছে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান ফর ট্রুথ অ্যান্ড জাস্টিস (এসটিজে) জানিয়েছে, সিরিয়ায় চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। এ রকম শিশু ফেলে যাওয়ার ঘটনা ২০১১ সালে একবার আনুষ্ঠানিকভাবে নথিভুক্ত করা হয়েছিল। তবে গত দু-তিন বছরে শিশু পরিত্যক্তের ঘটনা আবার বেড়েছে।
গত মার্চে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসটিজে বলেছে, ২০২১ সালের শুরু থেকে ২০২২ সালের শেষ পর্যন্ত সিরিয়ায় ১০০ জনেরও বেশি শিশু পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ৬২ জন ছিল মেয়ে শিশু। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে।
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে শিশু পরিত্যক্তের ঘটনা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছে এসটিজে। সংস্থাটি বলেছে, এর পেছনে দারিদ্র্য, অস্থিতিশীলতা, নিরাপত্তাহীনতা, বাল্যবিবাহ, যৌন নির্যাতন, বিবাহবহির্ভূত গর্ভধারণ ইত্যাদি কারণ দায়ী।
সিরিয়ার যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৫ লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে হাজার হাজার ঘরবাড়ি।
সিরিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা জাহের হাজ্জো এএফপিকে বলেন, গত বছরের প্রথম ১০ মাসে সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ৫৩টি পরিত্যক্ত শিশু নিবন্ধন করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৭টি ছেলে ও ২৫টি মেয়ে।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ চলতি বছরে একটি ডিক্রি জারি করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, পরিত্যক্ত শিশুদের যে এলাকায় পাওয়া যাবে, সেই এলাকার আরব, সিরিয়ান ও মুসলিম হিসেবে তাদের নিবন্ধিত করা হবে।
বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিব প্রদেশে পরিত্যক্ত শিশু কেন্দ্রের প্রকল্পপ্রধান ফয়সাল আল-হামউদ বলেন, সম্প্রতি একটি জলপাইগাছের নিচে একটি শিশুকন্যাকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। শিশুটিকে একটি বিড়াল আঘাত করছিল। তার মুখ থেকে রক্ত ঝরছিল। পরে শিশুটিকে একটি পরিবারের কাছে দেওয়া হয়।
ইদলিবের বিদ্রোহী কর্তৃপক্ষের নাগরিকবিষয়ক কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ বলেন, ২০১৯ সালে পরিত্যক্ত শিশুকেন্দ্রটি খোলা হয়। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত ২৬টি শিশুকে নিয়ে আসা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি মেয়ে ও ১২টি ছেলে। শুধু এ বছরই ৯টি শিশুকে উদ্ধার করে আনা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘নৃশংস সামরিক আগ্রাসনের’ তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর এই হামলাকে তারা জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের ‘গভীর ও নজিরবিহীন লঙ্ঘন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
১৪ মিনিট আগেসিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের একটি গির্জায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ও ৫২ জন আহত হয়েছেন। রোববার রাতে প্রার্থনার সময় পুরোনো খ্রিস্টান পাড়ায় অবস্থিত গ্রিক অর্থোডক্স সেন্ট এলিয়াস গির্জায় এ হামলা চালানো হয়। দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়।
৪৩ মিনিট আগেইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে। এই পদক্ষেপ শুধু মধ্যপ্রাচ্যের শক্তির ভারসাম্যকেই নাড়িয়ে দেয়নি, বরং এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্ব রাজনীতিতেও। মস্কো থেকে এর প্রতিক্রিয়া এসেছে দ্রুত ও তীব্রভাবে।
৩ ঘণ্টা আগেমিছিলে অংশ নেন শতাধিক দলীয় কর্মী, সমর্থক, ছাত্র, যুব ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি। ‘আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদ নিপাত যাক’, ‘ইরানে বোমাবাজি চলবে না’ ইত্যাদি স্লোগানে মুখর হয় গোটা এলাকা। এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
৪ ঘণ্টা আগে