ইরানের কুর্দি নারী মাহসা আমিনির মৃত্যুর সংবাদ প্রচার করে এক বছরেরও বেশি সাজা ভোগের পর মুক্তি পেয়েছেন দুই নারী সাংবাদিক। নিলুফার হামেদি (৩১) এবং এলাহেহ মোহাম্মাদী (৩৬) নামের এই দুই সাংবাদিককে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের গণমাধ্যম। বিবিসির এক প্রতিবেদনে খবরটি প্রচার করা হয়।
দুই নারী সাংবাদিকই তাঁদের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। আপিলের বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত তাঁরা জামিনে মুক্ত থাকবেন বলে খবরে বলা হয়।
সঠিকভাবে হিজাব না পরায় মাহসা আমিনিকে কারাগারে ধরে নিয়ে গিয়েছিল ইরানের নৈতিকতা পুলিশ। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানে পোশাকের কঠোর বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের অভিযোগে পুলিশি হেফাজতে বন্দী অবস্থায় গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে ইরানে। বেশ কয়েকটি দেশেও পুলিশি হেফাজতে তাঁর মৃত্যুর ব্যাপারে রাস্তায় নেমে আসে বহু বিক্ষোভকারী।
পূর্বের শারীরিক অসুস্থতার কারণে মাহসা আমিনির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরান কর্তৃপক্ষ। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ, নৈতিক পুলিশের নির্যাতনে মারা গেছেন সেই কুর্দি নারী।
ইরানের সংস্কারপন্থী পত্রিকা শার্ঘের হয়ে কাজ করা নিলুফার হামেদিই প্রথম মাহসা আমিনির মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেন। আমিনির মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর বাবা এবং দাদি যখন পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছিলেন, তখন সেই ছবি ধারণ করেন নিলুফার। পরে সামাজিক প্ল্যাটফর্মে এই ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘শোকের কালো পোশাক আমাদের জাতীয় পতাকায় পরিণত হয়েছে।’
আরেকটি সংস্কারবাদী পত্রিকা হাম-মিহানের হয়ে কাজ করেন এলাহেহ মোহাম্মদী। মাহসা আমিনির নিজ শহর সাক্কেজে তাঁর দাফনের বর্ণনা দিয়ে এলাহেহ লিখেছিলেন, কীভাবে সেখানে শত শত শোকার্তরা ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’ বলে চিৎকার করছিল।
মাহসা আমিনির দাফনের পরেই শুরু হয় প্রথম বিক্ষোভ। এই অস্থিরতা দ্রুত দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। নারীদের স্বাধীনতার দাবি থেকে এই বিক্ষোভ চলে যায় সরকার উৎখাতের আন্দোলনে। নারীদের মাথায় স্কার্ফ চাপিয়ে দেওয়া এবং তেহরানের মুসলিম ধর্মগুরুর নেতৃত্বাধীন সরকারের অবসান চেয়ে গড়ে উঠেছিল এই আন্দোলন।
শত শত আন্দোলনকারীকে হত্যা এবং কয়েক ডজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে এই বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী।
বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পরপরই দুই নারী সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করে ইরান কর্তৃপক্ষ। তাঁদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে যোগসাজশ এবং জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগও আনা হয়। নিলুফার হামেদি ও এলাহেহ মোহাম্মাদীর যথাক্রমে ১৩ ও ১২ বছর করে কারাদণ্ড হয়।
সামাজিক প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত ফুটেজে দেখা যায়, জামিনে মুক্তির পর পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের আলিঙ্গন করছেন এই দুই সাংবাদিক।
বিবিসি বলেছে, ২ লাখ ডলার জামানতের বিনিময়ে জামিন দেওয়া হয়েছে এই দুই সাংবাদিককে। এই সময়ে তাঁরা দেশত্যাগ করতে পারবেন না।
ইরানের কুর্দি নারী মাহসা আমিনির মৃত্যুর সংবাদ প্রচার করে এক বছরেরও বেশি সাজা ভোগের পর মুক্তি পেয়েছেন দুই নারী সাংবাদিক। নিলুফার হামেদি (৩১) এবং এলাহেহ মোহাম্মাদী (৩৬) নামের এই দুই সাংবাদিককে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের গণমাধ্যম। বিবিসির এক প্রতিবেদনে খবরটি প্রচার করা হয়।
দুই নারী সাংবাদিকই তাঁদের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। আপিলের বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত তাঁরা জামিনে মুক্ত থাকবেন বলে খবরে বলা হয়।
সঠিকভাবে হিজাব না পরায় মাহসা আমিনিকে কারাগারে ধরে নিয়ে গিয়েছিল ইরানের নৈতিকতা পুলিশ। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানে পোশাকের কঠোর বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের অভিযোগে পুলিশি হেফাজতে বন্দী অবস্থায় গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে ইরানে। বেশ কয়েকটি দেশেও পুলিশি হেফাজতে তাঁর মৃত্যুর ব্যাপারে রাস্তায় নেমে আসে বহু বিক্ষোভকারী।
পূর্বের শারীরিক অসুস্থতার কারণে মাহসা আমিনির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরান কর্তৃপক্ষ। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ, নৈতিক পুলিশের নির্যাতনে মারা গেছেন সেই কুর্দি নারী।
ইরানের সংস্কারপন্থী পত্রিকা শার্ঘের হয়ে কাজ করা নিলুফার হামেদিই প্রথম মাহসা আমিনির মৃত্যুর খবর প্রকাশ করেন। আমিনির মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর বাবা এবং দাদি যখন পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছিলেন, তখন সেই ছবি ধারণ করেন নিলুফার। পরে সামাজিক প্ল্যাটফর্মে এই ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘শোকের কালো পোশাক আমাদের জাতীয় পতাকায় পরিণত হয়েছে।’
আরেকটি সংস্কারবাদী পত্রিকা হাম-মিহানের হয়ে কাজ করেন এলাহেহ মোহাম্মদী। মাহসা আমিনির নিজ শহর সাক্কেজে তাঁর দাফনের বর্ণনা দিয়ে এলাহেহ লিখেছিলেন, কীভাবে সেখানে শত শত শোকার্তরা ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’ বলে চিৎকার করছিল।
মাহসা আমিনির দাফনের পরেই শুরু হয় প্রথম বিক্ষোভ। এই অস্থিরতা দ্রুত দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। নারীদের স্বাধীনতার দাবি থেকে এই বিক্ষোভ চলে যায় সরকার উৎখাতের আন্দোলনে। নারীদের মাথায় স্কার্ফ চাপিয়ে দেওয়া এবং তেহরানের মুসলিম ধর্মগুরুর নেতৃত্বাধীন সরকারের অবসান চেয়ে গড়ে উঠেছিল এই আন্দোলন।
শত শত আন্দোলনকারীকে হত্যা এবং কয়েক ডজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে এই বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী।
বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পরপরই দুই নারী সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করে ইরান কর্তৃপক্ষ। তাঁদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে যোগসাজশ এবং জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগও আনা হয়। নিলুফার হামেদি ও এলাহেহ মোহাম্মাদীর যথাক্রমে ১৩ ও ১২ বছর করে কারাদণ্ড হয়।
সামাজিক প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত ফুটেজে দেখা যায়, জামিনে মুক্তির পর পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের আলিঙ্গন করছেন এই দুই সাংবাদিক।
বিবিসি বলেছে, ২ লাখ ডলার জামানতের বিনিময়ে জামিন দেওয়া হয়েছে এই দুই সাংবাদিককে। এই সময়ে তাঁরা দেশত্যাগ করতে পারবেন না।
সম্প্রতি কুয়েতের প্রায় ৫০ হাজার মানুষের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ ফাহাদ ইউসুফ সউদ আল সাবাহ। আল-কাবাস পত্রিকাকে তিনি জানান, কয়েকটি দেশের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে বহু ‘প্রতারক’ শনাক্ত করা হয়েছে।
২৭ মিনিট আগেমিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী; তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্র, সুস্মিতা দেব; সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব; শিবসেনার সঞ্জয় রাউতসহ অন্যান্য দলের শীর্ষ নেতারা। তাঁদের হাতে ‘চুপি চুপি ভোটের কারচুপি?’ লেখা পোস্টার ছিল এবং তাঁরা ‘ভোট চুরি মানছি না, মানব না’ স্লোগান দিচ্ছিলেন।
২৯ মিনিট আগেভিয়েতনামের কৃষক নুয়েন থি হুয়ং। চিন্তায় ঠিকমতো ঘুমোতে পারছেন না। হাতছাড়া হতে যাচ্ছে তাঁর রুজি-রোজগারের একমাত্র উপায়। তাও আবার তাঁর নিজ দেশে ট্রাম্প পরিবারের সমর্থনে নির্মিত হতে যাওয়া একটি গলফ ক্লাবের জন্য। বিনিময়ে মিলবে মাত্র ৩ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার এবং কয়েক মাসের জন্য চাল।
২ ঘণ্টা আগেপারমাণবিক হামলায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের অনেকে ছিলেন অল্পবয়সী নারী, যাঁরা বোমা হামলার সময় গর্ভবতী বা সন্তান ধারণের উপযুক্ত বয়সে ছিলেন। কিন্তু তাঁদের শরীর থেকে সন্তানের শরীরে তেজস্ক্রিয়তা প্রবেশ করতে পারে, এই ভয়ে একপ্রকার ধ্বংসই হয়ে গেছে তাঁদের জীবন। চিকিৎসক, পরিচিতজন, বন্ধুবান্ধব এমনকি পরিবারের...
২ ঘণ্টা আগে