অনলাইন ডেস্ক
ইরানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দাবি করেছে, গত জুনে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যে যুদ্ধ শুরু করেছিল, তাতে অংশ নেওয়া ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর পাইলট, কমান্ডার ও ড্রোন অপারেটরদের সম্পূর্ণ পরিচয় তারা উন্মোচন করতে সক্ষম হয়েছে। এরা কোথায় থাকে, কোন ইউনিটে কাজ করে এবং আগের অপরাধে তাদের সংশ্লিষ্টতা—সব তথ্য এখন ইরানের হাতে আছে বলে জানানো হয়েছে ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত সম্প্রচারমাধ্যম প্রেস টিভির এক প্রতিবেদনে।
গতকাল শনিবার ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই ‘বড় ধরনের গোয়েন্দা সাফল্যের’ খবর প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনগুলোতে জানানো হয়, ইসরায়েল এসব সামরিক সদস্যের পরিচয় লুকাতে কঠোর চেষ্টা করেছে। টেলিভিশনে তাদের মুখ ঝাপসা করে দেখানোর মতো পদক্ষেপ নিয়েছে। তবু ইরান এই বাধা ভেঙে তাদের পরিচয়, ঠিকানা, ইউনিট, ঘাঁটির অবস্থানসহ অতীত কর্মকাণ্ড বের করতে পেরেছে।
এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘গোয়েন্দা কৌশলের এই সফলতা ইসরায়েলি সেনাসদস্যদের গোপন রাখার সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে।’ ইরান জানিয়েছে, তারা এরই মধ্যে কয়েকজন পাইলটের পরিচয় প্রকাশ করেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন স্কোয়াড্রন ১১৯ বা ‘ব্যাট স্কোয়াড্রনের’ ডেপুটি কমান্ডার মেজর ইয়ায়েল অ্যাশ এবং তাঁর স্বামী বার প্রিন্স।
মেজর অ্যাশ সম্পর্কে বলা হয়েছে, তিনি ইসরায়েলি পাইলট মেজর শিমন অ্যাশের নাতনি। শিমন অ্যাশ ১৯৭৩ সালে ইয়াম কিপ্পুরের যুদ্ধে নিখোঁজ হয়েছিলেন। ইসরায়েল ও আরব দেশগুলোর মধ্যে এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল।
এক ইরানি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা এখন উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে ইসরায়েলি সামরিক সদস্যদের বাসস্থানও শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।’ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মেজর ইয়ায়েল অ্যাশ এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি ‘ইহুদিদের নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে চান।’ জবাবে ইরানি চ্যানেলের প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়, ‘এখন সে নিজেই আর নিরাপদ নয়।’
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘এ তথ্য ফাঁস হওয়ায় পৃথিবীর কোথাও তারা (ইরানে হামলা চালানো পাইলটেরা আর নিরাপদ নয়।’ প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি সেনাসদস্যদের অবস্থান, সরঞ্জাম ও গতিবিধির তথ্য এখন ইরানের হাতে। এর ফলে ভবিষ্যতে প্রয়োজনে প্রতিশোধ নিতে কৌশলগত সুবিধা পাবে ইরান।’
ইরান জানিয়েছে, তাদের এই তথ্যভিত্তিক গোয়েন্দা অভিযানের কিছু প্রতিক্রিয়া এরই মধ্যেই শুরু হয়েছে। কিছু ইসরায়েলি সেনার বাসভবনে হামলা চালানো হয়েছে। এক প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় শহর ইয়াভনে এক সেনার বাড়িতে ইরানি হামলার পর কী ক্ষতি হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাদের ‘কিছু বাসস্থান ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হয়েছে।’ এই প্রতিশোধমূলক অভিযানে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ‘অন্তত ২২ দফা হামলা’ চালায় ইসরায়েল অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে। ইসরায়েলের পারমাণবিক, সামরিক ও শিল্প স্থাপনাও লক্ষ্যবস্তু ছিল। এর ফলেই, ‘ইসরায়েল মাত্র ১২ দিনেই যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানায়।’
প্রতিবেদনগুলোতে আরও বলা হয়, ইরান যখন সেনাদের বাড়িতে হামলা শুরু করে, তখন ইসরায়েল তাদের ‘স্কুলের মতো বেসামরিক স্থাপনায় সরিয়ে নেয়।’ উদ্দেশ্য ছিল, পরে এসব স্থানে হামলা হলে ইরানকে ‘বেসামরিক স্থাপনায় হামলার’ অভিযোগে অভিযুক্ত করা যাবে। ইরানি গোয়েন্দাদের দাবি, ‘এই স্থানান্তরের উদ্দেশ্য ছিল হামলার পর ইরানকে দোষারোপ করা।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘এখন পর্যন্ত যা প্রকাশ করা হয়েছে তা কেবল একটি উদাহরণ। এ ধরনের গোপন তথ্য প্রকাশ অব্যাহত থাকবে।’
ইরানের এই গোয়েন্দা প্রতিবেদন ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তথ্য ফাঁস এবং সরাসরি ব্যক্তিকে টার্গেট করা যুদ্ধের ধরনেই পরিবর্তন আনছে। একই সঙ্গে এটি ইসরায়েলি গোয়েন্দা ব্যবস্থার দুর্বলতা ও ইরানের সাইবার সক্ষমতার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
ইরানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দাবি করেছে, গত জুনে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যে যুদ্ধ শুরু করেছিল, তাতে অংশ নেওয়া ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর পাইলট, কমান্ডার ও ড্রোন অপারেটরদের সম্পূর্ণ পরিচয় তারা উন্মোচন করতে সক্ষম হয়েছে। এরা কোথায় থাকে, কোন ইউনিটে কাজ করে এবং আগের অপরাধে তাদের সংশ্লিষ্টতা—সব তথ্য এখন ইরানের হাতে আছে বলে জানানো হয়েছে ইরানের রাষ্ট্র পরিচালিত সম্প্রচারমাধ্যম প্রেস টিভির এক প্রতিবেদনে।
গতকাল শনিবার ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই ‘বড় ধরনের গোয়েন্দা সাফল্যের’ খবর প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনগুলোতে জানানো হয়, ইসরায়েল এসব সামরিক সদস্যের পরিচয় লুকাতে কঠোর চেষ্টা করেছে। টেলিভিশনে তাদের মুখ ঝাপসা করে দেখানোর মতো পদক্ষেপ নিয়েছে। তবু ইরান এই বাধা ভেঙে তাদের পরিচয়, ঠিকানা, ইউনিট, ঘাঁটির অবস্থানসহ অতীত কর্মকাণ্ড বের করতে পেরেছে।
এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘গোয়েন্দা কৌশলের এই সফলতা ইসরায়েলি সেনাসদস্যদের গোপন রাখার সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে।’ ইরান জানিয়েছে, তারা এরই মধ্যে কয়েকজন পাইলটের পরিচয় প্রকাশ করেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন স্কোয়াড্রন ১১৯ বা ‘ব্যাট স্কোয়াড্রনের’ ডেপুটি কমান্ডার মেজর ইয়ায়েল অ্যাশ এবং তাঁর স্বামী বার প্রিন্স।
মেজর অ্যাশ সম্পর্কে বলা হয়েছে, তিনি ইসরায়েলি পাইলট মেজর শিমন অ্যাশের নাতনি। শিমন অ্যাশ ১৯৭৩ সালে ইয়াম কিপ্পুরের যুদ্ধে নিখোঁজ হয়েছিলেন। ইসরায়েল ও আরব দেশগুলোর মধ্যে এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল।
এক ইরানি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা এখন উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে ইসরায়েলি সামরিক সদস্যদের বাসস্থানও শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।’ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মেজর ইয়ায়েল অ্যাশ এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি ‘ইহুদিদের নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনতে চান।’ জবাবে ইরানি চ্যানেলের প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়, ‘এখন সে নিজেই আর নিরাপদ নয়।’
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘এ তথ্য ফাঁস হওয়ায় পৃথিবীর কোথাও তারা (ইরানে হামলা চালানো পাইলটেরা আর নিরাপদ নয়।’ প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি সেনাসদস্যদের অবস্থান, সরঞ্জাম ও গতিবিধির তথ্য এখন ইরানের হাতে। এর ফলে ভবিষ্যতে প্রয়োজনে প্রতিশোধ নিতে কৌশলগত সুবিধা পাবে ইরান।’
ইরান জানিয়েছে, তাদের এই তথ্যভিত্তিক গোয়েন্দা অভিযানের কিছু প্রতিক্রিয়া এরই মধ্যেই শুরু হয়েছে। কিছু ইসরায়েলি সেনার বাসভবনে হামলা চালানো হয়েছে। এক প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় শহর ইয়াভনে এক সেনার বাড়িতে ইরানি হামলার পর কী ক্ষতি হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাদের ‘কিছু বাসস্থান ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হয়েছে।’ এই প্রতিশোধমূলক অভিযানে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ‘অন্তত ২২ দফা হামলা’ চালায় ইসরায়েল অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে। ইসরায়েলের পারমাণবিক, সামরিক ও শিল্প স্থাপনাও লক্ষ্যবস্তু ছিল। এর ফলেই, ‘ইসরায়েল মাত্র ১২ দিনেই যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানায়।’
প্রতিবেদনগুলোতে আরও বলা হয়, ইরান যখন সেনাদের বাড়িতে হামলা শুরু করে, তখন ইসরায়েল তাদের ‘স্কুলের মতো বেসামরিক স্থাপনায় সরিয়ে নেয়।’ উদ্দেশ্য ছিল, পরে এসব স্থানে হামলা হলে ইরানকে ‘বেসামরিক স্থাপনায় হামলার’ অভিযোগে অভিযুক্ত করা যাবে। ইরানি গোয়েন্দাদের দাবি, ‘এই স্থানান্তরের উদ্দেশ্য ছিল হামলার পর ইরানকে দোষারোপ করা।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘এখন পর্যন্ত যা প্রকাশ করা হয়েছে তা কেবল একটি উদাহরণ। এ ধরনের গোপন তথ্য প্রকাশ অব্যাহত থাকবে।’
ইরানের এই গোয়েন্দা প্রতিবেদন ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্বে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তথ্য ফাঁস এবং সরাসরি ব্যক্তিকে টার্গেট করা যুদ্ধের ধরনেই পরিবর্তন আনছে। একই সঙ্গে এটি ইসরায়েলি গোয়েন্দা ব্যবস্থার দুর্বলতা ও ইরানের সাইবার সক্ষমতার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
ইরানের শাহেদ ড্রোনের নকশা ব্যবহার করে এই ড্রোন উৎপাদনের জন্য বিশাল এক কারখানা নির্মাণ করেছে রাশিয়া। তাতারস্তান অঞ্চলের আলাবুগা শিল্প এলাকায় অবস্থিত এই কারখানা বর্তমানে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ড্রোন উৎপাদন কেন্দ্র।
৪ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। প্রায় দুই বছর ধরে চলমান যুদ্ধের মধ্যে এই সিদ্ধান্তের ফলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সামরিক অভিযান আরও বিস্তৃত হবে। শুক্রবার এই সিদ্ধান্ত দেশি-বিদেশি মহলে নতুন করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে...
৬ ঘণ্টা আগেগাজায় চলমান যুদ্ধ, অর্থনৈতিক বিপর্যয় এবং খাদ্যসহ জরুরি পণ্যের তীব্র সংকটের মধ্যে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার লড়াই আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। ব্যাংকগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ, স্থানীয় বাজারে ডিজিটাল লেনদেনও প্রায় অগ্রহণযোগ্য।
৬ ঘণ্টা আগেভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। আজ শুক্রবার (৮ আগস্ট) সাম্প্রতিক নানা বিষয়ে কথা হয় এই দুই নেতার।
৬ ঘণ্টা আগে