আজকের পত্রিকা ডেস্ক

লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ বহু বছরের বৈরিতার পর সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের ইঙ্গিত দিয়েছে। আঞ্চলিক রাজনৈতিক সমীকরণ বদলে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ও ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ায় অবস্থানের এই বদল আনছে গোষ্ঠীটি। লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইয়ের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত মাসের শেষ দিকে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে হিজবুল্লাহর প্রধান নাইম কাসেম সৌদি আরবের সঙ্গে ‘নতুন অধ্যায় শুরু করার’ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের আসল হুমকি ইসরায়েল—এ ব্যাপারে সবাইকে একসঙ্গে অবস্থান নিতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করছি, প্রতিরোধ বাহিনীর অস্ত্র কেবল ইসরায়েলি শত্রুর দিকেই নির্দেশিত—লেবানন, সৌদি আরব বা বিশ্বের অন্য কোনো রাষ্ট্র বা সত্তার দিকে নয়।’
দীর্ঘদিন ধরে সিরিয়া যুদ্ধে হিজবুল্লাহর অংশগ্রহণ, ইয়েমেনের হুতিদের প্রতি তাদের কথিত সহায়তা এবং ইরান-সৌদি প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে হিজবুল্লাহ ও রিয়াদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল তিক্ত। ২০১৬ সালে সৌদি নেতৃত্বাধীন উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ (জিসিসি) হিজবুল্লাহকে আনুষ্ঠানিকভাবে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে। তবে ২০২৪ সালের জুনে আরব লিগ হিজবুল্লাহর নাম তাদের সন্ত্রাসী তালিকা থেকে সরিয়ে নেয়।
রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, হিজবুল্লাহর এই নতুন অবস্থান কেবল তাদের নিজস্ব উদ্যোগ নয়, বরং তেহরানের নেতৃত্বে পরিচালিত এক সমন্বিত প্রচেষ্টার অংশ। ইরানের দুটি সূত্র ও হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, কাসেমের বক্তব্য তেহরানের নেপথ্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফল—যার লক্ষ্য হিজবুল্লাহ ও সৌদি আরবের মধ্যে উত্তেজনা কমানো।
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ম্যালকম এইচ কার্নেগি মিডল ইস্ট সেন্টারের সিনিয়র এডিটর মাইকেল ইয়াং বলেন, কাসেমের এ বক্তব্য মূলত ইরানের বার্তা বহন করছে। তিনি মিডল ইস্ট আইকে বলেন, ‘নাইম কাসেমের বিবৃতি আমি আসলে ইরানের বার্তা হিসেবেই পড়ছি। ইরান জানিয়ে দিচ্ছে, হিজবুল্লাহর নিরস্ত্রীকরণ ইস্যুতে লেবাননকে তাদের সঙ্গেই আলোচনা করতে হবে।’
ইয়াং আরও বলেন, তেহরান এখন দেখছে, আঞ্চলিক ভারসাম্য বদলে যাচ্ছে—বিশেষ করে, ইসরায়েলের বাড়তি সামরিক উপস্থিতির কারণে। এতে নতুন কিছু অপ্রত্যাশিত জোট গঠনের সুযোগ তৈরি হতে পারে। গত মাসে লেবানন সফরে গিয়ে ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী লারিজানি বলেন, ‘আমি শেখ নাইম কাসেমের উদ্যোগের প্রশংসা করছি এবং সম্পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি। সৌদি আরব আমাদের ভাই রাষ্ট্র, আমাদের মধ্যে নিয়মিত আলোচনা চলছে।’ তিনি আরও বলেন, সাধারণ শত্রুর মোকাবিলায় সহযোগিতা অপরিহার্য আর কাসেমের অবস্থান ‘সম্পূর্ণ সঠিক’।
এ বিষয়ে মাইকেল ইয়াং বলেন, ইরানের ধারণা, এখন আঞ্চলিক জোটগুলো বদলে যাচ্ছে। ইসরায়েল এক প্রভাবশালী শক্তি হয়ে উঠছে, ফলে সৌদিরাও এখন ইসরায়েলকে হুমকি হিসেবে দেখছে। এতে তাদের ও ইরানের স্বার্থ কিছুটা মিলছে। ইরান এখনো হিজবুল্লাহকে কৌশলগত সম্পদ হিসেবে দেখে। একসময় এটি ছিল শক্তিশালী আঞ্চলিক অস্ত্র, এখন কিছুটা দুর্বল হলেও ইরান এটি হারাতে চায় না।
সৌদি-ইরান সম্পর্কে উষ্ণতা
কাসেমের বক্তব্য এমন সময় এসেছে, যখন ইসরায়েল পুরো অঞ্চলে সামরিক অভিযান বাড়াচ্ছে। গত মাসে ইসরায়েল গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় বসা হামাসের শীর্ষ নেতাদের বৈঠককক্ষেই কাতারে বিমান হামলা চালায়। এ হামলায় ইসরায়েলের কার্যক্রমের পরিধি ও ঝুঁকি নতুন মাত্রায় পৌঁছে যায়, যা উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করে।
হিজবুল্লাহ ঘনিষ্ঠ লেবাননি বিশ্লেষক কাসেম কাসির বলেন, হিজবুল্লাহর সাম্প্রতিক বক্তব্য মূলত বড় আঞ্চলিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে এসেছে, বিশেষ করে, ২০২৩ সালে চীনের মধ্যস্থতায় সৌদি-ইরান মীমাংসার পর। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করছি, এই উদ্যোগ এসেছে আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ ও সৌদি-ইরান সম্পর্কোন্নয়নের ধারাবাহিকতায়। হিজবুল্লাহ আলোচনায় প্রস্তুত, এখন তারা সৌদির প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।’
কাসির স্মরণ করিয়ে দেন, ২০০৬ সালে নাইম কাসেমের নেতৃত্বে হিজবুল্লাহর একটি প্রতিনিধিদল সৌদি সফর করেছিল। তখন সৌদি আরব লেবাননের জন্য দেড় বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিয়েছিল। তবে ইয়েমেন ও সিরিয়ার যুদ্ধ এবং তেহরান-রিয়াদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর দুই পক্ষের সম্পর্ক ভেঙে পড়ে।
এখন লেবাননের ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট ও রাজনৈতিক চাপের মধ্যে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে সৌদি আরবকে ‘শান্তির পতাকা’ বাড়িয়ে দেওয়া এক নতুন কৌশল বলেই বিশ্লেষকদের মত। ২০১৯ সাল থেকে লেবাননের মুদ্রার মান ৯৮ শতাংশ কমেছে।
একই সঙ্গে পশ্চিমা দেশ ও আরব শক্তিগুলো লেবাননে অ-রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র সংগঠনগুলোর নিরস্ত্রীকরণের দাবি জোরালো করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের চাপে গত আগস্টে লেবানন সরকার হিজবুল্লাহ নিরস্ত্রীকরণে ওয়াশিংটনের প্রস্তাব গ্রহণ করে। হিজবুল্লাহ এই সিদ্ধান্তকে ‘ইসরায়েলের কাছে আত্মসমর্পণ’ বলে আখ্যা দিয়েছে। তাদের দাবি, ইসরায়েল এখনো দক্ষিণ লেবাননের অন্তত পাঁচটি অঞ্চল দখল করে আছে এবং প্রায়ই আকাশসীমা লঙ্ঘন করছে—এই অবস্থায় অস্ত্র পরিত্যাগ সম্ভব নয়।
সংঘাতে আগ্রহ কমেছে
নাইম কাসেমের দাবি, হিজবুল্লাহর অস্ত্র কেবল ইসরায়েলের বিরুদ্ধেই ব্যবহৃত হবে। এটি সৌদি আরবের উদ্দেশ্য ছাড়াও পশ্চিমা দেশগুলোর জন্যও বার্তা হতে পারে, যারা লেবাননের পুনর্গঠন সহায়তা বিবেচনা করছে। গত বছরের ইসরায়েল-লেবানন যুদ্ধের পর হিজবুল্লাহ নিজেদের বিজয় দাবি করলেও বাস্তবে বড় ধাক্কা খেয়েছে দলটি। তাদের বহু শীর্ষ রাজনৈতিক ও সামরিক নেতা নিহত হয়েছেন, এমনকি নেতা হাসান নাসরুল্লাহও ইসরায়েলি অভিযানে নিহত হন।
যুদ্ধবিরতির পরও প্রায় প্রতিদিন ইসরায়েলি হামলায় তাদের সদস্য ও অন্তত ১০৩ বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। হিজবুল্লাহ এসব হামলার জবাব দেয়নি। তবে উপসাগরীয় দেশগুলো সহজে ভুলে না। ২০২২ সালে নাসরুল্লাহ সৌদি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি অভিযোগ করেন—তারা ইসলামিক স্টেট (আইএস) মতাদর্শ ছড়িয়ে দিয়েছে এবং ইরাকে আত্মঘাতী হামলার পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। তখন তিনি বলেন, মহারাজ, আসল সন্ত্রাসী সেই, যে দুনিয়াজুড়ে আইএস মতাদর্শ রপ্তানি করেছে।
এখন পর্যন্ত সৌদি কর্মকর্তারা নাইম কাসেমের এ প্রস্তাবে কোনো প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে লেবাননের ভেতরে এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকে বলছেন, কোনো রাজনৈতিক দল নয়—রাষ্ট্রীয় পর্যায়েই বিদেশি কূটনীতি পরিচালনা করা উচিত।
গত মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বলেন, ‘সৌদি আরব লেবাননের পাশে আছে, দেশটির নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় সমর্থন জানায়। আমরা চাই, লেবানন ১৯৮৯ সালের তাইফ চুক্তি বাস্তবায়ন করুক, সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করুক এবং অস্ত্র রাষ্ট্রের বৈধ প্রতিষ্ঠানের হাতেই থাকুক।’
সৌদি আরব হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংলাপে বসবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে আঞ্চলিক জোটের পরিবর্তন এবং রিয়াদ-তেহরানের নতুন বাস্তবতায় হিজবুল্লাহর বার্তা একেবারে উপেক্ষিতও হচ্ছে না। এ বিষয়ে মাইকেল ইয়াং বলেন, ইরান এখন আর সৌদি আরবের সঙ্গে সংঘাতে থাকতে আগ্রহী নয়।

লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ বহু বছরের বৈরিতার পর সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের ইঙ্গিত দিয়েছে। আঞ্চলিক রাজনৈতিক সমীকরণ বদলে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ও ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ায় অবস্থানের এই বদল আনছে গোষ্ঠীটি। লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইয়ের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত মাসের শেষ দিকে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে হিজবুল্লাহর প্রধান নাইম কাসেম সৌদি আরবের সঙ্গে ‘নতুন অধ্যায় শুরু করার’ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের আসল হুমকি ইসরায়েল—এ ব্যাপারে সবাইকে একসঙ্গে অবস্থান নিতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করছি, প্রতিরোধ বাহিনীর অস্ত্র কেবল ইসরায়েলি শত্রুর দিকেই নির্দেশিত—লেবানন, সৌদি আরব বা বিশ্বের অন্য কোনো রাষ্ট্র বা সত্তার দিকে নয়।’
দীর্ঘদিন ধরে সিরিয়া যুদ্ধে হিজবুল্লাহর অংশগ্রহণ, ইয়েমেনের হুতিদের প্রতি তাদের কথিত সহায়তা এবং ইরান-সৌদি প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে হিজবুল্লাহ ও রিয়াদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল তিক্ত। ২০১৬ সালে সৌদি নেতৃত্বাধীন উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ (জিসিসি) হিজবুল্লাহকে আনুষ্ঠানিকভাবে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করে। তবে ২০২৪ সালের জুনে আরব লিগ হিজবুল্লাহর নাম তাদের সন্ত্রাসী তালিকা থেকে সরিয়ে নেয়।
রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, হিজবুল্লাহর এই নতুন অবস্থান কেবল তাদের নিজস্ব উদ্যোগ নয়, বরং তেহরানের নেতৃত্বে পরিচালিত এক সমন্বিত প্রচেষ্টার অংশ। ইরানের দুটি সূত্র ও হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, কাসেমের বক্তব্য তেহরানের নেপথ্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফল—যার লক্ষ্য হিজবুল্লাহ ও সৌদি আরবের মধ্যে উত্তেজনা কমানো।
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ম্যালকম এইচ কার্নেগি মিডল ইস্ট সেন্টারের সিনিয়র এডিটর মাইকেল ইয়াং বলেন, কাসেমের এ বক্তব্য মূলত ইরানের বার্তা বহন করছে। তিনি মিডল ইস্ট আইকে বলেন, ‘নাইম কাসেমের বিবৃতি আমি আসলে ইরানের বার্তা হিসেবেই পড়ছি। ইরান জানিয়ে দিচ্ছে, হিজবুল্লাহর নিরস্ত্রীকরণ ইস্যুতে লেবাননকে তাদের সঙ্গেই আলোচনা করতে হবে।’
ইয়াং আরও বলেন, তেহরান এখন দেখছে, আঞ্চলিক ভারসাম্য বদলে যাচ্ছে—বিশেষ করে, ইসরায়েলের বাড়তি সামরিক উপস্থিতির কারণে। এতে নতুন কিছু অপ্রত্যাশিত জোট গঠনের সুযোগ তৈরি হতে পারে। গত মাসে লেবানন সফরে গিয়ে ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী লারিজানি বলেন, ‘আমি শেখ নাইম কাসেমের উদ্যোগের প্রশংসা করছি এবং সম্পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি। সৌদি আরব আমাদের ভাই রাষ্ট্র, আমাদের মধ্যে নিয়মিত আলোচনা চলছে।’ তিনি আরও বলেন, সাধারণ শত্রুর মোকাবিলায় সহযোগিতা অপরিহার্য আর কাসেমের অবস্থান ‘সম্পূর্ণ সঠিক’।
এ বিষয়ে মাইকেল ইয়াং বলেন, ইরানের ধারণা, এখন আঞ্চলিক জোটগুলো বদলে যাচ্ছে। ইসরায়েল এক প্রভাবশালী শক্তি হয়ে উঠছে, ফলে সৌদিরাও এখন ইসরায়েলকে হুমকি হিসেবে দেখছে। এতে তাদের ও ইরানের স্বার্থ কিছুটা মিলছে। ইরান এখনো হিজবুল্লাহকে কৌশলগত সম্পদ হিসেবে দেখে। একসময় এটি ছিল শক্তিশালী আঞ্চলিক অস্ত্র, এখন কিছুটা দুর্বল হলেও ইরান এটি হারাতে চায় না।
সৌদি-ইরান সম্পর্কে উষ্ণতা
কাসেমের বক্তব্য এমন সময় এসেছে, যখন ইসরায়েল পুরো অঞ্চলে সামরিক অভিযান বাড়াচ্ছে। গত মাসে ইসরায়েল গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় বসা হামাসের শীর্ষ নেতাদের বৈঠককক্ষেই কাতারে বিমান হামলা চালায়। এ হামলায় ইসরায়েলের কার্যক্রমের পরিধি ও ঝুঁকি নতুন মাত্রায় পৌঁছে যায়, যা উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করে।
হিজবুল্লাহ ঘনিষ্ঠ লেবাননি বিশ্লেষক কাসেম কাসির বলেন, হিজবুল্লাহর সাম্প্রতিক বক্তব্য মূলত বড় আঞ্চলিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে এসেছে, বিশেষ করে, ২০২৩ সালে চীনের মধ্যস্থতায় সৌদি-ইরান মীমাংসার পর। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করছি, এই উদ্যোগ এসেছে আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ ও সৌদি-ইরান সম্পর্কোন্নয়নের ধারাবাহিকতায়। হিজবুল্লাহ আলোচনায় প্রস্তুত, এখন তারা সৌদির প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।’
কাসির স্মরণ করিয়ে দেন, ২০০৬ সালে নাইম কাসেমের নেতৃত্বে হিজবুল্লাহর একটি প্রতিনিধিদল সৌদি সফর করেছিল। তখন সৌদি আরব লেবাননের জন্য দেড় বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিয়েছিল। তবে ইয়েমেন ও সিরিয়ার যুদ্ধ এবং তেহরান-রিয়াদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর দুই পক্ষের সম্পর্ক ভেঙে পড়ে।
এখন লেবাননের ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট ও রাজনৈতিক চাপের মধ্যে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে সৌদি আরবকে ‘শান্তির পতাকা’ বাড়িয়ে দেওয়া এক নতুন কৌশল বলেই বিশ্লেষকদের মত। ২০১৯ সাল থেকে লেবাননের মুদ্রার মান ৯৮ শতাংশ কমেছে।
একই সঙ্গে পশ্চিমা দেশ ও আরব শক্তিগুলো লেবাননে অ-রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র সংগঠনগুলোর নিরস্ত্রীকরণের দাবি জোরালো করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের চাপে গত আগস্টে লেবানন সরকার হিজবুল্লাহ নিরস্ত্রীকরণে ওয়াশিংটনের প্রস্তাব গ্রহণ করে। হিজবুল্লাহ এই সিদ্ধান্তকে ‘ইসরায়েলের কাছে আত্মসমর্পণ’ বলে আখ্যা দিয়েছে। তাদের দাবি, ইসরায়েল এখনো দক্ষিণ লেবাননের অন্তত পাঁচটি অঞ্চল দখল করে আছে এবং প্রায়ই আকাশসীমা লঙ্ঘন করছে—এই অবস্থায় অস্ত্র পরিত্যাগ সম্ভব নয়।
সংঘাতে আগ্রহ কমেছে
নাইম কাসেমের দাবি, হিজবুল্লাহর অস্ত্র কেবল ইসরায়েলের বিরুদ্ধেই ব্যবহৃত হবে। এটি সৌদি আরবের উদ্দেশ্য ছাড়াও পশ্চিমা দেশগুলোর জন্যও বার্তা হতে পারে, যারা লেবাননের পুনর্গঠন সহায়তা বিবেচনা করছে। গত বছরের ইসরায়েল-লেবানন যুদ্ধের পর হিজবুল্লাহ নিজেদের বিজয় দাবি করলেও বাস্তবে বড় ধাক্কা খেয়েছে দলটি। তাদের বহু শীর্ষ রাজনৈতিক ও সামরিক নেতা নিহত হয়েছেন, এমনকি নেতা হাসান নাসরুল্লাহও ইসরায়েলি অভিযানে নিহত হন।
যুদ্ধবিরতির পরও প্রায় প্রতিদিন ইসরায়েলি হামলায় তাদের সদস্য ও অন্তত ১০৩ বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। হিজবুল্লাহ এসব হামলার জবাব দেয়নি। তবে উপসাগরীয় দেশগুলো সহজে ভুলে না। ২০২২ সালে নাসরুল্লাহ সৌদি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি অভিযোগ করেন—তারা ইসলামিক স্টেট (আইএস) মতাদর্শ ছড়িয়ে দিয়েছে এবং ইরাকে আত্মঘাতী হামলার পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। তখন তিনি বলেন, মহারাজ, আসল সন্ত্রাসী সেই, যে দুনিয়াজুড়ে আইএস মতাদর্শ রপ্তানি করেছে।
এখন পর্যন্ত সৌদি কর্মকর্তারা নাইম কাসেমের এ প্রস্তাবে কোনো প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে লেবাননের ভেতরে এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকে বলছেন, কোনো রাজনৈতিক দল নয়—রাষ্ট্রীয় পর্যায়েই বিদেশি কূটনীতি পরিচালনা করা উচিত।
গত মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বলেন, ‘সৌদি আরব লেবাননের পাশে আছে, দেশটির নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় সমর্থন জানায়। আমরা চাই, লেবানন ১৯৮৯ সালের তাইফ চুক্তি বাস্তবায়ন করুক, সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করুক এবং অস্ত্র রাষ্ট্রের বৈধ প্রতিষ্ঠানের হাতেই থাকুক।’
সৌদি আরব হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংলাপে বসবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে আঞ্চলিক জোটের পরিবর্তন এবং রিয়াদ-তেহরানের নতুন বাস্তবতায় হিজবুল্লাহর বার্তা একেবারে উপেক্ষিতও হচ্ছে না। এ বিষয়ে মাইকেল ইয়াং বলেন, ইরান এখন আর সৌদি আরবের সঙ্গে সংঘাতে থাকতে আগ্রহী নয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে—ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের সেনাদের ওপর আইএসআইএসের হামলার জবাব আমরা দেব। যদি মার্কিন বাহিনীর ওপর আবারও হামলা হয় সেটার জবাও আমরা দেব।’
এর আগে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলকেন্দ্রিক কমান্ড ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, আইসিসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং তাদের এক দোভাষী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছে। সেন্টকম আরও বলেছে, ‘বন্দুকধারীকে শনাক্ত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল। সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়। সানা আরও জানায়, আহত ব্যক্তিদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন। আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে—ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের সেনাদের ওপর আইএসআইএসের হামলার জবাব আমরা দেব। যদি মার্কিন বাহিনীর ওপর আবারও হামলা হয় সেটার জবাও আমরা দেব।’
এর আগে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলকেন্দ্রিক কমান্ড ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, আইসিসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং তাদের এক দোভাষী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছে। সেন্টকম আরও বলেছে, ‘বন্দুকধারীকে শনাক্ত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল। সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়। সানা আরও জানায়, আহত ব্যক্তিদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন। আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ বহু বছরের বৈরিতার পর সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের ইঙ্গিত দিয়েছে। আঞ্চলিক রাজনৈতিক সমীকরণ বদলে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ও ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ায় অবস্থানের এ বদল আনছে গোষ্ঠীটি।
১২ অক্টোবর ২০২৫
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য রোড আইল্যান্ডের রাজধানী প্রভিডেন্সের মেয়র ব্রেট স্মাইলি নিশ্চিত করেছেন, ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে সক্রিয় বন্দুকধারীর হামলায় দুজন নিহত এবং আরও আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই আইভি লীগ ক্যাম্পাসে শনিবার যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তখন সেখানে পরীক্ষা চলছিল।
রোড আইল্যান্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি এখনও পলাতক। তারা হামলাকারীকে কালো পোশাক পরিহিত পুরুষ হিসেবে শনাক্ত করেছেন, যিনি পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। তারা আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি।
এক সংবাদ সম্মেলনে স্মাইলি বলেন, স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টা ৫ মিনিটের দিকে জরুরি সেবা প্রতিক্রিয়াকারীদের কাছে ৯১১ কল আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোলাগুলির বিষয়টি জানতে পারে। স্মাইলি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, আজ বিকেলে দুইজন ব্যক্তি মারা গেছেন এবং আরও আটজন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন, যদিও তারা রোড আইল্যান্ড হাসপাতালে স্থিতিশীল আছেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধুমাত্র এই আঘাত বা হতাহতের খবর জানি। তবে যেমনটি আমি উল্লেখ করেছি—এবং জনসাধারণকে মনে করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ—এই সংখ্যাগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। আমরা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’
চলমান তদন্তের ওপর জোর দিয়ে স্মাইলি নিহতদের পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা প্যাক্সটন এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি এমন একটি দিন যা আমরা আশা করেছিলাম যেন আমাদের সম্প্রদায়ে কখনও না আসে। এটি আমাদের সকলের জন্য গভীরভাবে হৃদয়বিদারক।’ তিনি ক্যাম্পাসের সবাইকে সতর্ক থাকার এবং লকডাউন প্রোটোকল মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো সমস্ত দরজা তালাবদ্ধ রাখা এবং ক্যাম্পাস জুড়ে কোনো চলাচল না করা নিশ্চিত করা।’
শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকেল ৪ টা ২২ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথম জরুরি সতর্কতা জারি করে জানায়, বারাস অ্যান্ড হলি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফিজিক্স ভবনের কাছে একজন বন্দুকধারী রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সতর্কবার্তায় বলে, ‘দরজা লক করুন, ফোন নীরব করুন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লুকিয়ে থাকুন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘মনে রাখবেন—দৌড়ান, যদি আপনি আক্রান্ত স্থানে থাকেন তবে নিরাপদে সরে যান; লুকান, যদি সরে যাওয়া সম্ভব না হয় তবে আড়াল নিন; প্রতিরোধ করুন, শেষ অবলম্বন হিসেবে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নিন।’
প্রভিডেন্সের পুলিশ প্রধান টিমোথি ও’হারা জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভবনটিতে তল্লাশি চালায়। ও’হারা বলেন, ‘তারা ভবনটিতে পদ্ধতিগতভাবে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে সে সময় কোনো সন্দেহভাজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা সেই ভবনটি খালি করতে সক্ষম হন এবং সেই ভবনের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করে দেন।’ তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন কীভাবে ভবনে প্রবেশ করেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে সে হোপ স্ট্রিট দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।
স্থানীয় সময় ৫ টা ২৭ মিনিটে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি জানায়, গভর্নর স্ট্রিটের কাছে, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফিজিক্স ল্যাব থেকে প্রায় দুটি ব্লক দূরে, গুলি চালানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোনো সন্দেহভাজনকে আটক করেছে কিনা তা স্পষ্ট ছিল না, কারণ অনলাইনে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন প্রচারিত হচ্ছিল।
উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রাথমিক ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হয়েছিল যে, একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা লিখেছিল, ’পুলিশের হেফাজতে কোনো সন্দেহভাজন নেই এবং তারা সন্দেহভাজনদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।’
স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এবং তাদের সাথে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং ব্যুরো অব অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস (এটিএফ) এর ফেডারেল এজেন্টরাও যোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য রোড আইল্যান্ডের রাজধানী প্রভিডেন্সের মেয়র ব্রেট স্মাইলি নিশ্চিত করেছেন, ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে সক্রিয় বন্দুকধারীর হামলায় দুজন নিহত এবং আরও আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই আইভি লীগ ক্যাম্পাসে শনিবার যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তখন সেখানে পরীক্ষা চলছিল।
রোড আইল্যান্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি এখনও পলাতক। তারা হামলাকারীকে কালো পোশাক পরিহিত পুরুষ হিসেবে শনাক্ত করেছেন, যিনি পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। তারা আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি।
এক সংবাদ সম্মেলনে স্মাইলি বলেন, স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টা ৫ মিনিটের দিকে জরুরি সেবা প্রতিক্রিয়াকারীদের কাছে ৯১১ কল আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোলাগুলির বিষয়টি জানতে পারে। স্মাইলি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, আজ বিকেলে দুইজন ব্যক্তি মারা গেছেন এবং আরও আটজন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন, যদিও তারা রোড আইল্যান্ড হাসপাতালে স্থিতিশীল আছেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধুমাত্র এই আঘাত বা হতাহতের খবর জানি। তবে যেমনটি আমি উল্লেখ করেছি—এবং জনসাধারণকে মনে করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ—এই সংখ্যাগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। আমরা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’
চলমান তদন্তের ওপর জোর দিয়ে স্মাইলি নিহতদের পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা প্যাক্সটন এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি এমন একটি দিন যা আমরা আশা করেছিলাম যেন আমাদের সম্প্রদায়ে কখনও না আসে। এটি আমাদের সকলের জন্য গভীরভাবে হৃদয়বিদারক।’ তিনি ক্যাম্পাসের সবাইকে সতর্ক থাকার এবং লকডাউন প্রোটোকল মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো সমস্ত দরজা তালাবদ্ধ রাখা এবং ক্যাম্পাস জুড়ে কোনো চলাচল না করা নিশ্চিত করা।’
শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকেল ৪ টা ২২ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথম জরুরি সতর্কতা জারি করে জানায়, বারাস অ্যান্ড হলি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফিজিক্স ভবনের কাছে একজন বন্দুকধারী রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সতর্কবার্তায় বলে, ‘দরজা লক করুন, ফোন নীরব করুন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লুকিয়ে থাকুন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘মনে রাখবেন—দৌড়ান, যদি আপনি আক্রান্ত স্থানে থাকেন তবে নিরাপদে সরে যান; লুকান, যদি সরে যাওয়া সম্ভব না হয় তবে আড়াল নিন; প্রতিরোধ করুন, শেষ অবলম্বন হিসেবে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নিন।’
প্রভিডেন্সের পুলিশ প্রধান টিমোথি ও’হারা জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভবনটিতে তল্লাশি চালায়। ও’হারা বলেন, ‘তারা ভবনটিতে পদ্ধতিগতভাবে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে সে সময় কোনো সন্দেহভাজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা সেই ভবনটি খালি করতে সক্ষম হন এবং সেই ভবনের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করে দেন।’ তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন কীভাবে ভবনে প্রবেশ করেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে সে হোপ স্ট্রিট দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।
স্থানীয় সময় ৫ টা ২৭ মিনিটে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি জানায়, গভর্নর স্ট্রিটের কাছে, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফিজিক্স ল্যাব থেকে প্রায় দুটি ব্লক দূরে, গুলি চালানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোনো সন্দেহভাজনকে আটক করেছে কিনা তা স্পষ্ট ছিল না, কারণ অনলাইনে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন প্রচারিত হচ্ছিল।
উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রাথমিক ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হয়েছিল যে, একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা লিখেছিল, ’পুলিশের হেফাজতে কোনো সন্দেহভাজন নেই এবং তারা সন্দেহভাজনদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।’
স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এবং তাদের সাথে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং ব্যুরো অব অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস (এটিএফ) এর ফেডারেল এজেন্টরাও যোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ বহু বছরের বৈরিতার পর সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের ইঙ্গিত দিয়েছে। আঞ্চলিক রাজনৈতিক সমীকরণ বদলে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ও ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ায় অবস্থানের এ বদল আনছে গোষ্ঠীটি।
১২ অক্টোবর ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
১ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গতকাল শনিবারের এই হামলায় ৫ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে।
হামাস কোনো বিবৃতিতে রায়েদ সাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তারা জানিয়েছে, গাজা সিটির বাইরে একটি বেসামরিক গাড়িতে আঘাত হানা হয়েছে এবং এটিকে অক্টোবরে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করেছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, এই কমান্ডার হামাসের সক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন, যা দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের গাজায় চালানো গণহত্যার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাঁকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলে হামলার অন্যতম স্থপতি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
যদি সাদ নিহত হন, তবে চলতি বছরের অক্টোবরে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এটি হবে হামাসের একজন সিনিয়র নেতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ-পর্যায়ের হত্যাকাণ্ড। এক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সাদকে এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং তাকে হামাসের অস্ত্র উৎপাদনকারী বাহিনীর প্রধান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
হামাসের সূত্রগুলো তাকে ইজ আল-দিন আল-হাদ্দাদের পরে এই গোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখার দ্বিতীয়-কমান্ডার হিসেবেও বর্ণনা করেছে। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, সাদ হামাসের গাজা সিটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ছিলেন, যা গোষ্ঠীটির সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সুসজ্জিত ব্যাটালিয়নগুলোর মধ্যে একটি।
ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, একটি ইসরায়েলি ড্রোন গাজা শহরের পশ্চিমে নাবুলসি মোড়ে একটি গাড়িতে আঘাত হানে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংস্থাটি নির্দিষ্ট সংখ্যার কথা জানায়নি এবং স্পষ্ট নয় যে এই হামলাটিই সেই হামলা কি না, যেখানে কথিত হামাসের সদস্য নিহত হয়েছিলেন।
গাজার কর্তৃপক্ষের মতে, অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল প্রতিদিন গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, যা প্রায় ৮০০ বার পৌঁছেছে এবং কমপক্ষে ৩৮৬ জনকে হত্যা করেছে, যা চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরায়েল এখনো ছিটমহলটিতে বেশির ভাগ সাহায্যবাহী ট্রাকের প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে। শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় একটি প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের প্রতি গাজা উপত্যকায় অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করা, জাতিসংঘের স্থাপনাগুলোতে হামলা বন্ধ করা এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা, অর্থাৎ দখলদার শক্তি হিসেবে এর বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলার দাবি জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গতকাল শনিবারের এই হামলায় ৫ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে।
হামাস কোনো বিবৃতিতে রায়েদ সাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তারা জানিয়েছে, গাজা সিটির বাইরে একটি বেসামরিক গাড়িতে আঘাত হানা হয়েছে এবং এটিকে অক্টোবরে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করেছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, এই কমান্ডার হামাসের সক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন, যা দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের গাজায় চালানো গণহত্যার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাঁকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলে হামলার অন্যতম স্থপতি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
যদি সাদ নিহত হন, তবে চলতি বছরের অক্টোবরে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এটি হবে হামাসের একজন সিনিয়র নেতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ-পর্যায়ের হত্যাকাণ্ড। এক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সাদকে এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং তাকে হামাসের অস্ত্র উৎপাদনকারী বাহিনীর প্রধান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
হামাসের সূত্রগুলো তাকে ইজ আল-দিন আল-হাদ্দাদের পরে এই গোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখার দ্বিতীয়-কমান্ডার হিসেবেও বর্ণনা করেছে। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, সাদ হামাসের গাজা সিটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ছিলেন, যা গোষ্ঠীটির সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সুসজ্জিত ব্যাটালিয়নগুলোর মধ্যে একটি।
ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, একটি ইসরায়েলি ড্রোন গাজা শহরের পশ্চিমে নাবুলসি মোড়ে একটি গাড়িতে আঘাত হানে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংস্থাটি নির্দিষ্ট সংখ্যার কথা জানায়নি এবং স্পষ্ট নয় যে এই হামলাটিই সেই হামলা কি না, যেখানে কথিত হামাসের সদস্য নিহত হয়েছিলেন।
গাজার কর্তৃপক্ষের মতে, অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল প্রতিদিন গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, যা প্রায় ৮০০ বার পৌঁছেছে এবং কমপক্ষে ৩৮৬ জনকে হত্যা করেছে, যা চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরায়েল এখনো ছিটমহলটিতে বেশির ভাগ সাহায্যবাহী ট্রাকের প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে। শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় একটি প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের প্রতি গাজা উপত্যকায় অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করা, জাতিসংঘের স্থাপনাগুলোতে হামলা বন্ধ করা এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা, অর্থাৎ দখলদার শক্তি হিসেবে এর বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলার দাবি জানানো হয়েছে।

লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ বহু বছরের বৈরিতার পর সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের ইঙ্গিত দিয়েছে। আঞ্চলিক রাজনৈতিক সমীকরণ বদলে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ও ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ায় অবস্থানের এ বদল আনছে গোষ্ঠীটি।
১২ অক্টোবর ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল।
সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়।
সানা আরও জানায়, আহতদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শীও জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন।
আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল।
সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়।
সানা আরও জানায়, আহতদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শীও জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন।
আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ বহু বছরের বৈরিতার পর সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের ইঙ্গিত দিয়েছে। আঞ্চলিক রাজনৈতিক সমীকরণ বদলে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ও ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ায় অবস্থানের এ বদল আনছে গোষ্ঠীটি।
১২ অক্টোবর ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে