ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজা বিগত ১৬ বছর ধরে অবরোধ করে রেখেছে ইসরায়েল। সম্প্রতি ইসরায়েলে হামাসের আকস্মিক হামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৭ অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ গাজায় অনবরত বিমান থেকে হামলা করে যাচ্ছে ইসরায়েল। যেন দেশটি পণ করেছে গাজাকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেবে।
ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানের মুহুর্মুহু হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না গাজার কোনো কিছু। বাড়িঘর, গাছপালা, রাস্তাঘাট, হাসপাতাল, মসজিদ এমনকি নিরীহ পাথরও যেন ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ইসরায়েলের এমন হামলায় বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে গাজার স্বাস্থ্যসেবা। অধিকাংশ হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রে আর সেবা দেওয়া উপযোগী নয়। যেগুলো উপযোগী সেগুলোতে উপচে পড়েছে ফিলিস্তিনিদের মরদেহ, প্রতিটি ইঞ্চি দখল হয়ে গেছে আহত রোগীদের দিয়ে। তার পরও শেষ আশা হিসেবে অনেকেই আসছেন হাসপাতালে। আহত এবং তাদের স্বজনেরা জানেন, হাসপাতাল আর হাসপাতাল নেই। পরিণত হয়েছে মরদেহ আর আহতদের ভাগাড়ে।
বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, ফুরিয়ে গেছে জেনারেটরের জ্বালানি। বন্ধ হয়ে গেছে রোগীর অপারেশন। তারপরও হাসপাতালগুলোর চিকিৎসকেরা নিজেদের সীমিত উপকরণ নিয়েই নিরলস সেবা দিয়ে যাচ্ছেন রোগীদের। কিন্তু সেটাই বা আর কাঁহাতক করা যায়? আহতরা তো বটেই ইসরায়েলি হামলা-অবরোধের কারণে সবচেয়ে বিপদে পড়া শ্রেণির অন্যতম হলো—গাজার গর্ভবতী নারীরা। তাঁরা জানেন না, তাদের সন্তানেরা কীভাবে জন্ম নেবে? কোন পরিস্থিতিতে জন্ম নেবে? জন্ম নেওয়ার পর ঠিক কতক্ষণ ইসরায়েলি বোমার আঘাত থেকে তাদের সন্তানেরা রক্ষা পাবে।
তাদেরই একজন নিভেন আল-বারবারি। ৩৩ বছরের এই নারীর সন্তান প্রসবের সময় ঘনিয়ে এসেছে। গর্ভকালীন জটিলতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভয়। ভয়ে তাঁর গা গুলিয়ে আসছে, শুরু হয়েছে খিঁচুনি। ইসরায়েলি হামলা শুরুর আগে নিভেন নিয়মিত ডাক্তারের কাছে যেতেন চেকআপের জন্য। কারণ তাঁর উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিকের সমস্যা রয়েছে। কিন্তু হামলা শুরুর পর বিগত ২০ দিনে তিনি একবারও বাইরে বের হতে পারেননি। অথচ সন্তান জন্মদানের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, তাঁর জটিলতা তত বাড়ছে। তিনি বা তাঁর পরিবারের কেউই জানেন না ঠিক কবে, কখন এই ভয়াবহ হামলা শেষ হবে।
নিজের এবং অনাগত সন্তানের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে নিভেন আল-বারবারি বলেন, ‘প্রতিদিনই আমি ভেবে হয়রান হয়ে যাই যে, আমি কোথায় আমার সন্তানকে জন্ম দেব। ইসরায়েলি অনবরত বোমা হামলা গাজার মানুষ, গাছ এমনকি পাথরকেও ছাড়ছে না। আমরা কেউই জানি না কার বাড়ি ধ্বংস হয়ে যাবে কিংবা কে কখন মারা যাবে। আমি কেবল আমার ও আমার অনাগত সন্তানের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশের প্রত্যাশাই করতে পারি, এর বেশি কিছু নয়।’
সবকিছু ঠিক থাকলে নিভেন এ মাসেই তাঁর প্রথম সন্তান জন্ম দেবেন। কেবল তিনি নন, তাঁর মতো আরও কয়েক হাজার নারীর সন্তান জন্মদানের সময় ঘনিয়ে এসেছে। জাতিসংঘের জনসংখ্যা সংস্থা ইউএনপিএফের হিসাবমতে, গাজায় প্রায় ৫০ হাজার নারী গর্ভবতী। ইসরায়েলি হামলার কারণে এসব নারী পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না। সংস্থাটির আশঙ্কা, প্রয়োজনীয় সেবা না পেলে এসব নারী এবং তাদের অনাগত সন্তানের ভবিষ্যৎ ব্যাহত হতে পারে।
আল-জাজিরায় প্রকাশিত গাজার সাংবাদিক রুয়াইদা আমিরের লেখা থেকে সংক্ষেপে অনূদিত
ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজা বিগত ১৬ বছর ধরে অবরোধ করে রেখেছে ইসরায়েল। সম্প্রতি ইসরায়েলে হামাসের আকস্মিক হামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৭ অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ গাজায় অনবরত বিমান থেকে হামলা করে যাচ্ছে ইসরায়েল। যেন দেশটি পণ করেছে গাজাকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেবে।
ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানের মুহুর্মুহু হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না গাজার কোনো কিছু। বাড়িঘর, গাছপালা, রাস্তাঘাট, হাসপাতাল, মসজিদ এমনকি নিরীহ পাথরও যেন ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ইসরায়েলের এমন হামলায় বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে গাজার স্বাস্থ্যসেবা। অধিকাংশ হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রে আর সেবা দেওয়া উপযোগী নয়। যেগুলো উপযোগী সেগুলোতে উপচে পড়েছে ফিলিস্তিনিদের মরদেহ, প্রতিটি ইঞ্চি দখল হয়ে গেছে আহত রোগীদের দিয়ে। তার পরও শেষ আশা হিসেবে অনেকেই আসছেন হাসপাতালে। আহত এবং তাদের স্বজনেরা জানেন, হাসপাতাল আর হাসপাতাল নেই। পরিণত হয়েছে মরদেহ আর আহতদের ভাগাড়ে।
বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, ফুরিয়ে গেছে জেনারেটরের জ্বালানি। বন্ধ হয়ে গেছে রোগীর অপারেশন। তারপরও হাসপাতালগুলোর চিকিৎসকেরা নিজেদের সীমিত উপকরণ নিয়েই নিরলস সেবা দিয়ে যাচ্ছেন রোগীদের। কিন্তু সেটাই বা আর কাঁহাতক করা যায়? আহতরা তো বটেই ইসরায়েলি হামলা-অবরোধের কারণে সবচেয়ে বিপদে পড়া শ্রেণির অন্যতম হলো—গাজার গর্ভবতী নারীরা। তাঁরা জানেন না, তাদের সন্তানেরা কীভাবে জন্ম নেবে? কোন পরিস্থিতিতে জন্ম নেবে? জন্ম নেওয়ার পর ঠিক কতক্ষণ ইসরায়েলি বোমার আঘাত থেকে তাদের সন্তানেরা রক্ষা পাবে।
তাদেরই একজন নিভেন আল-বারবারি। ৩৩ বছরের এই নারীর সন্তান প্রসবের সময় ঘনিয়ে এসেছে। গর্ভকালীন জটিলতার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভয়। ভয়ে তাঁর গা গুলিয়ে আসছে, শুরু হয়েছে খিঁচুনি। ইসরায়েলি হামলা শুরুর আগে নিভেন নিয়মিত ডাক্তারের কাছে যেতেন চেকআপের জন্য। কারণ তাঁর উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিকের সমস্যা রয়েছে। কিন্তু হামলা শুরুর পর বিগত ২০ দিনে তিনি একবারও বাইরে বের হতে পারেননি। অথচ সন্তান জন্মদানের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, তাঁর জটিলতা তত বাড়ছে। তিনি বা তাঁর পরিবারের কেউই জানেন না ঠিক কবে, কখন এই ভয়াবহ হামলা শেষ হবে।
নিজের এবং অনাগত সন্তানের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে নিভেন আল-বারবারি বলেন, ‘প্রতিদিনই আমি ভেবে হয়রান হয়ে যাই যে, আমি কোথায় আমার সন্তানকে জন্ম দেব। ইসরায়েলি অনবরত বোমা হামলা গাজার মানুষ, গাছ এমনকি পাথরকেও ছাড়ছে না। আমরা কেউই জানি না কার বাড়ি ধ্বংস হয়ে যাবে কিংবা কে কখন মারা যাবে। আমি কেবল আমার ও আমার অনাগত সন্তানের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশের প্রত্যাশাই করতে পারি, এর বেশি কিছু নয়।’
সবকিছু ঠিক থাকলে নিভেন এ মাসেই তাঁর প্রথম সন্তান জন্ম দেবেন। কেবল তিনি নন, তাঁর মতো আরও কয়েক হাজার নারীর সন্তান জন্মদানের সময় ঘনিয়ে এসেছে। জাতিসংঘের জনসংখ্যা সংস্থা ইউএনপিএফের হিসাবমতে, গাজায় প্রায় ৫০ হাজার নারী গর্ভবতী। ইসরায়েলি হামলার কারণে এসব নারী পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না। সংস্থাটির আশঙ্কা, প্রয়োজনীয় সেবা না পেলে এসব নারী এবং তাদের অনাগত সন্তানের ভবিষ্যৎ ব্যাহত হতে পারে।
আল-জাজিরায় প্রকাশিত গাজার সাংবাদিক রুয়াইদা আমিরের লেখা থেকে সংক্ষেপে অনূদিত
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি আলোচনায় সফল হলে তিনি ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেবেন। তবে শর্ত হলো, এই সমঝোতা যেন রাশিয়া তথা পুতিনের কাছে আত্মসমর্পণের সমান না হয়।
৩ ঘণ্টা আগেআলাস্কায় আজ শুক্রবারের বহুল আলোচিত শীর্ষ বৈঠকের আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আমরা আমেরিকার ওপর ভরসা করছি।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে জেলেনস্কি ট্রাম্পের মন্তব্যের সঙ্গে সুর মিলিয়ে জানান, আজকের বৈঠক নিঃসন্দেহে উচ্চঝুঁকির এবং এটি ন্যায়সংগত শান্তির পথে একটি
৪ ঘণ্টা আগেসিঙ্গাপুরভিত্তিক ধনকুবের ও হোটেল ব্যবসায়ী ওং বেন সেংকে উপহার কেলেঙ্কারির মামলায় ২৩ হাজার ৪০০ মার্কিন ডলার (২৮ লাখ ৪২ হাজার টাকা) জরিমানা করা হয়েছে। গত বছর তিনি সারা দেশকে নাড়া দেওয়া ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছিলেন।
৪ ঘণ্টা আগেআলাস্কায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বৈঠকটি ছয় থেকে সাত ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে বলে আশা করছে ক্রেমলিন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এমনটাই জানিয়েছেন। খবর বিবিসির।
৪ ঘণ্টা আগে