আজকের পত্রিকা ডেস্ক

পশ্চিম এশিয়া তথা মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা এখন চরমে। এই অস্থিরতার মধ্যে নতুন করে আলোচনায় এসেছে ইরাক। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের মঞ্চ থেকে সরাসরি ইরাকের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোকে হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এতে প্রশ্ন উঠেছে—ইসরায়েলের লক্ষ্য কী, আর এই বার্তার আসল অর্থ কী?
এই ঘটনা ঘটছে এমন এক সময়ে, যখন ইরাকের ভেতরে প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর কাছে অস্ত্র থাকা নিয়ে তীব্র বিতর্ক চলছে। সামনে নির্বাচনও রয়েছে। তার ওপর সিরিয়া সীমান্ত থেকে আসা হুমকিও অব্যাহত। সব মিলিয়ে ইরাক এখন এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। প্রশ্ন হচ্ছে—বাগদাদ কি ইসরায়েলের যুদ্ধের নতুন ফ্রন্টে পরিণত হতে যাচ্ছে, নাকি টিকে থাকবে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ভঙ্গুর কিন্তু কার্যকর এক ভূমিকা নিয়ে?
গত ২৬ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেওয়া বক্তৃতায় নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে ইরাকের নাম উল্লেখ করে বলেন, প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোকে তাদের পরিণতি ভোগ করতে হবে। জবাবে ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুয়াদ হুসেইন এই হুমকিকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে নিন্দা করেন। তিনি বলেন, একজন ইরাকি নাগরিকের ওপর কোনো হামলা হলে, তা পুরো জাতির ওপর হামলার সমান ধরা হবে।
আল-মায়েদিন ইরাককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বতন্ত্র রাজনীতিক আবু মিসাক আল-মাসার নেতানিয়াহুর হুমকিকে ‘অর্থহীন’ বলে উড়িয়ে দেন। তাঁর মতে, নেতানিয়াহু দুর্বল অবস্থায় আছেন। গাজায় কোনো স্পষ্ট বিজয় তিনি আনতে পারেননি, বন্দীদের মুক্ত করতেও ব্যর্থ হয়েছেন। তাহলে তিনি কোন শক্তিতে এমন অকারণ হুমকি দিচ্ছেন? আল-মাসার বলেন, ইরাকের বিরুদ্ধে কোনো আগ্রাসন চালালে ইসরায়েল নিজেই জড়িয়ে পড়বে ব্যয়বহুল এক বিপদে।
সভরেইন্টি অ্যালায়েন্স পার্টির নেতা আম্মার আল-আজজাওয়ি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা সমর্থন না থাকলে নেতানিয়াহু এমন বক্তব্য দেওয়ার সাহসই পেতেন না। তিনি আরও বলেন, ‘জাতিসংঘে তাঁর বক্তৃতার সময় অর্ধেক হল খালি ছিল। এটি প্রমাণ করে যে, তিনি এখন দুর্বলতম অবস্থায় আছেন। ব্যর্থতা ঢাকতেই তিনি মনোযোগ অন্যদিকে ঘোরাতে চাইছেন।’
আজজাওয়ি আরও বলেন, ‘ইরাক এখন প্রতিরোধ অক্ষের মূল স্তম্ভ হয়ে উঠেছে।’ এসব গোষ্ঠী ইরাকি সমাজ ও রাজনীতির গভীরে প্রোথিত। ফলে নেতানিয়াহুর হুমকি তাদের দুর্বল করেনি, বরং নির্বাচনী সম্ভাবনা আরও শক্তিশালী করেছে। তাঁর ভাষায়, ‘ইসরায়েল ইরাকের মুখোমুখি নীরব থাকতে পারে না, কিন্তু সংঘাতের পরিণতিও সহ্য করতে পারবে না।’
ইসরায়েল বেপরোয়া বক্তব্য দিলেও বাস্তবে ইরাকের সঙ্গে সামরিক সংঘাতে জড়াবে—এমন সম্ভাবনা খুবই কম বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। আল মায়েদিন ইরাককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজনৈতিক বিশ্লেষক আঈদ আল-হিলালি বলেছেন, ‘বাগদাদ, প্রতিরোধ গোষ্ঠী ও ওয়াশিংটনের মধ্যে হওয়া সমঝোতার কারণে এখনো তুলনামূলক শান্ত অবস্থা বিরাজ করছে। এ সমঝোতার পেছনে আন্তর্জাতিকভাবে তেল সরবরাহের স্থিতিশীলতা আর ইরাকে বৈশ্বিক বিনিয়োগের নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।’
ইরাকের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোকে নিরস্ত্র করা বহুদিন ধরেই দেশটির রাজনীতির একটি কেন্দ্রীয় ইস্যু। এদিকে আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরোধ অক্ষকে দুর্বল করার প্রচেষ্টা তীব্রতর হয়েছে। এই কৌশলের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বাগদাদকে ‘ইরান থেকে দূরে’ রাখতে চাপ বাড়িয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ইরাকের চারটি প্রতিরোধ গোষ্ঠী—আল-নুজাবা মুভমেন্ট, কাতাইব সাইয়্যেদ আল-শুহাদা, আনসারুল্লাহ আল-আউফিয়া ও কাতাইব ইমাম আলী—কে তাদের কথিত সন্ত্রাসী তালিকায় যুক্ত করেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক আল-আজজাওয়ি বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকে ইরাকি গোষ্ঠীগুলোকে দুর্বল করা ইসরায়েলের ধারাবাহিক লক্ষ্য। যুদ্ধ, সন্ত্রাসবাদ ও রাজনৈতিক অনুপ্রবেশের মাধ্যমে তারা এই লক্ষ্য পূরণের চেষ্টা করেছে। তবে নিরস্ত্রীকরণের দাবি কেবল প্রচারমূলক কথাবার্তাই বলে তিনি মনে করেন। তাঁর ভাষায়, ‘একটি বা দশটি গোষ্ঠী নিরস্ত্র করলেও বাস্তবতা বদলাবে না। সব ইরাকি ইসরায়েলকে প্রত্যাখ্যান করে এবং প্রয়োজনে তারা নিজেরাই অস্ত্র তুলে নেবে।’ তাঁর মতে, ইসরায়েলি দখলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অক্ষের কৌশলগত ঘাঁটি ইরাক। ফলে ইরাককে দুর্বল করার চেষ্টা আসলে পুরো প্রতিরোধ অক্ষকে দুর্বল করারই অংশ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক হুসেইন আল-কিনানি আল মায়েদিন ইরাককে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র শেষ পর্যন্ত ইরাকের বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে। তাঁর ভাষায়, ‘মার্কিন স্বার্থই ঝুঁকিতে পড়ে গিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিতে প্রতিরোধ গোষ্ঠীর হামলা থামানোর যে সমঝোতা হয়েছিল, সেটিই মূল ভূমিকা রেখেছে।’ তিনি আরও বলেন, বহু ইরাকির কাছে নিরস্ত্রীকরণের ধারণাই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো কোনো সেনাবাহিনী নয়, যাদের ট্যাংক বা যুদ্ধবিমান আছে। বরং তারা জাতীয় মর্যাদা রক্ষার ইচ্ছা ও দখলদারদের মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে এগিয়ে এসেছে। জোর করে অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে—যেমনটি আগেও মার্কিন সেনারা ইরাকের বিভিন্ন শহরে করেছে—তা নতুন করে গৃহযুদ্ধ ডেকে আনতে পারে।
ইসরায়েলের সরাসরি হুমকি আর দেশীয় বিতর্ক ছাড়াও ইরাককে সিরিয়া থেকেও নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী সিরিয়ার ইরাক সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থান করছে। এতে সীমান্ত পেরিয়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা যেমন আছে, তেমনি ইরাকের বিরুদ্ধে নতুন ইসরায়েলি অভিযানের অজুহাতও তৈরি হতে পারে।
এ অবস্থায় বাগদাদ সতর্ক কূটনৈতিক ভঙ্গি বজায় রেখেছে। একদিকে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে, অন্যদিকে কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনও ধরে রাখছে। এতে দেশীয় শান্তি বজায় থাকছে, পাশাপাশি বাইরের পদক্ষেপও হিসেব করে নেওয়া যাচ্ছে। আল-কিনানি বলেন, ‘বিশেষ করে, ইরাক-সিরিয়া সীমান্তকে স্থিতিশীল রাখার জন্য একটি সুস্পষ্ট আন্তর্জাতিক ইচ্ছা রয়েছে। এটা এই কারণে নয় যে ওয়াশিংটন হঠাৎ প্রতিরোধ গোষ্ঠীর পক্ষে গেছে। আসল কারণ হলো, ইসরায়েল ইতিমধ্যেই একাধিক ফ্রন্টে চাপে রয়েছে।’
কিনানি আরও বলেন, উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার আল-হাওল শিবির এই দুর্বলতাকেই উন্মোচিত করছে। সেখানে হাজার হাজার সাবেক আইএস যোদ্ধা ও তাদের পরিবার বসবাস করছে। এই শিবির এখনো চরমপন্থী মতাদর্শ ছড়ানোর বড় কেন্দ্র হিসেবে রয়ে গেছে, যা ইরাকের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। শিবিরটি নিয়ন্ত্রণ করছে কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) এবং এর বেসামরিক শাখা নর্থ অ্যান্ড ইস্ট সিরিয়া স্বায়ত্তশাসিত প্রশাসন।
এই ইস্যুতে শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সশস্ত্রবাহিনী শাখা সেন্ট্রাল কমান্ডের (সেন্টকম) বৈঠকের পর কমান্ডের প্রধান অ্যাডমিরাল ব্র্যাড কুপার বলেন, সিরিয়ার আল-হাওল শিবিরে আটক ও বাস্তুচ্যুত বিদেশি নাগরিকদের নিজ দেশে ফেরানো এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত পদক্ষেপ। তাঁর মতে, এ উদ্যোগ আইএস দমনে কার্যকর হবে এবং তাদের পুনরুত্থান ঠেকাতে সাহায্য করবে।
বাগদাদ এই শিবির ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করলেও বাস্তবে নানা জটিলতা আছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদেশি সরকারগুলো নিজেদের নাগরিককে ফেরাতে রাজি নয়। এতে রাজনৈতিক ও লজিস্টিক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিস্থিতি ইঙ্গিত করছে—ইরাক এখন এমন এক চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে আছে যেখানে নিরাপত্তা হুমকি ঘরোয়া, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক—তিন স্তরেই সক্রিয়।
বর্তমানে ইরাকের অবস্থান নাজুক। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর হুমকি বেপরোয়া হলেও তা সরাসরি সামরিক পদক্ষেপে গড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে না। কারণ, বৈশ্বিক তেলের প্রবাহে ইরাকের গুরুত্ব অনেক। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এক ধরনের ভারসাম্যও টিকে আছে। অন্যদিকে ইরাকে প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোকে নিরস্ত্র করার চেষ্টা বাস্তবসম্মত নয়। কারণ, তারা শুধু সমাজের ভেতরেই মিশে নেই, বরং দখলদারিত্ব আর জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় প্রতিরোধ শক্তি হিসেবেও কাজ করছে।
সিরিয়া সীমান্তও ইরাকের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তবে এ ঝুঁকি তারা পুরোপুরি দূর করতে পারবে না। কেবল কূটনীতি আর সতর্ক নিরাপত্তা নীতি দিয়ে সেটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এমন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে ইরাক একই সঙ্গে দুর্বল ও অপরিহার্য। তাদের স্থিতিশীলতা নির্ভর করছে ভেতরের শক্তি, প্রতিরোধের গ্রহণযোগ্যতা এবং বিশ্ব পরিমণ্ডলের স্বীকৃতির ওপর। বাগদাদ এখন নতুন আঞ্চলিক সংঘাতের ময়দান হবে, নাকি স্থিতিশীলতার কেন্দ্র হয়ে উঠবে—তা শুধু ইরাকের সিদ্ধান্তে নয়, বরং তাদের মিত্র ও প্রতিপক্ষের হিসাব-নিকাশের ওপরও নির্ভর করছে।
লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল–মায়েদিন থেকে অনুবাদ করেছেন আজকের পত্রিকার সহসম্পাদক আব্দুর রহমান

পশ্চিম এশিয়া তথা মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা এখন চরমে। এই অস্থিরতার মধ্যে নতুন করে আলোচনায় এসেছে ইরাক। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের মঞ্চ থেকে সরাসরি ইরাকের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোকে হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এতে প্রশ্ন উঠেছে—ইসরায়েলের লক্ষ্য কী, আর এই বার্তার আসল অর্থ কী?
এই ঘটনা ঘটছে এমন এক সময়ে, যখন ইরাকের ভেতরে প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর কাছে অস্ত্র থাকা নিয়ে তীব্র বিতর্ক চলছে। সামনে নির্বাচনও রয়েছে। তার ওপর সিরিয়া সীমান্ত থেকে আসা হুমকিও অব্যাহত। সব মিলিয়ে ইরাক এখন এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। প্রশ্ন হচ্ছে—বাগদাদ কি ইসরায়েলের যুদ্ধের নতুন ফ্রন্টে পরিণত হতে যাচ্ছে, নাকি টিকে থাকবে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ভঙ্গুর কিন্তু কার্যকর এক ভূমিকা নিয়ে?
গত ২৬ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেওয়া বক্তৃতায় নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে ইরাকের নাম উল্লেখ করে বলেন, প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোকে তাদের পরিণতি ভোগ করতে হবে। জবাবে ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুয়াদ হুসেইন এই হুমকিকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে নিন্দা করেন। তিনি বলেন, একজন ইরাকি নাগরিকের ওপর কোনো হামলা হলে, তা পুরো জাতির ওপর হামলার সমান ধরা হবে।
আল-মায়েদিন ইরাককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বতন্ত্র রাজনীতিক আবু মিসাক আল-মাসার নেতানিয়াহুর হুমকিকে ‘অর্থহীন’ বলে উড়িয়ে দেন। তাঁর মতে, নেতানিয়াহু দুর্বল অবস্থায় আছেন। গাজায় কোনো স্পষ্ট বিজয় তিনি আনতে পারেননি, বন্দীদের মুক্ত করতেও ব্যর্থ হয়েছেন। তাহলে তিনি কোন শক্তিতে এমন অকারণ হুমকি দিচ্ছেন? আল-মাসার বলেন, ইরাকের বিরুদ্ধে কোনো আগ্রাসন চালালে ইসরায়েল নিজেই জড়িয়ে পড়বে ব্যয়বহুল এক বিপদে।
সভরেইন্টি অ্যালায়েন্স পার্টির নেতা আম্মার আল-আজজাওয়ি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা সমর্থন না থাকলে নেতানিয়াহু এমন বক্তব্য দেওয়ার সাহসই পেতেন না। তিনি আরও বলেন, ‘জাতিসংঘে তাঁর বক্তৃতার সময় অর্ধেক হল খালি ছিল। এটি প্রমাণ করে যে, তিনি এখন দুর্বলতম অবস্থায় আছেন। ব্যর্থতা ঢাকতেই তিনি মনোযোগ অন্যদিকে ঘোরাতে চাইছেন।’
আজজাওয়ি আরও বলেন, ‘ইরাক এখন প্রতিরোধ অক্ষের মূল স্তম্ভ হয়ে উঠেছে।’ এসব গোষ্ঠী ইরাকি সমাজ ও রাজনীতির গভীরে প্রোথিত। ফলে নেতানিয়াহুর হুমকি তাদের দুর্বল করেনি, বরং নির্বাচনী সম্ভাবনা আরও শক্তিশালী করেছে। তাঁর ভাষায়, ‘ইসরায়েল ইরাকের মুখোমুখি নীরব থাকতে পারে না, কিন্তু সংঘাতের পরিণতিও সহ্য করতে পারবে না।’
ইসরায়েল বেপরোয়া বক্তব্য দিলেও বাস্তবে ইরাকের সঙ্গে সামরিক সংঘাতে জড়াবে—এমন সম্ভাবনা খুবই কম বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। আল মায়েদিন ইরাককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজনৈতিক বিশ্লেষক আঈদ আল-হিলালি বলেছেন, ‘বাগদাদ, প্রতিরোধ গোষ্ঠী ও ওয়াশিংটনের মধ্যে হওয়া সমঝোতার কারণে এখনো তুলনামূলক শান্ত অবস্থা বিরাজ করছে। এ সমঝোতার পেছনে আন্তর্জাতিকভাবে তেল সরবরাহের স্থিতিশীলতা আর ইরাকে বৈশ্বিক বিনিয়োগের নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।’
ইরাকের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোকে নিরস্ত্র করা বহুদিন ধরেই দেশটির রাজনীতির একটি কেন্দ্রীয় ইস্যু। এদিকে আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরোধ অক্ষকে দুর্বল করার প্রচেষ্টা তীব্রতর হয়েছে। এই কৌশলের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বাগদাদকে ‘ইরান থেকে দূরে’ রাখতে চাপ বাড়িয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ইরাকের চারটি প্রতিরোধ গোষ্ঠী—আল-নুজাবা মুভমেন্ট, কাতাইব সাইয়্যেদ আল-শুহাদা, আনসারুল্লাহ আল-আউফিয়া ও কাতাইব ইমাম আলী—কে তাদের কথিত সন্ত্রাসী তালিকায় যুক্ত করেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক আল-আজজাওয়ি বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকে ইরাকি গোষ্ঠীগুলোকে দুর্বল করা ইসরায়েলের ধারাবাহিক লক্ষ্য। যুদ্ধ, সন্ত্রাসবাদ ও রাজনৈতিক অনুপ্রবেশের মাধ্যমে তারা এই লক্ষ্য পূরণের চেষ্টা করেছে। তবে নিরস্ত্রীকরণের দাবি কেবল প্রচারমূলক কথাবার্তাই বলে তিনি মনে করেন। তাঁর ভাষায়, ‘একটি বা দশটি গোষ্ঠী নিরস্ত্র করলেও বাস্তবতা বদলাবে না। সব ইরাকি ইসরায়েলকে প্রত্যাখ্যান করে এবং প্রয়োজনে তারা নিজেরাই অস্ত্র তুলে নেবে।’ তাঁর মতে, ইসরায়েলি দখলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অক্ষের কৌশলগত ঘাঁটি ইরাক। ফলে ইরাককে দুর্বল করার চেষ্টা আসলে পুরো প্রতিরোধ অক্ষকে দুর্বল করারই অংশ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক হুসেইন আল-কিনানি আল মায়েদিন ইরাককে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র শেষ পর্যন্ত ইরাকের বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে। তাঁর ভাষায়, ‘মার্কিন স্বার্থই ঝুঁকিতে পড়ে গিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিতে প্রতিরোধ গোষ্ঠীর হামলা থামানোর যে সমঝোতা হয়েছিল, সেটিই মূল ভূমিকা রেখেছে।’ তিনি আরও বলেন, বহু ইরাকির কাছে নিরস্ত্রীকরণের ধারণাই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো কোনো সেনাবাহিনী নয়, যাদের ট্যাংক বা যুদ্ধবিমান আছে। বরং তারা জাতীয় মর্যাদা রক্ষার ইচ্ছা ও দখলদারদের মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে এগিয়ে এসেছে। জোর করে অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে—যেমনটি আগেও মার্কিন সেনারা ইরাকের বিভিন্ন শহরে করেছে—তা নতুন করে গৃহযুদ্ধ ডেকে আনতে পারে।
ইসরায়েলের সরাসরি হুমকি আর দেশীয় বিতর্ক ছাড়াও ইরাককে সিরিয়া থেকেও নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী সিরিয়ার ইরাক সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থান করছে। এতে সীমান্ত পেরিয়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা যেমন আছে, তেমনি ইরাকের বিরুদ্ধে নতুন ইসরায়েলি অভিযানের অজুহাতও তৈরি হতে পারে।
এ অবস্থায় বাগদাদ সতর্ক কূটনৈতিক ভঙ্গি বজায় রেখেছে। একদিকে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে, অন্যদিকে কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনও ধরে রাখছে। এতে দেশীয় শান্তি বজায় থাকছে, পাশাপাশি বাইরের পদক্ষেপও হিসেব করে নেওয়া যাচ্ছে। আল-কিনানি বলেন, ‘বিশেষ করে, ইরাক-সিরিয়া সীমান্তকে স্থিতিশীল রাখার জন্য একটি সুস্পষ্ট আন্তর্জাতিক ইচ্ছা রয়েছে। এটা এই কারণে নয় যে ওয়াশিংটন হঠাৎ প্রতিরোধ গোষ্ঠীর পক্ষে গেছে। আসল কারণ হলো, ইসরায়েল ইতিমধ্যেই একাধিক ফ্রন্টে চাপে রয়েছে।’
কিনানি আরও বলেন, উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার আল-হাওল শিবির এই দুর্বলতাকেই উন্মোচিত করছে। সেখানে হাজার হাজার সাবেক আইএস যোদ্ধা ও তাদের পরিবার বসবাস করছে। এই শিবির এখনো চরমপন্থী মতাদর্শ ছড়ানোর বড় কেন্দ্র হিসেবে রয়ে গেছে, যা ইরাকের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। শিবিরটি নিয়ন্ত্রণ করছে কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) এবং এর বেসামরিক শাখা নর্থ অ্যান্ড ইস্ট সিরিয়া স্বায়ত্তশাসিত প্রশাসন।
এই ইস্যুতে শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সশস্ত্রবাহিনী শাখা সেন্ট্রাল কমান্ডের (সেন্টকম) বৈঠকের পর কমান্ডের প্রধান অ্যাডমিরাল ব্র্যাড কুপার বলেন, সিরিয়ার আল-হাওল শিবিরে আটক ও বাস্তুচ্যুত বিদেশি নাগরিকদের নিজ দেশে ফেরানো এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত পদক্ষেপ। তাঁর মতে, এ উদ্যোগ আইএস দমনে কার্যকর হবে এবং তাদের পুনরুত্থান ঠেকাতে সাহায্য করবে।
বাগদাদ এই শিবির ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করলেও বাস্তবে নানা জটিলতা আছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদেশি সরকারগুলো নিজেদের নাগরিককে ফেরাতে রাজি নয়। এতে রাজনৈতিক ও লজিস্টিক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিস্থিতি ইঙ্গিত করছে—ইরাক এখন এমন এক চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে আছে যেখানে নিরাপত্তা হুমকি ঘরোয়া, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক—তিন স্তরেই সক্রিয়।
বর্তমানে ইরাকের অবস্থান নাজুক। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর হুমকি বেপরোয়া হলেও তা সরাসরি সামরিক পদক্ষেপে গড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে না। কারণ, বৈশ্বিক তেলের প্রবাহে ইরাকের গুরুত্ব অনেক। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এক ধরনের ভারসাম্যও টিকে আছে। অন্যদিকে ইরাকে প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোকে নিরস্ত্র করার চেষ্টা বাস্তবসম্মত নয়। কারণ, তারা শুধু সমাজের ভেতরেই মিশে নেই, বরং দখলদারিত্ব আর জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় প্রতিরোধ শক্তি হিসেবেও কাজ করছে।
সিরিয়া সীমান্তও ইরাকের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তবে এ ঝুঁকি তারা পুরোপুরি দূর করতে পারবে না। কেবল কূটনীতি আর সতর্ক নিরাপত্তা নীতি দিয়ে সেটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এমন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে ইরাক একই সঙ্গে দুর্বল ও অপরিহার্য। তাদের স্থিতিশীলতা নির্ভর করছে ভেতরের শক্তি, প্রতিরোধের গ্রহণযোগ্যতা এবং বিশ্ব পরিমণ্ডলের স্বীকৃতির ওপর। বাগদাদ এখন নতুন আঞ্চলিক সংঘাতের ময়দান হবে, নাকি স্থিতিশীলতার কেন্দ্র হয়ে উঠবে—তা শুধু ইরাকের সিদ্ধান্তে নয়, বরং তাদের মিত্র ও প্রতিপক্ষের হিসাব-নিকাশের ওপরও নির্ভর করছে।
লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল–মায়েদিন থেকে অনুবাদ করেছেন আজকের পত্রিকার সহসম্পাদক আব্দুর রহমান

মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি...
২৮ মিনিট আগে
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্র
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
২ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
৬৯ বছর বয়সী এ নেতার ভাষণের ভিডিও ক্লিপটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিজয়বর্গীয় তাঁর বক্তব্যে দাবি করেন, সম্রাট শাহজাহান একটি মন্দিরকে কবরে রূপান্তরিত করে তাজমহল নির্মাণ করেছিলেন।
বিজয়বর্গীয় বলেন, মমতাজকে প্রথমে বুরহানপুরে সমাহিত করা হয়েছিল। পরে তাঁর দেহ এমন একটি স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়, যেখানে একটি মন্দির নির্মাণ করা হচ্ছিল। সেই মন্দিরের ওপরই বর্তমান তাজমহল দাঁড়িয়ে রয়েছে।
একই অনুষ্ঠানে বিজেপির জাতীয় কার্যকরী সভাপতি নীতিন নবীনের উদ্দেশে বিজয়বর্গীয় বলেন, বিহারে জন্ম নিলেই যে একজন মানুষকে নম্র হতে হবে, তার কোনো মানে নেই, তবে নীতিন নবীন অত্যন্ত নম্রতার সঙ্গে এগিয়ে গেছেন। তাঁর এই মন্তব্যকে বিহারিদের প্রতি অবমাননাকর হিসেবে দেখছেন অনেকে।
বিজয়বর্গীয়ের এ বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র ভূপেন্দ্র গুপ্ত বলেন, বিজেপি মন্ত্রীরা সব সীমা লঙ্ঘন করছেন এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। ভূপেন্দ্র গুপ্ত বিদ্রূপ করে বলেন, একজন মন্ত্রী বলছেন ভাস্কো দা গামা ভারত আবিষ্কার করেননি, আরেকজন বলছেন তাজমহল আসলে মন্দির। তাঁদের উচিত বিশ্ববাসীর জন্য ইতিহাসের একটি নতুন বই লেখা। তাহলেই বোঝা যাবে, পৃথিবী তাঁদের সম্পর্কে কী ভাবে।
ভূপেন্দ্র প্রশ্ন তোলেন, যদি বিহারিদের সম্পর্কে বিজেপির এমন নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকে, তবে কেন তারা সেখানে নীতীশ কুমারের সঙ্গে জোট বেঁধে রাজনীতি করছে?
তবে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের জন্য বিতর্ক নতুন কিছু নয়। এর আগেও তিনি একাধিকবার আপত্তিকর মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন।
সম্প্রতি ইন্দোরে দুই অস্ট্রেলীয় নারী ক্রিকেটার হেনস্তার শিকার হলে তিনি দায়ীদের ধরার বদলে খেলোয়াড়দেরই ‘শিক্ষা নেওয়া’র পরামর্শ দিয়েছিলেন। নারীদের পোশাক নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে তিনি এর আগে বলেছিলেন, ‘অল্প পোশাকে’ মেয়েদের দেখলে তাঁর ভালো লাগে না। এ ছাড়া রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর আন্তরিকতাকে ‘বিদেশি মূল্যবোধ’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি।
অনেকে বলছেন, তাজমহল নিয়ে এমন দাবি উগ্র ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে আগে থেকেই ছিল। তবে একজন দায়িত্বশীল কেবিনেট মন্ত্রীর মুখে এমন কথা সামাজিক মেরুকরণকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
ভারত, মধ্যপ্রদেশ, তাজমহল, বিতর্ক, মন্তব্য, মন্ত্রী, মন্দির, ইতিহাস

মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
৬৯ বছর বয়সী এ নেতার ভাষণের ভিডিও ক্লিপটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিজয়বর্গীয় তাঁর বক্তব্যে দাবি করেন, সম্রাট শাহজাহান একটি মন্দিরকে কবরে রূপান্তরিত করে তাজমহল নির্মাণ করেছিলেন।
বিজয়বর্গীয় বলেন, মমতাজকে প্রথমে বুরহানপুরে সমাহিত করা হয়েছিল। পরে তাঁর দেহ এমন একটি স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়, যেখানে একটি মন্দির নির্মাণ করা হচ্ছিল। সেই মন্দিরের ওপরই বর্তমান তাজমহল দাঁড়িয়ে রয়েছে।
একই অনুষ্ঠানে বিজেপির জাতীয় কার্যকরী সভাপতি নীতিন নবীনের উদ্দেশে বিজয়বর্গীয় বলেন, বিহারে জন্ম নিলেই যে একজন মানুষকে নম্র হতে হবে, তার কোনো মানে নেই, তবে নীতিন নবীন অত্যন্ত নম্রতার সঙ্গে এগিয়ে গেছেন। তাঁর এই মন্তব্যকে বিহারিদের প্রতি অবমাননাকর হিসেবে দেখছেন অনেকে।
বিজয়বর্গীয়ের এ বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র ভূপেন্দ্র গুপ্ত বলেন, বিজেপি মন্ত্রীরা সব সীমা লঙ্ঘন করছেন এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। ভূপেন্দ্র গুপ্ত বিদ্রূপ করে বলেন, একজন মন্ত্রী বলছেন ভাস্কো দা গামা ভারত আবিষ্কার করেননি, আরেকজন বলছেন তাজমহল আসলে মন্দির। তাঁদের উচিত বিশ্ববাসীর জন্য ইতিহাসের একটি নতুন বই লেখা। তাহলেই বোঝা যাবে, পৃথিবী তাঁদের সম্পর্কে কী ভাবে।
ভূপেন্দ্র প্রশ্ন তোলেন, যদি বিহারিদের সম্পর্কে বিজেপির এমন নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকে, তবে কেন তারা সেখানে নীতীশ কুমারের সঙ্গে জোট বেঁধে রাজনীতি করছে?
তবে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের জন্য বিতর্ক নতুন কিছু নয়। এর আগেও তিনি একাধিকবার আপত্তিকর মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন।
সম্প্রতি ইন্দোরে দুই অস্ট্রেলীয় নারী ক্রিকেটার হেনস্তার শিকার হলে তিনি দায়ীদের ধরার বদলে খেলোয়াড়দেরই ‘শিক্ষা নেওয়া’র পরামর্শ দিয়েছিলেন। নারীদের পোশাক নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে তিনি এর আগে বলেছিলেন, ‘অল্প পোশাকে’ মেয়েদের দেখলে তাঁর ভালো লাগে না। এ ছাড়া রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর আন্তরিকতাকে ‘বিদেশি মূল্যবোধ’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি।
অনেকে বলছেন, তাজমহল নিয়ে এমন দাবি উগ্র ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে আগে থেকেই ছিল। তবে একজন দায়িত্বশীল কেবিনেট মন্ত্রীর মুখে এমন কথা সামাজিক মেরুকরণকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
ভারত, মধ্যপ্রদেশ, তাজমহল, বিতর্ক, মন্তব্য, মন্ত্রী, মন্দির, ইতিহাস

এই ঘটনা ঘটছে এমন এক সময়ে, যখন ইরাকের ভেতরে প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর কাছে অস্ত্র থাকা নিয়ে তীব্র বিতর্ক চলছে। সামনে নির্বাচনও রয়েছে। তার ওপর সিরিয়া সীমান্ত থেকে আসা হুমকিও অব্যাহত। সব মিলিয়ে ইরাক এখন এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে।
০১ অক্টোবর ২০২৫
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্র
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
২ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্রিক নানা বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেছে।
নলবাড়ির সিনিয়র পুলিশ সুপার বিবেকানন্দ দাস ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, পানিগাঁওয়ের সেন্ট মেরিস ইংলিশ স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় অভিযোগ করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা স্কুলের বড়দিনের সাজসজ্জা নষ্ট করার পাশাপাশি শহরের একটি দোকানে বিক্রি হওয়া ক্রিসমাস অর্নামেন্টও ভাঙচুর করেন।
তবে বড়দিন উদ্যাপনের সময় সবচেয়ে বেশি উত্তেজনার খবর পাওয়া গেছে বিজেপিশাসিত রাজ্য ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে। ছত্তিশগড়ে রাজধানী রায়পুরের ম্যাগনেটো মলে লাঠিসোঁটা নিয়ে একদল লোক অতর্কিতে হামলা চালান এবং বড়দিনের সব সাজসজ্জা গুঁড়িয়ে দেন। কথিত ধর্মান্তরের প্রতিবাদে ‘সর্ব হিন্দু সমাজ’-এর ডাকা ধর্মঘট চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এফআইআর করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এদিকে বিজেপিশাসিত আরেক রাজ্য মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলায় একটি গির্জায় প্রার্থনা চলাকালে কট্টরপন্থী বজরং দলের কর্মীরা ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিয়ে ভেতরে ঢুকে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। এ ছাড়া কাটঙ্গা এলাকায় এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিজেপি নেত্রী অঞ্জু ভার্গবের বিরুদ্ধে। ওই নারীর অপরাধ ছিল, তিনি বড়দিন উদ্যাপনে গির্জায় গিয়েছিলেন। যদিও ওই নারী স্পষ্ট করেছেন, বড়দিন পালন করা মানেই ধর্ম পরিবর্তন করা নয়।
রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগর জেলায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এক বিতর্কিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো স্কুল শিশুদের ‘সান্তা ক্লজ’ সাজতে বাধ্য করতে পারবে না। স্থানীয় এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়, যেখানে দাবি করা হয়েছে—সনাতন ধর্মাবলম্বী-অধ্যুষিত এই এলাকায় শিশুদের ওপর খ্রিষ্টীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রাজধানী দিল্লির লাজপতনগর এলাকায় বড়দিনের টুপি পরা একদল নারীকে হেনস্তা করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বজরং দলের সদস্যরা ওই নারীদের ধর্মান্তরচেষ্টার অভিযোগে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেন। তবে দিল্লি পুলিশ বিষয়টিকে ‘তুচ্ছ ব্যক্তিগত বিতর্ক’ হিসেবে অভিহিত করে কোনো মামলা নেয়নি।

ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্রিক নানা বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটেছে।
নলবাড়ির সিনিয়র পুলিশ সুপার বিবেকানন্দ দাস ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, পানিগাঁওয়ের সেন্ট মেরিস ইংলিশ স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় অভিযোগ করেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা স্কুলের বড়দিনের সাজসজ্জা নষ্ট করার পাশাপাশি শহরের একটি দোকানে বিক্রি হওয়া ক্রিসমাস অর্নামেন্টও ভাঙচুর করেন।
তবে বড়দিন উদ্যাপনের সময় সবচেয়ে বেশি উত্তেজনার খবর পাওয়া গেছে বিজেপিশাসিত রাজ্য ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে। ছত্তিশগড়ে রাজধানী রায়পুরের ম্যাগনেটো মলে লাঠিসোঁটা নিয়ে একদল লোক অতর্কিতে হামলা চালান এবং বড়দিনের সব সাজসজ্জা গুঁড়িয়ে দেন। কথিত ধর্মান্তরের প্রতিবাদে ‘সর্ব হিন্দু সমাজ’-এর ডাকা ধর্মঘট চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এফআইআর করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এদিকে বিজেপিশাসিত আরেক রাজ্য মধ্যপ্রদেশের জবলপুর জেলায় একটি গির্জায় প্রার্থনা চলাকালে কট্টরপন্থী বজরং দলের কর্মীরা ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিয়ে ভেতরে ঢুকে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। এ ছাড়া কাটঙ্গা এলাকায় এক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নারীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিজেপি নেত্রী অঞ্জু ভার্গবের বিরুদ্ধে। ওই নারীর অপরাধ ছিল, তিনি বড়দিন উদ্যাপনে গির্জায় গিয়েছিলেন। যদিও ওই নারী স্পষ্ট করেছেন, বড়দিন পালন করা মানেই ধর্ম পরিবর্তন করা নয়।
রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগর জেলায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এক বিতর্কিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো স্কুল শিশুদের ‘সান্তা ক্লজ’ সাজতে বাধ্য করতে পারবে না। স্থানীয় এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়, যেখানে দাবি করা হয়েছে—সনাতন ধর্মাবলম্বী-অধ্যুষিত এই এলাকায় শিশুদের ওপর খ্রিষ্টীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রাজধানী দিল্লির লাজপতনগর এলাকায় বড়দিনের টুপি পরা একদল নারীকে হেনস্তা করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বজরং দলের সদস্যরা ওই নারীদের ধর্মান্তরচেষ্টার অভিযোগে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেন। তবে দিল্লি পুলিশ বিষয়টিকে ‘তুচ্ছ ব্যক্তিগত বিতর্ক’ হিসেবে অভিহিত করে কোনো মামলা নেয়নি।

এই ঘটনা ঘটছে এমন এক সময়ে, যখন ইরাকের ভেতরে প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর কাছে অস্ত্র থাকা নিয়ে তীব্র বিতর্ক চলছে। সামনে নির্বাচনও রয়েছে। তার ওপর সিরিয়া সীমান্ত থেকে আসা হুমকিও অব্যাহত। সব মিলিয়ে ইরাক এখন এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে।
০১ অক্টোবর ২০২৫
মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি...
২৮ মিনিট আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
২ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক বিশ্বাস ও ঐক্য দখল করতে পারবে না।
পুতিনের নাম সরাসরি উল্লেখ না করলেও জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ আমরা সবাই একটি স্বপ্ন ভাগ করে নিচ্ছি। আর আমাদের সবার একটিই কামনা—সে ধ্বংস হোক; যেমনটা সবাই মনে মনে বলে।’ এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জেলেনস্কির এই ভাষণ এমন এক সময়ে এল, যখন বড়দিনের আগের দিনই রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ওই হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন এবং বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
জেলেনস্কি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘ক্রিসমাসের প্রাক্কালে রুশরা আবারও দেখিয়েছে তারা আসলে কারা। ব্যাপক গোলাবর্ষণ, শত শত শাহেদ ড্রোন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, কিনঝাল হামলা—সবকিছুই ব্যবহার করা হয়েছে। এটাই ঈশ্বরহীন আঘাত।’
তবে যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যেও শান্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তখন অবশ্যই আরও বড় কিছুর জন্য চাই। আমরা ইউক্রেনের জন্য শান্তি চাই। আমরা এর জন্য লড়ছি, প্রার্থনা করছি এবং আমরা এটি পাওয়ার যোগ্য।’
একই সময়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে একটি ২০ দফা পরিকল্পনার কথাও জানান। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি বলেন—শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইউক্রেন দেশের পূর্বাঞ্চলীয় শিল্পাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে পারে, তবে শর্ত হলো রাশিয়াকেও একইভাবে সেনা সরাতে হবে এবং ওই অঞ্চল আন্তর্জাতিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে নিরস্ত্রীকৃত এলাকায় পরিণত করতে হবে।
দনবাস অঞ্চল নিয়ে এটিই এখন পর্যন্ত জেলেনস্কির সবচেয়ে স্পষ্ট সমঝোতার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। একই ধরনের ব্যবস্থা রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশের এলাকাতেও প্রযোজ্য হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে যে কোনো শান্তি পরিকল্পনাই গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হতে হবে বলে জোর দেন জেলেনস্কি।
এদিকে রাশিয়া এখনো দখলকৃত অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়নি। বর্তমানে লুহানস্কের অধিকাংশ ও দোনেৎস্কের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক বিশ্বাস ও ঐক্য দখল করতে পারবে না।
পুতিনের নাম সরাসরি উল্লেখ না করলেও জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ আমরা সবাই একটি স্বপ্ন ভাগ করে নিচ্ছি। আর আমাদের সবার একটিই কামনা—সে ধ্বংস হোক; যেমনটা সবাই মনে মনে বলে।’ এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জেলেনস্কির এই ভাষণ এমন এক সময়ে এল, যখন বড়দিনের আগের দিনই রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ওই হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন এবং বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
জেলেনস্কি তাঁর ভাষণে বলেন, ‘ক্রিসমাসের প্রাক্কালে রুশরা আবারও দেখিয়েছে তারা আসলে কারা। ব্যাপক গোলাবর্ষণ, শত শত শাহেদ ড্রোন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, কিনঝাল হামলা—সবকিছুই ব্যবহার করা হয়েছে। এটাই ঈশ্বরহীন আঘাত।’
তবে যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যেও শান্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, তখন অবশ্যই আরও বড় কিছুর জন্য চাই। আমরা ইউক্রেনের জন্য শান্তি চাই। আমরা এর জন্য লড়ছি, প্রার্থনা করছি এবং আমরা এটি পাওয়ার যোগ্য।’
একই সময়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি যুদ্ধ শেষ করার লক্ষ্যে একটি ২০ দফা পরিকল্পনার কথাও জানান। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি বলেন—শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইউক্রেন দেশের পূর্বাঞ্চলীয় শিল্পাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে পারে, তবে শর্ত হলো রাশিয়াকেও একইভাবে সেনা সরাতে হবে এবং ওই অঞ্চল আন্তর্জাতিক বাহিনীর তত্ত্বাবধানে নিরস্ত্রীকৃত এলাকায় পরিণত করতে হবে।
দনবাস অঞ্চল নিয়ে এটিই এখন পর্যন্ত জেলেনস্কির সবচেয়ে স্পষ্ট সমঝোতার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। একই ধরনের ব্যবস্থা রাশিয়ার দখলে থাকা জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশের এলাকাতেও প্রযোজ্য হতে পারে বলে জানান তিনি। তবে যে কোনো শান্তি পরিকল্পনাই গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদিত হতে হবে বলে জোর দেন জেলেনস্কি।
এদিকে রাশিয়া এখনো দখলকৃত অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়নি। বর্তমানে লুহানস্কের অধিকাংশ ও দোনেৎস্কের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এই ঘটনা ঘটছে এমন এক সময়ে, যখন ইরাকের ভেতরে প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর কাছে অস্ত্র থাকা নিয়ে তীব্র বিতর্ক চলছে। সামনে নির্বাচনও রয়েছে। তার ওপর সিরিয়া সীমান্ত থেকে আসা হুমকিও অব্যাহত। সব মিলিয়ে ইরাক এখন এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে।
০১ অক্টোবর ২০২৫
মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি...
২৮ মিনিট আগে
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্র
২ ঘণ্টা আগে
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ গত চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ে কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ওডিশার কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (৬৯) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই অভিযানে গণেশসহ চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ওডিশা পুলিশ। নিহত গণেশ উইকে মাওবাদীদের ‘সেন্ট্রাল কমিটি’র (সিসি) সদস্য এবং ওডিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ওডিশায় মাওবাদীবিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এএনও) সঞ্জীব পান্ডা জানান, কান্ধামাল জেলার চাকাপাদা থানা এলাকায় রাম্ভা বন রেঞ্জের কাছে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে কান্ধামাল জেলায় মোট ছয়জন মাওবাদী নিহত হলেন।
গণেশ উইকেকে বলা হতো মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’। গণেশ উইকে ‘রূপা’, ‘রাজেশ তিওয়ারি’, ‘পাক্কা হনুমন্তু’সহ একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। গণেশ উইকেকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ রুপি।
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ের কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে বেলঘর থানা এলাকার গুম্মা জঙ্গলে প্রথম সংঘর্ষে দুজন মাওবাদী নিহত হন। এরপর আজ সকালে চাকাপাদা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় ওডিশা পুলিশের এসওজি, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী। আজকের অভিযানে দুই নারী, দুই পুরুষসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল।
এনকাউন্টারস্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল ও একটি পয়েন্ট থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সফলতাকে ‘নকশালমুক্ত ভারত’ গড়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণেশ উইকের নিধন ওডিশাকে মাওবাদীমুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, এই অভিযানের ঠিক দুই দিন আগে মালকানগিরি জেলায় ২২ জন মাওবাদী ওডিশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের এ পতন এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

ওডিশার কান্ধামাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের অন্যতম শীর্ষ মাওবাদী নেতা গণেশ উইকে (৬৯) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে এই অভিযানে গণেশসহ চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে ওডিশা পুলিশ। নিহত গণেশ উইকে মাওবাদীদের ‘সেন্ট্রাল কমিটি’র (সিসি) সদস্য এবং ওডিশার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি ওডিশায় মাওবাদীবিরোধী অভিযানের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল (এএনও) সঞ্জীব পান্ডা জানান, কান্ধামাল জেলার চাকাপাদা থানা এলাকায় রাম্ভা বন রেঞ্জের কাছে এই এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত দুই দিনে কান্ধামাল জেলায় মোট ছয়জন মাওবাদী নিহত হলেন।
গণেশ উইকেকে বলা হতো মাওবাদীদের ‘মস্তিষ্ক’। গণেশ উইকে ‘রূপা’, ‘রাজেশ তিওয়ারি’, ‘পাক্কা হনুমন্তু’সহ একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত ছিলেন। গণেশ উইকেকে ধরতে তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ রুপি।
তেলেঙ্গানার নালগোন্ডা জেলার বাসিন্দা গণেশ চার দশক ধরে মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
২০১৩ সালের ছত্তিশগড়ের কুখ্যাত ‘ঝিরম ঘাঁটি’ গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এই গণেশ উইকে। সেখানে শীর্ষ কংগ্রেস নেতাসহ ৩২ জন নিহত হয়েছিলেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার রাতে বেলঘর থানা এলাকার গুম্মা জঙ্গলে প্রথম সংঘর্ষে দুজন মাওবাদী নিহত হন। এরপর আজ সকালে চাকাপাদা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় অভিযান চালায় ওডিশা পুলিশের এসওজি, সিআরপিএফ এবং বিএসএফের যৌথ বাহিনী। আজকের অভিযানে দুই নারী, দুই পুরুষসহ মোট চারজন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরনে ইউনিফর্ম ছিল।
এনকাউন্টারস্থল থেকে দুটি ইনসাস রাইফেল ও একটি পয়েন্ট থ্রি জিরো থ্রি রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সফলতাকে ‘নকশালমুক্ত ভারত’ গড়ার পথে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী সন্ত্রাস নির্মূল করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গণেশ উইকের নিধন ওডিশাকে মাওবাদীমুক্ত করার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।’
উল্লেখ্য, এই অভিযানের ঠিক দুই দিন আগে মালকানগিরি জেলায় ২২ জন মাওবাদী ওডিশা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্বের এ পতন এই অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।

এই ঘটনা ঘটছে এমন এক সময়ে, যখন ইরাকের ভেতরে প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর কাছে অস্ত্র থাকা নিয়ে তীব্র বিতর্ক চলছে। সামনে নির্বাচনও রয়েছে। তার ওপর সিরিয়া সীমান্ত থেকে আসা হুমকিও অব্যাহত। সব মিলিয়ে ইরাক এখন এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে।
০১ অক্টোবর ২০২৫
মুঘল স্থাপত্যের বিস্ময় তাজমহল আসলে একসময় মন্দির ছিল—এমন দাবি করে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের নগর প্রশাসনমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সাগর জেলার বিনা শহরে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি...
২৮ মিনিট আগে
ভারতে বড়দিন উদ্যাপনের প্রাক্কালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা ও হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আসামের নলবাড়ি শহরে একটি মিশনারি স্কুলে ভাঙচুর চালান কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের একদল কর্মী। এক সপ্তাহ ধরে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও দিল্লিতে বড়দিনকেন্দ্র
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ক্রিসমাস উপলক্ষে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মৃত্যুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। বড়দিনের আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা ওই বার্তায় তিনি বলেন—রাশিয়া যত কষ্টই চাপিয়ে দিক না কেন, তারা ইউক্রেনীয়দের হৃদয়, পারস্পরিক
২ ঘণ্টা আগে