আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলায় বিরামের কোন লক্ষণ নেই। গতকাল রোববার বিকেলে দুই পক্ষ নতুন করে হামলা চালায়। গতকালই প্রথম দিনের আলোয় হামলা চালিয়েছে তারা। গতকাল বিকেলে তেহরানের বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। অন্যদিকে ইসরায়েলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফা, তেল আবিবসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে ইরান। দুপক্ষেই ধ্বংসযজ্ঞের নতুন চিত্র উঠে আসছে।
ইরানের হামলায় ইসরায়েলে আরও কয়েকজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে গতকাল খানিকটা সুর নরম করে ইরান বলেছে, ইসরায়েল যদি হামলা বন্ধ করে তবে তারাও হামলা
বন্ধ করবে। এদিকে ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরান ও ইসরায়েলের উচিত একটি চুক্তি করা। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘ভারত ও পাকিস্তানের মত করে’ তারা একটি চুক্তি করবে।
ইরান-ইসরায়েলে যত হতাহত
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে গতকাল বিবিসি জানায়, গত শনিবার দুপুর পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় ইরানে অন্তত ১২৮ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ৮০০ জন। তবে এই সংখ্যার সঙ্গে বিভিন্ন সংস্থার দেওয়া তথ্যের কিছু গড়মিল দেখা গেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের এক খবরে বলা হয়, শুধু তেহরানে একটি ভবনে হামলায় ২০ শিশুসহ ৬০ জন নিহত হয়েছে। পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর জানিয়েছেন, সেখানে মারা গেছে ৩০ জন। এদিকে তেহরান থেকে দুই দিন আগে জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা জানিয়েছিলেন, ইসরায়েলের হামলায় ৭৮ জন ইরানি নিহত হয়েছে; আহত হয়েছে ৩২০ জন। বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে হতাহতের বিভিন্ন সংখ্যা আসায় সঠিক সংখ্যা কত, সেটা জানা যাচ্ছে না।
এ ছাড়া ইরানের হামলায় গতকাল দুপুর পর্যন্ত ১৩ ইসরায়েলি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ইরানের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা
ইসরায়েলের হামলা থেকে জনসাধারণকে বাঁচাতে তেহরানে নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, শহরটির পাতাল রেলস্টেশন (মেট্রোরেল), স্কুল ও মসজিদ খুলে দেওয়া হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে। এ ছাড়া নিরাপত্তার জন্য অনেকে তেহরান শহর ছেড়ে যাচ্ছে।
শহর কাউন্সিলের চিফ মেহদি বলেন, তেহরান ও অন্য শহরগুলোয় বোমা হামলা থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র নেই। তিনি বলেন, মানুষ বোমার আঘাত থেকে বাঁচতে ভবনের বেসমেন্টে আশ্রয় নিচ্ছে।
আতঙ্কে ইসরায়েলিরা
এদিকে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র থেকে বাঁচতে শহরজুড়ে সতর্ক সংকেত বাজার পর ইসরায়েলিরা নির্ধারিত আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিচ্ছে। অনেক ইসরায়েলি বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যাচ্ছে। এরপরও হতাহতের হাত থেকে রক্ষা পায়নি অনেকে।
ইরানের হামলা শুরুর পর তেল আবিবের মানুষের জীবনযাপন নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি। এতে বলা হয়েছে, যখন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়, তখন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় শিশুরা ঘুমিয়ে থাকে। তবে জেগে থাকেন প্রাপ্তবয়স্করা, যাতে নিজেদের রক্ষা করা যায়। তেল আবিবের নোয়া এফরন নামের বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা এখন ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে কথা বলি। কোন ক্ষেপণাস্ত্র কতটা কাছে আঘাত হানল, কতটা বড় ক্ষেপণাস্ত্র কিংবা এই ক্ষেপণাস্ত্রই শেষ কি না, এসব নিয়ে কথা বলি।’ ইরানের হামলা শুরুর পর তাঁদের জীবন বদলে গেছে বলে মনে করেন এফরন।
গত শনিবার ইসরায়েলের বাত ইয়াম শহরে হামলা করেছে ইরান। এ শহরে দোকান আছে রোমান গরব্যাচের। হামলায় তাঁর দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি সরকারের ওপর নির্ভর করতে পারছি না। আমি এখন কী করব, কোথায় যাব, এই যে দোকানের ক্ষতি হয়েছে, এই ক্ষতিপূরণ কে দেবে?’
নতুন করে হুমকি
দুই পক্ষ থেকেই নতুন করে হুমকি এসেছে। ইরানের হামলার পর গতকাল একটি ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শন করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, এসব হামলার জন্য ইরানকে চড়া মূল্য দিতে হবে।
তবে গতকাল খানিকটা সুর নরম করেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেন, ইসরায়েল যদি হামলা বন্ধ করে, তবে ইরানও হামলা বন্ধ করবে।
এই পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেছেন, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘাত থামবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ইরান ও ইসরায়েলের উচিত একটি চুক্তি করা এবং তারা একটি চুক্তি করবে। এই চুক্তিতে তিনি মধ্যস্থতা করবেন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, এই সংঘাত থামাতে বিভিন্ন পক্ষ আলোচনা করছে। এসব আলোচনা তিনি প্রভাবিত করছেন, যাতে সংঘাত থামে।
তবে এই সংঘাতের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকেই দায়ী করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। তিনি বলেছেন, এই সংঘাতে সরাসরি ভূমিকা রাখছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া ইসরায়েলের হামলার সমুচিত জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলায় বিরামের কোন লক্ষণ নেই। গতকাল রোববার বিকেলে দুই পক্ষ নতুন করে হামলা চালায়। গতকালই প্রথম দিনের আলোয় হামলা চালিয়েছে তারা। গতকাল বিকেলে তেহরানের বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। অন্যদিকে ইসরায়েলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফা, তেল আবিবসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে ইরান। দুপক্ষেই ধ্বংসযজ্ঞের নতুন চিত্র উঠে আসছে।
ইরানের হামলায় ইসরায়েলে আরও কয়েকজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে গতকাল খানিকটা সুর নরম করে ইরান বলেছে, ইসরায়েল যদি হামলা বন্ধ করে তবে তারাও হামলা
বন্ধ করবে। এদিকে ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরান ও ইসরায়েলের উচিত একটি চুক্তি করা। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘ভারত ও পাকিস্তানের মত করে’ তারা একটি চুক্তি করবে।
ইরান-ইসরায়েলে যত হতাহত
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে গতকাল বিবিসি জানায়, গত শনিবার দুপুর পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় ইরানে অন্তত ১২৮ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ৮০০ জন। তবে এই সংখ্যার সঙ্গে বিভিন্ন সংস্থার দেওয়া তথ্যের কিছু গড়মিল দেখা গেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের এক খবরে বলা হয়, শুধু তেহরানে একটি ভবনে হামলায় ২০ শিশুসহ ৬০ জন নিহত হয়েছে। পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর জানিয়েছেন, সেখানে মারা গেছে ৩০ জন। এদিকে তেহরান থেকে দুই দিন আগে জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা জানিয়েছিলেন, ইসরায়েলের হামলায় ৭৮ জন ইরানি নিহত হয়েছে; আহত হয়েছে ৩২০ জন। বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে হতাহতের বিভিন্ন সংখ্যা আসায় সঠিক সংখ্যা কত, সেটা জানা যাচ্ছে না।
এ ছাড়া ইরানের হামলায় গতকাল দুপুর পর্যন্ত ১৩ ইসরায়েলি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ইরানের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা
ইসরায়েলের হামলা থেকে জনসাধারণকে বাঁচাতে তেহরানে নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, শহরটির পাতাল রেলস্টেশন (মেট্রোরেল), স্কুল ও মসজিদ খুলে দেওয়া হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে। এ ছাড়া নিরাপত্তার জন্য অনেকে তেহরান শহর ছেড়ে যাচ্ছে।
শহর কাউন্সিলের চিফ মেহদি বলেন, তেহরান ও অন্য শহরগুলোয় বোমা হামলা থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র নেই। তিনি বলেন, মানুষ বোমার আঘাত থেকে বাঁচতে ভবনের বেসমেন্টে আশ্রয় নিচ্ছে।
আতঙ্কে ইসরায়েলিরা
এদিকে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র থেকে বাঁচতে শহরজুড়ে সতর্ক সংকেত বাজার পর ইসরায়েলিরা নির্ধারিত আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিচ্ছে। অনেক ইসরায়েলি বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যাচ্ছে। এরপরও হতাহতের হাত থেকে রক্ষা পায়নি অনেকে।
ইরানের হামলা শুরুর পর তেল আবিবের মানুষের জীবনযাপন নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি। এতে বলা হয়েছে, যখন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়, তখন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় শিশুরা ঘুমিয়ে থাকে। তবে জেগে থাকেন প্রাপ্তবয়স্করা, যাতে নিজেদের রক্ষা করা যায়। তেল আবিবের নোয়া এফরন নামের বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা এখন ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে কথা বলি। কোন ক্ষেপণাস্ত্র কতটা কাছে আঘাত হানল, কতটা বড় ক্ষেপণাস্ত্র কিংবা এই ক্ষেপণাস্ত্রই শেষ কি না, এসব নিয়ে কথা বলি।’ ইরানের হামলা শুরুর পর তাঁদের জীবন বদলে গেছে বলে মনে করেন এফরন।
গত শনিবার ইসরায়েলের বাত ইয়াম শহরে হামলা করেছে ইরান। এ শহরে দোকান আছে রোমান গরব্যাচের। হামলায় তাঁর দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি সরকারের ওপর নির্ভর করতে পারছি না। আমি এখন কী করব, কোথায় যাব, এই যে দোকানের ক্ষতি হয়েছে, এই ক্ষতিপূরণ কে দেবে?’
নতুন করে হুমকি
দুই পক্ষ থেকেই নতুন করে হুমকি এসেছে। ইরানের হামলার পর গতকাল একটি ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শন করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, এসব হামলার জন্য ইরানকে চড়া মূল্য দিতে হবে।
তবে গতকাল খানিকটা সুর নরম করেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেন, ইসরায়েল যদি হামলা বন্ধ করে, তবে ইরানও হামলা বন্ধ করবে।
এই পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেছেন, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘাত থামবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ইরান ও ইসরায়েলের উচিত একটি চুক্তি করা এবং তারা একটি চুক্তি করবে। এই চুক্তিতে তিনি মধ্যস্থতা করবেন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, এই সংঘাত থামাতে বিভিন্ন পক্ষ আলোচনা করছে। এসব আলোচনা তিনি প্রভাবিত করছেন, যাতে সংঘাত থামে।
তবে এই সংঘাতের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকেই দায়ী করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। তিনি বলেছেন, এই সংঘাতে সরাসরি ভূমিকা রাখছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া ইসরায়েলের হামলার সমুচিত জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
পারস্য উপসাগরের উপকূলে ইরানের বুশেহর শহরে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি কোনো হামলার শিকার হয়, তবে তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। শুধু ইরান নয়, পুরো উপসাগরীয় অঞ্চল পড়বে বিপদের মুখে।
৭ ঘণ্টা আগেবি-২ বিমানের সঙ্গে ছিল চারটি বোয়িং কেসি-৪৬ পেগাসাস ফুয়েল ট্যাংকার। এর মধ্যে দুটি ইতিমধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরের আকাশে বি-২ বোমারুতে জ্বালানি সরবরাহ করেছে। বাকি দুটি প্রায় ৭৫ কিলোমিটার পেছনে অবস্থান করছে।
৭ ঘণ্টা আগেসামরিক শক্তিতে বরাবরই নিজেকে অপরাজেয় হিসেবে জাহির করা ইসরায়েলকে সত্যিই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে ইরান। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলকে ইতিমধ্যেই ব্যতিব্যস্ত করার পর গতকাল শনিবার দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে সফল ড্রোন হামলা চালায় ইরান। ইরানের দুটি ড্রোন ইসরায়েলের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে...
৮ ঘণ্টা আগেইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাত নবম দিনে গড়িয়েছে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের পক্ষে সরাসরি ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে লোহিতসাগরে মার্কিন জাহাজগুলোতে হামলা চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। হুতি বিদ্রোহীদের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে
৮ ঘণ্টা আগে