পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেন মধ্যপ্রাচ্যে বিশেষ করে সিরিয়ায় সন্ত্রাসবাদীদের সহায়তা করছে বলে অভিযোগ করেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল শুক্রবার ইউক্রেনকে পশ্চিম এশিয়া তথা মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সহায়তা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন এবং অস্থিরতা সৃষ্টির অভিযোগ এনেছে তেহরান।
ইরানের মেহের নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী এবং ইউরেশিয়া বিভাগের পরিচালক মুজতবা দামিরচিলু এই অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘কিছু প্রতিবেদনে এমন তথ্য পাওয়া গেছে যে, ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা অস্ত্র অবৈধভাবে ব্যবসা করেছে এবং এসব অস্ত্র সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর হাতে পৌঁছানো হয়েছে।’
ইরানের এই কর্মকর্তা এসব কর্মকাণ্ডকে ‘সন্ত্রাসবিরোধী আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘনের স্পষ্ট উদাহরণ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর দ্বারা সৃষ্ট হুমকি তুলে ধরে, তিনি ইউক্রেনের এই গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে অঞ্চলে অস্থিরতা সৃষ্টিকে আন্তর্জাতিক নীতির পরিপন্থী বলেছেন।
ইরানি কূটনীতিক কিয়েভের পক্ষ থেকে বারবার তেহরানকে রাশিয়াকে ড্রোন এবং অন্যান্য সামরিক সহায়তা দেওয়ার অভিযোগের উত্তরও দিয়েছেন। দামিরচিলু এই অভিযোগগুলোকে ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করেছেন এবং ইরানের দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে, দেশটি যুদ্ধের শুরু থেকেই তার বিরোধিতা করেছে এবং শুধুমাত্র সংলাপকেই সমাধান হিসেবে সমর্থন করেছে।
দামিরচিলু ইউক্রেনকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে তার কর্মকাণ্ড সমন্বিত করার আহ্বান জানান, বিশেষ করে সন্ত্রাসবিরোধী অঙ্গীকারগুলোকে পালন করার জন্য এবং পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে অস্থিরতা সৃষ্টি পরিহার করার পরামর্শ দেন।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে জোট গঠন শেষপর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদি পরিণতির দিকে নিয়ে যায়।’ তিনি বলেন, ‘যেদেশ এসব কর্মকাণ্ডের পৃষ্ঠপোষকতা করে তা কেবলই তাদের জন্য নিরাপত্তাহীনতা বৃদ্ধি।’
এদিকে, সিরিয়ায় সাম্প্রতিক উত্তেজনায় ইউক্রেনীয় সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত দিয়ে মস্কোতে এক সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘আমরা এই হামলাকে দৃঢ়ভাবে নিন্দা জানাই। এটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তিরা পরিচালনা করেছে।’ এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে ইউক্রেনীয় প্রভাব দেখতে পাচ্ছি বিদেশি জঙ্গিদের মধ্যে, যারা সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের এলাকা থেকে গিয়েছে।’
এ ছাড়া, মারিয়া জাখারোভা দাবি করেন—রাশিয়া সিরিয়ার নেতৃত্ব এবং জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে, দেশটির সার্বভৌমত্ব এবং ঐক্যের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টা ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পক্ষে রয়েছে।
পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেন মধ্যপ্রাচ্যে বিশেষ করে সিরিয়ায় সন্ত্রাসবাদীদের সহায়তা করছে বলে অভিযোগ করেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল শুক্রবার ইউক্রেনকে পশ্চিম এশিয়া তথা মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সহায়তা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন এবং অস্থিরতা সৃষ্টির অভিযোগ এনেছে তেহরান।
ইরানের মেহের নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী এবং ইউরেশিয়া বিভাগের পরিচালক মুজতবা দামিরচিলু এই অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘কিছু প্রতিবেদনে এমন তথ্য পাওয়া গেছে যে, ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা অস্ত্র অবৈধভাবে ব্যবসা করেছে এবং এসব অস্ত্র সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর হাতে পৌঁছানো হয়েছে।’
ইরানের এই কর্মকর্তা এসব কর্মকাণ্ডকে ‘সন্ত্রাসবিরোধী আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘনের স্পষ্ট উদাহরণ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর দ্বারা সৃষ্ট হুমকি তুলে ধরে, তিনি ইউক্রেনের এই গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে অঞ্চলে অস্থিরতা সৃষ্টিকে আন্তর্জাতিক নীতির পরিপন্থী বলেছেন।
ইরানি কূটনীতিক কিয়েভের পক্ষ থেকে বারবার তেহরানকে রাশিয়াকে ড্রোন এবং অন্যান্য সামরিক সহায়তা দেওয়ার অভিযোগের উত্তরও দিয়েছেন। দামিরচিলু এই অভিযোগগুলোকে ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করেছেন এবং ইরানের দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে, দেশটি যুদ্ধের শুরু থেকেই তার বিরোধিতা করেছে এবং শুধুমাত্র সংলাপকেই সমাধান হিসেবে সমর্থন করেছে।
দামিরচিলু ইউক্রেনকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে তার কর্মকাণ্ড সমন্বিত করার আহ্বান জানান, বিশেষ করে সন্ত্রাসবিরোধী অঙ্গীকারগুলোকে পালন করার জন্য এবং পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে অস্থিরতা সৃষ্টি পরিহার করার পরামর্শ দেন।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে জোট গঠন শেষপর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদি পরিণতির দিকে নিয়ে যায়।’ তিনি বলেন, ‘যেদেশ এসব কর্মকাণ্ডের পৃষ্ঠপোষকতা করে তা কেবলই তাদের জন্য নিরাপত্তাহীনতা বৃদ্ধি।’
এদিকে, সিরিয়ায় সাম্প্রতিক উত্তেজনায় ইউক্রেনীয় সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত দিয়ে মস্কোতে এক সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘আমরা এই হামলাকে দৃঢ়ভাবে নিন্দা জানাই। এটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তিরা পরিচালনা করেছে।’ এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে ইউক্রেনীয় প্রভাব দেখতে পাচ্ছি বিদেশি জঙ্গিদের মধ্যে, যারা সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের এলাকা থেকে গিয়েছে।’
এ ছাড়া, মারিয়া জাখারোভা দাবি করেন—রাশিয়া সিরিয়ার নেতৃত্ব এবং জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে, দেশটির সার্বভৌমত্ব এবং ঐক্যের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টা ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পক্ষে রয়েছে।
চলমান যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি করার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর যুক্তি, ‘রাশিয়া খুবই বড় শক্তি, ইউক্রেন নয়। তাই যুদ্ধ এড়িয়ে টিকে থাকতে হলে চুক্তি ছাড়া ইউক্রেনের কোনো গতি নেই।’ এই মন্তব্য ট্রাম্পের আলাস্কা বৈঠকের পর এসেছে...
৩ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ক্ষমতায় থাকাকালে চীন কখনোই তাইওয়ানে আক্রমণ করবে না। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাঁকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আগে ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন ট্রাম্প। খবর রয়টার্সের।
৪ ঘণ্টা আগেবোল্টন বলেছেন, ‘এই বৈঠকের পর ট্রাম্প কিছুই পাননি। যা পেয়েছেন তা হলো, আরও কিছু বৈঠকের প্রতিশ্রুতি। অন্যদিকে পুতিন ‘সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে অনেক দূর এগিয়ে গেছেন, যা আমি সব সময় তাঁর প্রধান লক্ষ্য বলে মনে করেছি।’
৬ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি হয়তো আশা করেছিলেন, এই বৈঠকে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে একটি চুক্তি হবে। কিন্তু এমন কোনো কিছুই হয়নি। তাই ট্রাম্পের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার জন্য সোমবার ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন জেলেনস্কি।
৬ ঘণ্টা আগে