ফ্লোটিলার বহর আটকে দিল ইসরায়েল
আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ইউরোপ থেকে ত্রাণ নিয়ে যে জাহাজগুলো ফিলিস্তিনের গাজার উদ্দেশে রওনা করেছিল, এর প্রায় সবই জব্দ করেছে ইসরায়েল। এসব জাহাজে থাকা সব অধিকারকর্মীকে আটক করছে ইসরায়েলি বাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের এমন হস্তক্ষেপের জেরে ফ্রান্স, ইতালিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ হয়েছে। সরকারের নীরবতার তীব্র সমালোচনা করছেন বিক্ষোভকারীরা। ইসরায়েলের এ হস্তক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন দেশ।
২০০৭ সালে গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপর থেকে গাজা উপত্যকা অবরুদ্ধ। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এরপর সেদিনই পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর জেরে ত্রাণ সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে ইসরায়েল। এমনকি জাতিসংঘের ত্রাণবহরও সেখানে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এমনকি ত্রাণকর্মী এবং ত্রাণ নিতে যাওয়া সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এ পরিস্থিতিতে কিছুদিন ধরে গাজায় দুর্ভিক্ষের সতর্কবার্তা দিয়ে আসছে জাতিসংঘসহ বেশ কিছু সংস্থা। তবে এতে কোনো সাড়া দেয়নি ইসরায়েল। এই অবরুদ্ধ দশা থেকে গাজাবাসীকে মুক্তি দিতে চলতি বছরের মাঝামাঝি গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা গ্লোবাল ফ্রিডম ফ্লোটিলা।
এই ফ্লোটিলায় ৪৩টি জাহাজ রয়েছে। এতে করে ত্রাণ নেওয়া হচ্ছে গাজাবাসীর জন্য। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ৪৪টি দেশের প্রায় ৫০০ স্বেচ্ছাসেবী রয়েছেন এসব জাহাজ। তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, পরিবেশকর্মী, অধিকারকর্মীও রয়েছেন।
গ্লোবাল ফ্রিডম ফ্লোটিলা গাজাবাসীর জন্য ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই ইসরায়েল বলে আসছে, তারা কোনো ত্রাণ সেখানে ঢুকতে দেবে না। এই ত্রাণ ইসরায়েলের হাতে তুলে দিতে হবে। এ পরিস্থিতিতে গত ৩১ আগস্ট স্পেনের একটি বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে ত্রাণবাহী জাহাজগুলো। তবে পথে বিভিন্ন সময় ইসরায়েলি বাহিনীর বাধার মুখে পড়ে তারা। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর এসব জাহাজে ড্রোন হামলা চালানো হয় তিউনিসিয়ার উপকূলে। এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর গ্রিসের উপকূলে আবারও হামলা চালানো হয়। তবে এসব হামলায় তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। এমন হামলার পর গাজার উপকূলের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে জাহাজগুলো। ইসরায়েলের সতর্কবার্তার পরও ফ্লোটিলার পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা গাজাবাসীর হাতেই ত্রাণ তুলে দেবে।
বুধবার থেকে যা ঘটছে
সর্বশেষ গত বুধবার জাহাজগুলো ইসরায়েলের উপকূল থেকে প্রায় দেড় শ কিলোমিটার দূরে ছিল। এ সময় নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। বুধবার রাত বাংলাদেশ সময় ১২টার দিকে একবার ফ্লোটিলার জাহাজগুলো ঘিরে ফেলে ইসরায়েলের নৌবাহিনীর ৪০টির বেশি যুদ্ধজাহাজ। তখন থেকেই একের পর এক জাহাজ জব্দ ও অধিকারকর্মীদের আটক করা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। গতকাল দুপুর নাগাদ আল জাজিরার খবরে বলা হয়, এর একটি জাহাজ থেকে সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ অন্তত ২০০ জনকে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ইসরায়েলি বাহিনীর সদস্যরা ত্রাণের জাহাজে ওঠার আগে অধিকারকর্মীদের লক্ষ করে জলকামান দাগাচ্ছেন।
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই অধিকারকর্মী ও জাহাজগুলো ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরে নেওয়া হচ্ছে। এরপর গতকাল রাত ৮টা নাগাদ আল জাজিরার আরেকটি হালনাগাদ খবরে বলা হয়, ফ্লোটিলার বহরে থাকা ৪০টি জাহাজ ইতিমধ্যে জব্দ করেছে ইসরায়েল। এসব জাহাজ ইসরায়েলের বন্দরে নেওয়া হচ্ছে এবং অধিকারকর্মীদের আটক করা হচ্ছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, আটক ব্যক্তিদের ইউরোপে ফেরত পাঠানো হবে।
ইসরায়েলের নিন্দা, সমন জারি, বিক্ষোভ
এদিকে ত্রাণবাহী জাহাজগুলো আটকে দেওয়ার পর বিভিন্ন দেশ ইসরায়েলের এ সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, এ জাহাজগুলো আটকে দেওয়া জলদস্যুতার শামিল। তিনি আরও বলেন, গণহত্যাকারী নেতানিয়াহু (ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু) সরকার শান্তি প্রতিষ্ঠার সামান্যতম সুযোগও রাখতে চাইছে না। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা আবারও বিশ্বকে গাজার বর্বরতা এবং ইসরায়েলের খুনির চেহারা দেখিয়েছে।
কাতার এ ঘটনায় ইসরায়েলের নিন্দা জানিয়েছে। এই অধিকারকর্মীদের দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। ইউরোপের রাজনৈতিক দল ইউরোপিয়ান গ্রিন পার্টি এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। তারা বলছে, ইসরায়েলের এ পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে ইসরায়েল গুরুতর অপরাধ করেছে। এ ঘটনায় ইসরায়েলের নিন্দা জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইব্রাহিম আনোয়ার। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, ইসরায়েলের এ বর্বরতার অবসান হওয়া উচিত। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে আন্তর্জাতিক অপরাধ বলে আখ্যা দিয়েছেন। এ ছাড়া দেশটিতে থাকা ইসরায়েলি কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছেন তিনি।
এদিকে ফ্লোটিলার জাহাজ জব্দ এবং অধিকারকর্মীদের আটকের জেরে বেলজিয়ামে ইসরায়েলের নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাক্সিম প্রেভোট। তিনি বলেছেন, জাহাজ জব্দের এ ঘটনা গ্রহণযোগ্য নয়। স্পেনও দেশটিতে নিযুক্ত ইসরায়েলের কূটনীতিককে তলব করেছে।
ফ্লোটিলার জাহাজগুলো আটকে দেওয়ার পর ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ হয়েছে। গতকাল সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে ইতালি ও ফ্রান্সে। ইতালির রোম, পিসা, ফ্লোরেন্স ও তুরিনসহ বড় শহরগুলোয় বিক্ষোভ হয়েছে শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বে। এ ছাড়া আজ শুক্রবার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে শ্রমিক ইউনিয়ন। বিক্ষোভ হয়েছে জার্মানি, গ্রিস, বেলজিয়ামেও। হাজারো মানুষ এসব বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।
ইউরোপের নেতারা নীরব
ইউরোপের অন্যতম গণমাধ্যম ইউরো নিউজের এক খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ফ্লোটিলার জাহাজগুলো জব্দ করার পরও নীরব রয়েছেন ইউরোপের নেতারা। ইউনিয়নের শীর্ষ দুই কর্মকর্তা উরসুলা ভন ডার লেন এবং আন্তোনিও কস্তা বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান কাজা কাল্লাস এ নিয়ে নীরব রয়েছেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকেও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। নীরব রয়েছেন যুক্তরাজ্যের নেতারাও। এদিকে ইতালির প্রধানমন্ত্রী ও ডানপন্থী নেতা জর্জিয়া মেলোনি বরং ফ্লোটিলার জাহাজগুলো জব্দের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, এতে শান্তিপ্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে।
ইউরোপ থেকে ত্রাণ নিয়ে যে জাহাজগুলো ফিলিস্তিনের গাজার উদ্দেশে রওনা করেছিল, এর প্রায় সবই জব্দ করেছে ইসরায়েল। এসব জাহাজে থাকা সব অধিকারকর্মীকে আটক করছে ইসরায়েলি বাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের এমন হস্তক্ষেপের জেরে ফ্রান্স, ইতালিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ হয়েছে। সরকারের নীরবতার তীব্র সমালোচনা করছেন বিক্ষোভকারীরা। ইসরায়েলের এ হস্তক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন দেশ।
২০০৭ সালে গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপর থেকে গাজা উপত্যকা অবরুদ্ধ। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এরপর সেদিনই পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর জেরে ত্রাণ সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে ইসরায়েল। এমনকি জাতিসংঘের ত্রাণবহরও সেখানে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এমনকি ত্রাণকর্মী এবং ত্রাণ নিতে যাওয়া সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এ পরিস্থিতিতে কিছুদিন ধরে গাজায় দুর্ভিক্ষের সতর্কবার্তা দিয়ে আসছে জাতিসংঘসহ বেশ কিছু সংস্থা। তবে এতে কোনো সাড়া দেয়নি ইসরায়েল। এই অবরুদ্ধ দশা থেকে গাজাবাসীকে মুক্তি দিতে চলতি বছরের মাঝামাঝি গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা গ্লোবাল ফ্রিডম ফ্লোটিলা।
এই ফ্লোটিলায় ৪৩টি জাহাজ রয়েছে। এতে করে ত্রাণ নেওয়া হচ্ছে গাজাবাসীর জন্য। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ৪৪টি দেশের প্রায় ৫০০ স্বেচ্ছাসেবী রয়েছেন এসব জাহাজ। তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, পরিবেশকর্মী, অধিকারকর্মীও রয়েছেন।
গ্লোবাল ফ্রিডম ফ্লোটিলা গাজাবাসীর জন্য ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই ইসরায়েল বলে আসছে, তারা কোনো ত্রাণ সেখানে ঢুকতে দেবে না। এই ত্রাণ ইসরায়েলের হাতে তুলে দিতে হবে। এ পরিস্থিতিতে গত ৩১ আগস্ট স্পেনের একটি বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে ত্রাণবাহী জাহাজগুলো। তবে পথে বিভিন্ন সময় ইসরায়েলি বাহিনীর বাধার মুখে পড়ে তারা। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর এসব জাহাজে ড্রোন হামলা চালানো হয় তিউনিসিয়ার উপকূলে। এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর গ্রিসের উপকূলে আবারও হামলা চালানো হয়। তবে এসব হামলায় তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। এমন হামলার পর গাজার উপকূলের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে জাহাজগুলো। ইসরায়েলের সতর্কবার্তার পরও ফ্লোটিলার পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা গাজাবাসীর হাতেই ত্রাণ তুলে দেবে।
বুধবার থেকে যা ঘটছে
সর্বশেষ গত বুধবার জাহাজগুলো ইসরায়েলের উপকূল থেকে প্রায় দেড় শ কিলোমিটার দূরে ছিল। এ সময় নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। বুধবার রাত বাংলাদেশ সময় ১২টার দিকে একবার ফ্লোটিলার জাহাজগুলো ঘিরে ফেলে ইসরায়েলের নৌবাহিনীর ৪০টির বেশি যুদ্ধজাহাজ। তখন থেকেই একের পর এক জাহাজ জব্দ ও অধিকারকর্মীদের আটক করা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। গতকাল দুপুর নাগাদ আল জাজিরার খবরে বলা হয়, এর একটি জাহাজ থেকে সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ অন্তত ২০০ জনকে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ইসরায়েলি বাহিনীর সদস্যরা ত্রাণের জাহাজে ওঠার আগে অধিকারকর্মীদের লক্ষ করে জলকামান দাগাচ্ছেন।
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই অধিকারকর্মী ও জাহাজগুলো ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরে নেওয়া হচ্ছে। এরপর গতকাল রাত ৮টা নাগাদ আল জাজিরার আরেকটি হালনাগাদ খবরে বলা হয়, ফ্লোটিলার বহরে থাকা ৪০টি জাহাজ ইতিমধ্যে জব্দ করেছে ইসরায়েল। এসব জাহাজ ইসরায়েলের বন্দরে নেওয়া হচ্ছে এবং অধিকারকর্মীদের আটক করা হচ্ছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, আটক ব্যক্তিদের ইউরোপে ফেরত পাঠানো হবে।
ইসরায়েলের নিন্দা, সমন জারি, বিক্ষোভ
এদিকে ত্রাণবাহী জাহাজগুলো আটকে দেওয়ার পর বিভিন্ন দেশ ইসরায়েলের এ সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, এ জাহাজগুলো আটকে দেওয়া জলদস্যুতার শামিল। তিনি আরও বলেন, গণহত্যাকারী নেতানিয়াহু (ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু) সরকার শান্তি প্রতিষ্ঠার সামান্যতম সুযোগও রাখতে চাইছে না। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা আবারও বিশ্বকে গাজার বর্বরতা এবং ইসরায়েলের খুনির চেহারা দেখিয়েছে।
কাতার এ ঘটনায় ইসরায়েলের নিন্দা জানিয়েছে। এই অধিকারকর্মীদের দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা। ইউরোপের রাজনৈতিক দল ইউরোপিয়ান গ্রিন পার্টি এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। তারা বলছে, ইসরায়েলের এ পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে ইসরায়েল গুরুতর অপরাধ করেছে। এ ঘটনায় ইসরায়েলের নিন্দা জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইব্রাহিম আনোয়ার। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, ইসরায়েলের এ বর্বরতার অবসান হওয়া উচিত। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে আন্তর্জাতিক অপরাধ বলে আখ্যা দিয়েছেন। এ ছাড়া দেশটিতে থাকা ইসরায়েলি কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছেন তিনি।
এদিকে ফ্লোটিলার জাহাজ জব্দ এবং অধিকারকর্মীদের আটকের জেরে বেলজিয়ামে ইসরায়েলের নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাক্সিম প্রেভোট। তিনি বলেছেন, জাহাজ জব্দের এ ঘটনা গ্রহণযোগ্য নয়। স্পেনও দেশটিতে নিযুক্ত ইসরায়েলের কূটনীতিককে তলব করেছে।
ফ্লোটিলার জাহাজগুলো আটকে দেওয়ার পর ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ হয়েছে। গতকাল সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে ইতালি ও ফ্রান্সে। ইতালির রোম, পিসা, ফ্লোরেন্স ও তুরিনসহ বড় শহরগুলোয় বিক্ষোভ হয়েছে শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বে। এ ছাড়া আজ শুক্রবার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে শ্রমিক ইউনিয়ন। বিক্ষোভ হয়েছে জার্মানি, গ্রিস, বেলজিয়ামেও। হাজারো মানুষ এসব বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।
ইউরোপের নেতারা নীরব
ইউরোপের অন্যতম গণমাধ্যম ইউরো নিউজের এক খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ফ্লোটিলার জাহাজগুলো জব্দ করার পরও নীরব রয়েছেন ইউরোপের নেতারা। ইউনিয়নের শীর্ষ দুই কর্মকর্তা উরসুলা ভন ডার লেন এবং আন্তোনিও কস্তা বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান কাজা কাল্লাস এ নিয়ে নীরব রয়েছেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকেও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। নীরব রয়েছেন যুক্তরাজ্যের নেতারাও। এদিকে ইতালির প্রধানমন্ত্রী ও ডানপন্থী নেতা জর্জিয়া মেলোনি বরং ফ্লোটিলার জাহাজগুলো জব্দের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, এতে শান্তিপ্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে পেশাদার বিদেশি নাগরিকদের আকর্ষণে চীনা কর্তৃপক্ষ গত আগস্টে বিশেষ ‘কে-ভিসা’ ঘোষণা করে। ১ অক্টোবর এ ভিসা কর্মসূচি কার্যকর হয়েছে। শুরুতে চীনের এই উদ্যোগ সেভাবে সাড়া ফেলেনি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘এইচ-ওয়ানবি’ ভিসার ফি বাড়িয়ে ১ লাখ মার্কিন ডলার করার...
১ ঘণ্টা আগেইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান জানিয়েছেন, রাজধানী তেহরান থেকে দেশটির প্রশাসনিক কেন্দ্র অন্যত্র সরানো এখন আর বিকল্প নয়, বরং বাধ্যবাধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপ, ভয়াবহ পানি সংকট ও ভূমিধসের হুমকির কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজ বিকেল ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। অস্থায়ী সেতুর ওপর পার্ক করা অবস্থায় গাড়িটি লেকের মধ্যে পড়ে যায়। ঘটনার পর ১০-১৫ জন লোক লেকে ঝাঁপ দিয়ে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করার চেষ্টা করেন, তবে ডুবে যাওয়া কাউকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে নাবালকসহ ১০ জন ছিল।
৩ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে ৪৭টি দেশের অন্তত ৪৪৩ জন স্বেচ্ছাসেবীকে ইসরায়েলি বাহিনী বেআইনিভাবে অপহরণ করেছে বলে জানিয়েছে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা। এ সময় জাহাজে থাকা কর্মীদের ওপর জলকামান ব্যবহার ও নোংরা পানি ছিটানো হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের সচেতনভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে