আজকের পত্রিকা ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ধারাবাহিক বিমান হামলায় ইরানের পরমাণু কর্মসূচি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও দেশটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি থেকে সরে আসবে না বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। গতকাল সোমবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘মার্কিন হামলায় ভয়াবহ ক্ষতি হওয়ায় আপাতত সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে একেবারে বন্ধ হবে না। এটি আমাদের বিজ্ঞানীদের অর্জন, জাতীয় গর্বের প্রতীক। কাজেই আমরা এটি ছেড়ে দিতে পারি না।’
কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাক্ষাৎকারে আরাকচি জানান, ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় ‘উন্মুক্ত’ থাকলেও সরাসরি আলোচনার সম্ভাবনা আপাতত নেই। আরাকচি বলেন, ‘তারা যদি পারস্পরিক সুবিধার ভিত্তিতে এগিয়ে আসে, আমরা আলোচনায় প্রস্তুত। আন্তর্জাতিক আস্থা অর্জনে এবং ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি যে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ তা প্রমাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আমরা প্রস্তুত। বিনিময়ে আমরা তাদের কাছ থেকে অবরোধ প্রত্যাহার আশা করি।’
আরাকচি বলেন, ‘আমার বার্তা পরিষ্কার—আসুন আলোচনার মাধ্যমে পরমাণু সংকটের সমাধান খুঁজি। এর আগে একবার তা সম্ভব হয়েছিল, আবারও সম্ভব।’
এদিকে, ট্রাম্প আবারও ইরানে হামলার হুমকি দিয়েছেন। সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, প্রয়োজন হলে যুক্তরাষ্ট্র আরও একবার একই ধরনের সামরিক পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। ট্রাম্প বলেন, ‘যদি প্রয়োজন হয়, আমরা আবারও হামলা করব। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমি আগেই বলেছিলাম এমনটা হবে।’
এর আগে, ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন ও জার্মানির মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী, ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করলে দেশটির ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার কথা ছিল। ওই চুক্তির আওতায় ইরান তার পরমাণু স্থাপনাগুলো আন্তর্জাতিক পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত করেছিল এবং এর বিনিময়ে আন্তর্জাতিক অবরোধ শিথিল করা হয়েছিল। তবে, ২০১৮ সালে ডেনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে চুক্তিটি থেকে একতরফাভাবে সরে আসে যুক্তরাষ্ট্র।
ধারণা করা হয়, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর এমন দাবির প্রেক্ষিতেই চুক্তিটি সরে আসে যুক্তরাষ্ট্র। চলতি বছর মে মাসেও ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি নতুন চুক্তির জন্য আলোচনা চলছিল। কিন্তু ১৩ জুন হঠাৎ করেই ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর বোমা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ওই হামলায় নিহত হয় ৯ শতাধিক ইরানি। ইসরায়েলে ২৮ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটি।
ইরান-ইসরায়েলের এই ১২ দিনের যুদ্ধ জড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রও। পরে, মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বেশ কয়েকটি মার্কিন ঘাঁটিতে ইরান হামলা চালালে ট্রাম্পের উদ্যোগে কাতারের মধ্যস্থতায় ২৪ জুন কার্যকর হয় যুদ্ধবিরতি।
যুক্তরাষ্ট্র পরে জানায়, ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে অন্তত এক থেকে দুই বছর পেছনে ঠেলে দিতে সক্ষম হয়েছে তারা। এ বিষয়ে আরাকচি জানান, ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থা এখনো হামলার ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করছে এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-কে এ বিষয়ে শিগগিরই অবহিত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আইএইএ যদি পরিদর্শকদের পাঠানোর অনুরোধ জানায়, তবে তা ‘সতর্কভাবে বিবেচনা’ করা হবে। যদিও আইএইএ প্রধান রাফায়েল গ্রোসি ও সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করে ইরান সম্প্রতি একটি আইন পাশ করে সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করেছে। এর ফলে আইএইএ পরিদর্শকেরা দেশটি ছেড়ে যান। ১২ জুন আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) বোর্ডে ইরান তার পরমাণু চুক্তির বাধ্যবাধকতা যথাযথভাবে মানছে না—এমন অভিযোগে একটি নিন্দা প্রস্তাব পাস করে। তেহরান দাবি করেছে, এই প্রস্তাবটি ইসরায়েল পরবর্তীতে তাদের ওপর সামরিক হামলা চালানোর অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ধারাবাহিক বিমান হামলায় ইরানের পরমাণু কর্মসূচি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও দেশটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি থেকে সরে আসবে না বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। গতকাল সোমবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘মার্কিন হামলায় ভয়াবহ ক্ষতি হওয়ায় আপাতত সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে একেবারে বন্ধ হবে না। এটি আমাদের বিজ্ঞানীদের অর্জন, জাতীয় গর্বের প্রতীক। কাজেই আমরা এটি ছেড়ে দিতে পারি না।’
কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাক্ষাৎকারে আরাকচি জানান, ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় ‘উন্মুক্ত’ থাকলেও সরাসরি আলোচনার সম্ভাবনা আপাতত নেই। আরাকচি বলেন, ‘তারা যদি পারস্পরিক সুবিধার ভিত্তিতে এগিয়ে আসে, আমরা আলোচনায় প্রস্তুত। আন্তর্জাতিক আস্থা অর্জনে এবং ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি যে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ তা প্রমাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আমরা প্রস্তুত। বিনিময়ে আমরা তাদের কাছ থেকে অবরোধ প্রত্যাহার আশা করি।’
আরাকচি বলেন, ‘আমার বার্তা পরিষ্কার—আসুন আলোচনার মাধ্যমে পরমাণু সংকটের সমাধান খুঁজি। এর আগে একবার তা সম্ভব হয়েছিল, আবারও সম্ভব।’
এদিকে, ট্রাম্প আবারও ইরানে হামলার হুমকি দিয়েছেন। সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, প্রয়োজন হলে যুক্তরাষ্ট্র আরও একবার একই ধরনের সামরিক পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। ট্রাম্প বলেন, ‘যদি প্রয়োজন হয়, আমরা আবারও হামলা করব। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমি আগেই বলেছিলাম এমনটা হবে।’
এর আগে, ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন ও জার্মানির মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী, ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করলে দেশটির ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার কথা ছিল। ওই চুক্তির আওতায় ইরান তার পরমাণু স্থাপনাগুলো আন্তর্জাতিক পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত করেছিল এবং এর বিনিময়ে আন্তর্জাতিক অবরোধ শিথিল করা হয়েছিল। তবে, ২০১৮ সালে ডেনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে চুক্তিটি থেকে একতরফাভাবে সরে আসে যুক্তরাষ্ট্র।
ধারণা করা হয়, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর এমন দাবির প্রেক্ষিতেই চুক্তিটি সরে আসে যুক্তরাষ্ট্র। চলতি বছর মে মাসেও ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি নতুন চুক্তির জন্য আলোচনা চলছিল। কিন্তু ১৩ জুন হঠাৎ করেই ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর বোমা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ওই হামলায় নিহত হয় ৯ শতাধিক ইরানি। ইসরায়েলে ২৮ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটি।
ইরান-ইসরায়েলের এই ১২ দিনের যুদ্ধ জড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রও। পরে, মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বেশ কয়েকটি মার্কিন ঘাঁটিতে ইরান হামলা চালালে ট্রাম্পের উদ্যোগে কাতারের মধ্যস্থতায় ২৪ জুন কার্যকর হয় যুদ্ধবিরতি।
যুক্তরাষ্ট্র পরে জানায়, ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে অন্তত এক থেকে দুই বছর পেছনে ঠেলে দিতে সক্ষম হয়েছে তারা। এ বিষয়ে আরাকচি জানান, ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থা এখনো হামলার ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করছে এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-কে এ বিষয়ে শিগগিরই অবহিত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আইএইএ যদি পরিদর্শকদের পাঠানোর অনুরোধ জানায়, তবে তা ‘সতর্কভাবে বিবেচনা’ করা হবে। যদিও আইএইএ প্রধান রাফায়েল গ্রোসি ও সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করে ইরান সম্প্রতি একটি আইন পাশ করে সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করেছে। এর ফলে আইএইএ পরিদর্শকেরা দেশটি ছেড়ে যান। ১২ জুন আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) বোর্ডে ইরান তার পরমাণু চুক্তির বাধ্যবাধকতা যথাযথভাবে মানছে না—এমন অভিযোগে একটি নিন্দা প্রস্তাব পাস করে। তেহরান দাবি করেছে, এই প্রস্তাবটি ইসরায়েল পরবর্তীতে তাদের ওপর সামরিক হামলা চালানোর অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টস গার্ড ও ইমিগ্রেশন এজেন্টদের দিয়ে অভিবাসীদের আটক নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন অঙ্গরাজ্যগুলোতে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এসব বিক্ষোভ দমনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘ইনসারেকশন অ্যাক্ট বা
৯ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের কঠিন অভ্যন্তরীণ বিমান পরিবহনের বাজারে যেখানে সস্তা বিমান সংস্থাগুলো টিকে থাকার লড়াই করছে, সেখানে একটি নতুন সংস্থা দ্রুত রাজস্ব বাড়িয়ে নজর কেড়েছে। সংস্থাটির নাম ‘ব্রিজ অ্যাভিয়েশন গ্রুপ ইনক’।
১০ ঘণ্টা আগেবিশ্বজুড়ে আজকাল পাখিদের আচরণে অদ্ভুত পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। এই অস্বাভাবিকতা শুধু তাদের জন্য নয়, মানবজাতির ভবিষ্যতের জন্যও ভয়ংকর সংকেত বহন করছে বলে সতর্ক করছেন বিজ্ঞানীরা। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পাখিদের অভিবাসনের প্রাকৃতিক ধারা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
১০ ঘণ্টা আগেআগামী ১৪ অক্টোবর ইতালির শহর উদিনের একটি ফুটবল মাঠে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে মুখোমুখি হবে ইতালি ও ইসরায়েল। কিন্তু ম্যাচটিকে ঘিরে এখন নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক উত্তেজনা দ্রুত বাড়ছে। মাত্র ৬ হাজার আসনের ওই মাঠটিতে টিকিটধারী দর্শকের চেয়ে মাঠের বাইরে বিক্ষোভকারীর সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
১১ ঘণ্টা আগে