অতিরিক্ত ৯০০ সৈন্য মধ্যপ্রাচ্যে পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সেনাদের মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন স্থানের মার্কিন সেনাঘাঁটিতে মোতায়েন করা হয়েছে। বিপরীতে ইরান হুমকি দিয়ে বলেছে, গাজায় যদি ইসরায়েলি হামলা না থামে, তবে যে আগুন জ্বলে উঠবে, তা থেকে যুক্তরাষ্ট্রও বাঁচতে পারবে না। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র এমন এক সময়ে এই অতিরিক্ত সেনা পাঠাচ্ছে, যখন হামাস-ইসরায়েল সংঘাতকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্য। এরই মধ্যে সিরিয়া, লেবানন থেকে ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়েছে। পাল্টা হামলা চালিয়ে জবাব দিয়েছে ইসরায়েলও। এই অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যের একটি মার্কিন ঘাঁটিতে সশস্ত্র এক গোষ্ঠীর হামলায় প্রায় ২৪ জন সেনা আহত হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যে সেনা পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগনের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট রেইডার বলেছেন, ‘যাদের মোতায়েন করা হয়েছে, তারা টেক্সাসের ফোর্ট ব্লিস থেকে আসা টার্মিনাল হাই অলটিট্যুড এরিয়া ডিফেন্স ব্যাটারি, ওকলাহোমার ফোর্ট সিলের প্যাট্রিয়ট ব্যাটারি, নর্থ ক্যারোলিনার ফোর্ট লিবার্টির প্যাট্রিয়ট অ্যান্ড অ্যাভেঞ্জার ব্যাটারি এবং ফোর্ট ব্লিস ও ফোর্ট কাভাজোসের সংশ্লিষ্ট বিমান প্রতিরক্ষা সদর দপ্তরের সদস্য।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট রেইডার বলেন, এসব অতিরিক্ত সেনার কেউই ইসরায়েলে যাবে না। বরং তাদের পাঠানো হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব আঞ্চলিক ঘাঁটি রয়েছে, তার প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সুরক্ষিত করা জন্য।
এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান গতকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের দেওয়া এক ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েল যদি গাজা উপত্যকায় হামাস ও নিরীহ জনগণের ওপর হামলা চালানো বন্ধ না করে, তবে যে আগুন ছড়িয়ে পড়বে, তা থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেও বাঁচতে পারবে না।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মার্কিন নীতিনির্ধারক যাঁরা এখন ফিলিস্তিনে গণহত্যা চলতে দিচ্ছেন, তাঁদের প্রতি বলতে চাই, আমরা এই অঞ্চলে যুদ্ধে ছড়িয়ে পড়া কোনোভাবেই মেনে নেব না। কিন্তু যদি গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা চলতে থাকে, তাহলে তারাও (যুক্তরাষ্ট্র) সেই আগুন থেকে বাঁচবে না।’
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর সকালে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারা মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ইসরায়েলের দিকে ৫ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। একই সঙ্গে স্থলপথ, জলপথ ও আকাশপথে দেশটিতে ঢুকে পড়েন হামাস যোদ্ধারা। হামাসের হামলায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। এখনো অনেকে হামাসের কাছে বন্দী আছে।
ইসরায়েলও এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ ঘোষণা করে হামাসের বিরুদ্ধে। এর পর থেকেই দফায় দফায় গাজায় বিমান ও স্থল, এমনকি নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। সেই থেকে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী অনবরত অবরুদ্ধ গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব হামলায় নিহতদের প্রায় শতভাগই বেসামরিক নাগরিক। তাদের মধ্যে আবার অধিকাংশই নারী ও শিশু।
সর্বশেষ আপডেটে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিগত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত) ইসরায়েলি হামলায় আরও প্রায় ৫০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। সব মিলিয়ে গাজায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ২৮ জনে। এ সময় আহত হয়েছে আরও অন্তত ১৮ হাজার ৫০০ জন।
এদিকে পশ্চিম তীরেও থেমে নেই ইসরায়েলি অভিযান। গতকাল বৃহস্পতিবার পশ্চিম তীরের জেনিনে ইসরায়েলি সেনার গুলিতে আরও ১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবরের পর পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৭ জনে। এ সময় ইসরায়েলি অভিযানে আহত হয়েছে আরও অন্তত ১ হাজার ৯০০ জন।
অতিরিক্ত ৯০০ সৈন্য মধ্যপ্রাচ্যে পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সেনাদের মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন স্থানের মার্কিন সেনাঘাঁটিতে মোতায়েন করা হয়েছে। বিপরীতে ইরান হুমকি দিয়ে বলেছে, গাজায় যদি ইসরায়েলি হামলা না থামে, তবে যে আগুন জ্বলে উঠবে, তা থেকে যুক্তরাষ্ট্রও বাঁচতে পারবে না। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র এমন এক সময়ে এই অতিরিক্ত সেনা পাঠাচ্ছে, যখন হামাস-ইসরায়েল সংঘাতকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্য। এরই মধ্যে সিরিয়া, লেবানন থেকে ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়েছে। পাল্টা হামলা চালিয়ে জবাব দিয়েছে ইসরায়েলও। এই অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যের একটি মার্কিন ঘাঁটিতে সশস্ত্র এক গোষ্ঠীর হামলায় প্রায় ২৪ জন সেনা আহত হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যে সেনা পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগনের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট রেইডার বলেছেন, ‘যাদের মোতায়েন করা হয়েছে, তারা টেক্সাসের ফোর্ট ব্লিস থেকে আসা টার্মিনাল হাই অলটিট্যুড এরিয়া ডিফেন্স ব্যাটারি, ওকলাহোমার ফোর্ট সিলের প্যাট্রিয়ট ব্যাটারি, নর্থ ক্যারোলিনার ফোর্ট লিবার্টির প্যাট্রিয়ট অ্যান্ড অ্যাভেঞ্জার ব্যাটারি এবং ফোর্ট ব্লিস ও ফোর্ট কাভাজোসের সংশ্লিষ্ট বিমান প্রতিরক্ষা সদর দপ্তরের সদস্য।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট রেইডার বলেন, এসব অতিরিক্ত সেনার কেউই ইসরায়েলে যাবে না। বরং তাদের পাঠানো হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব আঞ্চলিক ঘাঁটি রয়েছে, তার প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সুরক্ষিত করা জন্য।
এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান গতকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের দেওয়া এক ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েল যদি গাজা উপত্যকায় হামাস ও নিরীহ জনগণের ওপর হামলা চালানো বন্ধ না করে, তবে যে আগুন ছড়িয়ে পড়বে, তা থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেও বাঁচতে পারবে না।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মার্কিন নীতিনির্ধারক যাঁরা এখন ফিলিস্তিনে গণহত্যা চলতে দিচ্ছেন, তাঁদের প্রতি বলতে চাই, আমরা এই অঞ্চলে যুদ্ধে ছড়িয়ে পড়া কোনোভাবেই মেনে নেব না। কিন্তু যদি গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা চলতে থাকে, তাহলে তারাও (যুক্তরাষ্ট্র) সেই আগুন থেকে বাঁচবে না।’
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর সকালে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারা মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ইসরায়েলের দিকে ৫ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। একই সঙ্গে স্থলপথ, জলপথ ও আকাশপথে দেশটিতে ঢুকে পড়েন হামাস যোদ্ধারা। হামাসের হামলায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। এখনো অনেকে হামাসের কাছে বন্দী আছে।
ইসরায়েলও এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ ঘোষণা করে হামাসের বিরুদ্ধে। এর পর থেকেই দফায় দফায় গাজায় বিমান ও স্থল, এমনকি নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। সেই থেকে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী অনবরত অবরুদ্ধ গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব হামলায় নিহতদের প্রায় শতভাগই বেসামরিক নাগরিক। তাদের মধ্যে আবার অধিকাংশই নারী ও শিশু।
সর্বশেষ আপডেটে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিগত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত) ইসরায়েলি হামলায় আরও প্রায় ৫০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। সব মিলিয়ে গাজায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ২৮ জনে। এ সময় আহত হয়েছে আরও অন্তত ১৮ হাজার ৫০০ জন।
এদিকে পশ্চিম তীরেও থেমে নেই ইসরায়েলি অভিযান। গতকাল বৃহস্পতিবার পশ্চিম তীরের জেনিনে ইসরায়েলি সেনার গুলিতে আরও ১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবরের পর পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৭ জনে। এ সময় ইসরায়েলি অভিযানে আহত হয়েছে আরও অন্তত ১ হাজার ৯০০ জন।
সব জল্পনা-কল্পনা উড়িয়ে দিয়ে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে জড়ালই যুক্তরাষ্ট্র। আজ রোববার মধ্যপ্রাচ্যের স্থানীয় সময় ভোরে ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্র— ফোরদো, নাতানজ ও ইস্পাহানে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই স্থাপনাগুলোতে গত শুক্রবার ইসরায়েলও হামলা চালিয়েছিল।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রকে কেন ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়ানো হলো, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে তার কৈফিয়ত চেয়েছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটর চাক শুমার। কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া তিনি কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার স্পষ্ট জবাব জানতে চেয়েছেন ওই ডেমোক্র্যাট নেতা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়েছে ইরান। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা। পাহাড়ের ভেতরে গড়ে ওঠা এই গোপন ও কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত পরমাণু জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের একাধিক প্রবেশপথে মাটি জমে থাকতে দেখা
৪ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে ইরানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার ঘোষণা দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি বিশ্বজুড়ে অচল হয়ে পড়ে। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টার দিকে এই বিভ্রাট শুরু হয়, যা চলে অনেকক্ষণ। তবে এখন আবার স্বাভাবিকভাবে চলছে প্ল্যাটফর্মটি।
৫ ঘণ্টা আগে