আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দশক ধরেই তথাকথিত ‘সন্ত্রাসবাদবিরোধী’ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্র ইরানেও সামরিক হস্তক্ষেপ করেছে। চলতি সপ্তাহে মার্কিন যুদ্ধবিমান ইরানের অন্তত তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালিয়েছে। যদিও ইরান বা যুক্তরাষ্ট্র একটি পূর্ণাঙ্গ মাত্রার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েনি, এই যা রক্ষা।
মার্কিন সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ জেনারেল ড্যান কেইনের বরাতে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সাতটি বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান এই হামলায় অংশ নেয়। প্রতিটি বিমানের দাম প্রায় ২১০ কোটি ডলার। এগুলো থেকে ইরানের ফোরদো ও নাতানজে অন্তত ১৪টি বাংকার ধ্বংসকারী বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। এসব বোমার দামও কয়েক মিলিয়ন ডলারের বেশি। মোট ১২৫টির বেশি মার্কিন যুদ্ধবিমান এই অভিযানে অংশ নেয়। এর মধ্যে ছিল—বোমারু বিমান, যুদ্ধবিমান, ট্যাংকার, নজরদারি বিমান ও সহায়তা দল। এসব পরিচালনা ও মোতায়েনের খরচ কয়েক শ কোটি ডলারের বেশি।
বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র তার সামরিক খাতে সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করে। বিশ্বের পরবর্তী ৯টি দেশের সম্মিলিত সামরিক বাজেটের থেকেও বেশি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয়। দেশটি চীনের তুলনায় প্রায় তিন গুণ এবং রাশিয়ার তুলনায় প্রায় সাত গুণ বেশি অর্থ ব্যয় করে।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিপরি) জানিয়েছে, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক খাতে ৯৯৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। এটি বৈশ্বিক সামরিক ব্যয়ের ৩৭ শতাংশ। ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ওয়াটসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের এক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ২০০১ সালের পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যুদ্ধগুলো আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেনসহ বিভিন্ন অঞ্চলে সরাসরি প্রায় ৯ লাখ ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটিয়েছে।
এই পরিসংখ্যানে পরোক্ষ মৃত্যু অন্তর্ভুক্ত নয়। খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা ও যুদ্ধজনিত রোগবালাইয়ের কারণে এসব অঞ্চলে আরও ৩৬ থেকে ৩৮ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। সব মিলিয়ে এই যুদ্ধগুলোর কারণে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৫ থেকে ৪৭ লাখে, যা এখনো বাড়ছে।
এই সময়ে অন্তত ৩০ হাজার মার্কিন সেনা, ঠিকাদার ও মিত্র সেনার মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৭ হাজার ৫২ জন মার্কিন সেনা, ৮ হাজার ১৮৯ জন ঠিকাদার এবং ১৪ হাজার ৮৭৪ জন মিত্র সেনা।
২০০১ সালের ৭ অক্টোবর আফগানিস্তানে যুদ্ধ শুরু হয়। ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার জবাবে যুক্তরাষ্ট্র তথাকথিত আল-কায়েদা নির্মূল ও তালেবান সরকারকে ‘ক্ষমতাচ্যুত’ করার লক্ষ্যে এই অভিযান চালায়। এর দুই বছরের কম সময় পর, ২০০৩ সালের ২০ মার্চ ইরাক যুদ্ধে নামে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। তারা দাবি করেছিল, ইরাকের কাছে ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র (ডব্লিউএমডি) রয়েছে এবং সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতা থেকে সরানো দরকার। কিন্তু যুদ্ধের পর সেখানে কোনো ডব্লিউএমডির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর ধরে চলা আফগানিস্তান যুদ্ধ, যার সঙ্গে পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের হতাহতরাও যুক্ত, এটি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি সামরিক অভিযান। এতে আনুমানিক ২ লাখ ৪৩ হাজার মানুষের সরাসরি মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে ইরাক যুদ্ধে সরাসরি প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৩ লাখ ১৫ হাজার মানুষ।
২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের আগস্ট পর্যন্ত আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধে অন্তত ৫ লাখ ৫৮ হাজার মানুষের সরাসরি মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন থিংক ট্যাংক ওয়াটসন ইনস্টিটিউট।
এ দুই দশকের বেশি সময়ের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ব্যয় করেছে প্রায় ৫ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলার বা ৫ লাখ ৮০ হাজার কোটি ডলার। এর মধ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ব্যয় করেছে ২ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলার, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ১ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলার, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মূল বাজেট বাড়াতে ৮৮৪ বিলিয়ন ডলার, সাবেক সেনাদের চিকিৎসা খাতে ৪৬৫ বিলিয়ন ডলার এবং ঋণের সুদ পরিশোধে ১ ট্রিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে।
এই ৫.৮ ট্রিলিয়নের বাইরে আগামী ৩০ বছরে যুক্তরাষ্ট্র সাবেক সেনাদের চিকিৎসা ও অন্যান্য খাতে আরও অন্তত ২.২ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে ২০০১ সালের পর যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ খরচ দাঁড়াবে ৮ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি।
ইসরায়েল বরাবরই যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সহায়তাপ্রাপ্ত দেশ। ১৯৫৯ সালের পর থেকে দেশটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে কমপক্ষে ২৫১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের সাহায্য পেয়েছে (মুদ্রাস্ফীতির হিসাব মিলিয়ে)। ২০১৬ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে প্রতিবছর ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার দিচ্ছে। এই চুক্তি ২০২৮ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এর বেশির ভাগই সামরিক সহায়তার আওতায়।
তবে ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামলার পরবর্তী বছরে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে অতিরিক্ত ১৭ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সাহায্য দিয়েছে, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ বার্ষিক সহায়তা। এর মধ্যে ৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার সরাসরি সামরিক সহায়তা, ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষার জন্য এবং ৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার ইসরায়েলের অস্ত্রভান্ডার পূরণের জন্য ব্যয় হয়েছে।
তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা

মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দশক ধরেই তথাকথিত ‘সন্ত্রাসবাদবিরোধী’ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্র ইরানেও সামরিক হস্তক্ষেপ করেছে। চলতি সপ্তাহে মার্কিন যুদ্ধবিমান ইরানের অন্তত তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালিয়েছে। যদিও ইরান বা যুক্তরাষ্ট্র একটি পূর্ণাঙ্গ মাত্রার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েনি, এই যা রক্ষা।
মার্কিন সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ জেনারেল ড্যান কেইনের বরাতে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সাতটি বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান এই হামলায় অংশ নেয়। প্রতিটি বিমানের দাম প্রায় ২১০ কোটি ডলার। এগুলো থেকে ইরানের ফোরদো ও নাতানজে অন্তত ১৪টি বাংকার ধ্বংসকারী বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। এসব বোমার দামও কয়েক মিলিয়ন ডলারের বেশি। মোট ১২৫টির বেশি মার্কিন যুদ্ধবিমান এই অভিযানে অংশ নেয়। এর মধ্যে ছিল—বোমারু বিমান, যুদ্ধবিমান, ট্যাংকার, নজরদারি বিমান ও সহায়তা দল। এসব পরিচালনা ও মোতায়েনের খরচ কয়েক শ কোটি ডলারের বেশি।
বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র তার সামরিক খাতে সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করে। বিশ্বের পরবর্তী ৯টি দেশের সম্মিলিত সামরিক বাজেটের থেকেও বেশি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয়। দেশটি চীনের তুলনায় প্রায় তিন গুণ এবং রাশিয়ার তুলনায় প্রায় সাত গুণ বেশি অর্থ ব্যয় করে।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিপরি) জানিয়েছে, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক খাতে ৯৯৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। এটি বৈশ্বিক সামরিক ব্যয়ের ৩৭ শতাংশ। ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ওয়াটসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের এক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ২০০১ সালের পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যুদ্ধগুলো আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেনসহ বিভিন্ন অঞ্চলে সরাসরি প্রায় ৯ লাখ ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটিয়েছে।
এই পরিসংখ্যানে পরোক্ষ মৃত্যু অন্তর্ভুক্ত নয়। খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা ও যুদ্ধজনিত রোগবালাইয়ের কারণে এসব অঞ্চলে আরও ৩৬ থেকে ৩৮ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। সব মিলিয়ে এই যুদ্ধগুলোর কারণে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৫ থেকে ৪৭ লাখে, যা এখনো বাড়ছে।
এই সময়ে অন্তত ৩০ হাজার মার্কিন সেনা, ঠিকাদার ও মিত্র সেনার মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৭ হাজার ৫২ জন মার্কিন সেনা, ৮ হাজার ১৮৯ জন ঠিকাদার এবং ১৪ হাজার ৮৭৪ জন মিত্র সেনা।
২০০১ সালের ৭ অক্টোবর আফগানিস্তানে যুদ্ধ শুরু হয়। ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার জবাবে যুক্তরাষ্ট্র তথাকথিত আল-কায়েদা নির্মূল ও তালেবান সরকারকে ‘ক্ষমতাচ্যুত’ করার লক্ষ্যে এই অভিযান চালায়। এর দুই বছরের কম সময় পর, ২০০৩ সালের ২০ মার্চ ইরাক যুদ্ধে নামে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। তারা দাবি করেছিল, ইরাকের কাছে ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র (ডব্লিউএমডি) রয়েছে এবং সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতা থেকে সরানো দরকার। কিন্তু যুদ্ধের পর সেখানে কোনো ডব্লিউএমডির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর ধরে চলা আফগানিস্তান যুদ্ধ, যার সঙ্গে পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের হতাহতরাও যুক্ত, এটি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি সামরিক অভিযান। এতে আনুমানিক ২ লাখ ৪৩ হাজার মানুষের সরাসরি মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে ইরাক যুদ্ধে সরাসরি প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৩ লাখ ১৫ হাজার মানুষ।
২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের আগস্ট পর্যন্ত আফগানিস্তান ও ইরাক যুদ্ধে অন্তত ৫ লাখ ৫৮ হাজার মানুষের সরাসরি মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন থিংক ট্যাংক ওয়াটসন ইনস্টিটিউট।
এ দুই দশকের বেশি সময়ের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ব্যয় করেছে প্রায় ৫ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলার বা ৫ লাখ ৮০ হাজার কোটি ডলার। এর মধ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ব্যয় করেছে ২ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলার, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ১ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলার, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মূল বাজেট বাড়াতে ৮৮৪ বিলিয়ন ডলার, সাবেক সেনাদের চিকিৎসা খাতে ৪৬৫ বিলিয়ন ডলার এবং ঋণের সুদ পরিশোধে ১ ট্রিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে।
এই ৫.৮ ট্রিলিয়নের বাইরে আগামী ৩০ বছরে যুক্তরাষ্ট্র সাবেক সেনাদের চিকিৎসা ও অন্যান্য খাতে আরও অন্তত ২.২ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে ২০০১ সালের পর যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ খরচ দাঁড়াবে ৮ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি।
ইসরায়েল বরাবরই যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সহায়তাপ্রাপ্ত দেশ। ১৯৫৯ সালের পর থেকে দেশটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে কমপক্ষে ২৫১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের সাহায্য পেয়েছে (মুদ্রাস্ফীতির হিসাব মিলিয়ে)। ২০১৬ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে প্রতিবছর ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার দিচ্ছে। এই চুক্তি ২০২৮ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এর বেশির ভাগই সামরিক সহায়তার আওতায়।
তবে ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামলার পরবর্তী বছরে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে অতিরিক্ত ১৭ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সাহায্য দিয়েছে, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ বার্ষিক সহায়তা। এর মধ্যে ৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার সরাসরি সামরিক সহায়তা, ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষার জন্য এবং ৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার ইসরায়েলের অস্ত্রভান্ডার পূরণের জন্য ব্যয় হয়েছে।
তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ সম্মেলন আয়োজন করা লজ্জাজনক। আফ্রিকানরা সেখানে বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গদের হত্যা করছে, তাদের জমি ও খামার জোর করে দখল করছে। যত দিন সেখানে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন চলবে, তত
৬ ঘণ্টা আগে
ভাবুন তো, আপনার স্কুটারের দাম এক লাখ টাকা। কিন্তু হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপনাকে জরিমানা করা হলো ২৮ লাখ টাকা! কেমন হবে ব্যাপারটা? আশ্চর্যজনক মনে হলেও, এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে।
৮ ঘণ্টা আগে
গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে আহমেদাবাদের রানিপ এলাকায় সবজি বাজারের কাছে এক গয়নার দোকানে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করেন ওই নারী। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তিনি দোকানদারের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু মরিচের গুঁড়া দোকানদারের চোখে লাগেনি।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
লাভরভ বলেন, ‘৫ নভেম্বর নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে প্রেসিডেন্ট পুতিন যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের কাজ চলছে। ফলাফল সম্পর্কে জনসাধারণকে পরে জানানো হবে।’
তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, পুতিনের এই নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ঘোষণার পর আসে। গত সপ্তাহে ট্রাম্প হঠাৎ ঘোষণা দেন, যুক্তরাষ্ট্র আবারও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করবে।
লাভরভ আরও জানান, রাশিয়া এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ট্রাম্পের এই নির্দেশনা নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা পায়নি।
গত কয়েক সপ্তাহে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক মারাত্মকভাবে খারাপ হয়েছে। নির্বাচনের আগে ট্রাম্প এক দিনে ইউক্রেন যুদ্ধ থামাবেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ফলাফল না আসায় তিনি পুতিনের কর্মকাণ্ডে বারবার হতাশ হয়েছেন। এর ফলে সম্প্রতি পুতিনের সঙ্গে নির্ধারিত একটি বৈঠক বাতিল করেছেন এবং জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর প্রথমবারের মতো রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
লাভরভ বলেন, ‘৫ নভেম্বর নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে প্রেসিডেন্ট পুতিন যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের কাজ চলছে। ফলাফল সম্পর্কে জনসাধারণকে পরে জানানো হবে।’
তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, পুতিনের এই নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ঘোষণার পর আসে। গত সপ্তাহে ট্রাম্প হঠাৎ ঘোষণা দেন, যুক্তরাষ্ট্র আবারও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করবে।
লাভরভ আরও জানান, রাশিয়া এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ট্রাম্পের এই নির্দেশনা নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা পায়নি।
গত কয়েক সপ্তাহে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক মারাত্মকভাবে খারাপ হয়েছে। নির্বাচনের আগে ট্রাম্প এক দিনে ইউক্রেন যুদ্ধ থামাবেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ফলাফল না আসায় তিনি পুতিনের কর্মকাণ্ডে বারবার হতাশ হয়েছেন। এর ফলে সম্প্রতি পুতিনের সঙ্গে নির্ধারিত একটি বৈঠক বাতিল করেছেন এবং জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর প্রথমবারের মতো রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।

মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দশক ধরেই তথাকথিত ‘সন্ত্রাসবাদবিরোধী’ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্র ইরানেও সামরিক হস্তক্ষেপ করেছে। চলতি সপ্তাহে মার্কিন যুদ্ধবিমান ইরানের অন্তত তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালিয়েছে। যদিও ইরান বা যুক্তরাষ্ট্র একটি পূর্ণাঙ্গ মাত্রার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েনি,
২৫ জুন ২০২৫
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ সম্মেলন আয়োজন করা লজ্জাজনক। আফ্রিকানরা সেখানে বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গদের হত্যা করছে, তাদের জমি ও খামার জোর করে দখল করছে। যত দিন সেখানে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন চলবে, তত
৬ ঘণ্টা আগে
ভাবুন তো, আপনার স্কুটারের দাম এক লাখ টাকা। কিন্তু হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপনাকে জরিমানা করা হলো ২৮ লাখ টাকা! কেমন হবে ব্যাপারটা? আশ্চর্যজনক মনে হলেও, এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে।
৮ ঘণ্টা আগে
গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে আহমেদাবাদের রানিপ এলাকায় সবজি বাজারের কাছে এক গয়নার দোকানে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করেন ওই নারী। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তিনি দোকানদারের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু মরিচের গুঁড়া দোকানদারের চোখে লাগেনি।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন ও গণহত্যা চলছে। এসব বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সরকারি প্রতিনিধি দক্ষিণ আফ্রিকায় যাবেন না।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ সম্মেলন আয়োজন করা লজ্জাজনক। আফ্রিকানরা সেখানে বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গদের হত্যা করছে, তাদের জমি ও খামার জোর করে দখল করছে। যত দিন সেখানে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন চলবে, তত দিন পর্যন্ত কোনো মার্কিন প্রতিনিধি সেখানে যাবে না।’
তবে দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছে। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, আফ্রিকানারদের (দক্ষিণ আফ্রিকায় বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গ) একচেটিয়া শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠী হিসেবে চিত্রিত করা ইতিহাস বিকৃতি। পাশাপাশি, এই সম্প্রদায় নিপীড়নের শিকার—এমন দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
এর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার জি-২০-এ থাকা উচিত নয় এবং তিনি নিজে না গিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সকে পাঠাবেন। তবে এখন হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো কর্মকর্তাই এই সম্মেলনে অংশ নেবেন না।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শেষের দিকে জোহানেসবার্গে জি-২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবছর জি-২০ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে একটি দেশ এই সম্মেলনের আয়োজক হয় এবং তারাই সম্মেলনের অ্যাজেন্ডা নির্ধারণ করে। এ বছর আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা, পরের বছর যুক্তরাষ্ট্র।
দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার বলছে, তাদের দেশে ‘শ্বেতাঙ্গ গণহত্যা’ চলছে এমন দাবি ‘ভিত্তিহীন ও অবিশ্বস্ত সূত্রনির্ভর’। দেশটির কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত শরণার্থী কর্মসূচি ঘোষণার পরও খুব অল্পসংখ্যক আফ্রিকান এই সুবিধার জন্য আবেদন করেছেন। এ থেকে বোঝা যায়, আমাদের দেশে শ্বেতাঙ্গরা নিরাপদে আছেন।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর থেকে ট্রাম্প একাধিকবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘুদের ওপর বৈষম্য ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন। গত মে মাসে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের সময়ও একই অভিযোগ করেন।
এরপর ট্রাম্প প্রশাসন দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকানারদের ‘গণহত্যার শিকার’ আখ্যা দিয়ে শরণার্থী মর্যাদা দেয়। গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউস ঘোষণা করে, যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশের সর্বোচ্চ সীমা ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনা হবে এবং শ্বেতাঙ্গ দক্ষিণ আফ্রিকানদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার একটি আদালত চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্পের এই গণহত্যার দাবিকে ‘কল্পনাপ্রসূত ও প্রমাণহীন’ বলে খারিজ করে দেয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে এশীয় অর্থনৈতিক সংকটের পর জি-২০ গঠিত হয়, যাতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এই গোষ্ঠীর সদস্যরা বিশ্বের মোট সম্পদের ৮৫ শতাংশেরও বেশি নিয়ন্ত্রণ করে। ২০০৮ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার সময় ‘আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্য’ নিয়ে প্রথম জি-২০ নেতাদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে প্রতিবছর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আফ্রিকান ইউনিয়ন বিশ্ব অর্থনীতি ও নানা বৈশ্বিক ইস্যুতে আলোচনা করতে এই সম্মেলনের আয়োজন করে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন ও গণহত্যা চলছে। এসব বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সরকারি প্রতিনিধি দক্ষিণ আফ্রিকায় যাবেন না।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ সম্মেলন আয়োজন করা লজ্জাজনক। আফ্রিকানরা সেখানে বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গদের হত্যা করছে, তাদের জমি ও খামার জোর করে দখল করছে। যত দিন সেখানে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন চলবে, তত দিন পর্যন্ত কোনো মার্কিন প্রতিনিধি সেখানে যাবে না।’
তবে দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছে। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, আফ্রিকানারদের (দক্ষিণ আফ্রিকায় বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গ) একচেটিয়া শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠী হিসেবে চিত্রিত করা ইতিহাস বিকৃতি। পাশাপাশি, এই সম্প্রদায় নিপীড়নের শিকার—এমন দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
এর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার জি-২০-এ থাকা উচিত নয় এবং তিনি নিজে না গিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সকে পাঠাবেন। তবে এখন হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো কর্মকর্তাই এই সম্মেলনে অংশ নেবেন না।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শেষের দিকে জোহানেসবার্গে জি-২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবছর জি-২০ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে একটি দেশ এই সম্মেলনের আয়োজক হয় এবং তারাই সম্মেলনের অ্যাজেন্ডা নির্ধারণ করে। এ বছর আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা, পরের বছর যুক্তরাষ্ট্র।
দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার বলছে, তাদের দেশে ‘শ্বেতাঙ্গ গণহত্যা’ চলছে এমন দাবি ‘ভিত্তিহীন ও অবিশ্বস্ত সূত্রনির্ভর’। দেশটির কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত শরণার্থী কর্মসূচি ঘোষণার পরও খুব অল্পসংখ্যক আফ্রিকান এই সুবিধার জন্য আবেদন করেছেন। এ থেকে বোঝা যায়, আমাদের দেশে শ্বেতাঙ্গরা নিরাপদে আছেন।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর থেকে ট্রাম্প একাধিকবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘুদের ওপর বৈষম্য ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন। গত মে মাসে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের সময়ও একই অভিযোগ করেন।
এরপর ট্রাম্প প্রশাসন দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকানারদের ‘গণহত্যার শিকার’ আখ্যা দিয়ে শরণার্থী মর্যাদা দেয়। গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউস ঘোষণা করে, যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশের সর্বোচ্চ সীমা ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনা হবে এবং শ্বেতাঙ্গ দক্ষিণ আফ্রিকানদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার একটি আদালত চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্পের এই গণহত্যার দাবিকে ‘কল্পনাপ্রসূত ও প্রমাণহীন’ বলে খারিজ করে দেয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে এশীয় অর্থনৈতিক সংকটের পর জি-২০ গঠিত হয়, যাতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এই গোষ্ঠীর সদস্যরা বিশ্বের মোট সম্পদের ৮৫ শতাংশেরও বেশি নিয়ন্ত্রণ করে। ২০০৮ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার সময় ‘আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্য’ নিয়ে প্রথম জি-২০ নেতাদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে প্রতিবছর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আফ্রিকান ইউনিয়ন বিশ্ব অর্থনীতি ও নানা বৈশ্বিক ইস্যুতে আলোচনা করতে এই সম্মেলনের আয়োজন করে।

মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দশক ধরেই তথাকথিত ‘সন্ত্রাসবাদবিরোধী’ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্র ইরানেও সামরিক হস্তক্ষেপ করেছে। চলতি সপ্তাহে মার্কিন যুদ্ধবিমান ইরানের অন্তত তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালিয়েছে। যদিও ইরান বা যুক্তরাষ্ট্র একটি পূর্ণাঙ্গ মাত্রার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েনি,
২৫ জুন ২০২৫
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
ভাবুন তো, আপনার স্কুটারের দাম এক লাখ টাকা। কিন্তু হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপনাকে জরিমানা করা হলো ২৮ লাখ টাকা! কেমন হবে ব্যাপারটা? আশ্চর্যজনক মনে হলেও, এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে।
৮ ঘণ্টা আগে
গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে আহমেদাবাদের রানিপ এলাকায় সবজি বাজারের কাছে এক গয়নার দোকানে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করেন ওই নারী। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তিনি দোকানদারের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু মরিচের গুঁড়া দোকানদারের চোখে লাগেনি।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভাবুন তো, আপনার স্কুটারের দাম এক লাখ টাকা। কিন্তু হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপনাকে জরিমানা করা হলো ২৮ লাখ টাকা! কেমন হবে ব্যাপারটা? আশ্চর্যজনক মনে হলেও, এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে। হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র ছাড়া রাস্তায় বের হওয়ায় এক স্কুটিচালককে জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ২১ লাখ রুপি! বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা!
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনার পরে জরিমানার চালানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, ওই চালককে জরিমানা করা হয়েছে ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপি। তবে পরে পুলিশ জানায়, তাদের ভুল হয়েছে। ওই ব্যক্তির প্রকৃত জরিমানার পরিমাণ ছিল চার হাজার রুপি।
গত মঙ্গলবার উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগর জেলার নিউ মান্ডি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, আনমোল সিংহল নামের ওই ব্যক্তি হেলমেট ছাড়াই স্কুটার চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও ছিল না।
পথে পুলিশ তাঁর স্কুটারটি জব্দ করে এবং তাঁকে ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপির চালান দেয়। অস্বাভাবিক এই পরিমাণ দেখে বিস্মিত আনমোল সিংহল জরিমানার চালানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন। ছবিটি ছড়িয়ে পড়তেই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এরপর পুলিশ দ্রুত চালানের পরিমাণ সংশোধন করে চার হাজার রুপিতে নামিয়ে আনে।
মুজাফফরনগরের ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ অতুল চৌবে জানান, দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টরের অসাবধানতার কারণে চালানে ভুল হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘মোটরযান আইনের ২০৭ ধারায় ৪ হাজার রুপি জরিমানা করা হয়েছিল। কিন্তু সাব-ইন্সপেক্টর ২০৭-এর পর মোটরযান আইন শব্দটি লেখেননি।’
এর ফলে ২০৭ ও ৪০০০ (যা ওই ধারার অধীনে ন্যূনতম জরিমানার পরিমাণ) মিলে হয়ে যায় ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপি। অতুল চৌবে আরও জানান, ওই ব্যক্তির প্রকৃত আসল জরিমানা মাত্র চার হাজার রুপি।
উল্লেখ্য, ভারতে মোটরযান আইনের ২০৭ ধারা অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকলে পুলিশ জরিমানার পাশাপাশি কোনো যানবাহন জব্দ করার ক্ষমতা রাখে।

ভাবুন তো, আপনার স্কুটারের দাম এক লাখ টাকা। কিন্তু হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপনাকে জরিমানা করা হলো ২৮ লাখ টাকা! কেমন হবে ব্যাপারটা? আশ্চর্যজনক মনে হলেও, এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে। হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র ছাড়া রাস্তায় বের হওয়ায় এক স্কুটিচালককে জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ২১ লাখ রুপি! বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা!
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনার পরে জরিমানার চালানের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, ওই চালককে জরিমানা করা হয়েছে ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপি। তবে পরে পুলিশ জানায়, তাদের ভুল হয়েছে। ওই ব্যক্তির প্রকৃত জরিমানার পরিমাণ ছিল চার হাজার রুপি।
গত মঙ্গলবার উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগর জেলার নিউ মান্ডি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, আনমোল সিংহল নামের ওই ব্যক্তি হেলমেট ছাড়াই স্কুটার চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও ছিল না।
পথে পুলিশ তাঁর স্কুটারটি জব্দ করে এবং তাঁকে ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপির চালান দেয়। অস্বাভাবিক এই পরিমাণ দেখে বিস্মিত আনমোল সিংহল জরিমানার চালানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন। ছবিটি ছড়িয়ে পড়তেই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এরপর পুলিশ দ্রুত চালানের পরিমাণ সংশোধন করে চার হাজার রুপিতে নামিয়ে আনে।
মুজাফফরনগরের ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ অতুল চৌবে জানান, দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টরের অসাবধানতার কারণে চালানে ভুল হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘মোটরযান আইনের ২০৭ ধারায় ৪ হাজার রুপি জরিমানা করা হয়েছিল। কিন্তু সাব-ইন্সপেক্টর ২০৭-এর পর মোটরযান আইন শব্দটি লেখেননি।’
এর ফলে ২০৭ ও ৪০০০ (যা ওই ধারার অধীনে ন্যূনতম জরিমানার পরিমাণ) মিলে হয়ে যায় ২০ লাখ ৭৪ হাজার রুপি। অতুল চৌবে আরও জানান, ওই ব্যক্তির প্রকৃত আসল জরিমানা মাত্র চার হাজার রুপি।
উল্লেখ্য, ভারতে মোটরযান আইনের ২০৭ ধারা অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকলে পুলিশ জরিমানার পাশাপাশি কোনো যানবাহন জব্দ করার ক্ষমতা রাখে।

মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দশক ধরেই তথাকথিত ‘সন্ত্রাসবাদবিরোধী’ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্র ইরানেও সামরিক হস্তক্ষেপ করেছে। চলতি সপ্তাহে মার্কিন যুদ্ধবিমান ইরানের অন্তত তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালিয়েছে। যদিও ইরান বা যুক্তরাষ্ট্র একটি পূর্ণাঙ্গ মাত্রার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েনি,
২৫ জুন ২০২৫
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ সম্মেলন আয়োজন করা লজ্জাজনক। আফ্রিকানরা সেখানে বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গদের হত্যা করছে, তাদের জমি ও খামার জোর করে দখল করছে। যত দিন সেখানে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন চলবে, তত
৬ ঘণ্টা আগে
গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে আহমেদাবাদের রানিপ এলাকায় সবজি বাজারের কাছে এক গয়নার দোকানে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করেন ওই নারী। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তিনি দোকানদারের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু মরিচের গুঁড়া দোকানদারের চোখে লাগেনি।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদ শহরে ডাকাতির উদ্দেশ্যে জুয়েলারির দোকানে ঢুকেছিলেন এক নারী। তবে তাঁর উদ্দেশ্য পূরণ তো হয়ইনি; উল্টো দোকানদারের কাছ থেকে ২৫ সেকেন্ডে কমপক্ষে ২০টি চড় খেয়েছেন তিনি।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া দৃশ্যে দেখা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে আহমেদাবাদের রানিপ এলাকায় সবজি বাজারের কাছে এক গয়নার দোকানে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করেন ওই নারী। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তিনি দোকানদারের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু মরিচের গুঁড়া দোকানদারের চোখে লাগেনি।
পরিস্থিতি বুঝতে পেরে দোকানদার উঠে দাঁড়িয়ে ওই নারীকে একের পর এক চড় মারতে শুরু করেন—২৫ সেকেন্ডে অন্তত ২০ বার। এরপর তিনি কাউন্টার টপকে ওই নারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁকে টেনে বাইরে নিয়ে যান এবং আরও চড় মারতে থাকেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন দোকানদার। তবুও সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে ওই নারীর খোঁজে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
রানিপ থানার পুলিশ পরিদর্শক কেতন ভাস বলেন, ‘দোকানদার অভিযোগ করছেন না। তবে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আমরা ওই নারীকে শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছি।’
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদ শহরে ডাকাতির উদ্দেশ্যে জুয়েলারির দোকানে ঢুকেছিলেন এক নারী। তবে তাঁর উদ্দেশ্য পূরণ তো হয়ইনি; উল্টো দোকানদারের কাছ থেকে ২৫ সেকেন্ডে কমপক্ষে ২০টি চড় খেয়েছেন তিনি।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া দৃশ্যে দেখা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে আহমেদাবাদের রানিপ এলাকায় সবজি বাজারের কাছে এক গয়নার দোকানে ক্রেতা সেজে প্রবেশ করেন ওই নারী। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তিনি দোকানদারের চোখে মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু মরিচের গুঁড়া দোকানদারের চোখে লাগেনি।
পরিস্থিতি বুঝতে পেরে দোকানদার উঠে দাঁড়িয়ে ওই নারীকে একের পর এক চড় মারতে শুরু করেন—২৫ সেকেন্ডে অন্তত ২০ বার। এরপর তিনি কাউন্টার টপকে ওই নারীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁকে টেনে বাইরে নিয়ে যান এবং আরও চড় মারতে থাকেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন দোকানদার। তবুও সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে ওই নারীর খোঁজে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
রানিপ থানার পুলিশ পরিদর্শক কেতন ভাস বলেন, ‘দোকানদার অভিযোগ করছেন না। তবে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আমরা ওই নারীকে শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছি।’
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দশক ধরেই তথাকথিত ‘সন্ত্রাসবাদবিরোধী’ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্র ইরানেও সামরিক হস্তক্ষেপ করেছে। চলতি সপ্তাহে মার্কিন যুদ্ধবিমান ইরানের অন্তত তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালিয়েছে। যদিও ইরান বা যুক্তরাষ্ট্র একটি পূর্ণাঙ্গ মাত্রার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েনি,
২৫ জুন ২০২৫
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ সম্মেলন আয়োজন করা লজ্জাজনক। আফ্রিকানরা সেখানে বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গদের হত্যা করছে, তাদের জমি ও খামার জোর করে দখল করছে। যত দিন সেখানে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন চলবে, তত
৬ ঘণ্টা আগে
ভাবুন তো, আপনার স্কুটারের দাম এক লাখ টাকা। কিন্তু হেলমেট ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় আপনাকে জরিমানা করা হলো ২৮ লাখ টাকা! কেমন হবে ব্যাপারটা? আশ্চর্যজনক মনে হলেও, এমনি এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে।
৮ ঘণ্টা আগে