সিরিয়ার বিদ্রোহী নেতা আহমেদ আল-শারার সঙ্গে গত সপ্তাহে এক নারীর ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে অনলাইনে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ ওঠে, ছবি তোলার সময় তিনি ওই নারীকে চুল ঢাকতে বাধ্য করেন। এ বিতর্কের বিষয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
বিবিসির সাংবাদিক জেরেমি বোয়েনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আল-শারা বলেছেন, ‘আমি ওই নারীকে বাধ্য করিনি। আমার সঙ্গে যেভাবে উপযুক্ত, আমি সেভাবে ছবি তুলতে চাই। এটা আমার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা।’
বিতর্কের সূত্রপাত ১০ ডিসেম্বর লেয়া খেইরাল্লাহ নামের এক নারীর সঙ্গে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে। আল-শারার সঙ্গে ছবি তোলার অনুরোধ করেন ওই নারী। তবে ছবি তোলার আগে ওই যুবতীকে চুল ঢাকার ইঙ্গিত দেন আল-শারা। লেয়া সেটা মেনে নিয়ে নিজের পরনে থাকা হুডি মাথায় টেনে দিয়ে আল-শারার পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন।
ঘটনার ভিডিও ক্লিপ ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এতে সাধারণ ব্যবহারকারী ও বিশ্লেষকদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিদ্রোহীদের ক্ষমতায় আসার পর সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে তীব্র জল্পনা-কল্পনার মধ্যে এই ঘটনাটি উদারপন্থী ও রক্ষণশীল—উভয় মহলের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে তুমুল তর্ক-বিতর্ক চলছে।
উদারপন্থীরা মনে করছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর সুন্নি ইসলামি গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) প্রধানের এই অনুরোধ দেশটিতে ইসলামি শাসনব্যবস্থা চালু হওয়ার ইঙ্গিত। অন্যদিকে, কঠোর রক্ষণশীলরা যুবতীর সঙ্গে আল-শারার ছবি তোলাই মেনে নিতে পারছেন না।
অবশ্য লেয়া খেইরাল্লাহ বলেছেন, তিনি আল-শারার অনুরোধে বিরক্ত হননি। তিনি বলেন, এইচটিএস নেতা তাঁকে ‘পিতৃসুলভ স্নেহের’ ভঙ্গিতে অনুরোধ করেছিলেন। একজন নেতার নিজের পছন্দমতো উপস্থাপন করার অধিকার আছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
সিরিয়ার মতো ধর্মীয় বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার চ্যালেঞ্জ কতটা কঠিন হতে পারে—তা এই ঘটনায় স্পষ্ট হয়েছে। সিরিয়ার বেশির ভাগ মানুষ সুন্নি মুসলিম। বাকিদের মধ্যে রয়েছেন আলবীয় শিয়া, খ্রিষ্টান, দ্রুজ ও ইসমাইলি সম্প্রদায়ের মানুষ। এদিকে আসাদবিরোধীদের মধ্যেও রাজনৈতিক ও অন্যান্য বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। কেউ চায় ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র, আবার কেউ ইসলামিক আইনের ভিত্তিতে শাসনব্যবস্থা।
২০১৭ সালে বিদ্রোহীদের শক্ত ঘাঁটি ইদলিব প্রদেশে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর এইচটিএস কঠোর আচরণ ও পোশাকবিধি চালু করেছিল। তবে ব্যাপক সমালোচনার চাপে তাঁরা এসব নিয়ম সম্প্রতি প্রত্যাহার করেছে।
ছবি তোলার সময় আল-শারার অনুরোধকে সহজভাবে দেখছেন না উদারপন্থীরা। তাঁদের আশঙ্কা, এইচটিএসের শাসনে দেশটি আরও রক্ষণশীলতার দিকে যেতে পারে। সব নারীর জন্য হিজাব পরিধান বাধ্যতামূলক করা হতে পারে।
ফ্রান্স টুয়েন্টি ফোরের আরবি বিভাগ ঘটনাটির প্রতিবেদনে শিরোনাম দিয়েছে, ‘সিরিয়া কি ইসলামি শাসনের দিকে এগোচ্ছে?’ আরও কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেছেন অনেকে। একজন সিরীয় সাংবাদিক মন্তব্য করেছেন, জনগণ এক স্বৈরাচারীকে সরিয়ে আরেক প্রতিক্রিয়াশীল স্বৈরাচারীর হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে ‘অতি কট্টরপন্থীদের’ ক্ষমতায় আসা নিয়ে সতর্ক করেছেন। আবার একজন স্বাধীন নারীকে রক্ষণশীল সাজে বাধ্য করার নিন্দা করেছেন অনেকে।
এদিকে এক যুবতীর পাশে দাঁড়িয়ে আল-শারার ছবি তোলার বিষয়টিতেই বিরক্ত কঠোর ইসলামপন্থীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে প্রথম থেকেই এর সমালোচনা করেছেন তাঁরা। কয়েকজন কঠোরপন্থী ওই নারীকে ‘মুতাবারিজাহ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। ধর্মীয় বিধিবহির্ভূত ‘অশালীন পোশাক’ পরিহিত বা মেকআপ করা নারীদের নেতিবাচকভাবে অভিহিত করতে এই শব্দ ব্যবহার করা হয়।
এই কট্টরপন্থীদের মধ্যে রয়েছেন ধর্মীয় বিশেষজ্ঞ ও প্রভাবশালী বিশ্লেষকেরা। তাঁদের মতামত সিরিয়াকেন্দ্রিক রক্ষণশীল নেটিজেনদের মধ্যে জনপ্রিয়। তাঁদের বেশির ভাগই সিরিয়ায় অবস্থান করছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন অতীতে এইচটিএসের সদস্য ছিলেন।
এ ছাড়া, আল-শারার সমালোচনাকারীদের মধ্যে কয়েকজন রক্ষণশীল আলেম রয়েছেন, যাঁরা অতীতে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় উভয় কারণে এইচটিএসের সমালোচনা করে দলত্যাগ করেছেন।
সিরিয়ার বিদ্রোহী নেতা আহমেদ আল-শারার সঙ্গে গত সপ্তাহে এক নারীর ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে অনলাইনে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ ওঠে, ছবি তোলার সময় তিনি ওই নারীকে চুল ঢাকতে বাধ্য করেন। এ বিতর্কের বিষয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
বিবিসির সাংবাদিক জেরেমি বোয়েনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আল-শারা বলেছেন, ‘আমি ওই নারীকে বাধ্য করিনি। আমার সঙ্গে যেভাবে উপযুক্ত, আমি সেভাবে ছবি তুলতে চাই। এটা আমার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা।’
বিতর্কের সূত্রপাত ১০ ডিসেম্বর লেয়া খেইরাল্লাহ নামের এক নারীর সঙ্গে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে। আল-শারার সঙ্গে ছবি তোলার অনুরোধ করেন ওই নারী। তবে ছবি তোলার আগে ওই যুবতীকে চুল ঢাকার ইঙ্গিত দেন আল-শারা। লেয়া সেটা মেনে নিয়ে নিজের পরনে থাকা হুডি মাথায় টেনে দিয়ে আল-শারার পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন।
ঘটনার ভিডিও ক্লিপ ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এতে সাধারণ ব্যবহারকারী ও বিশ্লেষকদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিদ্রোহীদের ক্ষমতায় আসার পর সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে তীব্র জল্পনা-কল্পনার মধ্যে এই ঘটনাটি উদারপন্থী ও রক্ষণশীল—উভয় মহলের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে তুমুল তর্ক-বিতর্ক চলছে।
উদারপন্থীরা মনে করছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর সুন্নি ইসলামি গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) প্রধানের এই অনুরোধ দেশটিতে ইসলামি শাসনব্যবস্থা চালু হওয়ার ইঙ্গিত। অন্যদিকে, কঠোর রক্ষণশীলরা যুবতীর সঙ্গে আল-শারার ছবি তোলাই মেনে নিতে পারছেন না।
অবশ্য লেয়া খেইরাল্লাহ বলেছেন, তিনি আল-শারার অনুরোধে বিরক্ত হননি। তিনি বলেন, এইচটিএস নেতা তাঁকে ‘পিতৃসুলভ স্নেহের’ ভঙ্গিতে অনুরোধ করেছিলেন। একজন নেতার নিজের পছন্দমতো উপস্থাপন করার অধিকার আছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
সিরিয়ার মতো ধর্মীয় বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার চ্যালেঞ্জ কতটা কঠিন হতে পারে—তা এই ঘটনায় স্পষ্ট হয়েছে। সিরিয়ার বেশির ভাগ মানুষ সুন্নি মুসলিম। বাকিদের মধ্যে রয়েছেন আলবীয় শিয়া, খ্রিষ্টান, দ্রুজ ও ইসমাইলি সম্প্রদায়ের মানুষ। এদিকে আসাদবিরোধীদের মধ্যেও রাজনৈতিক ও অন্যান্য বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। কেউ চায় ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র, আবার কেউ ইসলামিক আইনের ভিত্তিতে শাসনব্যবস্থা।
২০১৭ সালে বিদ্রোহীদের শক্ত ঘাঁটি ইদলিব প্রদেশে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর এইচটিএস কঠোর আচরণ ও পোশাকবিধি চালু করেছিল। তবে ব্যাপক সমালোচনার চাপে তাঁরা এসব নিয়ম সম্প্রতি প্রত্যাহার করেছে।
ছবি তোলার সময় আল-শারার অনুরোধকে সহজভাবে দেখছেন না উদারপন্থীরা। তাঁদের আশঙ্কা, এইচটিএসের শাসনে দেশটি আরও রক্ষণশীলতার দিকে যেতে পারে। সব নারীর জন্য হিজাব পরিধান বাধ্যতামূলক করা হতে পারে।
ফ্রান্স টুয়েন্টি ফোরের আরবি বিভাগ ঘটনাটির প্রতিবেদনে শিরোনাম দিয়েছে, ‘সিরিয়া কি ইসলামি শাসনের দিকে এগোচ্ছে?’ আরও কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেছেন অনেকে। একজন সিরীয় সাংবাদিক মন্তব্য করেছেন, জনগণ এক স্বৈরাচারীকে সরিয়ে আরেক প্রতিক্রিয়াশীল স্বৈরাচারীর হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে ‘অতি কট্টরপন্থীদের’ ক্ষমতায় আসা নিয়ে সতর্ক করেছেন। আবার একজন স্বাধীন নারীকে রক্ষণশীল সাজে বাধ্য করার নিন্দা করেছেন অনেকে।
এদিকে এক যুবতীর পাশে দাঁড়িয়ে আল-শারার ছবি তোলার বিষয়টিতেই বিরক্ত কঠোর ইসলামপন্থীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে প্রথম থেকেই এর সমালোচনা করেছেন তাঁরা। কয়েকজন কঠোরপন্থী ওই নারীকে ‘মুতাবারিজাহ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। ধর্মীয় বিধিবহির্ভূত ‘অশালীন পোশাক’ পরিহিত বা মেকআপ করা নারীদের নেতিবাচকভাবে অভিহিত করতে এই শব্দ ব্যবহার করা হয়।
এই কট্টরপন্থীদের মধ্যে রয়েছেন ধর্মীয় বিশেষজ্ঞ ও প্রভাবশালী বিশ্লেষকেরা। তাঁদের মতামত সিরিয়াকেন্দ্রিক রক্ষণশীল নেটিজেনদের মধ্যে জনপ্রিয়। তাঁদের বেশির ভাগই সিরিয়ায় অবস্থান করছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন অতীতে এইচটিএসের সদস্য ছিলেন।
এ ছাড়া, আল-শারার সমালোচনাকারীদের মধ্যে কয়েকজন রক্ষণশীল আলেম রয়েছেন, যাঁরা অতীতে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় উভয় কারণে এইচটিএসের সমালোচনা করে দলত্যাগ করেছেন।
রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ‘অপরাধ দমনে জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ফলে, এখন সরাসরি ওয়াশিংটনের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব নিতে পারবে বিচার বিভাগ। এ ছাড়াও ৭ লাখেরও বেশি মানুষের বসবাসের এই শহরে ন্যাশনাল গার্ডও মোতায়েন করা হবে বলে ঘোষণা করেছেন তিনি।
২৮ মিনিট আগেকাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার তথ্যমতে, আজ মঙ্গলবার খান ইউনিসে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাঁবু লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, যাতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত পাঁচজন। এর আগে গাজা সিটির বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে আরও পাঁচজন।
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের কিছু এলাকা ফেরত আনার চেষ্টা করবেন তিনি। আগামী শুক্রবার আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা। এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেছেন, ‘রাশিয়া ইউক্রেনের মূল ভূমির বড় অংশ দখল করেছে।
১০ ঘণ্টা আগেনিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত মনটক এলাকাটি একসময় ছিল শান্তশিষ্ট ছেলেদের একটি গ্রাম। এখন অবশ্য তা রূপ নিয়েছে বিলাসবহুল ছুটি কাটানোর কেন্দ্রস্থলে। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের ভিড় এবং জমজমাট রাতের জীবন এলাকাটির পুরোনো চেহারা দ্রুত বদলে দিচ্ছে।
১০ ঘণ্টা আগে